আমেরিকার সরকার নিজের জনগণ থেকে ঋণ নেয়, মানুষকে সুদ দেয়; ইহাই বিশ্বের সবচেয়ে বড় ব্যবসা; এই মহুর্তে এই এই ঋণের পরিমাণ হচ্ছে, ৩২,০০০,০০০,০০০,০০০ ডলার; ইহাকে ম্যানেজ করতে অনেক বড় অর্গেনাইজেশন চালাতে হচ্ছে আমারিকাকে। সরকারের ঋণ গ্রহনের পুরো সিষ্টেমটা তৈরি করা হয়েছিলো নিজদেশের মানুষ থেকে ঋণ নেয়ার জন্য; কিন্তু এখন বিদেশীরাও সেই ঋণপত্র (বন্ড ) কিনছে। ক্রেতাদের মাঝে সবচেয়ে বড় ক্রেতা হচ্ছে চীন, জাপান, বৃটেন, ইত্যাদি।
আমেরিকা বিশ্ব ব্যাংক, আইএমএফ ও এই জাতীয় সংস্হাগুলোকেও ঋণ দেয়ার জন্য ফাইন্যান্স করে থাকে। বাংলাদেশের ঋণের বড় অংশ হচ্ছে এই ২ সংস্হা থেকে। বাংলাদেশের ঋণ সম্পর্কে সরকার মানুষকে সঠিকভাবে জানায় না; তবে, ইহা ১১০ বিলিয়ন ডলারের আশেপাশে হতে পারে।
গতকাল ১ জন ব্লগার পারিবারিক ঋণ নিয়ে পোষ্ট দিয়েছেন; মানুষের আত্মহত্যা করছে, পরিবারের সদস্যদের হত্যা করে শেষে নিজে আত্মহত্যা করছে; হাজার হাজার পরিবার বাসস্হান ফেলে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। উনাকে এই সমস্যার সমাধানের পথের কথা বলতে বলায়, তিনি একটা পথের কথা বলেছেন, "সুদহীন ঋণের কথা"; ইহা ভুল উত্তর।
ব্লগারেরা বাংলাদেশ সরকারের ঋণ ও মানুষের ঋণ নিয়ে অনেক ভাবেন, প্রায়ই বৈদেশিক ঋণ নিয়ে পোষ্ট আসে; এটা ভালো দিক, ব্লগারেরা কমপক্ষে অর্থনীতির এই দিকটা বুঝেন।
আমেরিকা যদি নিজের লোকজন থেকে ঋণ নিতে পারে, বাংলাদেশ সরকার কেন নেয় না? আসলে নেয়: মানুষ যেসব বন্ড কিনছে সরকার থেকে উহাই সরকারের জন্য ঋণ।
বাংলাদেশ সরকার এই ধরণের ঋণকে ফাইন্যান্সিয়েল ব্যবসা হিসেবে চালু করতে পারেনি; ইহাকে ব্যবসা হিসেবে চালু করতে পারলে, ইহা ২০০ বিলিয়ন ডলার কিংবা তার থেকে বড় ব্যবসায় পরিণত হতো; তখন সরকারকে বিশ্ব ব্যাংক থেকে বা ঐ ধরণের সংস্হা থেকে ঋণ নিতে হতো না। এতে বন্ড ব্যবসা বড় আকার ধারণ করতো ও দেশে ক্যাপিটেল মার্কেট গড়ে উঠতো; মানুষ ঋন নিয়ে ব্যবসা বাণিজ্য গড়ে তুলতে পারতো। যেহেতু বন্ড সব সময় সরকারী সংস্হার কন্ট্রোলে থাকে, ইহা থেকে আয়ের নিশ্চয়তা থাকতো। আমাদের অর্থনীতিবিদরা বেশ পেছনে পড়ে থাকায় ইহা গড়ে উঠছে না।
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪৪