আসছে নভেম্বরে আমেরিকান প্রেসিডেন্ট নির্বাচন; আমেরিকার ইতিহাসে ইহা হতে পারে এক ভয়ংকর নির্বাচন। ট্রাম্প নিয়ন্ত্রিত "রিপাবলিকান ন্যাশনাল কমিটি" ঘোষণা দিয়েছে যে,আগামী নির্বাচনের ফলফল নিয়ে তারা "ডিফেনসিভ" পদক্ষেপ নিবে না, "ওপেনসিভ" পদক্ষেপ নিবে; মনোভাব আফ্রিকানদের কাছাকাছি। "ওপেনসিভের" কারণে কিছু কিছু এলাকায় গৃহযুদ্ধ লেগে যেতে পারে।
প্রাইমারী ভোটে, ২ দলের প্রার্থী হওয়ার জন্য বাইডেন ও ট্রাম্প দরকারী পরিমাণ ডেলিগেইট পেয়ে গেছে। জরীপে ট্রাম্প এগিয়ে আছে। নিজের দলে ট্রাম্প'এর বিপুল সমর্থন, প্রাইমারীতে তার নিকটবর্তী প্রার্থী, নিকি হিলি ৪৪ জন ডেলিগেইট পেয়েছিলো, যখন ট্রাম্প প্রয়োজনীয় সংখ্যা ১২১৫ জনের বেশী পেয়ে গেছে।
ট্রাম্প এখন ৩য় বিশ্বের লোকজনের মতো, নিজ সাপোর্টারদের সাহায্যে রিপাবলোকান দলের ন্যাশনাল কমিটিকে বদলিয়ে দিয়েছে; কমিটির ভাইস চেয়ারম্যানের পদে দিয়েছে নিজের ছেলের বউকে! এটা কেন করলো? কমিটির হাতে স্পেশাল ক্ষমতা আছে: জাতী ও দলের প্রয়োজনে কমিটি প্রাইমারীতে বিজয়ীকে বাদ নিয়ে অন্য কাউকে মুল ভোটে প্রার্থী করতে পারে; এই কারণে সে কমিটি দখল করেছে।
গত ভোটে (২০২০ ) সে ভোটের ফলাফল মেনে নেয়নি, বলেছিলো যে, জাল ভোট আছে; বিবিধ রাজ্যের কন্ত্রোলারদেরকে তার ভোটের পরিমাণ বাড়িয়ে দিতে বলেছিলো; সেটা ঘটেনি। এরপর, সে ভাইস-প্রেসিডেন্টকে অর্ডার দিয়েছিলো, বাইডেনের জয়ী কোন রাজ্যের "ইলেকটোরেল কলেজ" ডেলেগেইটদের ডিসমিস করে, গভর্ণরকে এককভাবে ভোট দেয়ানোর ব্যবস্হা করাতে; এতে সে জয়ী হতে পারতো।
ভাইস-প্রেসিডেন্ট তা না'করাতে ট্রাম্প কৌশলে তার সমবেত সাপোর্টারদের কংগ্রেস আক্রমণে ডাকে। এতে কংগ্রের কাজকর্ম স্হগিত ছিলো ৪/৫ ঘন্টা। যারা কংগ্রেস ভবন আক্রমণ করেছিলো, তাদের থেকে১২০০ মানুষের জেল হয়েছে।
এবার তার লোকজন আমেরিকাকে আফ্রিকা বানাবে, বলছে, "ফলাফল নিয়ে তারা "ডিফেনসিভ" পদক্ষেপ নিবে না, "ওপেনসিভ" পদক্ষেপ নিবে"।
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই মার্চ, ২০২৪ রাত ১:৩৭