আমাদের ১৯ কোটী মানুষের মাঝে কত কোটী লোকজন হামাসের পক্ষে? এরা কেন বুঝতে পারেন না যে, ইডিয়ট হামাস নেতানিয়াহুকে সুযোগ করে দিয়ে ফিলিস্তিনীদের হত্যা করতে, অন্য কিছু নয়। ফিলিস্তিনের ভুমি ফেরত পাবার জন্য নীরিহ ৩২,০০০ মানুষকে মাত্র ১৬১ দিনে, এইভাবে প্রাণ দেয়ার দরকার ছিলো না, দেড় লাখ মানুষকে পংগু হওয়ার দরকার ছিলো না। এদের মাঝে ২৪,০০০ হচ্ছে নারী ও শিশু; হামাস নেই বললেই চলে। হামাস মানুষের সাথে মিশে পালিয়ে বেড়াচ্ছে; সামনের দিনগুলোতে আরো কত হাজারকে প্রাণ দিতে হবে?
আপনি কোন কারণে কি বিশ্বাস করেন যে, ফেরেশতারা মানুষের হয়ে যুদ্ধ করে? একমাত্র বোকা ও ঠক ব্যতিত কেহ এই ধরণের গল্প করার কথা? আপনি কি বিশ্বাস করবেন যে, রাম-রাবনের যুদ্ধে হনুমান আকাশে উড়ছিলো? তা'হলে, আমাদের মানুষেরা কেন বিশ্বাস করবে যে, ফেরেশতারা হামাস বা কারো হয়ে যুদ্ধ করতে পারে!
৮ই অক্টোবর ১টি পোষ্টে আমি বলেছিলাম যে, গাজাকে মুছে দিবে ইসরায়েলীরা; উহা ঘটেছে; আকাশ থেকে তা করা হয়েছে, যুদ্ধ বিমান থেকে, কোন ফেরেশতা তা করেনি ইসরায়েলের হয়ে, ইসরায়েলী যোদ্ধারা তা করেছে। ইসরায়েলীরা আব্রাহামিক ধর্মের ১ম গ্রুপ; তারা কি ফেরেশতাদের কথা বলছে: ফেরেশতার জন্য অপেক্ষা করছে?
১৯৭১ সালে ফেরেশতারা বাংগালীদের বা পাকিস্তানীদের পক্ষে যুদ্ধ করেছিলো? আমদের মুক্তিবাহিনী যুদ্ধ করেছিলেন, তাঁরাই প্রাণ দিয়েছেন; আমরা যদি ফেরেশতাদের জন্য অপক্ষা করে বসে থাকতাম, আজকে আমরা পাকীদের অধীনে দাসের মত বাস করতাম।
ব্লগার মহাজাগতিক চিন্তা কম্প্যুটারের কোন একটা বিষয়ে ট্রেনিং দেন, তিনি লজিকের মানুষ; উনি যদি এসব রূপকথা বলে বেড়ান, বাকীদের অবস্হা কি?
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:৪১