somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

তাহমিদ রহমান
একজন অলস মানুষ; ভালোবাসি স্বপ্ন দেখতে, চিন্তা করতে, আর কবিতা লিখতে।পেশায় চিকিৎসক, তবে স্বপ্ন দেখি সাহিত্যের সাথে নিবিড় সখ্য গড়বার।ছাত্রজীবনে জড়িত ছিলাম স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনে, ভবিষ্যতে কাজ করতে চাই কন্যাশিশু নিরাপত্তা ও বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ নিয়ে।

বইয়ের কথা ৩ঃ বাদশাহ নামদার

১৪ ই মার্চ, ২০২২ রাত ১১:২৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :




•••
দুই মিতা।
দুজনেই নামদার বাদশাহ।
একজন সমস্ত ভারতবর্ষের, আরেকজন পূর্ববঙ্গীয় সাহিত্যের । তাঁদের একজন লিখেছেন আরেকজনকে নিয়ে।

কি লিখেছেন? - এই বই প্রথাগত জীবনীও নয়, আবার গল্পও নয়। বরং এটা এক খেয়ালী কবির নিজস্ব জীবনবোধে সাম্রাজ্য চালানোর সুন্দর লেখচিত্র। নিজস্ব মুন্সীয়ানায় এই লেখচিত্র এঁকেছেন হুমায়ূন আহমেদ।
তাই এভাবেও বলা যায় যে, এই উপন্যাস স্রেফ মুঘল সম্রাট হুমায়ুনের নামদার জীবনবোধের গল্প নয়, বরং উপন্যাসিক হুমায়ূনের নামদার লেখনীর খাস নমুনাও বটে।

নামদার বাদশাহদ্বয়ের জগতে আপনাকে স্বাগতম!


•••
মর্ত্যের জীবনে মানুষের সবচেয়ে বড়ো প্রাপ্তি কি?
দুনিয়াবি বাদশাহী নাকি দ্বিকবিজয়ীর দিগন্তবিস্তৃত যশ?
অথবা ঈশ্বরিক মেধা ও তার প্রয়োগ?

সম্ভবত এসবের কিছুই না, বরং খুদাতা'লার অনুগ্রহ এবং মানুষের ভালোবাসা-ই কাদামাটির মানবের শ্রেষ্ঠ অর্জন।।

মির্জা হুমায়ূনের জীবন পরিপূর্ণ ছিলো এই দুই অনন্য উপহারে ।

সেকারণেই যুদ্ধ পরিচালনা কিংবা রাজকার্যে সিদ্ধহস্ত না হয়েও হুমায়ুন সারা ভারতবর্ষের পাদিশাহ হিসেবেই চোখ বুজতে পেরেছেন। বারবার জীবন ফিরে পেয়েছেন, মার্জারের সাতটি জীবনের মতো। শেরশাহ'র তরবারির নীচে দাঁড়িয়েও মুঘল ঈমাম খুতবা পাঠ করেছেন রাজ্যহারা হুমায়ুনের নামে, জীবন সংশয়ের প্রবল শঙ্কার মাঝেও লছমি বাঈ হুমায়ুনের সন্ধান দেয়নি দুর্ধর্ষ আফগানদের, ডুবন্ত হুমায়ুনকে রক্ষায় অবতার-রূপে হাজির হয়েছিলো নাজিম ভিস্তিওয়ালা। মহাবীর বাবুরের এই প্রিয় পুত্রের এক জীবনে সৌভাগ্য আর ভালোবাসার শেষ ছিলোনা।


•••
সম্ভবত এক দশক আগে, আমাদের বন্ধুদের মধ্যে কোনো একজনের জন্মদিনে সালমান উপহার হিসেবে এনেছিলো 'বাদশাহ নামদার' বইটা। অসাধারণ সুন্দর প্রচ্ছদ আর ব্যতিক্রমী নামের কারণে বইটার কথা মাথায় গেঁথে যায়। তারপর সুযোগের অভাবে এই দীর্ঘসময়েও পড়া হয়নাই। নিউমার্কেটে উদ্দেশ্যহীন ঘুরতে ঘুরতে গতসপ্তাহে বইটা কেনা হলো আর কাল সারারাত জেগে পড়ে শেষ করলাম। হুমায়ূন আহমেদের কলমে মীর্জা হুমায়ুনের জীবন ও জীবনবোধের যে প্রতিবিম্ব এখানে প্রকাশিত হয়েছে, সেটা বাংলা সাহিত্যের রত্নবিশেষ।
A must read!
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই মার্চ, ২০২২ রাত ১১:২৬
৫টি মন্তব্য ৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বারবাজারে মাটির নিচ থেকে উঠে আসা মসজিদ

লিখেছেন কামরুল ইসলাম মান্না, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:৪০

ঝিনাইদহ জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার বারবাজার ইউনিয়নে মাটির নিচ থেকে মসজিদ পাওয়া গেছে। এরকম গল্প অনেকের কাছেই শুনেছিলাম। তারপর মনে হলো একদিন যেয়ে দেখি কি ঘটনা। চলে গেলাম বারবাজার। জানলাম আসল... ...বাকিটুকু পড়ুন

সৎ মানুষ দেশে নেই,ব্লগে আছে তো?

লিখেছেন শূন্য সারমর্ম, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১:৪৮








আশেপাশে সৎ মানুষ কেমন দেখা যায়? উনারা তো নাকি একা থাকে, সময় সুযোগে সৃষ্টিকর্তা নিজের কাছে তুলে নেয় যা আমাদের ডেফিনিশনে তাড়াতাড়ি চলে যাওয়া বলে। আপনি জীবনে যতগুলো বসন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

পরিবর্তন অপরিহার্য গত দেড়যুগের যন্ত্রণা জাতির ঘাড়ে,ব্যবসায়ীরা কোথায় কোথায় অসহায় জানেন কি?

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৩:৫৭


রমজানে বেশিরভাগ ব্যবসায়ীকে বেপরোয়া হতে দেখা যায়। সবাই গালমন্দ ব্যবসায়ীকেই করেন। আপনি জানেন কি তাতে কোন ব্যবসায়ীই আপনার মুখের দিকেও তাকায় না? বরং মনে মনে একটা চরম গালিই দেয়! আপনি... ...বাকিটুকু পড়ুন

গরমান্ত দুপুরের আলাপ

লিখেছেন কালো যাদুকর, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৫৯

মাঝে মাঝে মনে হয় ব্লগে কেন আসি? সোজা উত্তর- আড্ডা দেয়ার জন্য। এই যে ২০/২৫ জন ব্লগারদের নাম দেখা যাচ্ছে, অথচ একজন আরেক জনের সাথে সরাসরি কথা বলতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বৃষ্টির জন্য নামাজ পড়তে চায়।

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৮



ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে বৃষ্টি নামানোর জন্য ইসতিসকার নামাজ পড়বে তার অনুমতি নিতে গিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এটির অনুমতি দেয়নি, যার জন্য তারা সোশ্যাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

×