somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

সাহাদাত উদরাজী
সাহাদাত উদরাজী'র আমন্ত্রণ! নানান বিষয়ে লিখি, নানান ব্লগে! নিজকে একজন প্রকৃত ব্লগার মনে করি! তবে রান্না ভালবাসি এবং প্রবাসে থাকার কারনে জীবনের অনেক বেশী অভিজ্ঞতা হয়েছে, যা প্রকাশ করেই ফেলি - 'গল্প ও রান্না' সাইটে! https://udrajirannaghor.wordpress.com/

মিঃ এলন মাস্কঃ নামেই যার পরিচয়!

২৮ শে নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৫:৩৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

মিঃ এলন মাস্কঃ নামেই যার পরিচয়, বর্তমান বিশ্বের এক বিস্ময়কর নাম। কিছু দিন ধরে আমি এলন মাস্ক নিয়ে নেটে অনেক তথ্য দেখছিলাম। লোকটাকে নিয়ে আসলেই গবেষনা করা যায়! বর্তমান দুনিয়ার তিনি ৪০তম ধনী ব্যক্তি তবে আগামী বছর সম্ভবত আরো আগের সারিতে চলে আসবেন এবং আমি মনে করি তিনি যে বুদ্ধি নিয়ে চলছেন, তাতে তিনি বিশ্বের সব চেয়ে ধনী ব্যক্তি হতেও বাকী থাকবে না! তার বর্তমান বয়স এবং তথ্যাদি বিশ্লেষণ করলে রীতিমত অবাক হতে হয়! আমি নিজেও তার জীবন কাহিনী পড়ে বার বার অবাক হচ্ছি! যাই হোক, যারা ইংরেজি পড়েন বা তথ্যের আলোচনা পছন্দ করেন তাঁরা নেটে খুঁজে খুঁজে পড়ে দেখতে পারেন, তার উপর অনেক তথ্য, ডুকুমেন্ট ইত্যাদি ভরপুর! তবে ফাঁকিবাজ পাঠকদের জন্য আমি কিছু সার সংক্ষেপ দিতে চাই!


মিঃ এলন মাস্ক, যার জন্ম সাউথ আফ্রিকায়। বাবা সাদা চামড়ার বৃষ্টিশ আফ্রিকান এবং যার দাদা বৃষ্টেনের শাসকদের পক্ষের লোক ছিলেন। তার মা হচ্ছেন কানাডিয়ান। জন্মের পর ভালই চলছিলো তবে কিশোর হবার পরে বাবা মায়ের সাথে সেপারেশন হয়ে যায় এবং তার মা কানাডাতে ফিরে যান, এলন মাস্ক মায়ের সাথে কানাডায় চলে যান এবং সেখানে শিক্ষিত হতে থাকেন।


ইনি হচ্ছেন এলেন মাস্কের গর্বিত পিতা!


এলন মাস্কের গর্বিত মায়ের সাথের ছবি।

যাই হোক, কানাডা থেকে এলন মাস্ক আমেরিকায় চলে আসেন এবং সেখানেই তিনি দুটো বিষয়ে সর্বোচ্চ ডিগ্রী নেন। ইকোনমিক্স এবং ফিজিক্স মানে অর্থনীতি এবং পর্দাথ বিজ্ঞান! আমি আসলে এটা জেনে অবাক হয়েছি, যে ফিজিক্স পড়ে সে কেন অর্থনীতি পড়বে আবার যে অর্থনীতি পড়বে সে কেন পদার্থ বিজ্ঞান পড়বে! বিষয়টা নিয়ে ভাবলে বোঝা যায়, এটা সাধারণ মানুষের কাজ নয়, নেহাত মেধাবী না হলে এমন চিন্তাও করা যায় না! তবে পরবর্তীকালে এটা বোঝা যায় যে, তিনি যখন যে কোন কোম্পানীর সিইও হিসাবে কাজ করছেন তখন তার সেই দুটো জ্ঞান সঠিক ভাবে কাজে লেগেছিল। তিনি নিজে রিক্স নিয়েছেন, নিজে বড় হয়েছেন এবং তার শোয়ার হোল্ডারদের বড় করেছেন!


যাই হোক, পড়াশুনা শেষে তিনি নিজেই ব্যবসা কর্ম পরিকলনায় নামেন। তার প্রথম কোম্পানীর নাম জিপটু! ফাইন্যাসিয়াল সার্ভিস কোম্পানী, নিজে পোগ্রামিং জানার কলা কৌশল এবং দক্ষতায় অনেক জটিল বিষয় তিনি গ্রাহকের কাছে সহজ করে তুলেছিলেন। পরে বেশ দামে এই কোম্পানী বিক্রি করে দেন এবং বিশ্বের মানি ট্রান্সফারিং বিষয় বা মানি পেমেন্ট ম্যাথড বা সহজে একজনের কাছে অন্যজনের টাকা পাঠানোর কলা কৌশল নিয়ে কাজ করেন এবং এই বিষয়ে আরও একটা কোম্পানী খুলে ফেলেন, যার নাম আপনাদের কাছে সুপরিচিত, ইয়েস ইট ইজ, পেপল! (পেপল বাংলাদেশে আসা যাওয়া নিয়ে অনেক কাহিনী হয়েছে, অনেক মন্ত্রী মিনিষ্টার এই বিষয়ে নানান মিথ্যা শুনিয়াছেন আমাদের, সাধারণত অনলাইন পেমেন্টে এদের জুড়ি নেই, যারা অনলাইনে ফ্রিলেন্সার হিসাবে কাজ করেন তাঁরা এই বিষয়ে ভাল জানেন)।

সংক্ষেপে বলি, পরে এই পেপল আমাজন গ্রুপ কিনে নেয় এবং এলন মাস্ক বিশাল টাকার মালিক হয়ে যান। কিন্তু যে কাজে আগ্রহী সে কি বসে থাকে? না তিনি এই টাকা নিয়ে উর্ধাকাশ নিয়ে চিন্তা শুরু করেন। নাসার সমমানের একটা কোম্পানী খুলে আবারো নুতন চিন্তা নিয়ে নেমে পড়েন! জ্বি যার নাম স্পেসেক্স! মহাকাশযান নিয়ে নুতন গবেষনা, মানে আগে যে রকেট মহাকাশে যেত তা দুনিয়াতে ফিরে আস্লেও আর ব্যবহার করা যেত না। ফলে অনেক টাকা নষ্ট হত, মাস্ক চিন্তা করলেন এবং যানটি অক্ষত রেখে কি করে আবার ব্যবহার করা যায়! জ্বি, প্রথম দফায় পুরাই অসফল! মানে যানের মাঝ আকাশেই আগুন লেগে শেষ!


পরে আর্থিক অবস্থায় এমন শোচনীয় হয়ে পড়লেন যে, আর বলার মত না! মানে নিজ কোম্পানীর স্টাফ স্যালারীও দিতে পারছিলেন না কিন্তু তিনি মনে মনে কলা কৌশল আরো বাড়িয়ে মানে আরো ভাল লোক রেখে আরো মনোনিবেশ করলেন। এবার তার চেষ্টায় গুগল ও ফিডালিটি এই প্রকল্পে টাকা ঢালেন। ইয়েস সাকসেস! পরে নাসার কয়েকটা কোটি টাকার কন্টাক পেয়ে যান, ব্যস, আর কে তাকে ঠেকায়! তিনি এই কোম্পানীর বড় অংশিদার এবং সি ই ও!


তিনি মুলত বসে থাকার লোক নন, স্পেসএক্স এর পাশাপাশি তিনি নুতন চিন্তা শুরু করেন, হ্যাঁ, জালানী তেল ছাড়া বিদ্যুতের গাড়ি! নুতন কোম্পানী টেস্লার, দুনিয়ার সেরা সেরা বিজ্ঞানী হায়ার করে নেন এবং কাজ শুরু করেন। সাকসেস কাকে বলে? আগামী শতকে তার গাড়ি ছাড়া আর কোন গাড়ি মার্কেটে থাকবে বলে মনে হয় না! হা হা হা.।। পরের ইতিহাস বা আজকালের তার সেরা প্রোডাকশন সাইবার এক্স মিনি ট্রাক!


আমি এই সাইবারট্রাকের প্রেমে পড়ে গেছি, সাধ্য থাকলে অবশ্যই এখুনি বুকিং দিতাম!


বাংলাদেশের রাস্তার জন্য এই মিনি সাইবার ট্রাক বেশ উপযুক্ত বলে আমার মনে হয়েছে! হা হা হা.। দাম, তেমন নয়, রিজনেবল! বেশ পোক্ত, উচু এবং নুতন ডাইমেন্সন। ষ্টিয়ারিং বেশ লাগলো! চালাতে প্লেন চালানোর আমেজ পাওয়া যাবে! যাই হোক, আমাদের এর পর কি, কি আসছে তা জানার জন্য আমাদের অপেক্ষা করতে হবে। বলে নেয়া ভাল, দেখলাম, ২০২০ সালে ডেলিভারী দেয়ার জন্য এই ট্রাক প্রায় দুই লক্ষ তিন দিনের মধ্যেই বুকড হয়ে গেছে! বুঝেন, কোন বিজ্ঞাপন না দিয়েই কত টাকা ফান্ডে চলে গেল! মানুষ তাকে নিয়ে কতটা আত্মবিশ্বাসী!

যাই হোক বেঁচে থাকুক চাচা! চলেন এবার তার কিছু পারশোন্যাল ডাটা জানি। যতদুর বুঝতে পারছি এই নিয়ে তিনি ৩য় বিয়ে করেছেন! প্রথম স্ত্রী ও ২য় স্ত্রী নিয়েরাই তার থেকে টাকা নিয়ে ডিভোর্স নিয়ে চলে গেছেন, এই দুইজন যে পরিমান টাকা নিয়ে গেছেন তা তার টাকায় যোগ থাকলে ধনীর তালিখায় আরো আগে উঠে থাকতেন! কাজের চাপে তিনি স্ত্রী সন্তানদের তেমন সময় দেন না বা এটা সম্ভবো নয়! স্ত্রী সন্তানদের কোলে বসিয়ে এত বড় বড় কাজ করা যায় না! এটা আমাদের বুঝতে হবে, হ্যাভ টু আন্ডারসটান্ড! মাঝে নাকি এমনো হয়েছে যে, কয়েক সপ্তাহ ফ্যাক্টরীতেই পড়ে ছিলেন!


জিমাল কাউন্টেস মনে হচ্ছে তার বর্তমান স্ত্রী! যদিও আমি এই বিষয়ে আর বেশী ঘাটাঘাটি করি নাই! কারন বিয়েশাদী মানুষের ব্যক্তিগত ব্যাপার! এই বিষয়ে অন্যদের কথা বলা সাজে না! আমি নিজেও কর্মে বিশ্বাসী, ব্যক্তিগত ভাবে কেহ অপরাধ না করলেই হল, আইনের চোখে অপরাধ এমন কাজ ছাড়া বাকী সব করা যেতে পারে!


এলেন মাস্ক কোথায় থাকেন, সেই বিষয়ে আর কথা না বলাই ভাল। আদার ব্যাপারীর জাহাজের খবর নেয়ার দরকার কি! সারা আমেরিকা জুড়ে উনার অনেক বাড়ী আছে, তবে মুলত লস এঞ্জেলেসের এই বাড়িতেই তিনি থাকেন বলে অনুমান করছি! তিনি তিনটি দেশের নাগরিক, আফ্রিকা, কানাডা এবং আমেরিকা! দাদার সুত্রে তিনি বৃট্রেনের নাগরিক! অনেক বড় বড় দেশের প্রসিডেন্টের সাথে তার বন্ধুত্ব এবং জানাশোনা! তার ছেলে মেয়ের স্কুলে যায় না, স্কুলই তার ঘরে আসে! বাড়ির পাশে তিনি তার ছেলে মেয়েদের জন্য নিজেই স্কুল বসিয়েছেন!

আজ এই পর্যন্তই! দুনিয়ার অনেকেই কেন এলেন মাস্ক হতে পারেন নাই, এই নিয়ে সামান্য চিন্তা করেছি বটেই! মুলত মেধা, সাহস, রিক্স, কাজ বোঝার ক্ষমতা, কাজ আদায় এবং স্বাধীনতা ইত্যাদি আমাদের মধ্যে তেমন নেই! যারা আর্থিকভাবে সফল, তাঁরা এই গুনে গুনানিত্ব! শুধু স্ত্রীর প্রেমে ঘরে পড়ে থাকলে চলে না!

অথ্য সুত্র ও ছবিঃ নেট ঘেঁটে

সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৫৩
৯টি মন্তব্য ১১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা ও পদ্মশ্রী পুরস্কার

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৫৬



এ বছরের পদ্মশ্রী (ভারতের চতুর্থ সর্বোচ্চ অসামরিক সম্মাননা) পদকে ভূষিত করা হয়েছে, বাংলাদেশের রবীন্দ্র সংগীত এর কিংবদন্তি শিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যাকে।

আমরা গর্বিত বন্যাকে নিয়ে । ...বাকিটুকু পড়ুন

কষ্ট থেকে আত্মরক্ষা করতে চাই

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৯



দেহটা মনের সাথে দৌড়ে পারে না
মন উড়ে চলে যায় বহু দূর স্থানে
ক্লান্ত দেহ পড়ে থাকে বিশ্রামে
একরাশ হতাশায় মন দেহে ফিরে।

সময়ের চাকা ঘুরতে থাকে অবিরত
কি অর্জন হলো হিসাব... ...বাকিটুকু পড়ুন

রম্য : মদ্যপান !

লিখেছেন গেছো দাদা, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৩

প্রখ্যাত শায়র মীর্জা গালিব একদিন তাঁর বোতল নিয়ে মসজিদে বসে মদ্যপান করছিলেন। বেশ মৌতাতে রয়েছেন তিনি। এদিকে মুসল্লিদের নজরে পড়েছে এই ঘটনা। তখন মুসল্লীরা রে রে করে এসে তাকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

= নিরস জীবনের প্রতিচ্ছবি=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৪১



এখন সময় নেই আর ভালোবাসার
ব্যস্ততার ঘাড়ে পা ঝুলিয়ে নিথর বসেছি,
চাইলেও ফেরত আসা যাবে না এখানে
সময় অল্প, গুছাতে হবে জমে যাওয়া কাজ।

বাতাসে সময় কুঁড়িয়েছি মুঠো ভরে
অবসরের বুকে শুয়ে বসে... ...বাকিটুকু পড়ুন

Instrumentation & Control (INC) সাবজেক্ট বাংলাদেশে নেই

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৫




শিক্ষা ব্যবস্থার মান যে বাংলাদেশে এক্কেবারেই খারাপ তা বলার কোনো সুযোগ নেই। সারাদিন শিক্ষার মান নিয়ে চেঁচামেচি করলেও বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরাই বিশ্বের অনেক উন্নত দেশে সার্ভিস দিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×