somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

খলিল সুপ্রিমেসি (খলিল সিরিজ -৯)

২৯ শে মে, ২০১০ রাত ২:৪৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

খলিল সিরিজ এর আগে ভাল লেগে থাকলে ফেসবুকে খলিল সিরিজের ফ্যান পেজ এ একটা লাইক দিয়েন


খলিল, বারেক, ব্র্যাড এবং রাজ ৪ জন ই বন্দী। ব্র্যাড একটু পরপর ই কেমন কেমন জানি করছে। খলিল বলল...... এরকম করেন ক্যান। ব্র্যাড বলল, আমার ইউরিন সিস্টেম এর ইন্সটলেশন এ সমস্যা। বুঝবানা। খলিল কিছু বলল না। সে বারেক কে জিজ্ঞেস করল আমাদের কি বাঁচার কোন চান্স ই নাই? বারেক বলল, না...... ইলিহাস ঘোষনা করে দিয়েছে কালকেই সবাইকে মেরে ফেলা হবে। খলিল বলল, হা বললেই হইল। এ জীবনে বিয়া না কইরা আমি মরমুনা। ব্র্যাড বলল, খলিল তাইলে তুমি কখনই মরবানা। চিন্তা কইরনা। রাজ ঐদিকে বেহালা বাজিয়েই যাচ্ছে। ব্র্যাড বলল, আমার ধারনা শাহরুখ এর স্ক্যানিং এর সময় ঐ বেহালা ছাড়া আর কিছুই আসেনায়। ঠিক সেই সময় মৈনাক পর্বত সাইজের এক মেয়ে ঢুকল। তারা রাজ বাদে বাকি ৩ জন কে নিয়ে গেল এলিহাস এর কাছে। এলিহাস বারেক কে বলল, বারেক তুমি চাইলে তোমার মৃত্যুক্ষন নিজে ঠিক করতে পারে। আগামি ১০ দিনের মধ্যে যে কোনো একদিন তোমাকে মারা হবে। কথা শেষ হওয়ার আগেই খলিল বলল, আন্টি আমি? ইলিহাস কাকে জানি ডাক দিল। খলিল দেখে চমকালো। এটা তো ২০১০ সালের ওই মেয়েটা। যে খলিলের ছবি তুলেছিল। (আমারটাও তুলেছিল, খলিল আইডেন্টিটি তে ছিল)। এলিহাস বলল , এই হাদারাম কে গিয়ে একটা চড় মার তো ইয়েলোনা। ইয়েলোনা চড় মারল। খলিলের বেশ খারাপ লাগল। সে কেন্দে ফেলল। খুবি অবাক করা ব্যাপার হইল ইয়েলোনা ও কেন্দে ফেলল। এলিহাস বেশ অবাক হইল। হচ্ছেটা কি এটা? ইয়েলোনা, পুরুষ মানুস মারা নারীর ধর্ম এটা তুমি জান। নারীশ্বাসন প্রতিষ্টা করার জন্য আমাদের কত কষ্ট করতে হচ্ছে আর তুমি এই হাদারম কে চড় মারার জন্য কান্নাকাটি করছ!! ইয়েলোনা বলল, মহামান্য এলিহাস। আমি জানিনা কেন এমন হচ্ছে। কিন্তু এ এক অদ্ভুত অনুভুতি। খলিল কে চড় মারার আগে এটা আমি কখনো টের পাইনি। খলিল বেশ অবাক হয়ে মনে মনে খুশি হতে লাগল। আহা কত যুগ ধরেই না এই দিনের জন্য সে অপেক্ষা করছে। বারেক মাঝখান দিয়ে বলল, মহামান্য এলিহাস আমি কি একটা কথা বলতে পারি? এলিহাস বলল, না পারনা। আচ্ছা ঠিক আছে বল। বারেক বলল, মহামান্য এলিহাস, নারী পুরুষ একে অন্যের পরিপুরক। পৃথিবী কোনোভাবেই শুধু নারী অথবা শুধু পুরুষ দিয়ে চলতে পারেনা। এলিহাস বলল, বোকার মত কথা বোলোনা, স্পার্ম কৃত্রিম ভাবে আবিষ্কার হয়ে গেছে। সন্তান জন্মদানের জন্য তোমাদের আর দরকার নেই। দরকার আছে ম্যাডাম, এই প্রথম ২৮০০ সালের পৃথিবীতে রাজ কথা বলল। ম্যাডাম আমার নাম রাজ, নাম তো শুনেছেন ই। আমি মহব্বত এ ভরিয়ে দিতে এসেছি। জীবনের প্রধান উপকরন হচ্ছে মহব্বত। এটা ছাড়া জীবন চলেনা। নারী-পুরুষের মধ্যে মহব্বত অনেক বড়। আপনি ইয়েলোনা কে জিজ্ঞেস করে দেখুন। খলিল কে না পেলে সে বাঁচবে কিনা। ইয়েলোনা আকাশ ফাটিয়ে চিতকার করে জানালো যে সে বাঁচবেনা। পুরা ব্যাপারটাতেই খলিলের বিশ্বাস হতে চাইলনা। এতদিন এত কিছু করেছে সে। কোনোভাবেই তার কিছু হলনা এই প্রথমবারের মত তার ভালবাসা হতে চলল। এলিহাস কেমন জানি একটু চিন্তায় পরে গেলেন। বারেক বলল, এলিহাস আপনাকে যদি এই অনুভুতি দেওয়া হয় তাহলে আপনিও আর পুরুষ নিধন করবেন-না। ম্যাডাম নারীরা একা কখনো সব কিছু নিয়ন্ত্রন করতে পারেন্‌না। আপনি মনে হই জানেন-না ৮৮ দ্রাঘিমাংশে আজ থেকে ৮০০ বছর আগে পালাক্রমে নারি শ্বাষন চলত। তার পরিনতিতে সে অঞলটা পুরাটাই এখন সমুদ্রের নিচে। খলিল আঁতকে উটল। এ্যা। কবেকার ঘটনা এটা। তাড়াতাড়ি বলেন। ফেরত যাব নাকি এখানেই থাকব ঠিক করি। এলিহাস বলল, ঠিক আছে যদি আমাকে ঐ মহব্বত না কি জানি ঐ অনুভুতি দেওয়া হয় আর যদি আমার মনে হয় এটার দরকার আছে তাহলে আমি আপোষ করার কথা ভেবে দেখব। ১০ দিন সময় দিলাম তোমাদের সবাইকে। এই ১০ দিন তোমাদের কে ছেড়ে রাখলাম। আর হা মানিক-কেও ছেড়ে দিলাম। খলিল বলল, মানিক-টা আবার কে? ব্র্যাড বলল, বাই ভার্বাল এ যে বাচাল তোমাকে। উড়ন্ত মোটরযান।


খলিল সিরিজের প্যাটার্ন টা জানি কেমন হয়ে গেল। এতদিন পর্যন্ত ব্যাপারটা ছিল খলিলের প্রেম হওয়া নিয়ে। তবে খলিলের প্রেম প্রায় হয়ে গেল ইয়েলোনার সাথে। কিন্তু এলিহাস এর প্রেম না হলে যে সবাই মারা পরবে। এখন তাইলে উপায়। ঠিক করা হল বারেকের সাথে এলিহাস এর প্রেম করানোর চেস্টা করা হবে। কিন্তু সেটা কিভাবে। মহব্বত এর রাজ বারেক কে ভায়োলিন শিখতে বলল ওইটাতে নাকি কাজ হয়। ঐদিকে খলিল ভাবল অন্য কথা। যাদুর আপেল এর (খলিল ও তার ম্যাজিক আপেল, খলিল সিরিজ -২) ছোকলাটা কোনো ভাবে খাওয়ায় দিতে পারলে কেল্লা ফতে। খলিল, ইয়েলোনা আর মানিক গেল ৮৮ ডিগ্রি দ্রাঘিমা এর দিকে। ৮০০ বছর আগে খলিল এখানে ম্যাজিক আপেল এর ছোকলা রেখে গিয়েছিল যদি পাওয়া যায়। আর যেহেতু ম্যাজিক আপেল পঁচেনা। সমস্যা হইল ওই যায়গাটাই এখন নাই। পুরাটাই পানির নিচে। অইদিকে বারেক একটার পর একটা ভায়োলিন শুনায়ে যাচ্ছে এলিহাস কে কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হচ্ছেনা। শেষ মেশ ব্র্যাড বিরক্ত হয়ে গেল। সে বলল দেখি ভায়োলিন। ব্র্যাড একটা টুং করে আওয়াজ, এলিহাস চমকায় উটল। ব্র্যাড আরেকটা টুং করে আওয়াজ করল। আবার এলিহাস চমকায় উটল। এলিহাস এর মাথাটা কেমন কেমন জানি করতে লাগল। বাতাস একটু জোড়ে বইতে লাগল। এলিহাস এর পড়নে শাড়ি নাই কিন্তু যেটা ছিল সেটা একটু উড়তে লাগল। এলিহাস ব্র্যাড এর প্রেম এ পরে গেল।

২৮০০ সালের পৃথিবী এখন নতুন সমস্যা। ব্র্যাড আর্মি ইন্টালিজেন্স থেকে সরাসরি এখন এলিহাস এর জামাই হওয়ার পথে। বারেক এটা কোনোভাবেই সহ্য করতে পারতেসেনা। কারন পৃথিবীর মুল শাষক যে এখন ব্র্যাড হয়ে যাবে। ঐদিকে রাজ সমগ্র নারীকুল কে বেহালা বাজিয়ে শুনাচ্ছে। এমন অবস্থায় খলিল চিন্তা করল ইয়েলোনাকে নিয়ে পালানোর এটাই সুযোগ। আবার কোন না কোন ঝামেলা লাগে। খালিল মানিক এর সহায়তায় লেজার টাইম মেশিন চালু করল।টাইম ঠিক করে ২০১০ এ চলে আসল।

চিটাগাং যাওয়ার ট্রেন যাচ্ছে। আমরা সবাই ট্রেন এ। খলিল ট্রেন ধরার জন্য দৌড়াচ্ছে। হটাত আমাদের সামনের কম্পাউন্ড দিয়ে ছবি তোলা ঐ সুন্দর মেয়েটা হাত বাড়িয়ে দিল। খলিল কে তুলল। আমরা দৌড়ায় গেলাম। খলিল মেয়েটা কে ধরে আমাদের সবাইকে দেখায় বলল দেখ শালা দেখ। আমারও জিএফ হইতে পারে। দেখ তোরা তাকায় দেখ। আমার জিএফ , নাম ইয়েলোনা। ইয়েলোনা হটাত বলল , তাড়াহুড়ায় একটা ভুল হয়ে গেসে। চার্জার আনা হয়নায়। খলিল বলল আরে সমস্যা নাই। নোকিয়া চার্জার আমার ব্যাগ এ দুইটা আছে। ইয়েলোনা বলল, কই দেখি? দেখে বলল উহু এটা দিয়ে হবেনা। আমার ব্যাটারি চার্জ দিতে অন্য জিনিশ লাগবে। সেটা ২০১০ সালে আদৌ আছে কিনা জানিনা। খলিল বলল আরে দুর ঐ মোবাইল ই ইউজ করা লাগবেনা। ইয়েলোনা বলল, আমি হইলাম সাইবট। আমি মানুষ না। চার্জ না দিলে আমি চলতে পারবোনা। খলিল আতকায় উটল। কি????!!!!! হা আমি অর্ধেক মানুষ অর্ধেক রোবট। আমি আমাদের ঐখানে মানুশের ফটোকপিকে সাইবট বলে। এর আগে ২০১০ এ যে এসেছিল সে আসলে রোজালিনা। আমি তার সাইবট। ২৮০০ সাল থেকে পালানোর জন্য ঐরকম করছিলা। খলিল মাথায় হাত দিল। এখন আমি কি করমু রে, আমার সব গেল রে। আমরা কিছুই বুঝলাম না। কিরে খলিল কি হইসে!! আমারে খলিল কইস নারে, আমারে সাইবট এর বিএফ ক। এই যন্ত্র দিয়া আমি কি করব। ইয়েলোনা বলল, একটা ফ্রিকোয়েন্সি পাচ্ছি। তার মানে আমাদের একটা সুযোগ আছে ২৮০০ সালে যাওয়ার।যেহেতু আমার চার্জার নাই। তোমারো রোজালিনা দরকার।চল যাই। খলিল আর তার জিওএফ না সাইবট কি জানি ঐ দুইটা আবার কই জানি নাই হইয়া গেল!! তারা কই গেল? কি করতে গেল, আর ঐদিকে রাজ, বারেক, ব্র্যাড, এলিহাস দের কি হইল, সেটা জানা যাবে খলিল আল্টিমেটাম এ।


আগের গুলার লিঙ্ক

খলিল ও তার গার্লফ্রেন্ড উইশ (খলিল সিরিজ- ১)

খলিল ও তার ম্যাজিক আপেল (খলিল সিরিজ-২)

খলিল ও তার লিমা দেব (খলিল সিরিজ-৩)

খলিল গেল ভিকারুন্নেসা নুন স্কুল ও কলেজ (খলিল সিরিজ-৫)

খলিলের হইতে হইতেও হইলনা (খলিল সিরিজ-৬)

খলিল ও লাক্স চ্যানেল আই সুপার স্টার (খলিল সিরিজ -৭)

খলিল আইডেন্টিটি (খলিল সিরিজ -৮)


খলিল সিরিজ এর আগে ভাল লেগে থাকলে ফেসবুকে খলিল সিরিজের ফ্যান পেজ এ একটা লাইক দিয়েন
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই জুলাই, ২০১০ রাত ১২:৫৩
৫টি মন্তব্য ৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

তীব্র তাপদাহ চলছে : আমরা কি মানবিক হতে পেরেছি ???

লিখেছেন স্বপ্নের শঙ্খচিল, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ২:১৯

তীব্র তাপদাহ চলছে : আমরা কি মানবিক হতে পেরেছি ???



আমরা জলবায়ু পরিবর্তনের হুমকির মুখে আছি,
আমাদেরও যার যার অবস্হান থেকে করণীয় ছিল অনেক ।
বলা হয়ে থাকে গাছ না কেটে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ব্যবহারে বংশের পরিচয় নয় ব্যক্তিক পরিচয়।

লিখেছেন এম ডি মুসা, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:১৫

১ম ধাপঃ

দৈনন্দিন জীবনে চলার পথে কত মানুষের সাথে দেখা হয়। মানুষের প্রকৃত বৈশিষ্ট্য আসলেই লুকিয়ে রাখে। এভাবেই চলাফেরা করে। মানুষের আভিজাত্য বৈশিষ্ট্য তার বৈশিষ্ট্য। সময়ের সাথে সাথে কেউ কেউ সম্পূর্ণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

মহিলা আম্পায়ার, কিছু খেলোয়ারদের নারী বিদ্বেষী মনোভাব লুকানো যায় নি

লিখেছেন হাসান কালবৈশাখী, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০৯



গত বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল প্রাইম ব্যাংক ও মোহামেডানের ম্যাচে আম্পায়ার হিসেবে ছিলেন সাথিরা জাকির জেসি। অভিযোগ উঠেছে, লিগে দুইয়ে থাকা মোহামেডান ও পাঁচে থাকা প্রাইমের মধ্যকার ম্যাচে নারী আম্পায়ার... ...বাকিটুকু পড়ুন

জানা আপুর আপডেট

লিখেছেন আরাফআহনাফ, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৫৭

জানা আপুর কোন আপডেট পাচ্ছি না অনেকদিন!
কেমন আছেন তিনি - জানলে কেউ কী জানবেন -প্লিজ?
প্রিয় আপুর জন্য অজস্র শুভ কামনা।



বি:দ্র:
নেটে খুঁজে পেলাম এই লিন্ক টা - সবার প্রোফাইল... ...বাকিটুকু পড়ুন

বন্ধুর বউ কে শাড়ি উপহার দিলেন ব্যারিস্টার সুমন। বাটার প্লাই এফেক্ট এর সুন্দর উদাহারন।

লিখেছেন নাহল তরকারি, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:০৭



এক দেশে ছিলো এক ছেলে। তিনি ছিলেন ব্যারিস্টার। তার নাম ব্যারিস্টার সুমন। তিনি একজন সম্মানিত আইনসভার সদস্য। তিনি সরকার কতৃক কিছু শাড়ি পায়, তার জনগণের মাঝে বিলি করার জন্য।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×