আজ বেদনা-বিধূর ৩রা নভেম্বর।শ্রেষ্ঠদের মধ্যেও শ্রেষ্ঠতম ছিলেন তারা।১৯৭১ সালের জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর অবর্তমানে সফলতার সাথে মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনায় মূল ভুমিকায় ছিলেন এই বীর সেনানিরা।জিবনের শেষ মূহুর্ত পর্যন্ত আপোষ করেননি খুনিদের সাথে।অবিচল ছিলেন নিজেদের নীতিতে।বিশ্বাস ঘাতক মোস্তাক আহম্মেদের মন্ত্রী সভায় যোগ দিতে অস্বিকৃতি জানিয়েছিলো।
১/সৈয়দ নজরুল ইসলাম -ঐতিহাসিক মুজিব নগর সরকারের ভাইস প্রেসিডেন্ট।যুদ্ধ চলাকালীন সময়ে ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করেছিলেন।
২/তাজউদ্দিন আহম্মদ-বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী ।অসাধারণ দক্ষতার সহিত যুদ্ধ পরিচালনা সহ বিশ্বের দরবারে বাংলাদেশ সরকারের স্বিকৃতির জন্য কাজ করেছিলেন।
৩/মুহাম্মদ মনসুর আলী-মুজিব নগর সরকারের অর্থমন্ত্রী।বাকশাল গঠণের পর প্রধানমন্ত্রী ছিলেন তিনি।
৪/আবুল হাসানাত মুহাম্মদ কামারুজ্জামান-আওয়ামি লীগের নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ১৯৭৪।ত্রান মন্ত্রী ছিলেন তিনি।
দুর্ভাগ্য আমাদের, পাকিস্তানিরা যেমন আমাদের পুরোপুরি মেধাশুণ্য জাতিতে পরিনত করতে চেয়েছিলো।ঠিক ২য় অধ্যায় রচিত হয়েছিলো এই দেশেরই কিছু কুলাঙ্গারের হাতে।পুরোপুরি নেতৃত্বশুণ্য করাই ছিলো লক্ষ।এবং তারা সাময়িক সফলতা লাভ করেছিলো ।তাই স্বাধীনতা লাভের ৪৮ বছরে যতটুকু এগিয়ে যাওয়ার কথা ছিলো আমরা তা পারিনি।মাত্র সাড়ে তিন বছরে বঙ্গবন্ধুর সঠিক নেতৃত্বের কারনে জিডিপি ছিলো ৭ দশমিক দশ পার্সেন্টে।এটাই প্রমাণ করে আমরা সঠিক পথেই যাচ্ছিলাম।
জেল হত্যার সঠিক বিচার হয়নি আজো।খালেদা জিয়ার আমলে ২০০৪ সালের রায়ে পলাতকদের ৩জনের ফাসির রায় হয় কয়েকজন সামরিক বাহিনির সদস্যের বিভিন্ন মেয়াদে সাজা হয়।আর বিএনপির রাজনীতি করার সুবাদে এ,কে,এম ওবায়দুর রহমান,শাহ মোয়াজ্জেম,তাহের উদ্দিন ঠাকুর সহ আরো কয়েক জনকে খালাস দেওয়া হয়।যা পুরোপুরি বিচারটাকেই প্রহসনে পরিনত করেছে।
আমি মনে করি জেল হত্যার পুণঃ বিচার হওয়া জরুরি।ধন্যবাদ।