পাগল হাওয়ার দাপট গায়ে মেখে আমি কি ভেসে বেড়াই সমুদ্র-নাভিমূলে?

আমি কি বোহেমিয়ান, ঘুরে বেড়াই পথে পথে? কে জানে,

যে জানে তার নামে বাজছে দূর হার্পের মসৃণ সুর ঘুরে ঘুরে...



আমাকে দেখ নি তুমি কোনোদিন, তোমাকে দেখি নি আমি চিরদিন

তবু পথ ডেকেছিল, তবু মন চেয়েছিল কাছে কাছে ঘুরেছিল বাদলের ঠিকানায়

চোখ বুঁজে... বাকিটুকু পড়ুন

সারারাত মদ্যপানের ঘোরে বার বার মনে পড়ছে আকাশ ভেঙে বৃষ্টি গড়ার গল্প।

বুকের বামপাশে বেদনার ঘরবাড়ি সেখানে তিমির রাত্রির ঝিম ধরা শব্দশ্বাস।

আছড়ে পড়ছে আটলান্টিকের দাউ দাউ ঢেউশিখা, ফিরব না আর-

যেখানে সূর্যের পোশাকে মৃত্যু এসে দাঁড়ায়। কত যে বিক্ষুব্ধ তর্কের অসমাপ্ত কোরাস

দুপাশে ফেলে টলমলে পায়ে হেঁটে চলছি ম্যানহাটন... বাকিটুকু পড়ুন

বিপন্ন চিকিৎসা আমার আজই সমাপ্ত হলো।

আমাকে দিয়েছে ওরা একাকাশ পথ্য, একসাগর বিপর্যয় সিরাপ।

একা একা খেতে ভালো লাগে না তাই ডাক দেই পান্থজনে।

বলি, এসো হে এসো পান করো জগৎ তরল,

গিলে নাও গুটি কয়েক ট্যাবলেট

এসো ভাগাভাগি করে ভুলে থাকি যাবতীয় যাবজ্জীবন... ... বাকিটুকু পড়ুন

দীর্ঘশ্বাসের নদী পেরুলেই আমাদের ছোট কুড়েঘর

যেখানে সারাবেলা আলপনা এঁকে যায় হাওয়ার মাতন

কোথায় যে পা দিয়ে দাঁড়ালে মুছবে না রঙিন আঁচর

কী বলে ডাকলে কাছে বলবে, এইতো মনের মতো ?



সারাবেলা গান গায় ডাহুকের উতলা শরীর

দেহ ভাঁজ খুলে ডাকে ছবি আর প্রকৃতির ভিড় ... বাকিটুকু পড়ুন

ঢাকা শহরের বুকের ভেতরে আরেকটি ঢাকা ঢাকা আছে

রুক্ষ তেলহীন রঙচটা পোশাকে দৌড়াচ্ছে সে

এতো জোড়ে যে তাকে ধরবে কোন সাওদাগর!

অনেক তো বেচাকেনা হলো।



দু’চোখে ব্যথা- ব্যথার মন্দ স্বভাব বারবার পাতার কম্পন

দেখেছিলাম উনিশ শ’ সাতানব্বইয়ে। শেষ দেখা ... বাকিটুকু পড়ুন

হঠাৎ ক’রে একদিন

একটি একক ব্যথার ভারে অসুস্থ দু’জন

প্রস্তাবিত কুয়াশা চাদর হয়ে জড়ায়

প্রকাশ্যে পোড়োছবি গান গায় মুগ্ধ অভিমানে

অবশ্য পরস্পর জানে নি এই ব্যথার কারণ...



বনের বৃষ্টি, ভিজে ঘাস আর ... বাকিটুকু পড়ুন

রাতের রোদ, দিনের জোছোনা কেউ জানে না- এ’জীবনে বেঁচে থাকতে

এ’মুখ দেখবে না ম্যাজিকআকাশ, বৃষ্টিনিশ্বাস…

দূর নক্ষত্রের কথা অনেকেই জানে, তারপরও অন্ধকার জড়িয়ে থাকে,

হেঁটে যাই, মেখে যাই মিটে যাওয়া দীর্ঘশ্বাস রাত।



গাঢ় শব্দের প্রাচীন কম্পন গভীর অতল থেকে একবার মাথা তুলে

আবারো ডুবে যায়, অনেক চাঁদের ঘাটে গলে পড়ছে নিয়নের... বাকিটুকু পড়ুন

আমার মায়ের একটা সংসার ছিল, সেই সংসার ভরে ছিল থৈ থৈ

অসংখ্য আসবাব ও আমরা। সেগুন মেহগনি আর আয়রনে কারুকাজ

করা সব বনেদি ক্ল্যাসিক কিংবা সরল নক্সায়। ছিল আধুনিক প্রযুক্তির

সুবিধাপত্র। আমার মায়ের স্নেহময় চুলায় দিনরাত রান্না হতো রসনা

তৃপ্ত করা যত কায়দা কলা। ফ্রিজ খুললেই ঠাণ্ডা পানীয়, সংরক্ষিত

মজাদার... বাকিটুকু পড়ুন

জল আমাকে খেতে দেয় না পরতে যে আমি জলের কাছে যাবো ?

কাল সন্ধ্যায় বাজারে একটিই কলস ছিল ডুবে মরার মতো

কিনতে গিয়েও কিনি নি, আরো শুনলাম কে যেন কলস খুঁজছে, খুঁজুক

তাকেও দেখিয়ে দেই নি সেই বাজরের পথ।

আটমাসের ভরা পেট নিয়ে পথে পথে ঘুরে বেড়াচ্ছে পুরানো বটগাছ

আর তার ছায়া গেছে বাপের বাড়ি... বাকিটুকু পড়ুন

আত্মহত্যার রক্ত পড়ে আছে মেঝেতে, সেও লাল ও পরিচিত

রাতের আকাশ জুড়ে আদিবাসী চাঁদ গান গাইল আর

কোনো রকম মিশ্রণ ছাড়াই তোমাকে লাগছে ঘোর আদি অধিবাসী।



পর্দা উঠে গেলে যেভাবে জানালা দেখে নতুন প্রকৃতি

সেভাবে তোমাকে দেখা, গুহাচিত্রের মাঝখানে অন্যরকম

দক্ষিণের সুপারি সারি মাথা দুলিয়ে ডেকে নিতে চা-- যাবে কি ? ... বাকিটুকু পড়ুন

ছোট শহরের দুঃখগুলো উঠে আসে ঢাকা শহরে

ঢাকার গুলো টরেন্টোতে। তবে আর কোথায় যাবে ?

উত্তর গোলার্ধ থেকে দূর কোনো কূহেলিকা ভোরে

হাঁটতে হাঁটতে পৌঁছে যাবে কোনো অচেনা জগতে।

সেখান থেকে আবার কোথায় ?

এভাবে আবারো আরো কোথাও?

কোথায়, কোথাও, কোথায়, কোথায়... ... বাকিটুকু পড়ুন

আজো দেখি আগুন।

ডঙ্কা বাজানো কোনো পুরুষের গায়ের চামড়া থেকে ঝরে পড়ছে ঘাম

হারে রে রে রে রে বলে সে যখন ছুটেছে তখন চিৎকার রগ ফুলায় বা

রক্তরোদ। এইবেলা বলবে কেউ টোটেমের দেশ ভেঙে চলে আয়,

অনেক হয়েছে থাকা এইবার ভেতর বহির ছেড়ে চলে আয়, উঠে আয়

আচ্ছন্ন নেশায় মোড়া আগুনক্ষুধার পাশ থেকে। ... বাকিটুকু পড়ুন

আমার বতিঘরের আলোগুলো আজ সন্ধ্যায় জ্বলে নি

কে যে নিভিয়ে রাখে

কে যে আড়াল ক’রে আমার বাতিগুলো কেড়ে নিতে চায়!

তোমার পূর্বপুরুষেরা হাতের তালুতে প্রিয় খৈনি ডলে নিতো

আমার পূর্বনারীরা আগুনে ঝাঁপ দেবে বলেই জানতো

আজকাল তারা উপজাতি পরিচয়ে স্বচ্ছন্দ বোধ করে,

গান গায় খগড়াছড়ি বা বান্দরবানের পাহাড়ে পাহাড়ে। ... বাকিটুকু পড়ুন

একটি পড়ন্ত বিকেলের ছবি রৌদ্র পানের পর চা পান করছে এখন

গাছ ছিল, জানালা ছিল, কিছুটা আলোও ছিল, ছিল অচেনা ঘ্রাণ

সাথিদের কথা কিছু মনে নেই, আজ হাওয়ার জ্বর অঘোর চাদর গায়

নদীপারে চুপচাপ বসে থাকে খুব।

আমার ভালো লাগতো ভালোবাসার কথা বলতে, শিশিরের অপেক্ষা নিয়ে

ঝরে পড়তে বিকেলের গায়...

খাঁটি আগুনের রঙ নিয়ে বেড়াতে... বাকিটুকু পড়ুন

আগুনকে চড়থাপ্পর দেয়া সকলের কম্ম নয়।

সকালবেলা, ডিসপেন্সারিতে এসেছে সে হাত পুড়িয়ে

আমার কাছেও এসেছিল কাল রাতে উড়ে উড়ে ঘুরে

বেমক্কা তুফান চিৎকার তারপর হনহন চলে গেল পোড়া হাতে।



পাশের মাঠে বিরাট উৎসব, জিপসি ও যাযাবর

রঙ ঢঙ নাচ গান যাত্রার দুর্বার প্যান্ডেল ... বাকিটুকু পড়ুন