U.S. airstrike deaths in Mosul-2017
লরুকে এতোদিন পর কেনো নিষিদ্ধ করা হলো?
আমাকে এবং অন্যান্য ব্লগারদের নিয়ে পরনিন্দা ও পরচর্চা করা, তাদের সম্পর্কে ব্লগের মতো জ্ঞান-চর্চার জায়গায় নোংরামী করার জন্য আমি তো প্রায় ১০/১২ দিন আগেই এর কুৎসিত মন্তব্যের বিরুদ্ধে বারবার অভিযোগ করেছিলাম।
তখন করা হয়নি কেনো ?
একটা অপরাধীকে প্রশ্রয় দিলে তার সাহস বেড়ে যায়। এজন্য যে কেউ অপরাধ করলে সাথে সাথে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হয়।
একজন যখন ভালো কোনো কিছু না লিখে অন্যের ব্যাক্তিগত বিষয় নিয়ে কুৎসিত মন্তব্য করে, সাথে সাথেই তাকে বের করে দেয়া উচিত। কিন্ত উদাসী বা কারো ক্ষেত্রেই এটা করা হয়নি।
আগে নিজেকে শুধরিয়ে নিয়ে -এই লেখাটা এতোদিন আমার চোখে পড়েনি। তাই সেইসময় এটা নিয়ে কিছু লিখতে পারিনি। মাত্র কাল একজন আমাকে এই লেখাটা পাঠালে সেটা দেখেছি।
এখানে সুপার এবং উদাসী নামে দুই নোংরা জীব একজন প্রবীণ সম্পর্কে যেসব মন্তব্য করেছে, সেগুলি কি লরুর চেয়ে ভালো ?
লিবিয়ায় সন্ত্রাসী এ্যামেরিকার বিমান হামলা
সন্ত্রাসী এ্যামেরিকার যদি পৃথিবীর অন্য দেশে হামলা, লুটপাট আর দেশে দেশে কোটি কোটি মানুষ হত্যার অধিকার থাকে, তাহলে একজন অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী ব্যাক্তি হিসেবে আমার এসবের জন্য দায়ীদের মৃত্যুতে খুশী হওয়ার অধিকার থাকবে না কেনো?
যারা সারা পৃথিবীতে সন্ত্রাসের রাজত্ব সৃষ্টি করেছে?
যাদের যুদ্ধাপরাধের বিরুদ্ধে পৃথিবীর কোনো আদালতে কোনো মামলা করা যায় না।
আজ করোনায় এ্যামেরিকার ২ লাখ মানুষ না মরলে তারা পৃথিবীর আরো কয়েক লাখ মানুষ হত্যা, ঘরবাড়ি ধ্বংস এবং তাদের উদ্বাস্ত হওয়ার জন্য দায়ী হতো, যেটা করেছে জাপান, কোরিয়া, ভিয়েতনাম, কম্বোডিয়া, লাওস, ইরাক, আফগানিস্তান, লিবিয়া, সিরিয়াসহ অন্যান্য দেশের কোটি কোটি মানুষকে।
এবছরের জানুয়ারীতেও এই কূখ্যাত অপরাধীদের রাষ্ট্র ইরাকের মাটিতে সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে হত্যা করেছে ইরানের জেনারেল কাসেমীসহ ১০ জনকে। ইরানে হামলার সব পরিকল্পনাও চূড়ান্ত হয়েছিলো।
মনে হচ্ছে , এই ২ টা এ্যামেরিকার বেতনভূক্ত কর্মচারী, তাই নির্দেশ পেয়েই এসব লিখেছে।
এ্যামেরিকার সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে আমার প্রতিবাদ করা যদি অন্যায় হয়, তাহলে প্রায় ১০ কোটি আদীবাসীর উপর পরিকল্পিত গণহত্যা ও নৃশংসতার মাধ্যমে এই সন্ত্রাসী রাষ্ট্রটার প্রতিষ্ঠার জঘণ্য ইতিহাস নিয়ে লেখা বই Bury My Heart At Wounded Knee-এর লেখক এ্যামেরিকান নাগরিক ডি ব্রাউন, লেনিন, হো চি মিন, ক্যাষ্ট্রো, চে গুয়েভেরা, ভিয়েতনামের এই খুনী রাষ্ট্রে অপরাধের বিরুদ্ধে গণ-আদালত বসানো বার্ট্রান্ড রাসেল, তাদের সন্ত্রাসের প্রতিবাদ করা কফি আনান, হিরোশিমার মেয়র এমনকি এ্যামেরিকার শান্তিকামী মানুষ -সবাই অপরাধী।
রাতে তালেবান, লাদেন,আইএস, বাগদাদী তৈরী করে দিনে তাদের সন্ত্রাসী ঘোষণা করে তাদের হত্যার নামে দেশ দখলের নোংরা খেলায় মেতে ওঠা এই রাষ্ট্রের জঘণ্য অপরাধের সাথে কোনো দেশের তুলনা করা যায় না।
বাংলাদেশের কিছু দালালের এতো এ্যামেরিকা ভক্তি কেনো?
সুপারের লেখার বয়স মাত্র ১ বছর। উদাসী স্বীকার করছে, সে আমার চেয়ে বয়সে অনেক ছোটো এবং আমার লেখা বইও পড়েছে।
তারপরও এই ইতরটা এই লেখায় তার মন্তব্যে জঘণ্য কিছূ মিথ্যাচার করেছে এবং বারবার প্রকাশ্যে আমাকে তুমি সম্বোধন করেছে। সে একদিন রাত ৩:৩০ এর দিকে আমাকে ফোন করে ব্লগে আমার লেখাগুলিতে তার ইতরসূলভ মন্তব্য ও আচরণের জন্য ক্ষমা চেয়েছিলো। সেই কথাবার্তার রেকর্ড এখনো আছে। এর সাথে বইয়ের ব্যাপারে কোনো কথাই হয়নি।
পত্রিকা নিয়ে আরো জঘণ্য মিথ্যা বলেছে। আমার গত প্রায় ১০ বছর ধরে নিজের কোনো পত্রিকা নাই। আর অনলাইন পত্রিকা কোনোকালেই ছিলোনা। নেশাগ্রস্ত এবং চরম মিথ্যাবাদী না হলে কেউ এতো মিথ্যা বলতে পারে না।
তাছাড়া আমার বই আমার নিজের প্রকাশনা সংস্থা থেকেই প্রকাশিত হয়। সুতরাং অন্য কারো এ ব্যাপারে লাভবান হওয়ার সুযোগ নাই। কিন্ত ন্যুনতম পারিবারিক শিক্ষাহীন এই নীচটা সেই ফোন কল নিয়ে জঘন্য মিথ্যাচার করেছে, যা থেকে তার জন্ম পরিচয় এবং পারিবারিক শিক্ষা পরিস্কার হয়।
একজন লেখকের বই সম্পর্কে ভালো-খারাপ মন্তব্য না করে তাকে হালা বলে নোংরা ভাষায় আক্রমণ করা থেকে বোঝা যায়, কোন নোংরা নর্দমায় তার জন্ম এবং বেড়ে উঠা।
ক্ষমতা থাকলে সেও সাংবাদিকতা এবং অন্যান্য বিষয়ের উপর কয়েকটা বই লিখে দেখাক। কে নিষেধ করেছে ?
কিন্ত এইসব নীচদের যোগ্যতার দৌড় তসলিমা-হুমায়ন আজাদের বই থেকে চুরি করা ধর্মবিরোধী কথা লেখা পর্যন্ত।
ভালো কিছু লিখতে পারলে তো এরা সেটাই করতো।
অথচ আমি এর বিরুদ্ধে বারবার অভিযোগ করার পরও কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।
বাংলাদেশে যেমন বড় বড় অপরাধ-দুর্নীতি-সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা না নেয়ায় দেশে এসব অপরাধ প্রবণতা বেড়ে বর্তমান অবস্থায় এসে পৌচেছে, ব্লগের ক্ষেত্রেও একই ঘটনা ঘটেছে।
এগুলি কি অপরাধীদের উৎসাহ দেয়া না?
তাই সবাই সাহস পেয়েছে।
এখন আবার মাত্র ৭ দিন বয়সী আমেনা নামে আরেকটা এই নোংরামী করা শুরু করেছে। সে আমার এবং জনাব নূর মোহাম্মদ নুরু সম্পর্কে জঘণ্য মন্তব্য করেছে । তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা কোথায়?
এর একটা মন্তব্যের নমুনা সবাই দেখুক।
ব্লগকে সত্যিকারভাবে সুস্থ এবং নোংরা-নীচদের কবল থেকে মুক্ত রাখতে হলে কোনো অশোভন মন্তব্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়ার সাথে সাথেই ব্যবস্থা নিতে হবে।
আর ব্যাক্তিগত বিশেষ সম্পর্কের কারণে প্রবীণদের মানহানি করতে দিলে একসময় এরা ব্লগের বড় ক্ষতি করার চেষ্টা করবে, যেমন করতে চেয়েছিলো এই লরু।
পৃথিবীর প্রতিটা দেশে সাইবার ক্রাইম অপরাধ দমন বিভাগ আছে।কোনো দেশের মাটিতে বসে এসব করা দন্ডনীয় অপরাধ।।তাই লরুর প্রকৃত পরিচয় উদঘাটিত হওয়ার পর তার বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট দেশের সাইবার অপরাধ বিভাগে লিখিত অভিযোগ করা হলে তারা ব্যবস্থা নেবে।
ব্লগ কর্তৃপক্ষের জন্য এটা সোজা।কারণ তারা এবং এসব অপরাধীদের অনেকেই ইউরোপীয় ইউনয়নভূক্ত দেশগুলিতেই বসবাস করে।
এক্ষেত্রে এই সাইটটার সাহায্য নেয়া যেতে পারে। Report Cybercrime online
আর অপরাধী যদি বুঝতে পারে, বিদেশে বসেও কোনো অপরাধ অপকর্ম করলেও ধরা পড়তে হয়, তখন এরা গ্রেফতার হওয়ার ভয়ে এবং আতঙ্কে এসব অপকর্ম করা থেকে বিরত হবে।
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা অক্টোবর, ২০২০ রাত ২:৩৯