রাখলাম দোরে তোমার-ফুল নিয়ো, বিনিময়ে মন তোমার দিয়ো!
আবার এলাম মোবাইলগ্রাফী নিয়ে। আপনাদের ভালো লাগলে আমার কষ্ট স্বার্থক। ভালো না লাগলেও আমি খুশি আপনাদের সময় নষ্ট করে ছবিগুলো দেখেছেন বলে। ছবিগুলো স্যামসাং এস নাইন প্লাস দিয়ে তোলা।
২।
মিষ্টি রঙ প্রলেপে জড়িয়ে থাকি মুগ্ধতায়, ছুঁয়ে দেই স্নিগ্ধতার গায়ে
সৃষ্টিকর্তার সৃষ্টির অপার মহিমা, ভাসি আমি দিবানিশি সুখের নায়ে।
৩। করবো না আকূতি, বলবো না রক্ত গোলাপ দাও খোঁপায় গুঁজে
ছিঁড়বো না প্রেমের পাপড়ি, চুপচাপ মন ইশারায় ডেকে যাবো তোমার
নিয়ো আমায় এবেলা খুঁজে।
৪। বিপরীতমূখী তুমি আমি বসে থাকি মুখ ফুলিয়ে
মনের ইচ্ছেগুলো হারিয়ে যায় কালের অতলে
জীবনের সুখ স্বাচ্ছন্দ্য সব ফেলি গুলিয়ে।
তুমি আকাশ রঙ নিয়ে ঝুলে থাকো স্বপ্নের ওপারে
আর আমি মাটির রঙ নিয়ে সেঁটে থাকি ধূলোয়
বাজে কেবল দু:খবীনা মনের তারে তারে।
৫। ফুলের ঝুমকো এনে গুঁজে দেবে চুলে
আলতো ছোঁয়া তোমার আঙ্গুলের বেভোল ভুলে
আহা শিহরিত ক্ষণ, থেকে যাক স্মৃতির খাতায় বন্দি
শুনো-দূরে চলে যাবে না বলে কয়ে, এঁটো না মনে ফন্দি।
৬। হলদে রঙ মাখানো প্রহরগুলো, আনমনা করে দেয় আমায়
যেখানেই হলুদ ফুলের সমারোহ, সময় নিয়ে সেখানেই থামায়।
প্রভুর অপার মহিমা-মুগ্ধতায় গিলে খায় মন আমার
এই ধরাটা রঙ রঙিলা, যেনো ফুল পাখিরই খামার।
৭। লজ্জাবতী আমি বাপু, রঙ গোলাপী শাড়ি
আসবে তুমি গোলাপ নিয়ে, আজকে আমার বাড়ি,
গোলাপ পাপড়ির জল ছিটাবো, চোখে মুখে তোমার
কাঁপবে তুমি প্রেম শিহরণে, ঘটবে কান্ড ধুন্ধুমার।
মিষ্টি গোলাপ রাখবো জলে, ঘ্রাণ ছড়ানো প্রহর
এই তুমি কী ভরবে সুখে, আমার মনের শহর?
৮।শুনছো তুমি, এই জানো কী
ফুলের ভিতর ফুল ফুটেছে, দেখবে এসো, গোলাপী পাপড়ির বুক জুড়ে শুভ্রতার রঙ ফুল। ভালো লাগার আবেশে ভরে যাবে মন। যদি থাকো রাজি, দাঁড়াবো কিছুক্ষণ একটি বিকেল ছুঁয়ে, ঝরে পরুক পাপড়ি-ফুল ছড়ানো পথে হাঁটবে আমার পাশে?
৯। মিষ্টি রোদ আমেজ-হেমন্তের এই বিকেলে বাগান জুড়ে ফুটে আছে নাম জানা ফুল, মেঘরা আকাশে উড়ছে-উদাসী মন আমার এক কাপ গরম ধোঁয়া উঠা চায়ে ঠোঁট রাখতে চায়, বিকেলের ছায়ায় তুমি কী আসবে- এসো যত ক্লান্তি ভ্রান্তি সব উড়িয়ে দেই হাওয়ায়, এমন মিষ্টি রঙ ফুল ছুঁয়ে থাকি এবেলা।
১০। নাকের নথ কানের দোল-হাতে ফুলের চুড়ি
রঙ গোলাপী শাড়ি পড়ে, হবো ইচ্ছে ঘুড়ি,
নাইবা থাকলে আমার সাথে, উচ্ছ্বাস আমার মনে
একাই আমি সুখে উড়ি, হেমন্তের এই ক্ষণে।
১১। রোদ ছুঁয়েছে ফুলের পাপড়ি, তুমি ছুঁবে চোখ?
কেমন তুমি উল্টো পথে যাও চলে যাও-কেমন তরো লোক,
রোদ চশমাটা ঠিক সরিয়ে-এদিকে ঠাঁয় তাকাও
আরে বাবা এমন করে, চোখ কেনো যে পাকাও!
১২। গোলাপী রঙ ঠোঁটে মাখি, মুসেন্ডা ফুল হতে
যাই থেমে যাই আচম্বিতে, ফুল ফুটা এই পথে,
বড় ভালো লাগে আমার, ফুল পাখিদের সুর
মুগ্ধতারা আমায় ছেড়ে আর থাকে না দূর।
১৩। শুভ্রতার রঙ মেখে সবুজ পাতারা বড় অহংকারী হয়, সবুজ বুকে জন্ম নিয়ে শুভ্রতার রঙ হেসে উঠে রোদের আলোয়, ব্যস রোদ গিয়ে আঁধার নামলেই ঝরে পড়ে শুভ্রতারা আর পাতারা তখন দু:খে পড়ে নুয়ে।
১৪। শুভ্রতার রঙ মেখে পাতারা সেজে থাকে
সুন্দর বিলিয়ে এরা মানুষের মনে সুখ স্বপ্ন আঁকে।
১৫। গোলাপ রাণী মুখ লুকিয়ে-ঘোমটা মাথা দিয়ে
লাজে রাঙা রাণী আমার মন যে নেয় ছিনিয়ে,
ঘ্রানে পাগল করে সে যে করে দেয় আমায় মাতাল
গোলাপ ফুলের পাপড়ি ছোঁয়া-মুগ্ধতায় মন চাতাল।
১৬। জল ভেজা বাগান বিলাস, রঙ ছড়িয়ে হাসে
আমায় নিয়ে স্নিগ্ধতায় নায় সুখের থরে ভাসে
ভালো লাগে এমন প্রহর, ছুঁয়ে দিলেই শান্তি
যায় কেটে যায় আচম্বিতে মনের যত ক্লান্তি।
১৭। নাম জানি না ফুলের-তবু ভালোবাসি
ঘ্রাণ নেই তার তবু লেগে থাকে ঠোঁটে হাসি।
১৮। সাদা ফুলের পাপড়ি জুড়ে স্নিগ্ধতা যে মাখা
ওর বুকেই মৌমাছিদের সুখের স্বপ্ন আঁকা।
১৯। রক্ত গোলাপ দিনদুপুরে ডালে থাকে ঝুলে
ভ্রমর এসে গান গেয়ে যায়-আহা বেভোল ভুলে।
২০। ঝেজা পাপড়ি মন ছুয়ে যায়, ভালো লাগার প্রহর
কেউ জানে না-উচ্ছ্বল বড়, আমার মনের শহর,
ফুলের সাথে ভাব করেছি, ফুল ছুঁয়ে দেই সুখে
ভ্রান্তিগুলো যায় উড়ে যায়, শান্তি বড় বুকে।
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:১৭