![](https://s3.amazonaws.com/somewherein/assets/images/thumbs/Nafis_Iftekhar_1343148275_1-Untitled-1.png)
গতকাল হুমায়ূন আহমেদের জীবনের সবচেয়ে বাজে নাটকটি দেখলাম। 'মেহের আফরোজ শাওন' এর দূরদৃষ্টিসম্পন্ন পরিচালনা আর 'জাফর ইকবাল-গুলতেকিন পরিবার' এর প্রযোজনার এই নাটকটি সবার নজর কেড়েছে, কিন্তু প্রশংসা কাড়েনি। খুব কম মানুষই নাটকটা আসলে দেখেছেন, অধিকাংশ মানুষই শুধু অনুভব করেছেন। তবে সেই অনুভবটা মোটেও ভালো ছিলো না।
মাত্র ১২ ঘণ্টার ব্যবধানে কাল কিছু মানুষ একটি রাষ্ট্রীয় সম্পত্তিকে ব্যক্তিগত সম্পত্তি বানালেন... দুই পরিবারের জেদ আর মিডিয়ার অসীম আগ্রহ... হিমঘরে শুয়ে থাকা মানুষটির প্রতি জন্মানো 'জাতীয় অনুভূতিটাকে' অর্ধেকে নামিয়ে আনতে এর চাইতে বেশি কিছুর প্রয়োজন ছিলো বলে মনে হয় না।
হুমায়ূন আহমেদ এর শেষের দিকের নাটকগুলোর মান নিয়ে তার জীবদ্দশায় অনেক সমালোচনা শুনেছি। যাক সেই সমালোচকদের জন্য একটা জবাব হতে পারে গতকালের নাটকটা। দেখিয়ে দিলেন এতো বাজে নাটকও এই দুনিয়ায় হয়... এমন শিক্ষিত-শিক্ষিত মানুষগুলোই পারেন এই নাটকগুলো করতে...
পরিশেষে একটা আফসোস! নিদারুণ আফসোস! গতকাল বিমানবন্দর, শহীদ মিনার ও জানাজায় আমি এমন ক’জনকে দেখিনি যাদেরকে স্যার হয় নিজ হাতে ব্রেক দিয়েছেন, নয়তো নিজের হাতে তৈরি করেছেন, নতুবা স্যারের মাধ্যমে এরা জনপ্রিয় চরিত্র পেয়ে মিডিয়ায় নতুন পরিচয় পেয়েছেন। এরা হলেন - আসাদ্দুজ্জামান নূর, আলী জাকের, আফজাল, সুবর্না মোস্তফা, বিপাশা, জাহিদ, মাহফুজসহ আরো বেশ ক’জন। এদের কেউ কেউ হয়তো বিদেশে... কেউবা কাজে ব্যস্ত... কেউবা আবার টিভির টক-শো'তো এসেছিলেন... আবার কেউবা হয়তো ঠিক আমার চোখে পড়েননি... তবে আপাতত তাদের অনুপস্থিতই ধরে নিলাম... পক্ষান্তরে আমাদের ৭৮ বছর বয়সী অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত শহীদ মিনারে গিয়েছেন, ছিলেন জানাজাতেও... মাঝে আবার মন্ত্রিসভার বৈঠকেও যোগ দিয়েছেন...