[যে ঈশ্বর মানুষ মানুষে কোনো বিভেদ রাখেনি, যে ঈশ্বর মানব–অধিকারে কার্পণ্য করেনি, যে ঈশ্বর তার সকল সৃষ্ট মানুষদের সমান ভালোবাসে???]
♦বিপন্ন মানবিকতা ও আমাদের শৈশব♦
আমরা জন্মগতভাবে মানুষ। কিন্তু আমরা আমাদের পরিচয়কে ভাগ করেছি নানাভাবে। দৈহিক গঠনের ভিন্নতার ভিত্তিতে বিভক্ত হয়েছি সাধারণত ৩টি ভাবে। যথাঃ-
পুরুষ লিঙ্গ, স্ত্রী লিঙ্গ এবং তৃতীয় লিঙ্গ।
[যাহারা "লিঙ্গ" শব্দটি দর্শন করিয়া কিংকর্তব্যবিমুঢ় হইবেন অদ্য লিখনি তাহাদের জন্য নহে]
একজন মানবশিশুর পড়িচয় কি হওয়া উচিত? এই পরিচয় নির্ণয়ের মাপকাঠি কি হওয়া উচিত? সে একজন মানব_শিশু, মানবিক গুণসম্পন্ন ভবিষ্যতের একজন মহা_মানব; আমরা কি এই দৃষ্টিতে তাকে দেখি?
স্পষ্টতই না!
পরিবারে ছেলে জন্মালে আনন্দ ধরেনা! মেয়ে জন্মালে ভালো লাগেনা! তৃতীয় লিঙ্গের কেউ জন্মালে জাগে শুধু ঘৃণা! কি বিচিত্র আমাদের মানসিকতা?
যৌনাঙ্গ স্বাভাবিক থাকলেও অন্যকোনো অঙ্গ কম হলে বা বিকৃত থাকলে তাদের "প্রতিবন্ধী" ট্যাগ লাগিয়ে দেই। কিন্তু তার চেয়েও পরিতাপের বিষয় এইযে যৌনাঙ্গ সুগঠিত না থাকার কারণে ও দৈহিক গঠনের কারণে যারা যৌনমিলনের মাধ্যমে বংশবিস্তারে অক্ষম তাদের তৃতীয় লিঙ্গ তথা "হিজড়া" ট্যাগ দিয়ে পরিবার ও সমাজ হতে বিচ্যুত করি। তারা চরমভাবে পরিচয়হীন হয়ে ভাসমান জীবন লাভ করে।
কি বিচিত্র যৌনতাকামী কামনা নির্ভর এই সমাজ ব্যাবস্থা!
......লিঙ্গবৈষম্য ও আমাদের অনাগত প্রজন্ম......
আমাদের বড় পরিচয় আমরা মানুষ। আমাদের অনাগত প্রজন্মেরা মানব শিশু। প্রতিটা শিশুই সমানভাবে আপন পরিচয়ে বেড়ে উঠবে। বিবাহ আর যৌনতানির্ভর পরিচয় ছাপিয়ে প্রতিটা মানুষের মহৎ কর্মই মানুষকে অমর করে রাখবে।
আজকের শিশুরাই আগামীর মহা_মানব।
মানবিক পৃথিবীতে শান্তির সাম্য প্রতিষ্ঠায় আসুন আমরা সবাই শিশু_বৈষম্য এবং শিশু_শ্রম রোধ করি। নিজেদের পরিবার হতেই প্রতিষ্ঠা করি মানব_সাম্যবাদ।
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ১:২৯