যৌনতা মানুষের খুবই, খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি চাহিদা। এটি একটি প্রাণীর জীবনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় কারণ এটি শুধু একজন মানুষ কে শুধু পরম সুখই অনুভব করায় না বরং এটি তার বংশ বিস্তার করে এবং পৃথিবীর বুকে তার অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে সাহায্য করে। পৃথিবীতে এমন অনেক প্রাণী আছে যারা জীবনে মাত্র একবার সেক্স করার পর পরই মারা যায়। অর্থাৎ তারা তাদের DNA যৌনতার মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্যই বেচে ছিলো। তার জ্বিন ছড়িয়ে দেওয়ার পরেই পৃথিবীতে তার কাজ শেষ। মানুষের ক্ষেত্রেও একটি নির্দিষ্ট বয়সে পৌঁছানোর পর আমাদের DNA ও শরীর সকল ভাবে আমাদের সিগনাল দিতে থাকে যৌনতা করার জন্য। কিন্তু সময় ও প্রেক্ষাপটের কারণে অনেক সময় সেটা হয়ে ওঠে না।
যৌনতার মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যখন প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার পরেও ঘটেনা তখন কি হয়?
চিকিৎসা বিজ্ঞান আমাদের বলে যে যৌনতা সময় মতো না হলে শারীরিক এবং মানসিক দুই ধরনের সমস্যাই হতে পারে। ইংরেজিতে মজা করে একটি কথা বলা হয় যে "বীর্য মাথায় আটকে গেছে"। কথাটির অর্থ হলো... অনেক ক্ষেত্রে যখন কেউ যৌনতা হীনতায় ভোগে তখন অনেক সময় এটি তার ব্যাবহার আচার, চিন্তা ভাবনা ও কাজে কর্মে প্রভাব ফেলে। চিকিৎসকরা বলেন যে... যৌনতা হীনতা (বিশেষ করে পুরুষদের ক্ষেত্রে) হতাশা, মানসিক ডিপ্রেশন, খিটখিটে মেজাজ, রাগ-ক্ষোভ, জীবনের প্রতি অবসাদ এবং সর্বোপরি সেক্সুয়াল ফ্রাস্ট্রেশনের জন্ম দেয়।
এখন... এই সেক্সুয়াল ফ্রাস্ট্রেশন কি যুবকদের মাঝে ধর্মীও উন্মাদনার জন্ম দিতে পারে?
আসুন কিছু কেস স্টাডি করা যাক।
-----------
কেস-১: ২০০৯ সালের নিদাল হাসান নামের এক জঙ্গি আক্রমণকারী বন্দুক হামলায় ১৩ জন কে হত্যা করে এবং ৩২ জন কে হত্যার চেষ্টা করে। পরবর্তীতে ইনভেস্টিগেশনে নিদাল হাসান সম্পর্কে একটি তথ্য আসে। নিদাল হাসান ইসলাম ধর্মীয় চরমপন্থি বিশ্বাস পোষণের সাথে সাথে একজন যৌন হতাসাগ্রস্থ ব্যাক্তি ছিলেন। তার বয়স হামলার সময় ৪০ বছর হলেও সে অবিবাহিত ছিলো। সে জানায় যে... তার মেয়েদের সাথে সম্পর্ক করতে বা মেইনটেন করতে অসুবিধা হয়। মেয়েরা সাধারণত তাকে পছন্দ করেনা তার পার্সোনালিটির জন্য। এই নিয়ে সে খুবই ক্ষুব্ধ ছিলো। নিদাল হাসান এটা নিয়েও ক্ষুব্ধ ছিলো যে "এখনকার মেয়েরা অনুগত না এবং সে বিয়ে করার জন্য অনুগত ভালো কোনো ভালো মুসলিম মেয়ে খুঁজে পায় না" মূলত সে আধুনিক সমাজ ব্যবস্থা নিয়ে খুবই ক্ষুব্ধ ছিলো।
কেস-২: ২০০৪ সালে মোহাম্মাদ বয়ুরি নামে একজন মরোক্কান বংশ ভুত আমেরিকান মুসলিম যুবক একজন ডাচ সিনেমা নির্মাতা থিও ভ্যান গঘ কে প্রকাশ্য দিবালোকে হত্যা করে কারণ সে ইসলামে নারীদের অবস্থান নিয়ে একটি ডকুমেন্টারি মুভি তৈরি করেছিলো। পরবর্তীতে "দি মার্ডার অফ এমসটাড্যাম" বইতে মোহাম্মাদ বায়ুয়ি সম্পর্কে লেখা হয় যে। টিনেজ বয়স থেকেই তার কোনো বান্ধবী ছিলোনা। বহু চেষ্টার পরেও সে কোনো গার্ল ফ্রেন্ড বানাতে পারেনি এবং এই নিয়ে সে খুব ডিপ্রেশনে ছিলো। কিন্তু... যৌবনে পা দেওয়ার পর যখন সে জানতে পারে যে তার ছোট বোনের একটা বয় ফ্রেন্ড আছে তখন সে মানসিক ভাবে একেবারেই ভেঙ্গে পড়ে এবং নিজেকে নিজের কাছে মূল্যহীন ও বার্থ পুরুষ বলে মনে হয় এবং আরো ডিপ্রেশনে চলে যায়।
পরবর্তীতে সে বিভিন্ন সোর্সের মাধ্যমে ইসলামী আন্দোলনের সাথে যুক্ত হয় এবং সে চরমপন্থি ইসলামের দিকে চলে যায়। চরমপন্থি ইসলাম তার কাছে দিন দিন ভালোলাগাতে শুরু করে। সে বিশ্বাস করতো যে চরমপন্থি ইসলামের মাধ্যমে সমাজ কে শুধরানো সম্ভব এবং সমাজের সকল সমস্যা দূর করা সম্ভব।সে চরমপন্থি ইসলামের মাধ্যমে এই সমাজ কে পরিবর্তন করতে চেয়েছিলো।
কেস-৩: ২০১৬ বাংলাদেশে হলি আর্টিজেন হোটেলে হামলাকারী অধিকাংশই ছিলো যুবক বয়সী এবং অবিবাহিত (অনুমান করা যায় তাদের কোনো গার্ল ফ্রেন্ড ছিলোনা)।
কেস-৪: কিছুদিন আগে দেখলাম প্রথমা আলো ও বিভিন্ন খবরের সূত্র মতে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে অর্ধশতাধিক ইসলামি ধ্যান ধারণার যুবক বাড়ি থেকে পালিয়ে নিখোঁজ হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে তারা তথাকথিত "হিজরত" করতে গেছে এবং একই সাথে জঙ্গি প্রশিক্ষণ নিতে ইসলামি চরমপন্থি কোনো দেশে গেছে। এই যুবক গুলি খুবই অল্পবয়সী এবং অবিবাহিত (অনুমান করা যায় তাদেরো কোনো গার্ল ফ্রেন্ড নেই)।
ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার কথা যদি বলিঃ আমার অধিকাংশ বন্ধু যাদের স্কুল লাইফে কোনো বান্ধবী ছিলোনা তারা সেই সময়ে ধর্ম নিয়ে খুব একটা চিন্তা ভাবনা করতো না। কিন্তু কলেজ ভার্সিটি লাইফ থেকে সেগুলোর শেষ পর্যায়ে এসেও যখন বেকারত্বের কারণে বিয়ে করতে পারেনি বা এমনকি কোনো রিলেশনও গড়ে তুলতে পারেনি তখন থেকে খেয়াল করতে লাগলাম তারা যেনো দিন দিন কেমন আরো বেশী ধর্মের প্রতি আসক্ত ও একই সাথে দিন দিন হিংস্র স্বভাবের হয়ে যেতে লাগলো। তখনি আমি কয়েক জনের ভিতর মৌলবাদি ও চরমপন্থি ইসলামের প্রভাব বিস্তার করতে দেখি। এর মধ্যে আবার আমার দুই এক জন বন্ধুর বিয়ে হয়ে গেলে তারা দেখি অনেকটা শান্ত স্বভাবের হয়ে যায় এবং সবকিছু বাদ দিয়ে সংসারে মনযোগী হয়। বাকিরা আজো সহিংস কোনো জড়িত না হলেও তারা মনে প্রাণে চরমপন্থি ইসলাম কে সাপোর্ট করে।
(বিঃদ্রঃ খেয়াল করবেন আমি এখানে চরমপন্থি ইসলাম বলেছি। সাধারণ শান্ত ও শ্নতির ধর্ম ইসলাম বলে আমরা যেটাকে চিনি সেটার কথা বলিনি।)
--------
এখন, যদিও সকল যুবকদের তাদের যৌন হতাশা কে তাদের চরমপন্থি আচরণের মূল কারণ হিসেবে বলা সম্ভব হচ্ছেনা কিন্তু তবুও আমার মনে হয় এটি তাদের চরিত্রের একটি বড় দিক। আপনি গত কয়েক বছরে যতগুলো জঙ্গি হামলার ঘটনা দেখবেন খেয়াল করে দেখবেন প্রতিটা ঘটনার হামলাকারীদের মধ্যে কিছু জিনিস খুবই কমন।
(১) এরা সবাই অল্পবয়সী বা যুবক বয়সী
(২) এদের সকলেই পরিবার থেকে দূরে অথবা পরিবারের সাথে থাকলেও পরিবার থেকে একটা দূরত্বে থাকে অর্থাৎ এরা কি করে না করে পারিবার এগুলো সম্পর্কে কোনো খোজ জানেনা বা রাখেনা।
(৩) এরা একা থাকতে পছন্দ করে
(৪) একটা সময় পর্যন্ত এদের খুব বেশি কোনো বন্ধুবান্ধব থাকেনা। তবে কোনো দল বা সংগঠনে যোগ দেওয়ার পর একই মতাদর্শের বন্ধু তৈরি হয়। তখন এরা নিজস্ব মতাদর্শের বাইরে কারো সাথে মেশেনা বা বন্ধু হিসেবে নেয় না।
(৫) এরা অধিকাংশই অবিবাহিত
(৬) এদের কোনো গার্ল ফ্রেন্ড নেই এমনকি সাধারণ বান্ধবীও থাকেনা। এদের মেয়েদের সাথে বন্ধুত্ব করতে, কথা বলতে এবং সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে অসুবিধা হয়।
(৭) এরা মেয়েদের প্রতি বিদ্বেষ পূর্ণ মনোভাব রাখে এবং সমাজে সকল কাজে মেয়েদের দোষারোপ করে।
(৮) এরা মেয়েদের সাথে সাথে এই সমাজ ও সমাজ ব্যবস্থার উপরেও অতিরিক্ত ক্ষুব্ধ ও ক্ষিপ্ত।
এতোগুলো পয়েন্টের মধ্যে আমার কাছে যৌনতার দিক থেকে যে একটা অভাব, সেটাকে আমার কাছে খুব গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে হয়েছে। কারণ.... সাধারণত, যাদের স্ত্রী আছে অথবা কোনো আপনজন আছে অথবা ভালবাসা পূর্ণ পরিবার আছে তারা কখনো তার স্ত্রী বা আপনজনদের রেখে জঙ্গি হামলা করতে যায় না। তারা কখনো এটা ভাবেনা যে আমার ভালোবাসার আপনজনদের রেখে একটা জঙ্গি হামলা করে এসে আবার তাদের সাথে সুখে শান্তিতে বসবাস করবো। যাদের স্ত্রী বা আপনজন আছে তারা সব সময় তাদের ভালোবাসার মানুষদের জন্য কি করবে বা কিভাবে তাদের সাথে সময় কাটাবে সেই চিন্তায় ব্যস্ত থাকে।
এখন প্রশ্ন করতে পারেন যে... যারা বিবাহিত বা পরিবার, আপনজন আছে তারা কি চরমপন্থি হয় না?
হ্যাঁ... তারাও হতে পারে। কিন্তু চরমপন্থি আচরণে তাদের সংখ্যা খুবই যৎসামান্য। বিবাহিত বা পারিবারিক মানুষদের ধর্মীয় চরমপন্থা শুধুমাত্র ঐ ফেসবুকে একে ওকে গালি দিয়ে পোস্ট দেওয়া পর্যন্তই সীমাবদ্ধ। তারা কখনো অস্ত্র হাতে তুলে নেয় না।
অস্ত্র হাতে নেওয়া অধিকাংশই অবিবাহিত যুবক। খেয়াল করে দেখবেন এইসব চরমপন্থি দলের যারা লিডার তারা কিন্তু বিবাহিত। শুধু বিবাহিত না... এদের এক এক জনের একাধিক স্ত্রী এবং অনেকের আবার নারী ঘটিত অনেক কেলেঙ্কারিও আছে। অথচ এদের যারা শিষ্য বা অন্ধ ভক্ত যারা এদের কথায় অস্ত্র হাতে যেকোনো হামলা করতে প্রস্তুত এরা অধিকাংশই অল্পবয়সী একা থাকা যুবক। এই নেতারা এইসব যুবকদের সেক্সুয়াল ফ্রাস্ট্রেশনের সুযোগ নেয় এবং যুবকদের যৌন হতাশা ও ডিপ্রেশন কে কাজে লাগিয়ে এদের ব্রেন ওয়াশ করে। এদের বোঝানো হয় যে এদের জীবনে যত সমস্যা তার সবকিছুর কারণ এই সমাজ ও সমাজ ব্যবস্থা। এই সমাজ ব্যবস্থা পরিবর্তন করতে পারলে তাদের সকল সমস্যা দূর হয়ে যাবে এবং... এই সমাজ পরিবর্তন করতে গিয়ে তারা যদি মারাও যায় তাহলেও পরকালে তারা অনেক অনেক পুরুষকার পাবে যা । এভাবেই... এইসব যুবকেরা ব্রেইন ওয়াশ হয় জঙ্গি ও চরমপন্থি কাজের জন্য।
আবার প্রশ্ন আসে যে তাহলে, এরা বিয়ে করেনা কেনো বা গার্ল ফ্রেন্ড বানায়না কেনো?
দেখুন... বিয়ে করা খুবই সহজ কোনো বিষয় না। আমাদের সমাজ ব্যবস্থায় যেহেতু পুরুষরা কর্তা বা পরিবারের পরিচালক তাই বিয়ে করার আগে তাদের নিজেদের অন্তত দুইজন মানুষের পরিচালনা খরচ উপার্জন করার সক্ষমতা অর্জন না করে বিয়ে করা সম্ভব হয় না। বেকার ছেলেদের কাছে কেউ মেয়ে দেয় না এমনকি বেকার ছেলেরা নিজেরাও বিয়ে করতে চায় না, বিয়ের পর সংসার চালাতে পারবেনা বা স্ত্রী কে সন্তুষ্ট রাখতে পারবেনা এই ভয়তে। আর বর্তমান বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দা সাথে মাত্রারিক্ত জনসংখ্যার কারণে চাকরি এখন সোনার হরিণ। আমার নিজের বন্ধুরাই একই সাথে পাশ করে ৮০% বন্ধু আজো বছরের পর বছর বেকার ঘুরে বেড়াচ্ছে। এক্ষেত্রে পড়াশোনা শেষ করে চাকরি খুঁজে বিয়ে করতে করতে তাদের বয়সের সীমানা পার হয়ে যাবে।
অন্যদিকে, আধুনিক সমাজে মেয়ে বন্ধু বা গার্ল ফ্রেন্ড বানানোও সহজ কোনো বিষয় না। সেখানেও একজন পুরুষের স্ট্যাটাস, চেহারা, পার্সোনালিটি, কথা বলার ক্ষমতা ইত্যাদি সবকিছুই বিচার করে মেয়েরা ছেলেদের সঙ্গী হিসেবে পছন্দ করে। সুতরাং... সেখানেও ছেলেদের জন্য অতিমাত্রায় কম্পিটিশন। অর্থাৎ সঙ্গী খোজার সব জায়গাতেই... অন্য পুরুষদের ঠেলে নিজের একটা অবস্থান তৈরি করা খুবই জটিল একটা বিষয়।
আমি আর্টিকেল পড়ার সময় আমেরিকার কিছু রিসার্চ সেন্টার থেকে কিছু রিপোর্ট আমার চোখে পড়ে যেখানে বলা হচ্ছে। আধুনিক সমাজ কে টিভি বা মিডিয়াতে যেমন অতিরিক্ত হাইপার সেক্সুয়াল দেখানো হয় আসলে বাস্তব চিত্র ভিন্ন। আমেরিকার মতো দেশেও যারা নিয়মিত সেক্স করে তাদের তুলনায় যারা সেক্স পাচ্ছেনা বা যৌনতা হীনতায় ভুগছেন তাদের সংখ্যা বেশী। আমেরিকাতে এখন সেক্স হীন একা জীবনযাপন কারী মানুষের সংখ্যা বেশী... নিয়মিত সেক্স করছেন তাদের চাইতে এবং এই অসমতাও মানুষের মধ্যে ডিপ্রেশন ও হতাশার জন্ম দিচ্ছে। একটা হেলদি সেক্স লাইফ মেইন্টেন করা খুবই কঠিন কাজ আজকের সমাজে। সেখানে আমাদের বাংলাদেশর মতো দেশ বা, পাকিস্তান, আফগানিস্তান ইত্যাদি দেশের যুবকদের কি অবস্থা হয় আপনারা কল্পনা করতে পারেন। হয়তো এজন্যই আমরা এইসব গরীব দেশ থেকে অধিকাংশ জঙ্গি বের হতে দেখি।
শেষকথা... দেখুন, এখন পর্যন্ত আমি যা বললাম পুরোটাই ছিলো আমার নিজস্ব রিসার্চ ও মতামত। আমি কোনোভাবেই ১০০% গ্যরান্টি সাথে যৌন হতাশাই যে যুবকদের মাঝে চরমপন্থি ভাবনা বা জঙ্গিবাদী হওয়ার কারণ অথবা একমাত্র কারণ... তা বলছি না। তবে আমি মনে করি আমার প্রশ্নটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রশ্ন এবং ক্রিমিনাল সাইকোলজিস্ট বা যারা অপরাধীদের মনোবিজ্ঞান নিয়ে যারা গবেষণা ও পড়াশোনা করেন তাদের এই বিষয়টি আরো গবেষণা করা উচিৎ।
আমি শুধু এখানে একে একে দুই আর দুয়ে দুয়ে চার করেছি এবং একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন রেখেই সবার সামনে যে "সেক্সুয়াল ফ্রাস্ট্রেশন কি যুবদের মধ্যে ধর্মীয় উন্মাদনার কারণ হতে পারে?"
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১:৫৩