somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

উন্মাদনার যোগজীকরণ – ০০৩

০৫ ই এপ্রিল, ২০০৯ রাত ১২:২১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আগের পর্বের জন্য Click This Link

প্রতিধ্বনির পরিণতি



হমমমম, এই শেষের গানটা ছিল out from deep । অসাধারণের উপরে সাঙ্ঘাতিক টাইপের কিছুটা। এক কথায় দারুণ। আমি এই গানটাকে ট্রেস করতে থাকি। মনে হতে থাকে, এটার আর্টিস্টকে পাব তো ?



কিন্তু, এটার নাম যখন জেনেছি, আশা করছিলাম, খুব দ্রুতই এতদিনের খোজাখুঁজির একটা সুরাহা করতে পারব। তখন সারাদিন মোবাইলে ফোরাম সাইটগুলাতে ঘুরঘুর করতাম। ইন্টারনেটের প্রকৃত মর্যাদা তখনো বুঝিনি।



একদিন সময় করে, আই ডি বি তে যেয়ে তন্য তন্য করে খুঁজলাম। প্রায় বোধহয় তিন থেকে সাড়ে তিন ঘন্টা পরে খুঁজে পাই। আমি অবাক, আমি বিমূঢ়। তখনও মনে অবস্য আরেকটা চিন্তা ছিল, সত্যি সত্যি আমার অনুমান সঠিক হবে তো!!! যতগুলো এলবাম পেলাম সবগুলো কিনলাম।সেই সময় টাকা পয়সার হাল্কা টানাটানি থাকলেও সেটাকে দাঁতে চেপে সহ্য করা ছাড়া উপায় নাই।



[এলবামের কভার পেজের কথাটা উহ্য থাকল। এটার মত অশ্লীল গানের আয়লবামের কভার পেজ যে আমি এখন পর্যন্ত দেখি নাই, সেই কথাটাও উহ্য রাখলাম। ৪-)) ]



সারাদিনে সবগুলো এলবাম শুনে শেষ করি। সারাটা দিন, তারপরের দিন, আর সেই রাতটাও। শুধুমাত্র গান গুলো শেষ করার জন্যই কলেজে যাইনি একদিন।



Track 4 সেই কতদিন শুনিনা। ভয় পাচ্ছিলাম, চিনব তো !! কয়েকটা গান শুনি, আর ভাবি এটাই নাকি ? যেগুলো মনে হচ্ছিল, কাগজে তুলে রাখছিলাম।বিদেশ থেকে খুব কাছের কেউ আসলে এয়ারপোর্টে দাঁড়িয়ে থাকলে কেমন যে অস্থির লাগে, সেটা বুঝতেছিলাম। কীসের সাথে কীসের তুলনা !! কথাটা ভেবে নিজেই অনেকক্ষণ হাসলাম। আসলে গানের মায়াটা আমার কাছে অনেক বড় কিছুই ছিল, এখনো আছে। সত্যিই যখন track 4 শুরু হল, সাথে সাথে টের পেলাম কেঁদে ফেলেছি, খুশিতে। গানের ক্ষেত্রে এসব বাক্য আর গানের প্রতি টানের অনুভূতির কথা এই ভাষাতে প্রকাশ করে কী না জানিনা, তবে আমি আসলে আক্ষরিকভাবেই বলছি। কত অপেক্ষা। কত অপেক্ষা।



এরপরের এলবামেই পেয়ে যাই আরেকটা ভালবাসার টুকরো track 2 কে। খুশিতে কী করব, বুঝতেছিলাম না। অন্যরকম লাগছিল। জীবনটা বোধহয় তাহলে সবসময়ই এত নিষ্ঠুর না !


Track 4 = return to innocence
Track 2 = between mind and heart

হমমম, এই ব্যান্ডটা ছিল ENIGMA । এর অনেক তথ্য নিয়ে রাশেদ ভাইয়ের একটা পোস্ট ছিল।
আমি আমার খুব পছন্দের কিছু গান দিব, যেগুলা আমি এই এলবামগুলো থেকে প্রায়ই শুনি।
[মাঝখানে একটা কথা বলতে চাই, বন্ধুদেরকে এই গানগুলো শোনাতে চাইতাম খুব। একেকজনের একেক রুচি। হোক, তবুও ওদের ভালো লাগবে। আমি জানি। কিন্তু, একবারের জন্যও কেউ শুনে দেখবে না, ওরা এসবের ভরসা করে না। যাই হোক, অবশেষে আমার শেষ চাল টা চালি, ওদেরকে এলবামের কভার পেজ দেখাই, সাথে সাথে কাজ হল। কে কার আগে নিবে তার জন্য টানাটানি। এভাবে একজন একজন করে অনেককে দিছি, অবশ্যি হতাশ হলাম। ওরা নাকি এল্বামের কভার পেজ দেখেই সারাটা দিন কাটাইছে। আর, এরা যে কী গান গাবে, তাও নাকি ওদের বোঝা শেষ !! তাই আর শোনেনি। একজনের আম্মু আবার এটাকে কী না কী বলে ভাবছিল, পরে ওই বক্স উনি ফেলে দিছিলেন। কেলেঙ্কারী অবস্থা।



আর এক ছেলেকে অবশ্য পেয়েছিলাম, সে একটু পর পর বলে, এদের কথা বুঝি না কেন ?? আরে, কী ঝালেমা !! আমি যতই বলি, এটা এমনি আওয়াজ, তত সে নাখোশ হয়। কয়েকটা শোনার পরে সে বলে, এতক্ষণেও শালারা একটা শব্দও বাঙ্গলা বলল না। আমি অবাক হয়ে গেলাম, আর পরের গানটা যখন ও শুনতে চাইল, জুতা দেখিয়ে ভাগায়া দিলাম।
আমার বন্ধু মহলে enigma প্রচার পায় নি, যদিও এর প্রতি আমার ভালবাসার কথা সবাই জানত। ]



এলোমেলো ভাবেই গান গুলোর নাম দিলাম, যেগুলা সারাদিন শুনতাম। এগুলো কিন্তু, আমার পছন্দ অনুযায়ী সাজানো না, পুরাই এলোমেলো ।



Morphing thru time
Out from deep
The piano
Total eclipse of the moon
Between mind and heart
Smell of desire
Way to eternity
Prism of life
The river of believe
I love and will kill you
Traces (light and weight)
Meaculpha (fading shades)
Silent warrior
Page of cups
Shadows in silent
From east to west
Sadness (reprised)
The dream of a dolphin
Gravity of love
Almost full moon
The voice of enigma
Callas went away
The screen behind the mirror
20000 miles over the sea
The child in us
The cross of changes
Tnt for brain
Goodbye Milky Way
The eyes of truth
In the shadow in the light
Silence must be heard
Sitting on the Moon
Following the Sun
Return to innocence



[এই আমি তখন সবার কাছে গান পাগলা, সেখান থেকেই এখন আমার নিক আকাশ পাগলা।]



[শেষে এসে যেন শুরুর একটা অপ্রাসঙ্গিক ভূমিকা না দিলেই নয়। আমাকে প্রতিদিনই একটা নির্দিষ্ট সময় বাসে ব্যয় করতে হয়। আমার সময়ের কতটুকু দাম আমি জানি না, তবে ঐ সময়ে আমার আসলে কিছু করার থাকেনা। বিভিন্ন বিষয়ে টুকটাক কিছু ভাবি। কখনো যদি কিছু লেখার মত দাঁড়িয়ে যায়, তাহলে সেটা এই সিরিজে লিখে থাকি, লেখার ইচ্ছা রাখি।]

পরের পর্বের জন্য Click This Link

সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই অক্টোবর, ২০০৯ রাত ১১:১৬
৫টি মন্তব্য ৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আগামী নির্বাচন কি জাতিকে সাহায্য করবে, নাকি আরো বিপদের দিকে ঠেলে দিবে?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:১২



আগামী নির্বচন জাতিকে আরো কমপ্লেক্স সমস্যার মাঝে ঠেলে দিবে; জাতির সমস্যাগুলো কঠিন থেকে কঠিনতর হবে। এই নির্বাচনটা মুলত করা হচ্ছে আমেরিকান দুতাবাসের প্রয়োজনে, আমাদের দেশের কি হবে, সেটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

ফেসবুক বিপ্লবে সেভেন সিস্টার্স দখল—গুগল ম্যাপ আপডেট বাকি

লিখেছেন মহিউদ্দিন হায়দার, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:৩০




কিছু তথাকথিত “বাংলাদেশি বিপ্লবী” নাকি ঘোষণা দিয়েছে—ভারতের সেভেন সিস্টার্স বিচ্ছিন্ন করে ফেলবে! সহযোগী হিসেবে থাকবে বিচ্ছিন্নতাবাদী সন্ত্রাসী আর পাকিস্তানি স্বপ্ন।শুনে মনে হয়—ট্যাংক আসবে ইনবক্সে। ড্রোন নামবে লাইভ কমেন্টে। আর... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাঙ্গু এনালিস্ট কাম ইন্টারন্যাশনাল সাংবাদিক জুলকার নায়েরের মাস্টারক্লাস অবজারবেশন !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:২৬

বাংলাদেশের দক্ষিণপন্থীদের দম আছে বলতে হয়! নির্বাচন ঠেকানোর প্রকল্পের গতি কিছুটা পিছিয়ে পড়তেই নতুন টার্গেট শনাক্ত করতে দেরি করেনি তারা। ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহ ঘিরে নতুন কর্মসূচি সাজাতে শুরু করেছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ক্ষমতাচ্যুত ফ্যাসিবাদ: দিল্লির ছায়া থেকে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র

লিখেছেন কৃষ্ণচূড়া লাল রঙ, ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ ভোর ৫:৫৭

একটা সত্য আজ স্পষ্ট করে বলা দরকার—
শেখ হাসিনার আর কোনো ক্ষমতা নেই।
বাংলাদেশের মাটিতে সে রাজনৈতিকভাবে পরাজিত।

কিন্তু বিপদ এখানেই শেষ হয়নি।

ক্ষমতা হারিয়ে শেখ হাসিনা এখন ভারতে আশ্রয় নিয়ে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র... ...বাকিটুকু পড়ুন

Grameen Phone স্পষ্ট ভাবেই ভারত প্রেমী হয়ে উঠেছে

লিখেছেন অপলক , ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ২:৪৯



গত কয়েক মাসে GP বহু বাংলাদেশী অভিজ্ঞ কর্মীদের ছাটায় করেছে। GP র মেইন ব্রাঞ্চে প্রায় ১১৮০জন কর্মচারী আছেন যার ভেতরে ৭১৯ জন ভারতীয়। বলা যায়, GP এখন পুরোদস্তুর ভারতীয়।

কারনে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×