ইন্দোনেশিয়ার পশ্চিম সুমাত্রা প্রদেশের রাজধানী পাদাং শহর। শহরটি ভারত মহাসাগরের কোল ঘেঁষে অবস্থিত। আমার স্ত্রীর নানা-দাদার বাড়ি এই শহর ও এর আশেপাশের শহরগুলোতে। অনেক অনেক আগে প্রথমবার যখন এই শহরে বেড়াতে যাই তখন এদের প্রকৃতি ও সরল মানুষজন দেখে খুব অবাক হয়েছিলাম। নিজে বাইক ভালো চালাতে না পারার কারণে বউকে ড্রাইভারের সিটে বসিয়ে পুরো শহরময় ঘুরেছি। মেয়েদের বাইক চালানো সেখানে খুব সাধারণ ব্যাপার। সেই শহরের ও আশেপাশের ডাচদের তৈরি অনেক নিদের্শন আমাকে খুব টেনেছিল।
পাদাং শহরের পাশেরই সাওলন্তু শহর। সাওলুন্ত শহরে এসে আমার মনে হয়েছিল অনেক আগের পৃথিবীতে চলে এসেছি।
পশ্চিম সুমাত্রার সাথে বাংলাদেশের কালচারের অনেক মিল আছে। যেমন, এখানকার একটা শহরের নাম বাটুসংকর যেটা শুনলে মনে হয় বাংলাদেশের কোন মফস্বল শহরের নাম। খাবারেও রয়েছে অনেক সাদৃশ্য।
সেই মান্ধাতার আমলে সেই সময়ের মোবাইল দিয়ে সাওলন্তু কিছুটা ভিডিও করার চেষ্টা করেছিলাম। পরে ল্যাপটপ নষ্ট হয়ে যাওয়ায় অল্প কিছু ছবি আর ভিডিও বাদে সব ডিলিট হয়ে গিয়েছিল। সেই অল্প কিছু ছবি আর ভিডিও জোড়াতালি দিয়ে এই ভিডিওটা করলাম। ডিলেইলস অভিজ্ঞতা নিয়ে লিখব অতি শ্রীঘ্রই।
ইউটিউবঃ পশ্চিম সুমাত্রা
ফেসবুকঃ পশ্চিম সুমাত্রা
যেহেতু ভিডিওটি অনেক আগের এবং সে সময় মোবাইল ক্যামেরা অতটা উন্নতামানের না হওয়ার কারণে এই ভিডিওর কোয়ালিটি খুব ভালো না। কিন্তু, মনের চোখ দিয়ে দেখলে সব ভিডিওই হাই-রেজুলেশন।
আমার পরের ভিডিও লন্ডনে ড্রাইভিং ও পথ-ঘাট। তারপরে থাকবে জাকার্তায় ড্রাইভিং ও পথ-ঘাট। মালয়শিয়াতে জীবনের দীর্ঘ সময় কাটানো নিয়ে নিয়মিত ভিডিও থাকবে। ইন-ফ্যাক্ট আমার পরিবার পরিজন বলতে এখনো সেখানেই থাকে। এই রকম আরো অনেক কিছুর জন্য আমার পেজটি সাবস্ক্রাইব করুন।
আর আমার নিয়মিত বড় ঘোরাঘুরির আর বিভিন্ন অভিজ্ঞতা নিয়ে লেখাগুলো তো থাকবেই এই ব্লগে। আগের দুটো লেখার লিংক দিলাম। পড়ে দেখতে পারেন।
ইন্দোনেশিয়া সিরিজ - ১ঃ মেদানের পথে পথে (বিয়ের পর প্রথম শ্বশুড়বাড়ির অভিজ্ঞতা)
মালয়শিয়াতে সোনার মেডেল
চায়না সিরিজ - ১ঃ সেবার চীনের হেবেই প্রদেশে
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ১:১৭