somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

মিল-অমিল নেপোলিয়ন ও হিটলার (নবম পর্ব)

০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:০৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



নেপোলিয়ন আর হিটলারের মধ্যে চারিত্রিক কী কী মিল আর অমিল আছে এই নিয়ে একটা পর্ব করলে কেমন হয়? চরিত্রের মিল খোঁজার মধ্যে দিয়ে এইটাও দেখতে হবে, হিটলার নেপোলিয়নকে কতটা অনুসরণ করেছিলেন। কতটা অধ্যায়ন করেছেন। এদের দুজনের চিন্তার বুনন বা গাথুনীটা কতটা দৃঢ় আর কাছাকাছি ছিলো সেটাও দেখার চেষ্টা করবো। অন্যান্য পর্বের মতো প্রথমে নেপোলিয়ন পরে হিটলার না লিখে, এক একটা ঘটনা বা চরিত্রের বৈশিষ্ট্য পাশাপাশি সাজিয়ে দেখার চেষ্টা করবো।



শুরু করা যাক, কিন্তু চরিত্রের ঠিক কোন দিকটি নিয়ে আগে বলা যায়?
মা, হ্যাঁ মায়ের প্রতি দুজনের ভালোবাসা। তবে এ ক্ষেত্রে নেপোলিয়নের চেয়ে হিটলার এগিয়ে থাকবেন একটু বেশি। হিটলার এর বয়স তখন আর কত ১৮। তার মা ক্লারা ক্যান্সারে আক্রান্ত হলেন। স্তন ক্যান্সার। খবর শুনে বাড়ি ফিরে এলেন। চিকিৎসা শুরু করলেন। মায়ের সেবার সমস্ত ভার তুলে নিলেন নিজের কাঁধে। শুধু কি মায়ের সেবার ভার! পরিবারে সমস্ত ভারই এসময় তিনি তুলে নিয়েছিলেন নিজের কাঁধে। ক্যান্সারের যন্ত্রণায় যখন মা কাতরাতেন, সমান ভাবে কাতরেন হিটলার। কি করবেন ভেবে পেতেন না। সারা রাত জেগে থাকতেন, কখন মায়ের কি লাগে। হিটলারের বোন জানিয়েছেন, ‘যত রাতেই জেগে উঠতাম, দেখতাম ভাই ঠিক মায়ের বিছানার পাশে পায়চারি করছেন। ঘুম এসে যায় এই ভয়ে হয়তো বসতেন না’।
শত চেষ্টা করেও শেষ রক্ষা হয়নি। মায়ের মৃত্যুতে একেবারে ভেঙে পড়েন হিটলার। দিন রাত কেবল কাঁদেন। ক্লারার চিকিৎসক, ডঃ ব্লক জানিয়েছেন, ‘আমার দীর্ঘ চিকিৎসক জীবনে আমি কখনো কোনো তরুণকে মা’র মৃত্যুর জন্য এমন ভেঙে পড়তে দেখিনি’।
বাবা আর মা সম্পর্কে হিটলারের মন্তব্যটা এমন, “I respected my father but I love my mother”.
নেপোলিয়ন তার মাকে কেমন ভালোবাসতেন? তার কিছু উক্তিতে তার পরিচয় পাওয়া যায়। উক্তিগুলো পরে জানবো। লেটিজিয়া ছিলেন অত্যন্ত সুন্দরী। মাত্র ষোল বছর বয়সে তার বিয়ে হয়। এরপর একে একে তের জন সন্তানের জননী হন তিনি। এর মধ্যে আটজন বেঁচে ছিলেন। এতো সন্তান সন্ততি লালন পালন করতে কি পরিমান হিমশিম খেতে হয়েছে তা অনুমান করতেই কষ্ট হয়। তাই বিশেষ করে কাউকে অতিরিক্ত স্নেহ দেখানো সময় ছিলোনা। নেপোলিয়ন বলেছেন, “My wonderful mother was courageous, proud and noble, her love was strict, she equally rewarded or punished us, noticed good deeds and bad ones. She protected us with care, never letting our souls to be touched by anything but great, noble, and punished us severely for the smallest disobedience.”

ঐতিহাসিকদের মতে নেপোলিয়ন তার মা’কে ছাড়া আর কাউকে এতো বিশ্বাস করতেন না। এলবে দ্বীপে নির্বাসনের পর নেপোলিয়ন ফ্রান্সে ফিরে যাওয়ার ব্যাপারে তার মার কাছে পরামর্শ চাইলেন। তিনি বললেন, ‘আমি কিছু সময়ের জন্য ভুলে যেতে চাই যে আমি তোমার মা! এই বন্দিত্ব বা অপ্রত্যাশিত নিষ্ক্রিয় ভাবে তুমি মারা গেলে কখনো জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবেনা। যাও, তোমার তরবারী তুলে নাও। আর তোমার স্বপ্নকে পূরণ করো’।

সেন্ট হেলেনায় যখন আবার নেপোলিয়ন নির্বাসিত হন, তখন তিনি মায়ের সম্পর্কে বলতেন, “the best mother in the world”. এই উক্তি থেকেই প্রমানিত হয় তিনি তার মাকে কতটা ভালোবাসতেন।

এবার আসা যাক রাগ নিয়ে। এ ব্যাপারেও তাদের মধ্যে একটা মিল খুঁজে পাওয়া যায়। হঠাৎ করে রেগে যাওয়া ছিলো তাদের স্বভাব। এই সময় হাতের কাছে যা থাকতো ছুড়ে ফেলে একটা কান্ড ঘটাতেন। নেপোলিয়ন যখন প্রথমবার অস্টিয়ার সম্রাটের কাছে ফ্রান্সিস সন্ধি প্রস্তাব দিয়ে পাঠান, তখন সম্রাট একটু গররাজী ছিলেন। নেপোলিয়ন বুঝতে পারলেন। অস্ট্রিয়ার দূতের সাথে কথা বলতে বলতে তিনি টেবিল তেকে একটা কাঁচ পাত্র নিয়ে দেয়ালে ছুঁড়ে মারেন। অমনি সেটি ভেঙে চুরমার হয়ে যায়। কাঁচ পাত্রটির দিকে তাকিয়ে নেপোলিয়ন বলেন, ‘দেখুন সন্ধিতে স্বাক্ষর করুন নয়তো আমি যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত। এবার কিন্তু অস্ট্রিয়া এটার মতোই টুকরো টুকরো হবে’। এরকম অসংখ্য ঘটনা রয়েছে নেপোলিয়নের জীবনে। এটা বিপক্ষের প্রতি এক ধরনের মানসিক চাপ তৈরি করার কৌশল। আবার অধঃস্তনদের নিয়ন্ত্রণে রাখার কৌশলও হতে পারে।

যারা চার্লি চ্যাপলিনের ‘Dictator’ ছবিটি দেখেছেন তারা সহজেই অনুমান করতে পারবেন, হিটলার সম্পর্কে। যদিও সেটা ছিলো হিটলারের চরিত্রের প্রতীকী রূপায়ন। তবে এ কথাও সত্যি হিটলার যেমন রাগী ছিলেন সহজে কেউ তাকে কিছু বলতে সাহস করতো না। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শেষের দিকে জার্মানের অবস্থা সম্পর্কে হিটলার কে কোনো জেনারেল কিছু বলার সাহস করতেন না। হিটলারের পরিকল্পনাগুলো ছিলো লক্ষ্যভেদী। কিন্তু কেউ তাকে জানাতে সাহস পায়নি- তেলের জন্য বিমান আকাশে উড়ানো যাচ্ছেনা, ট্যাংক এর চাকা বন্ধ। কেননা এই কথা জানতে পারলে হয়তো সাথে সাথেই তাকে গুলি করে হয়তো মারবেন।

একটা ব্যাপারে তাদের মধ্যে বেশ অমিল। সেটা হলো, নারীর সংস্পর্শ। বিষয়টাকে প্রেম বলিনি কেননা তাদের প্রেম নিয়ে একটা লেখা হয়ে গেছে। হিটলার এভা ব্রাউন ছাড়া অন্য কোনো নারীর সংস্পর্শে এসেছিলেন এমন দালিলিক প্রমান তেমন পাওয়া যায়না। তাছাড়া তিনি তো দেশের জন্য নিজেকে উৎসর্গ করেছেন। তাই তিনি সাধারণ কোনো মানুষ নন, তিনি হলেন মহামানব, এই রকম রাজনৈতিক ইমেজ গড়ার জন্যও বিয়ে না করাটা ছিলো একটা কারণ। তবে এটাই মূল কারণ নয়। সবচেয়ে বড় কথা নারীর ব্যাপারে তার তেমন আগ্রহ ছিলো না।

কিন্ত নেপোলিয়ন যুদ্ধের ফাঁকে ফাঁকে অনেক নারীর সৌন্দর্যে মোহিত হয়েছেন। এমন কি কাছেও টেনে নিয়েছেন। খুব অল্প বয়সেই জোসেফাইন কে তিনি বিয়ে করেন। তবে বিয়ের পর পরই যুদ্ধে চলে যান। এরপর যখন ফিরে আসেন মানুষের কাছে অনেক কথাই শোনেন। তবে জোসেফাইন সামনে এলে ইনিয়ে বিনিয়ে কিছু একটা বললে সব ভুলে যান। তবে মিশর যাওয়ার পর যখন খবর পেলেন জোসেফাইন একজন সৈনিকের বাহুলগ্না হয়েছেন, তিনিও সেখানে এক জুনিয়র আফিসারে স্ত্রীকে নিয়ে ঘুরে বেড়াতে লাগলেন মিশরের রাস্তায় রাস্তায়। সেই ছবি প্রকাশ পেল ফ্রান্সের পত্রিকাগুলোতে। আবার পোল্যান্ড যেয়ে তিনি একুশ বছর বয়েসী এক নারীর রূপে মুগ্ধ হন। তার নাম মারী ভালেস্কো। মারী ভালেস্কোর সাথে নেপোলিয়নের এক ধরনের বন্ধুত্বের সম্পর্ক থেকে ভালোবাসার রূপ নিলেও নেপোলিয়ন তার মর্যাদা রাখতে পারেন নি। মারী ভালেস্কোর ঘরে যে ছেলে আসে তাকে নেপোলিয়ন স্বীকৃতি দেন নি।

Eléonore Denuelle এর বাংলা কি হবে কে জানে? তিনি কিছু দিনের জন্য নেপোলিয়নের স্ত্রী হয়েছিলেন। অনেকটা এই প্রমানের জন্য নেপোলিয়ন আসলে বাবা হতে পারেন কিনা তা পরীক্ষার জন্য। জেসোফাইন যখন নেপোলিয়নকে তার উত্তরাধিকার দিতে পারছিলেন না, তখন মূলতঃ un-barrenness পরীক্ষার জন্যই তার সাথে নেপোলিয়ন মিলিত হন। তার গর্ভে সন্তান এলে নেপোলিয়ন জোসেফাইনকে ডিভোর্স দিয়ে মেরী লুইস কে বিয়ে করেন। এছাড়াও আরো কয়েকজন নারীর সাথে তার সম্পর্কের কথা জানা যায়।

এতে বোঝা যায়, নেপোলিয়ন যেমন প্রেমে সিক্ত ছিলেন, হিটলার ছিলেন ঠিক এর বিপরীত।

এদের চরিত্রের আরো বেশ কিছু দিক আছে, যেমনঃ হিটলারের পায়চারী। বিশেষ বিশেষ কিছু সময়ে তিনি পায়চারী করতেন। পায়চারী করতে করতে এমন কী সারারাত কাটিয়ে দিতেন।

নেপোলিয়নের কি করতেন জানা যায়নি।

হিটলার ছবি আঁকতে পছন্দ করতেন। তিনি একজন চিত্রশিল্পী হতে চেয়েছিলেন। আঁকতেন জল রং এ। নেপোলিয়ন তেমন ভালো ছবি আঁকতে
পারতেন না। তবে দুজনেই শিল্প-সাহিত্যের উপর বেশ ঝোঁক ছিলো। কিভাবে? নেপোলিয়ন তার দেশ কর্সিয়ার ইতিহাস লেখার কাজে হাত দিয়েছিলেন। তিনি সংবাদপত্রেও লিখতেন। আর হিটলার তার 'মাইন ক্যাম্ফ' আত্মজীবনী লিখে প্রচুর আয় করেন। তাদের শিল্প-সাহিত্যের উপর ঝোঁক বোঝা যায় তাদের কর্মের ভেতর দিয়েও। আচ্ছা হিটলার কতগুলো ছবি এঁকেছিলেন, এইটা কি জানেন? তিনি প্রায় ৮,০০০ এর মতো ছবি এঁকেছেন। চিন্তা করা যায়! নেপোলিয়ন তো ইতালি থেকে প্রচুর ছবি আর ভাস্কর্য্য নিয়ে আসে ফ্রান্সে। এ নিয়ে সেই সময় অনেকেই তাকে দস্যূর মতো আচরন করেছেন বললেও, এখন ফ্রান্স এর সুফল পাচ্ছে। তাদের জাদুঘর গুলো ভরিয়ে তোলার জন্য নেপোলিয়ন তো আর কম শিল্পকর্ম এনে জড়ো করেনি ফ্রান্সে, তাই না।



মিল-অমিল নেপোলিয়ন-হিটলার (অষ্টম পর্ব )

মিল-অমিল নেপোলিয়ন-হিটলার (সপ্তম পর্ব- উক্তি সমূহ)

মিল-অমিল নেপোলিয়ন-হিটলার (ষষ্ঠ পর্ব- উত্থানের পেছনের কাহিনী)

মিল-অমিল নেপোলিয়ন-হিটলার (পঞ্চম পর্ব- প্রথম যুদ্ধ)

মিল-অমিল নেপোলিয়ন-হিটলার (চতুর্থ পর্ব বা প্রেম পর্ব)

মিল-অমিল নেপোলিয়ন-হিটলার (তৃত্বীয় পর্ব)

মিল-অমিল নেপোলিয়ন-হিটলার (দ্বিতীয় পর্ব)

মিল-অমিল নেপোলিয়ন-হিটলার (প্রথম পর্ব)

এরপরের পর্বে থাকছে বিশ্ব রাজনীতিতে পদার্পন এবং প্রভাব। আজ এই পর্যন্তই। সকলে ভালো থাকুন। সুস্থ থাকুন। সুন্দর থাকুন।
১১টি মন্তব্য ১১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা ও পদ্মশ্রী পুরস্কার

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৫৬



এ বছরের পদ্মশ্রী (ভারতের চতুর্থ সর্বোচ্চ অসামরিক সম্মাননা) পদকে ভূষিত করা হয়েছে, বাংলাদেশের রবীন্দ্র সংগীত এর কিংবদন্তি শিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যাকে।

আমরা গর্বিত বন্যাকে নিয়ে । ...বাকিটুকু পড়ুন

কষ্ট থেকে আত্মরক্ষা করতে চাই

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৯



দেহটা মনের সাথে দৌড়ে পারে না
মন উড়ে চলে যায় বহু দূর স্থানে
ক্লান্ত দেহ পড়ে থাকে বিশ্রামে
একরাশ হতাশায় মন দেহে ফিরে।

সময়ের চাকা ঘুরতে থাকে অবিরত
কি অর্জন হলো হিসাব... ...বাকিটুকু পড়ুন

রম্য : মদ্যপান !

লিখেছেন গেছো দাদা, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৩

প্রখ্যাত শায়র মীর্জা গালিব একদিন তাঁর বোতল নিয়ে মসজিদে বসে মদ্যপান করছিলেন। বেশ মৌতাতে রয়েছেন তিনি। এদিকে মুসল্লিদের নজরে পড়েছে এই ঘটনা। তখন মুসল্লীরা রে রে করে এসে তাকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

= নিরস জীবনের প্রতিচ্ছবি=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৪১



এখন সময় নেই আর ভালোবাসার
ব্যস্ততার ঘাড়ে পা ঝুলিয়ে নিথর বসেছি,
চাইলেও ফেরত আসা যাবে না এখানে
সময় অল্প, গুছাতে হবে জমে যাওয়া কাজ।

বাতাসে সময় কুঁড়িয়েছি মুঠো ভরে
অবসরের বুকে শুয়ে বসে... ...বাকিটুকু পড়ুন

Instrumentation & Control (INC) সাবজেক্ট বাংলাদেশে নেই

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৫




শিক্ষা ব্যবস্থার মান যে বাংলাদেশে এক্কেবারেই খারাপ তা বলার কোনো সুযোগ নেই। সারাদিন শিক্ষার মান নিয়ে চেঁচামেচি করলেও বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরাই বিশ্বের অনেক উন্নত দেশে সার্ভিস দিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×