উচ্চ শিক্ষার উদ্দেশ্যে দেশ ছেড়েছি মাস্টার্স এর পরপর। এরপর বিদেশেই সেটল হয়েছি। দেশে যাওয়া হয় শুধু বেড়াতে। উন্নত বিশ্বে অবস্থান করায় উন্নত সুযোগ সুবিধা ভোগ করি আমরা প্রবাসিরা। আমাদের দেশের প্রতি পদে পদে চলমান বিশৃংখলা তাই বেশ পীড়া দেয়। ফেসবুক হোক বা ব্লগ সর্বত্রই তাই দেশের দুর্নীতি , অন্যায় , অবিচার এর বিপক্ষে কথা বলি। এই ব্লগে মানুষের বাক স্বাধীনতা কেড়ে নেবার অভিপ্রায়ে বহুদিন ধরেই ট্যাগিং কালচার চালু। এই ট্যগিং যারা করে , তারা আমাদের দেশের রাজনৈ্তিক দলের অনুসারী । ব্লগে গতকাল আমার বিরুদ্ধে একটা পোস্ট দেয়া হয়েছে। সেই পোস্টে লেখককে সাধুবাদ জানিয়ে আমার মুন্ডপাত করে এসেছেন অনেক ব্লগার পুরো ঘটনা না জেনেই!! যেহেতু ব্লগার গোফরানের পোস্টে আমি কমেন্টে ব্লক , তাই জনাব চাঁদগাজির পোস্টে আমি এর প্রতিবাদে একটি কমেন্ট করেছিলাম , কিন্তু গাজী সাহেব দেখলাম সেই পোস্টাই সরিয়েই নিয়েছেন!! তিনি হয়ত আমাকে ব্লগ থেকে বিতাড়নের এই মোক্ষম সুযোগ হারাতে চান নি। তবে আমি আমার অশোভন মন্তব্যের জন্য ক্ষমাপ্রার্থী যেহেতু আমার নীতি নৈ্তিকতার সাথে এমন মন্তব্য অসামঞ্জষ্যপুর্ন।
ব্লগার গোফয়ারনের পোস্টে আমি যাই না বা কমেন্ট করি না। কিন্ত বেশ অনেকদিন ধরে তিনি বিনা উস্কানিতেই আমাকে ট্যগিং করে চলেছেন। অন্যের পোস্টে করা আমার মন্তব্যের সুত্র ধরে তিনি আমাকে হরহামেশাই বিএনপি, শিবির , তাবলীগ, ইত্যাদি ট্যাগ করেন। আমি বেশ কয়েকবার প্রতিবাদ করেছি এই ট্যাগিং এর। তখন অবস্য কাউকে আমার পক্ষ নিয়ে ব্লগার গোফরানকে সমালোচনা করতে দেখি নাই। যে পোস্টে আমি মেজাজ হারিয়ে অশোভন মন্তব্য করে বসেছি তা নিম্নে তুলে ধরেছি -
‘’ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহাসিক বটতলায় কুরআন-শিক্ষার নামে কেন এই নাটক’’ শিরোনামের পোস্টে লেখক ঐ আসরে উপস্থিত ছাত্রদের কোন প্রকার তথ্য প্রমান ছাড়াই শিবির, জঙ্গী, বাংলাদেশ বিরোধী হিসেবে অভিহিত করেন! এর সাথে দ্বিমত প্রকাশ করে আমি ব্লগার আর ইউর উদ্দেশ্যে পত্রিকার একটা লিঙ্ক দেই যেখানে এই আসর সংক্রান্ত খবর আছে।
এর পরেই মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: আপনি আর ইউ ভাই এর মন্তব্যের জবাব গুছিয়ে দিন। আর গুলো তাবলীগে ক্লাসের লোল এদের কথা পাত্তা দেয়ার কিছু নেই।
দীর্ঘদিন এই ব্যক্তির ট্যগিং এ ত্যক্ত বিরক্ত হয়ে আমি কিছুটা মেজাজ হারিয়ে অশোভন একটা মন্তব্য করে বসি যার জের ধরে তাবৎ ব্লগার একত্রিত হয়েছে আমাকে ব্লগ ছাড়া করতে !! আমি অবস্যই দুঃখিত এই অশোভন মন্ত্যবের জন্য। ভেবেছিলাম দুঃখ প্রকাশ করে লেখককে অনুরোধ করব , মন্তব্যটা মুছে দিতে । কিন্ত এরপরেই দেখলাম মাল্টি নিকে হাজির হয়ে এক চালা টিনের ঘর বলেছেন: আমাদের প্রধান আমীর এর উপস্থিতিতে ভারপ্রাপ্ত আমিরের কণ্ঠস্বর উঁচু হয়েছে দেখি!! এর কিছুক্ষন পরেই উনার
‘’ ভাবছিলাম ২ লক্ষ ব্লগ হিট উপলক্ষে ব্লগে একটু ফান করব আড্ডা দিব, কিন্তু এক কুৎসিত অপব্লগার সেটা হতে দিলোনা ‘’ পোস্ট প্রসব !!
কি ভাবছেন সবাই ? ব্লগার জুলভার্নের মত আমিও ব্লগ ছাড়ার ঘোষনা দেব ? না আমি তা করব না। ব্লগার জুলভার্ন শক্তিমান লেখক। আমাদের সমাজের ত্রুটি বিচ্যূতি নিয়ে তিনি নিয়মিত ব্লগে পোস্ট দিতেন। কেন তিনি এই ব্লগে নেই? কারন কিছু ব্লগার তাকে রেগুলার উত্যক্ত করত এবং ব্লগার গোফরান জুলভার্নের বিরুদ্ধে মামলা করার হুমকি পর্যন্ত দিয়েছিলেন। তারপরেও এই ব্লগার ব্লগে কোন শাস্তির মুখোমুখি হন নাই। ব্লগার জুলভার্ন আমার ধারনা এদের কারনে নয় , ব্লগ কতৃপক্ষের উপড় অভিমান করেই ব্লগ ছেড়েছেন।
আমি ব্লগ ছাড়বো না। সাদা কালোর মাঝে পার্থক্য যেমন দিনের আলোর মতই পরিষ্কার তেমনি এই ব্লগে কে কেমন ধরনের ব্লগার তা ব্লগের সব পাঠকেরই জানা আছে ----
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে মার্চ, ২০২৪ সকাল ১০:৩০