আওয়ামী লীগকে নির্বাচন থেকে দূরে রাখলে কি করে বুঝা যাবে কত পারসেন্ট জনমত তাদের পক্ষে আছে? সবচেয়ে বড় দল যদি তারাই হয় তবে তাদেরকে কেন ক্ষমতা ছেড়ে দেওয়া হবে না? একাত্তরে তাদেরকে ক্ষমতা ছেড়ে দেওয়া হলে হয়ত বিনা রক্তপাতে বাংলাদেশ স্বাধীন হত।সুতরাং কারো প্রাপ্য ক্ষমতা থেকে তাদেরকে দূরে রাখা সঠিক কাজ নয়। যারা মনে করে নিরপেক্ষ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসবে এবং তাতে তারা বিপদে পড়বে। তারা তাদের ব্যাগ গুঁছিয়ে রাখলেই হলো। যখনই দেখবে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসছে তখনই তাদেরকে পালিয়ে আত্মরক্ষা করতে হবে। এদেশে আত্মরক্ষায় পলায়ন সংস্কৃতি চালু আছে। আওয়ামী লীগও এ ব্যবস্থায় আত্মরক্ষা করছে।
এখন পঞ্চাশ পারসেন্ট ভোট না পেলে দ্বিতীয় দফায় নির্বাচনের ব্যবস্থা রাখলেই আশা করা যায় এন্টি আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসতে পারবে। সুতরাং সেভাবে আওয়ামী লীগকে মোকাবেলার ব্যস্থা করা যায়। পাক-ভারত যুদ্ধের জেরে বাংলাদেশ-ভারত যুদ্ধের আশংকা আছে। এমতাবস্থায় আওয়ামী লীগের প্রতি অন্যায় করা হলে জাতীয় ঐক্য বিনষ্টের আশংকা রয়েছে। সুতরাং জাতীয় ঐক্যের জন্য হলেও জাতিকে সামলে চলতে হবে। আওয়ামী লীগ কোন ছোট দল নয় যে তাদেরকে যথেষ্ট হেলা-ফেলা করতে হবে। একাত্তরে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতা ছেড়ে দিলে এখন পাকিস্তান আমাদের শত্রুদেশ হিসাবে গণ্য হত না।তবে এবার ভারত আমাদের দেশ আক্রমণ করলে ভারত থেকে আমাদের বন্ধুত্বের তকমা নেমে যাবে। তারপর আমার যদি আমাদের স্বাধীনতা রক্ষা করতে পারি তাহলে বিশ্বে আমাদের মর্যাদা সুপ্রতিষ্ঠিত হবে। আরাকান আর্মি যদি মায়ানমারের সাথে যুদ্ধে ভালো ফল করতে পারে তাহলে আমরা কেন আমাদের স্বাধীনতা রক্ষা করতে স্বক্ষম হব না? আমরা কারো সাথে্ই যুদ্ধ কামনা করি না। তবে কেউ আমাদের সাথে গায়ে পড়ে যুদ্ধ করলে যুদ্ধ না করে আমাদের কি উপায় থাকবে?
অনেক শক্তি অর্জনের পর ভারত হয়ত মনে করছে তারা পাকিস্তান ও বাংলাদেশ দখল করে অখন্ড ভারত প্রতিষ্ঠিত করতে পারবে। এমতাবস্থায় আত্মরক্ষায় পাকিস্তান ও বাংলাদেশ লড়াই চালিয়ে যাবে। আফগানদের মত সেটা হতে পারে যুগের পর যুগ যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়া। পুচকে গাজা ইসরায়েল-আমিরিকার বিরুদ্ধে এখনো রনেভঙ্গ দেয়নি।পাকিস্তান-বাংলাদেশও রনে ভঙ্গ দিবে না। মাটি কামড়ে পড়ে থেকে শেষতক পাকিস্তান ও বাংলাদেশ জয়ী হতে পারে। যুদ্ধের রং ক্ষণে ক্ষণে বদলায়। রাশিয়া ও আমেরিকা আফগানিস্তানে পরাজিত হয়েছে। এবার তারা ভারতে আসছে। তাতে তারা ভারত সহ আবার পরাজিত হলে বিশ্বে তাদের ইজ্জত ধুলায় মিশে যাবে। তাদের প্রতিপক্ষ হেরেই যাবে এমনটা নিশ্চিত করে বলা যায় না।আর মুসলিমরা যুদ্ধে শহীদ হওয়াকে তাদের মহাসাফল্যে হিসাবে দেখে। সুতরাং যুদ্ধে শহীদ হলেও তাদের লাভ এবং জয়ী হয়ে গাজি হলেও তাদের লাভ। স্বল্পস্থায়ী জীবনে তাদের প্রত্যাশা স্বল্প। আর এ জন্যই তারা বেপরোয়া হয়ে থাকে।
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই মে, ২০২৫ রাত ৯:৪১