somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বাংলা নববর্ষের যতকথা - বোকা মানুষের সারকথা

১৫ ই এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১:০৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



আজ হঠাৎ করে একটা ব্যাপার চোখে পড়লো সামহোয়্যার ইন ব্লগে আমার পথচলার প্রথম চার বছরে প্রতিটিতেই পহেলা বৈশাখ নিয়ে পোষ্ট ছিলো, যদিও প্রথম বছরেরটা অন্য প্রসঙ্গে। কিন্তু ২০১৪-২০১৬ এই তিন বছরের পৃথক তিনটা পোষ্ট আজ নিজে পড়ে মনে হলে এতো বিশাল তথ্যভিত্তিক লেখা বর্তমানে পাঠ করার সময় নেই কারো, এখন হলো টিকটক, ভ্লগ আর রিল এর যুগ। তাই আজকের এই পোষ্ট এর অবতারনা। সারসংক্ষেপে উক্ত তিনটি পোষ্টের মূল প্রতিপাদ্য বিষয় একত্রে সংক্ষেপে তুলে ধরা।

বাংলা বর্ষপঞ্জিকা
বর্তমান প্রচলিত বাংলা সনের প্রবর্তন সম্রাট আকবরের সময় হতে শুরু হলেও এটি মূলত ৭ম শতাব্দীর হিন্দু রাজা শশাঙ্ককের শক বর্ষপঞ্জির সাথে হিজরি বর্ষপঞ্জির সংমিশ্রণে নতুন একটি বর্ষপঞ্জিকা যা সম্রাট আকবরের আমলে বিভিন্ন অঞ্চলের ভিন্ন ভিন্ন এলাকা থেকে খাজনা আদায় কাজ সহজতর করার জন্য সম্রাটের আদেশে রাজকীয় জ্যোতির্বিজ্ঞানী ফতুল্লাহ শিরাজি চান্দ্র ইসলামি বর্ষপঞ্জি ও সৌর হিন্দু বর্ষপঞ্জিকে একত্রিত করে একটি নতুন বর্ষপঞ্জি তৈরি করেন যা ফসলি সন (ফসলি বর্ষপঞ্জি) নামে পরিচিত ছিল। মোটামুটি এক কথায় এই হল বাংলা নববর্ষের যাত্রার কথা যে যাত্রা শুরু হয় ১৪৭৯ শাকাব্দ, ৯৬৩ হিজরি এবং ১৫৫৬ খ্রিষ্টাব্দ থেকে। সেই বছর ১লা মহরম এবং ১লা বৈশাখ একই দিনে ছিলো, সেখান থেকেই যাত্রা শুরু বাংলা সনের। অর্থাৎ বাংলা সনের যাত্রা শুরুই হয় ৯৬৩ বঙ্গাব্দ থেকে। বেশ কিছু ঐতিহাসিক সূত্রমতে এর আগে অগ্রহায়ণ ছিলো তৎকালে প্রচলিত বর্ষপঞ্জিকার প্রথম মাস, কিন্তু ৯৬৩ বঙ্গাব্দ থেকে বৈশাখ মাসকে প্রথম মাস বিবেচনা করা হয়েছে। মজার ব্যাপার বাংলা দিবসের নামগুলো গ্রেগেরিয়ান ক্যালেন্ডার বা ইংরেজি ক্যালেন্ডার এর দিবসের যে ভিত্তি অনুরূপ ভিত্তি থেকে এসেছেঃ রবি (সূর্য), সোম (চাঁদ) মঙ্গল-শনি (গ্রহ)। অপরদিকে মাসের নামগুলো এসেছে শাকাব্দর অনুকরণে জ্যোতির্বিজ্ঞান বিষয়ক প্রাচীন গ্রন্থ "সূর্যসিদ্ধান্ত" অনুসারে নক্ষত্রের নাম থেকেঃ বৈশাখ (বিশাখা), জ্যৈষ্ঠ (জ্যেষ্ঠা), আষাঢ় (আষাঢ়া), শ্রাবণ (শ্রাবণা), ভাদ্র(ভাদ্রপদা), আশ্বিন (আশ্বিনী), কার্তিক (কার্তিকা), অগ্রহায়ণ (অগ্রহায়ণ), পৌষ (পৌষা), মাঘ (মঘা), ফাল্গুন (ফাল্গুনী), চৈত্র (চিত্রা)। ১৭ ফেব্রুয়ারী ১৯৬৬ সালে ডঃ মুহম্মদ শহীদুল্লাহ’র নেতৃত্বে একটি কমিটি বর্তমানে বাংলাদেশে প্রচলিত বাংলা বর্ষপঞ্জিটি কিছুটা পরিমার্জন এবং পরিবর্ধন করে প্রবর্তিত করেন যা ১৯৮৮ সালের ১৯ জুন বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক সংশোধিত বাংলা সন হিসেবে গৃহীত হয়।

নববর্ষ উদযাপন
এখন আসা যাক, নববর্ষ উদযাপন প্রসঙ্গে। মুসলিম পুর্ব ভারতবর্ষে বিভিন্ন সন প্রচলিত ছিল। বাংলায় তখন যে সন প্রচলিত ছিল তার প্রথম দিন ছিল ১লা অগ্রাহায়ন। হায়ন শব্দের অর্থ বছর বা সুর্যের একটি পরিক্রমন এর সময়। একারনে সম্রাট আকবরের সময় প্রচলিত বাংলাসনের আগে বাংলাদেশে নববর্ষ উদযাপিত হতো ১লা অগ্রহায়ন। এছাড়া কার্তিক ও চৈত্র মাসকেও বিভিন্ন সময় বৎসরের প্রথম মাস হিসেবে নির্ধারনের প্রমান পাওয়া যায়। আকবরের সময়কাল থেকে পহেলা বৈশাখ উদযাপন শুরু হয়। তখন প্রত্যেককে চৈত্র মাসের শেষ দিনের মধ্যে সকল খাজনা, মাশুল ও শুল্ক পরিশোধ করতে হত। আধুনিক নববর্ষ উদযাপনের খবর প্রথম পাওয়া যায় ১৯১৭ সালে। প্রথম মহাযুদ্ধে ব্রিটিশদের বিজয় কামনা করে সে বছর পহেলা বৈশাখে হোম কীর্ত্তণ ও পূজার ব্যবস্থা করা হয়। এরপর ১৯৩৮ সালেও অনুরূপ কর্মকান্ডের উল্লেখ পাওযা যায়। পরবর্তী সময়ে ১৯৬৭ সনের আগে ঘটা করে পহেলা বৈশাখ পালনের রীতি তেমন একটা জনপ্রিয় হয় নি। ১৯৬০-এর দশকে পাকিস্তানী শাসকগোষ্ঠির নিপীড়ন ও সাংস্কৃতিক সন্ত্রাসের প্রতিবাদে ১৯৬৭ সাল থেকে ছায়ানটের এই বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের সূচনা। সামরিক শাসনের অধীনে বসবাসরত হতাশ শিক্ষার্থীরা সম্প্রদায়কে একটি উন্নত ভবিষ্যতের আশা দিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের দ্বারা ১৯৮৯ সাল থেকে শুরু হয় বর্তমানের “মঙ্গল শোভাযাত্রা” যার নাম প্রথমদিকে ছিলো "আনন্দ শোভাযাত্রা"। জাতিসংঘের অঙ্গসংস্থা ইউনেস্কো বাংলাদেশ সরকারের সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আবেদনক্রমে ২০১৬ খ্রিষ্টাব্দের ৩০শে নভেম্বর বাংলাদেশের ‘‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’’কে বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ অধরা সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে।

দেশে দেশে নববর্ষ একই কাছাকাছি সময়ে
শুধু দুই বাংলায় নয়, দক্ষিণ এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অনেক এলাকায় ১৩-১৫ এপ্রিলের মাঝামাঝি সময়ে নববর্ষ উদযাপিত হয়ে থাকে। এর একটি ঐতিহাসিক কারন রয়েছে। আর তা হচ্ছে খাজনা প্রথা, এবং ফসলের চাষ হতে সেই খাজনা প্রদান’কে কেন্দ্র করে। এখন আসুন দেখে নেই কোথায় কোথায় এই সময়ে নববর্ষ উৎসব পালিত হয়ঃ

• তামিলনাড়ু’র নববর্ষ উৎসব পুথান্দু (Puthandu) যা এপ্রিলের ১৩, ১৪ অথবা ১৫ তারিখে উদযাপিত হয়। কারন তাদের নিজস্ব ক্যালেন্ডারের চিতারাই (Chithrai ) মাসের প্রথম দিনে এই উৎসব হয়ে থাকে।
• পাঞ্চাবে তাদের নানকশাহি ক্যালেন্ডার অনুযায়ী ১৪ এপ্রিল “ভাইশাখি (Vaisakhi)” উদযাপন করা হয়।
• নেপালে তাদের নিজস্ব ক্যালেন্ডার “ভিক্রাম সামভাট (Vikram Samvat )” অনুযায়ী ১২-১৫ এপ্রিল এর যে কোন দিন ১লা বৈশাখ এ নববর্ষ উদযাপিত হয়।উল্লেখ্য যে, নেপালে আরেকটা বর্ষবরণ অনুষ্ঠান হয়, যা Nepal Era নামে পরিচিত, যা সরকারী নববর্ষ হিসেবে পালিত হয়।
• আসামে এপ্রিলের ১৪-১৫ তারিখে রোঙ্গালি বিহু বা বোহাং বিহু (Rongali Bihu or Bohag Bihu) নামে নববর্ষ উৎসব হয়ে থাকে।
• কলকাতায় পহেলা বৈশাখ উৎসব পালিত হয় ১৫ এপ্রিলে। আর বাংলাদেশে উদযাপিত হয় ১৪ এপ্রিলে।
• উড়িষ্যাতে মাঘী সংক্রান্তি পালনের মাধ্যমে নববর্ষ উদযাপিত হয় ১৪ এপ্রিল।
• মনিপুরে “চৈরুবা” নামে নববর্ষ উৎসব পালিত হয়ে থাকে ১৪ এপ্রিলে।
• শ্রীলঙ্কার সিংহলিজ নববর্ষ উদযাপিত হয় এপ্রিল মাসের ১৩ অথবা ১৪ এপ্রিল।
• কেরালা’র মালায়ালি নববর্ষ পালিত হয় এপ্রিলের মাঝামাঝি সময়ে, উৎসবের নাম ভিশু (Vishu)।
• এপ্রিলের ১৪ অথবা ১৫ তারিখে কর্ণাটক এর নববর্ষ উৎসব পালিত হয়।
• মহারাষ্ট্রে “গুড়ী পার্বা (Gudi Padwa)” নামে নববর্ষ উদযাপিত হয়ে থাকে।
• মায়ানমারে ১৩-১৫ এপ্রিল “থিংগান (Thingyan )” নামে ওয়াটার ফেস্টিভ্যাল অনুষ্ঠিত হয়ে, যা মূলত বর্ষবরণ উৎসব।
• একই ধরনের উৎসব হয়ে থাইল্যান্ডে যার নাম “সংক্রান (Songkran )”
• লাওসে এই উৎসবের নাম “পি মাই লাও (Pi Mai Lao )”
• এই উৎসব কম্বোডিয়াতে “চল চনাম থিমে (Chaul Chnam Thmey )” নামে পরিচিত।
• চায়নার ইউনান প্রদেশের দাই জনগোষ্ঠীর ট্র্যাডিশনাল নববর্ষ উৎসব পালিত হয় এই মধ্য এপ্রিলেই।
• কাশ্মীরের নববর্ষের নাম নাবরেহ, যা এপ্রিলের শুরুতে অথবা মার্চের শেষে পালিত হয়।
• আফগানিস্তানে “নওরোজ” নামে নববর্ষ উৎসব পালিত হয় ২১ মার্চ তারিখে।

এতগুলো নববর্ষ উদযাপনের সময়কাল এটাই প্রমাণ করে যে, এপ্রিল মাস তথা বাংলা চৈত্র-বৈশাখ মাসে অধিকাংশ এশিয় অঞ্চলে নববর্ষ পালিত হত। কারন ছিল, এখানকার আবহাওয়া এবং প্রকৃতি। ফসল পাকার পর কেটে ঘরে তুলে প্রক্রিয়াজাতকরণ করতে করতে চৈত্র মাস এসে যেত এবং সেই সময়ে তৎকালীন প্রচলিত খাজনা প্রথা’র কর প্রদান করে বিগত বছরের হিসেব মেটানো হত এই সময়ে। ফলে বর্ষ শুরুর গণনার জন্য এই সময়টাই অত্র দক্ষিণ এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় জনপ্রিয় ছিল। সম্রাট আকবরের প্রচলিত অধুনা বাংলা নববর্ষ ক্যালেন্ডার একই কারনে বৈশাখ মাসকে বছরের প্রথম দিন হিসেবে গ্রহণ করেছিল।

বাংলা ভাষার প্রতিবেশীরা
প্রাসঙ্গিক বলে দু'বছর আগের আরেকটা পোষ্ট হতে কিছু কথা বলা উচিৎ মনে হল, আর সেটা হলো বাংলা ভাষার প্রতিবেশীদের কথা।
২০১৮ সালের ডিসেম্বর এর এক ভারত ভ্রমণের শেষে দেশে ফেরার সময় এয়ারপোর্ট লাউঞ্চে বসে অদ্ভুত একটা অনুভূতি হয়েছিল। বৃহত্তর বাংলা’র কথা প্রায়শই নানান জায়গায় শোনা যায়। এর বাস্তবতার এক ভিন্ন রূপ সেবার ধরা দিয়েছিল বাংলা ভাষার উৎসমূলের ব্যাপ্তি এবং প্রভাব এর কথা চিন্তা করে। সেবারের দুই সপ্তাহের ট্যুরে গন্তব্য ছিল ভারতের চারটি প্রদেশঃ পশ্চিমবঙ্গ, উড়িষ্যা, আসাম এবং নাগাল্যান্ড। অদ্ভুতভাবে লক্ষ্য করছিলাম পশ্চিমবঙ্গ’র বাইরে উড়িষ্যা, আসাম এবং নাগাল্যান্ড এর কথ্য ভাষার প্রায় শব্দই বাংলার খুব কাছ ঘেঁষা। ইতিহাস বা সাহিত্যের ছাত্র ছিলাম না বিধায় আগে এতটা ধারণা ছিলো না। উৎসুক হয়ে এর কারণ খুঁজতে গিয়ে দেখলাম, এদের সবার আঁতুড়ঘর বাংলার সাথেই। সবাই একই বংশের সন্তান। পশ্চিমবঙ্গ’র বাংলা, উড়িষ্যা’র ওড়িয়া, আসাম এর অসমিয়া আর নাগাল্যান্ড এর নাগামিজ; সকল ভাষার কথা শুনে মনে হবে যেন বাংলা ভাষার কথা শুনছেন; কিন্তু অনেকটাই বুঝতে পারছেন না। এর কারন অনুসন্ধানে করলে বাংলা ভাষাভাষী মানুষদের ভাষা ভিত্তিক বাংলা অঞ্চলের ব্যাপ্তি দেখে অবাক হতে হবে।


সবশেষে, আগত নতুন বাংলা বর্ষটা সকলের জন্য মঙ্গল এবং শান্তি বয়ে আনুক, ভালো কাটুক প্রতিটি দিন, প্রতিটি ক্ষণ। একদিনের বাসি পান্তাভাত নাকি খাইতে বেশি মজা, তাই একদিনের বাসি শুভ নববর্ষও নিশ্চয়ই হবে বেশী শুভ (বোকা মানুষের বোকা কথা, কিছু মনে কইরেন না সাথীরা)।


যে তিনটি বাংলা নববর্ষের লেখার কথা দিয়ে পোষ্টের শুরু করেছিলামঃ
২০১৪ঃ বাংলা বর্ষ এবং বর্ষবরণ (একটি ইতিহাস ভিত্তিক পর্যালোচনা)
২০১৫ঃ বাংলা নববর্ষ, পহেলা বৈশাখ এবং বর্তমান উদযাপন (সংক্ষিপ্ত পর্যালোচনা)
২০১৬ঃ দক্ষিণ এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয় অঞ্চলে নববর্ষ উৎসবের সাদৃশ্য এবং অন্তর্নিহিত সাধারন একটি কারণ।

এইটা হল সেই বাংলা ভাষার প্রতিবেশীদের গল্পটার পোষ্ট
২০২১ঃ বাংলা ভাষার প্রতিবেশীরা
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই এপ্রিল, ২০২৩ রাত ২:৫৩
৪টি মন্তব্য ৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

চুরি করাটা প্রফেসরদেরই ভালো মানায়

লিখেছেন হাসান মাহবুব, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৩


অত্র অঞ্চলে প্রতিটা সিভিতে আপনারা একটা কথা লেখা দেখবেন, যে আবেদনকারী ব্যক্তির বিশেষ গুণ হলো “সততা ও কঠোর পরিশ্রম”। এর মানে তারা বুঝাতে চায় যে তারা টাকা পয়সা চুরি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শিব নারায়ণ দাস নামটাতেই কি আমাদের অ্যালার্জি?

লিখেছেন ...নিপুণ কথন..., ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৫:৫৭


অভিমান কতোটা প্রকট হয় দেখেছিলাম শিবনারায়ণ দাসের কাছে গিয়ে।
.
গত বছরের জুন মাসের শুরুর দিকের কথা। এক সকালে হঠাৎ মনে হলো যদি জাতীয় পতাকার নকশাকার শিবনারায়ণ দাসের সঙ্গে দেখা করা সম্ভব... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঘুষের ধর্ম নাই

লিখেছেন প্রামানিক, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫৫


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

মুসলমানে শুকর খায় না
হিন্দু খায় না গাই
সবাই মিলেই সুদ, ঘুষ খায়
সেথায় বিভেদ নাই।

হিন্দু বলে জয় শ্র্রীরাম
মুসলিম আল্লাহ রসুল
হারাম খেয়েই ধর্ম করে
অন্যের ধরে ভুল।

পানি বললে জাত থাকে না
ঘুষ... ...বাকিটুকু পড়ুন

প্রতি মাসে সামু-ব্লগে ভিজিটর কত? মার্চ ২০২৪ Update

লিখেছেন জে.এস. সাব্বির, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:০৮

মার্চ ২০২৪ সালে আমাদের প্রিয় সামু ব্লগে ভিজিটর সংখ্যা কত ছিল? জানতে হলে চোখ রাখুন-

গত ৬ মাসের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভিউ ছিল জানুয়ারি মাসে। ওই মাসে সর্বমোট ভিজিট ছিল ১৬... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইরান-ইজরায়েল দ্বৈরথঃ পানি কতোদূর গড়াবে??

লিখেছেন ভুয়া মফিজ, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:২৬



সারা বিশ্বের খবরাখবর যারা রাখে, তাদের সবাই মোটামুটি জানে যে গত পহেলা এপ্রিল ইজরায়েল ইরানকে ''এপ্রিল ফুল'' দিবসের উপহার দেয়ার নিমিত্তে সিরিয়ায় অবস্থিত ইরানের কনস্যুলেট ভবনে বিমান হামলা চালায়।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×