***
সিংহাসন দখল করাটা নিঃসন্দেহে একটা কঠিন কাজ। কিন্তু তা টিকিয়ে রাখাটা আরও কঠিন। এই বাক্য দুটির সত্যতা নিয়ে কারও কোনো সন্দেহ নেই। ইতিহাস ঘাটলে এ সম্পর্কে ভুরি ভুরি প্রমাণ পাওয়া যাবে বৈকি। ১৯৩৩ সালে, হিটলার যখন জার্মানির সিংহাসনে আসীন হন, তিনি ভালো করে জানতেন, এই সিংহাসনটি আঁকড়ে ধরে রাখাটা হবে একটি দুঃসাধ্য কাজ। তবে ভবিষ্যৎ কর্মপন্থা সম্পর্কে তার পরিষ্কার ধারণা ছিল। হিটলার এবং তাকে ঘিরে থাকা তার অত্যন্ত মেধাবী কিন্তু দুর্জন অমাত্যগণেরা ভালো করেই জানতেন কি করে এই পরম আরাধ্য ক্ষমতাকে এবং সেই সাথে নাৎসি আদর্শবাদকে টিকিয়ে রাখতে হয়।
পোস্টের এই পর্যায়ে এসে পাঠকদের কাছে একটি প্রশ্ন করতে চাই। তা হল, আপনাকে যদি হিটলারের মত, একটি রাষ্ট্রের একনায়ক বানানো হয়, তবে আপনি কি করে আপনার ক্ষমতাকে টিকিয়ে রাখবেন? অনেকে বলবেন যে জনগণের মন জয় করার মাধ্যমে ক্ষমতা নিঃসন্দেহে টিকিয়ে রাখা যাবে। কিন্তু, আপনার মনে যদি আগে থেকে কোনো ধ্বংসাত্মক পরিকল্পনা থেকে থাকে, এবং আপনি যদি আপনার রাষ্ট্রের জনগণকে পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্যে কাজ এ লাগাতে চান, তখন আপনি কি করবেন?
****
এবার চলুন তবে দেখে আসি, হিটলার এক্ষেত্রে কি করেছিলেন। হিটলার যা করেছিলেন, সোজা কথায় তাকে মগজ ধোলাই বলা যাবে। জনগণের সমর্থন পাওয়ার জন্যে প্রয়োজন ছিল জনগণের শত্রুর। হিটলার এতই চালাক ছিলেন যে, তিনি জনগণের একাংশকেই(ইহুদী, কমিউনিস্ট, সমকামী, জিপসি) শত্রু দাবি করে বসলেন।সহস্রাব্দ পুরোনো ইহুদী-খ্রিষ্টান বৈরিতা তো ছিলই, সেই সাথে ইহুদীদেরকে দোষারোপ করা হয় প্রথম বিশ্বযুদ্ধের বিশ্বাসঘাতকতা এবং পরাজয়ের জন্যে। কমিউনিস্টদের সাথে রেষারেষি এবং শত্রুতা জার্মানদের আগে থেকেই ছিল। হিটলার সেই আগুনে ঘি ঢেলে দেন মাত্র।
এরপর হিটলার সৃষ্টি করলেন জাতিগত বৈষম্য। জার্মানরাই হল প্রকৃত আর্য। বাকি সবাই অনার্য। এভাবে তিনি সাধারণ জার্মান জনগণের ইগোকে নিয়ে গেলেন আরেকটি ধাপে। হিটলারের ব্রেন ওয়াশের শিকার জার্মানরা ভাবতে শুরু করল যে তারাই পৃথিবীর শ্রেষ্ঠতম জাতি।
হিটলারের পরবর্তী মাস্টার প্ল্যান ছিল আরও পরিষ্কার। ঘোরের মধ্যে থাকা জার্মানদের মস্তিষ্ক থেকে চিরতরে হিটলারের শত্রুদের স্মৃতি মুছে দেওয়া। এটাই ছিল তার মাস্টার প্ল্যানের অতি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। কেননা শত্রুর অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখলে জনগণ কোনো একদিন শত্রু শিবির কর্তৃক আকৃষ্ট হতে পারে। এই কারণে পৃথিবীর বুক থেকে শত্রুর চিহ্নটুকুও মুছে দেওয়া প্রয়োজন। মুছে দেওয়া প্রয়োজন তাদের আদর্শকে। যাতে বিভ্রান্ত মানুষ বিশ্বাস করতে শুরু করে যে নাৎসিবাদই হল এক ও অদ্বিতীয় আদর্শ। এছাড়া আর কোনো আদর্শ কখনো ছিল না।।
হিটলারের সৌভাগ্য, সেই সময় তিনি কয়েকজন অত্যন্ত মেধাবী অমাত্যের সান্নিধ্য লাভ করেছিলেন। তারাই হিটলারের স্বপ্নের থার্ড রাইখ সৃষ্টির পথটিকে মসৃণ করে তুলেছিলেন।
****
একটি আদর্শকে হত্যা করার জন্যে যা প্রয়োজন তা হল, সেই আদর্শের উপর ভিত্তি করে সৃষ্ট সকল সৃষ্টিশীল কর্মকে ধ্বংস করে ফেলা। এতে সমসাময়িক জনগণের মন থেকে ওগুলোর স্মৃতি ধীরে ধীরে মুছে যাবে। আর ভবিষ্যৎ প্রজন্ম তো এগুলো সম্পর্কে জানতেই পারবে না।
***
১০ই মে, ১৯৩৩ সাল।
রাত।
বার্লিনের উইলহেম হামবোল্ট ইউনিভার্সিটি সংলগ্ন রাস্তায় উৎসুক জনতার ভিড় সৃষ্টি হয়েছে। সকলে মূল ঘটনাস্থল থেকে কিছুটা দূরে দাঁড়িয়ে কান্ড কারখানা দেখছে। তাদের সামনে দিয়ে কয়েক হাজার ছাত্র এবং S.A সৈন্য দুহাত ভরে বই নিয়ে ধীর পায়ে এগিয়ে আসছে এবং বিপুল বিক্রমে বইগুলো একটি বিশাল অগ্নিকুন্ডে নিক্ষেপ করছে। বইগুলো মূলত সংগ্রহ করা হয়েছে ইউনিভার্সিটি লাইব্রেরী থেকে। এছাড়া অনেকে তাদের ব্যক্তিগত সংগ্রহে থাকা বইগুলো নিয়ে এসেছেন। বইগুলো তাদের কাছে বিষের নামান্তর। এগুলোর অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখা যাবে না।
ধীরে ধীরে বই পোড়াতে আসা ছাত্রের সংখ্যা ৫০০০ ছাড়িয়ে যায়। এরা সকলেই নাৎসি পার্টির স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশানের সদস্য। তারা এক মহৎ উদ্দেশ্য হাসিলের জন্যে এই ধ্বংসাত্মক কর্মকান্ডটি সম্পাদন করছে। তা হল জার্মানির বুক থেকে চিরতরে শত্রুর আদর্শকে মুছে দেওয়া। তারা জানত, একটি আদর্শকে চতুর্দিকে ছড়িয়ে দেওয়ার উত্তম মাধ্যম হল বই। এই কারণে আপাত মুল্যহীন অমূল্য বইগুলো নিক্ষিপ্ত হচ্ছে জ্বলন্ত অগ্নিকুণ্ডে।
এরই মাঝে ঘটনাস্থলে উদয় হন, সরকারি প্রোপাগান্ডা মিনিস্টার যোসেফ গোয়েবলস। তার আগমনের কথা ভেবে আগে থেকেই বক্তৃতা প্রদানের জন্যে একটি মঞ্চ তৈরি করা হয়েছে। গোয়েবলস সেদিন মঞ্চে উঠে বললেন চরম সাম্প্রদায়িক কিছু কথা।
"আজ রাতে উগ্র ইহুদীবাদী চিন্তাধারার যুগের অবসান ঘটল। ভবিষ্যতের জার্মান জনগণ শুধুমাত্র একজন জ্ঞানী ব্যক্তি হবেন না, তিনি হবেন একজন চরিত্রবান ব্যক্তি। এই যুগের পরিসমাপ্তির মাধ্যমে, আমরা আপনাদের শিক্ষা দিতে চাই। শিক্ষা দিতে চাই তারুণ্যের। শিক্ষা দিতে চাই, এক বুক সাহস নিয়ে মৃত্যুভয়কে জয়ে করার। যাতে আপনারা মৃত্যুকে শ্রদ্ধা করতে শেখেন। এই শিক্ষা গ্রহণ করে তা লালন করার কাজ তরুণ সমাজের। আজ যারা এই ঘটনার সাথে নিজেদের সম্পৃক্ত করেছেন, তাদের জন্যে রয়েছে আমার প্রশংসা। প্রশংসা, কারণ, আজ এই রাতে, আপনারা অতীতের ভয়ানক প্রেতাত্মাগুলোকে ভস্মীভূত করছেন। এই মহান কর্মকান্ডের মাধ্যমে আজ সমস্ত পৃথিবীকে জানিয়ে দেওয়া গেল যে, আজ নভেম্বর রিপাবলিক(ওয়াইমার রিপাবলিক সরকারকে নভেম্বর রিপাবলিক বলা হত। কেননা প্রথম বিশ্বযুদ্ধে জার্মানরা আত্মসমর্পণ করেছিল নভেম্বরে। সেই সময় ওয়াইমার রিপাবলিক সরকার ক্ষমতায় বসেছিল।) সরকার কর্তৃক সৃষ্ট আদর্শের যবনিকাপাত ঘটেছে। আজ এই অগ্নিকান্ডের ভস্ম থেকে ফিনিক্স পাখির মত এক নতুন আদর্শের সূচনা ঘটল..."
গোয়েবলস।
****
সেই রাতে, প্রায় ২০০০০ ভলিউম বই পুড়িয়ে ফেলা হয়। এটাতো শুধুমাত্র বার্লিনের হিসাব। জার্মানির অন্যান্য অঞ্চলের ইউনিভার্সিটির নাৎসি স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশানের ছাত্ররা S.A এর প্রত্যক্ষ ইন্ধনে কত ভলিউম বই পুড়িয়ে ফেলেছিল, তার ইয়ত্তা নেই। ছাত্রদের প্রকাশ্য উসকানিতে অনেক সাধারণ ছাত্র এবং সাধারণ মানুষ এই জঘন্য কাজে যোগ দেয়। বইগুলোর দোষ হল, তারা ইহুদী লেখক দ্বারা রচিত। তাদের দোষ হল, তারা অনার্য কর্তৃক রচিত। বইগুলো দোষী, কারণ তারা নাৎসিবাদ ব্যতীত অন্যান্য আদর্শের উপর ভিত্তির উপর রচিত। তারা দোষী, কারণ তারা মানবতার কথা বলে। তারা প্রচার করে শান্তির বাণী, তারা প্রচার করে "যুদ্ধ নয়, শান্তি।"
****
সেদিন রাতে পুড়িয়ে ফেলা হয় পৃথিবী বিখ্যাত অগণিত লেখকের অগণিত বই। হেনরি বারবুসে, ফ্রানয বোয়াস, জন ডস পাসস, আলবার্ট আইনস্টাইন, লায়ন ফিউখট-ওয়াঙ্গার, ফ্রেদ্রিখ ফর্স্টার, সিগমুন্ড ফ্রুয়েড, জন গ্যালস্ওয়ার্থি, ম্যাক্সিম গোর্কি, আর্নেস্ট হেমিংওয়ে, হেলেন কেলার, আন্দ্রে গিদে, ভেরনার হিগেম্যান, এরিখ ক্যাস্টনার, আলফ্রেড কের, জ্যাক লন্ডন, এরিখ মারিয়া রেমার্ক, লিও তলস্তয়, ওয়ালথার রাথনেউ, কার্ল মার্ক্স, এইচ.জি.ওয়েলস প্রমুখ বিখ্যাত লেখকের বই সেদিন ভস্মীভূত হয়।
****
বাইরের পৃথিবীতে এই ঘটনা তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করে। বিভিন্ন দেশে নিন্দার ঝড় উঠে। প্রায় সকলেই এই ঘটনার জন্যে নাৎসি প্রোপাগান্ডা মন্ত্রনালয়কে দায়ী করে।
বিখ্যাত আমেরিকান লেখিকা হেলেন কেলার(তার বইগুলোও এই ভয়াবহতার শিকার) এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানান, তিনি লেখেন, "যদি তোমরা ভাব যে, মানুষের চিন্তাভাবনার উপর তোমরা রাস টেনে ধরতে পারবে তবে বলতে বাধ্য হচ্ছি, তোমরা ইতিহাস থেকে কিছুই শিখতে পারোনি। শোষণকারীরা পূর্বেও মানুষের চিন্তাভাবনাগুলোকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করতে চেয়েছিল, কিন্তু তারা পেরে উঠেনি। কাল থেকে কালান্তরে ঠিকই মানুষের মধ্যে থেকে নতুন চিন্তাধারা এবং আদর্শের সৃষ্টি হয়েছে।"
তিনি আরও লেখেন, "তোমরা আমার বইগুলো এবং সেই সাথে ইউরোপের অগণিত মেধাবী লেখকের বইগুলো পুড়িয়ে ফেলতে পার। কেউ তোমাদের বাঁধা দিবে না। কিন্তু যে আদর্শ এই বইগুলো এতদিন বহন করেছে, সেগুলো কখনো ধ্বংস হবার নয়। আমার সবচেয়ে দুঃখ লাগে এই ভেবে যে, এই জীবনে বই লিখে যত পয়সা আমি উপার্জন করেছি, সবগুলোই আমি দান করে দিয়েছি জার্মানির উদ্দেশ্যে। বিশ্বযুদ্ধ(১ম) পরবর্তী তাদের কষ্টের কথা ভেবে। তোমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্যে তোমরা কি রেখে যাচ্ছ, তা ভেবে আমার দুঃখবোধ হচ্ছে।"
****
হিটলারের ক্ষমতা গ্রহণেরও প্রায় একশত বছর পূর্বে, হাইনরিখ হাইন নামক একজন জার্মান ইহুদী কবি নিতান্ত দুঃখের সাথে বলেছিলেন, "যে সমাজে বই পুড়িয়ে ফেলা হয়, সে সমাজের মানুষগুলোর আগুনে পুড়ে মৃত্যু নিয়তি নির্ধারিত।"
****
১৯৪৫ সাল, ১ মে।
রাত ৮টা ১৫ মিনিট।
ফুয়েরার বাঙ্কারের বাগানে নিজেকে কিছুটা আড়াল করে দাঁড়িয়ে আছেন S.S Hauptsturmführer গুনথার শোয়েগারম্যান। কিছুক্ষণ পর তিনি দুটি গুলির শব্দ শুনতে পেলেন(এই বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক আছে, ফুয়েরার বাঙ্কার থেকে কয়েক বিল্ডিং দূরে সোভিয়েতরা অবস্থান করছিল। সেখানে প্রচন্ড যুদ্ধ চলছিল। এই বিষয়ে, ভবিষ্যতে অন্য কোনো পোস্টে আলোচনা হবে হয়ত।)। তিনি তাড়াতাড়ি আড়াল থেকে বের হয়ে আসেন এবং মাটিতে দুটো লাশ পড়ে থাকতে দেখেন। একটি প্রোপাগান্ডা মিনিস্টার যোসেফ গোয়েবলসের এবং অপরটি তার স্ত্রী মাগডা গোয়েবলসের। শোয়েগারম্যান তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা তার দলকে ইঙ্গিত করলেন লাশ দুটোকে তুলে নেবার।
পূর্ব পরিকল্পনা মত লাশ দুটোকে একই সাথে একটি কবরে ফেলা হল। শোয়েগারম্যান হাত কাঁপছিল। তার চেহারাটা ছিল বিষণ্ণ। তার সৈন্যরা তার পাশে দাঁড়িয়ে কয়েক ব্যারেল গ্যাসোলিন ঢেলে দিল লাশের উপর।
তেলের মজুদ শেষ হয়ে এসেছিল, যার কারণে দুটো দেহ সম্পূর্ণ পুড়িয়ে ফেলার মত তেল তাদের কাছে ছিল না। তেল ঢালা শেষ হলে সৈন্যগুলো পিছনে এসে দাড়ালো। শোয়েগারম্যান এরপর তার পকেট থেকে একটি ম্যাচ বের করে তাতে আগুন ধরালেন এবং তা নিক্ষেপ করলেন লাশগুলোর উপর।
আগুনের তেজ সইতে না পেরে তিনি পিছিয়ে আসলেন। আর ওদিকে কবরে দাউ দাউ করে জ্বলতে লাগলো গোয়েবলস দম্পতি।
প্রায় ১০০ বছর আগে করা ইহুদী কবি হাইনরিখ হাইনের দুঃখগাথা বাস্তবরূপ পেল।
****
স্মৃতিসৌধ। জার্মানির ফ্রাঙ্কফুর্টে।
ভস্মীভূত গোয়েবলস।
****
এই সিরিজের অন্যান্য পর্বগুলোঃ
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ইতিহাসঃ স্বপ্নের থার্ড রাইখ(সপ্তম পর্ব) গেস্টাপো(GeStaPo)
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ইতিহাসঃ স্বপ্নের থার্ড রাইখ(ষষ্ঠ পর্ব) The Triumph of the Will(ছবি+মুভি ব্লগ)
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ইতিহাসঃ স্বপ্নের থার্ড রাইখ(৫ম পর্ব) "হিটলার, জার্মানির ফুয়েরার"।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ইতিহাসঃ স্বপ্নের থার্ড রাইখ(৪র্থ পর্ব) operation hummingbird
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ইতিহাসঃ স্বপ্নের থার্ড রাইখ(৩য় পর্ব) the night of the long knives
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ইতিহাসঃ স্বপ্নের থার্ড রাইখ(২য় পর্ব) Hitler becomes Dictator
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ইতিহাসঃ স্বপ্নের থার্ড রাইখ(১ম পর্ব) রাইখস্টাগ অগ্নিকান্ড(The Reichstag on fire)
****
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ সম্পর্কে আমার আগের সব লেখার লিংক।
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২৯