প্রায় মাঝরাত। গভীর নিঃস্তব্ধতায় চারপাশের প্রায় সবকিছুই ডুবে আছে। মেহেদি আঁকা উন্মুক্ত দুইহাত সহ প্রায় সারা শরীরেই হলুদ রঙে মাখামাখি হয়ে রুপা এখন নিজের বিছানায় আরামে ঘুমিয়ে আছে। আজকে ওর গায়ে হলুদ হয়েছে, বিয়ে মাত্র দুইদিন পরে। সন্ধ্যা থেকেই গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান শুরু হলেও পুরো অনুষ্ঠান শেষ হতে হতে বেশ রাত হয়ে গিয়েছিল। প্রচন্ড ক্লান্ত রুপা কোনরকমে হলুদের পোষাক পরিবর্তন করে নিজের বিছানায় এখন অঘোরে ঘুমাচ্ছে। রাত তিনটার দিকে রুপা টেরও পেল না ওর ঘরের একটা মাত্র জানালা নিঃশব্দে হুট করে খুলে গেল আর হালকা ধোয়াটে একটা অবয়ব জানালা দিয়ে ভিতরে প্রবেশ করে ওর দিকে খুব ধীরে ধীরে নিঃশব্দে এগিয়ে এলো..................
এক
বিএ অর্নাস দ্বিতীয় বর্ষে পড়ার সময় রুপার পারিবারিক ভাবে রিফাতের সাথে হুট করেই বিয়েটা ঠিক হয়ে গেল। রিফাত একটা বেসরকারি ব্যাংকে ঢাকায় চাকুরী করে। রিফাতের বাবা গাজীপুরের একটা গ্রামের স্কুলের প্রধান শিক্ষক, পরিবার নিয়ে থাকেনও সেখানেই। দুই বোন এক ভাইয়ের মধ্যে রিফাতই বড়। রুপা'রা তিনবোন। বড় দুইবোনের আগেই বিয়ে হয়ে গিয়েছিল। রুপার বাবার অবস্থা বেশ ভালো। অবস্থাপন্ন গৃহস্থ পরিবার। দিনাজপুরের বিরামপুর এলাকাতে অনেক জায়গা জমি আছে। এছাড়াও পৈত্রিক সূত্রে আম, কাঠাল আর লিচুর বিশাল একটা বাগান পেয়েছে রুপার বাবা।
রুপার সাথে রিফাতের বিয়ে হলো রুপার গ্রামের বাড়িতেই। বাবার সবচেয়ে আদরের মেয়ে রুপা। তাই বিয়েতে বিশাল হুলস্থুল অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল রুপার বাবা। বিয়ের পর বাসর রাতেই রুপার সাথে রিফাতের প্রথমবারের মতো অনেকক্ষন কথাবার্তা হলো। এর আগে যখন প্রথমবারের মতো রুপাকে দেখতে এসেছিল রিফাত, তখন লজ্জায় রুপা কথাই বলতে পারে নি। আজকে তাই মন খুলে জড়তা কাটিয়ে অনেকক্ষন গল্প করল দুইজন। কথাবার্তা শেষ করে দুইজনই যখন ঘুমাতে গেল তখন প্রায় রাত তিনটা বাজে। কিছুক্ষণ পরেই হঠাৎ নূপুরের রিনঝিন শব্দে রুপার ঘুম ভেঙ্গে গেল। রিফাত রুপাকে জড়িয়ে ধরে অঘোরে ঘুমাচ্ছে। মাথার কাছের খোলা জানালা দিয়ে আসা ঝকমকে চাঁদের আলোতে সারা বাসরঘর আলোকিত হয়ে আছে। কিন্তু তারপরও রুপার মনে হলো ঘরের ডানদিকের একটা কোনা কেমন যেন কিছুটা অন্ধকার অন্ধকার লাগছে! মাথার কাছের জানালাটাও কেমন যেন হা হয়ে খুলে আছে! একটু অবাকই হলো রুপা, যতদূর ওর মনে পড়ে, এই জানালা তো লাগানোই ছিল। বাসর ঘরে কে কোন দিক দিয়ে উঁকি দিবে, এই ভয়ে রুপার মেঝবোন ঘরের একটা মাত্র জানালা রুপার সামনে বেশ ভালোভাবেই বন্ধ করে দিয়েছিলেন। হয়ত কোন একভাবে খুলে গেছে ভেবে, রুপা খুব সাবধানে রিফাতের হাত ওর গায়ের উপর থেকে সরিয়ে উঠে বসে জানালাটা আবার ভালো করে বন্ধ করে দিয়ে রিফাতের কাছে এসে ঘুমিয়ে পড়ল। ভীষন ঘুমে কাতর রুপা খেয়ালও করল না, ওর দুইপায়ের নূপুর এখন আর ওর পায়ে নেই, বাসরঘরের মেঝেতে নিঃশব্দে নেচে বেড়াচ্ছে!
দুই
বিয়ের পাঁচদিন পরে রিফাত রুপাকে রেখে ঢাকায় চলে এলো বাসা ভাড়া করার জন্য। বিয়ের আগে রিফাত মেসে থাকত, রুপাকে নিয়ে তো আর মেসে উঠতে পারবে না। বাসা ভাড়া করেই সদ্য বিবাহিত বৌকে ঢাকায় নিয়ে যাবে ও। ঐদিন দুপুরবেলা রিফাত যখন চলে গেল, রুপার মন খুব খারাপ হয়ে গেল। মাত্র অল্প কয়েকদিনে কিভাবে কিভাবে যেন গভীর একটা টান তৈরি হয়ে গিয়েছিল রিফাতের জন্য। রিফাত চলে যাবার পর তাই খুব নিঃসঙ্গ লাগতে শুরু করলো রুপার। রাতেরবেলা একা ঘুমাতে যেয়ে আবার মন খারাপ হলো। এই কয়টা দিন রিফাত কি সুন্দর করে ওকে জড়িয়ে ধরে ঘুমাতো। অথচ আজকে ওকে একদম একা ঘুমাতে হবে, আজকে কি সহজে ঘুম আসবে ওর? বড় একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে তবুও ঘুমাতে গেল রুপা। মধ্যরাতের দিকে যখন রুপা কিছুটা তন্দ্রাচ্ছন্ন হলো, ঠিক তখনই ঘরের ভিতরে হাল্কা মিষ্টি একটা অদ্ভুত ঘ্রাণ পেল ও, অনেকটাই কর্পূরের মতো। ঠিক সেই মুহূর্তেই ঘরের ভিতরে অজানা কোন এক ভাষায় কেউ কিছু খুব মৃদুস্বরে আবৃত্তি করতে শুরু করল। রুপার ঘুম ভেঙ্গে গেল, বিছানায় উঠে বসে কান খাড়া করে শুনার চেস্টা করলো কে কি পড়ছে? কিন্তু সেটা পরিচিত কোন ভাষার সাথেই সেটা ও মিলাতে পারলো না। অল্প কিছুক্ষন পরেই আবার সবকিছু নিঃস্তব্ধ হয়ে গেল। একটু পরেই কিভাবে যেন রুপার দুই চোখে জোর করে প্রচন্ড ঘুমের আবেশ নেমে আসল, শত চেস্টাও চোখ খোলা রাখতে পারল না রুপা!
তিন
পনেরদিন পরে ঢাকার পুর্ব রাজাবাজারে বাসা ভাড়া করে রুপাকে নিয়ে এসেছে রিফাত। বিয়ের পর নতুন সংসার গুছিয়ে দিতে রুপার শ্বাশুড়িও ঢাকায় চলে এসেছেন। দুপুরবেলা খাওয়া দাওয়ার পর শ্বাশুড়ি চলে গেলেন নিজের ঘরে রেস্ট নিতে আর রুপা নিজের ঘরে বিছানায় শুয়ে পড়ল ঘুমানোর জন্য। বেলা বাজে প্রায় দুপুর তিনটার মতো। দুইতলা বিল্ডিংয়ের নীচের তলার একটা ফ্ল্যাট ভাড়া করেছে রিফাত। দক্ষিনমুখী বাসা দেখে ঘরের ভিতর প্রচুর আলো বাতাস আসে। রুপা ঘুমানোর আগে দুইটা জানালার মোটা পর্দা ভালোমতো টেনে ঢেকে দিয়ে আসল। ঘর কিছুটা অন্ধকার হতেই বিছানায় শুয়ে চোখ বন্ধ করে শুয়ে পরলো রুপা। সহসাই রুপার চারপাশ নিঃস্তব্ধ হয়ে আসে। হুট করেই কিছু একটা যেন ওর বুকের উপর জোর করে চেপে বসল, ভালোমতো নিঃশ্বাসও নিতে পারছে না এখন রুপা। কার কাছে যেন শুনেছিল এটাকে বোবায় ধরা বলে, কিন্তু ওর তো এই ধরনের সমস্যা আগে কখনই হয় নি। নিজেকে ছুটানো জন্য নড়াচড়া করতেই রুপার মনে হলো জিনিসটার সারা গায়ে বেশ বড় বড় ঘন লোম ভর্তি। লোমগুলি অনেকটা বিড়ালের লোমের মতো নরম তুলতুলে। আতঙ্কে রুপার প্রায় বাকরূদ্ধ অবস্থা। প্রচন্ড ভয়ে অনেক চেস্টার পর চোখ খুলে রুপা দেখে, ধবধবে সাদা রঙ্গের কাপড় পড়ে একটা কিছু ওর উপরে, জিনিশটা এতই লম্বা যে এর নীচের দিকের শেষ অংশ রুপা কিছুতেই দেখতে পারছিল না। হঠাৎই সেই জিনিশটা অনেক জোরে রুপার গলা চেপে ধরল। আপ্রাণ চেস্টা করেও গলা থেকে জিনিসটার হাতের মতো অংশগুলি রুপা ছাড়াতে পারছে না। রুপার শরীরের সবশক্তি আস্তে আস্তে কমে আসছে। কোনোমতে শরীরের বাকি সবশক্তি জোগার করে রুপা শেষ একটা চিৎকার দিয়েই জ্ঞান হারিয়ে ফেলল।
রুপার জ্ঞান ফিরল অনেক পরে। ততক্ষনে রিফাত মায়ের কাছে খবর পেয়ে বাসায় চলে এসেছে। পালা করে মা আর ছেলে মিলে রুপার মাথায় পানি ঢালছে। চোখ খুলে ভয়ার্ত দৃষ্টিতে রিফাতকে দেখে রুপার ভয় কিছুটা কমে আসল। রিফাত ওকে ধরে কোন রকমে বসিয়ে দিতেই রুপা কাঁপা কাঁপা গলায় কি ঘটনা ঘটেছে সেটা বলে গেল। ফিজিক্সের মাস্টার্স করা রিফাত এইসব আজগুবি ঘটনা কোনভাবেই বিশ্বাস করলো না। তবে রিফাতের মায়ের মুখ সাথে সাথেই কালো হয়ে গেল, এগিয়ে এসে রুপার খুব কাছে বসে এর আগে এই ধরনের আর কোন ঘটনা কিংবা ছোটবেলায় কখনও কোন কিছু দেখে ভয় পেয়েছিল কিনা ভালোমতো জিজ্ঞেস করল। রুপা বিয়ের পরের কয়েকটা ঘটনা যখন উল্লেখ করল, রিফাত হেসে সেইসব ঘটনা উড়িয়ে দিতে চাইলেও রিফাতের মা কঠিন ধমক দিয়ে রিফাতকে চুপ করিয়ে দিল। তারপর রিংটোন বেজে উঠলে মোবাইলের কল ধরার জন্য উনি রুম থেকে বাইরে চলে গেলেন।
চার
সেইদিনের পর থেকেই রুপার সাথে রিফাতের সর্ম্পক অকারণেই দ্রুত খারাপ হতে শুরু করলো। বিয়ের পর থেকে কখনই ঝগড়াঝাটি না হলেও এখন মাঝে মধ্যেই শুরু হয়ে যায়। একদম অকারণে রিফাত রাগারাগি করা শুরু করে। অযথাই রুপার সাথে বাজে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে। এদিকে রিফাতের মা ফিরে গেছেন নিজের বাসায়। দিনেরবেলা বাসায় একা একা বেশ ভয়ও লাগে রুপার, কিন্তু রিফাতের সাথে কথা বলে যে সেটা বুঝাবে সেই উপায়ও নেই। রিফাত এইসব কিছু্তেই বিশ্বাস করে না। মাঝে মাঝে রুপার প্রচন্ড শ্বাসকষ্টও শুরু হয়। তখন সমস্ত শরীর দাউ দাউ করে জ্বলতে থাকে, অনেকটাই যেন মরিচের গুড়া লাগিয়ে দিলে যেমন জ্বলে সেইরকম। শরীরের অসহ্য জ্বালা যন্ত্রণা কমানোর জন্য রুপা বাথরুমে যেয়ে হ্যান্ড শাওয়ারের কল খুলে এর নীচেই বসে থাকে, কতক্ষণ ও নিজেও বলতে পারবে না। শরীরে ঠান্ডা পানি লাগলে কিছুটা ভালো অনুভূতি হয় রুপার।
ধীরে ধীরে রুপার অবস্থা আরও খারাপ হতে লাগলো। এখন রাতে রুপা ঠিক মতো ঘুমাতেও পারে না। প্রায়ই রাতেরবেলা ভয়ংকর দুঃস্বপ্ন দেখে চিৎকার করে ঘুম থেকে উঠে বসে। জিজ্ঞেস করলে বলে চোখের সামনে ভয়ংকর হিংস্র জন্তু জানোয়ারকে দেখে ওকে মেরে ফেলতে আসছে। কেন যেন রিফাতকেও এখন আর সহ্যই করতে পারে না রুপা। ইদানিং প্রায় সবসময়ই মাথা প্রচন্ড ধরে থাকে রুপার। ডাক্তার দেখিয়েও কোন লাভ হয়নি, কোন ঔষধই কাজ করে না। যতক্ষন রিফাত বাসায় থাকে না, ততক্ষন রুপা কিছুটা ভালো থাকে কিন্তু রিফাত অফিস থেকে বাসায় ফিরলেই ওর শরীরে প্রচন্ড অস্থিরতা শুরু হয়ে যায়।
কোন এক অজানা কারণে রিফাত আর রুপার মধ্যে স্বাভাবিক শারীরিক সর্ম্পক একদম বন্ধ হয়ে গেল। বিয়ের মাত্র দেড়মাস হয়েছে অথচ এত তাড়াতাড়ি দুইজনই এর প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলল। রিফাত ইচ্ছে করেই রাতে অনেক দেরি করে ঘুমাতে আসে। রুপার গায়ের সাথে গা লাগলে সাথে সাথেই ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দেয়। রুপাকেও দূরে সরে ঘুমাতে বলে। রুপার নিজেরও শারীরিক অবস্থা প্রায় সারামাসই খারাপ থাকে, কোন পুরুষের কাছে আসার উপযুক্ত নয়।
এতদিন এইসব বিশ্বাস না করলেও, বিয়ের ঠিক দুইমাস বিশদিন পরে রিফাত এবার হতবিহবল হয়ে নিজের মাকে সবকিছু বিস্তারিতভাবে খুলে বলে, রুপাকেও মোবাইলটা ধরিয়ে দেয় কথা বলার জন্য। শ্বাশুড়িকে ফোনে পেয়ে রুপা কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে, হাউমাউ করে কাদঁতে কাঁদতে কি ভয়ংকর যন্ত্রণা আর কষ্টের মধ্যে দিয়ে দিন কাটাচ্ছে সেইগুলি জানালো। রিফাতের মা সবকিছু শুনে খুব রাগ করলেন, পরিস্থিতি যে এতই খারাপ হয়ে গেছে সেটা কেন উনাকে আরও আগে জানায় নি দেখে দুইজনকে ইচ্ছেমতো বকা দিলেন। বকাঝকা শেষ হবার পর ওদেরকে দুই বা তিনদিন অপেক্ষা করতে বললেন।
পাঁচ
ঠিক তিনদিন পরে, বৃহস্পতিবার বিকালবেলা রিফাতের বাসায় একজন অপরিচিত ব্যক্তি এসে হাজির হলেন। বয়স্ক লোক। তবে কথাবার্তা খুব মার্জিত। উনি নিজেই জানালেন যে রিফাতের মা উনাকে পাঠিয়েছেন আর ইতিমধ্যেই রুপার ব্যাপারে প্রায় সবকিছুই জেনে এসেছেন। রিফাত মায়ের কাছে ফোন করে কনফার্ম হলো, ওর মা এই ভদ্রলোক’কে ওদের বাসায় পাঠিয়েছেন। রিফাতের মা খুব ভালো করে রিফাত আর রুপাকে বলে দিলেন কি কি করতে হবে।
ভদ্রলোক অনেকদূর থেকে এখানে আসার কারণে খুব ক্লান্ত হয়ে পড়েছেন। একটা বিছানা চাইলেন ঘুমানোর জন্য। রুপা খাবারের ব্যবস্থা করলে উনি গোছল করে এসে খেয়েদেয়ে বড় করে একটা ঘুম দিলেন। ঘুমানোর আগে জানিয়ে দিলেন, ঘুম থেকে উঠে রুপার সাথে কথা বলেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবেন।
চারঘন্টা পরে ঘুম থেকে উঠে উনি হাত-মুখ ধুয়ে, রাত এগারোটার সময় রুপার বেডরুমেই রুপার আর রিফাতের সাথে কথা বলতে বসলেন। সব কিছু শুনার পর দুইজনকেই রুম থেকে বের হয়ে যেতে বলে সেখানেই সাধনায় বসলেন।
বেশ কিছুক্ষন পরেই রুপা রুপা বলে বেডরুম থেকে অদ্ভুত গুরুগম্ভীর একটা নিনাদ শুনে রিফাত আর রুপা দৌড়ে বেডরুমে যেয়ে ঢুকলো……
পূনশ্চঃ সত্য ঘটনা অবলম্বনে বেশিরভাগ অংশই লেখা হয়েছে। শুধু গল্প লেখার প্রয়োজনে নাম-স্থান-কাল কিছুটা পরিবর্তন করে দেয়া হয়েছে।
সবাইকে ধন্যবাদ ও শুভ কামনা রইল।
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত@ নীল আকাশ, নভেম্বর ২০১৯
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:১৭