somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

এদেশে মেইনস্ট্রিম আর্ট এর দিশাহীনতার কারণ

০৯ ই জুন, ২০২০ সকাল ১১:১৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



ইউরোপ-আমেরিকার আর্ট তো আমিও করি। কারণ আর্ট সভ্যতার জিনিস, সমাজের না। ফলে যা দিয়া প্রভাবিত হই, যা আমার ভালো লাগে, আমার আর্টও তাই হবে।

কিন্তু এখানে যারা আপনারা আর্ট ইনস্টিটিউট ও নামকরা ও আধা নামকরা স্কুলগুলি থেকে আর্ট টিচারদের বরাতে আর্ট শিখছেন আপনারা বেশিরভাগই (বিনয় কইরা বললাম বেশিরভাগ, আসলে প্রায় সবাই) আর্টিস্ট হিসাবে মাইনর আর্টিস্ট।

মানে তেমন আর্টিস্ট হন নাই আপনারা। ছবি যে আঁকেন তা অস্বীকার করতেছি না।

কেবলই পারমুটেশন কম্বিনেশন চালাইতেছেন।

সত্যিকার অর্থে ইউরোপ-আমেরিকার পুরানো আর্টের নকল আপনারা।

অর্থাৎ ইউরোপ-আমেরিকাও হইয়া উঠতে পারেন নাই।

দুঃখ এইটাই। ইউরোপ-আমেরিকা তাদের আর্টরে একটা পর্যায়ে নিয়া গেছে। কেবলই নকল না কইরা তাদেরই গ্রামারে তাদেরকে টেক্কাও দিতে পারতেন আপনারা।

অন্তত আপনাদের কিছু বড় আর্টিস্ট, যারা বাধ্য ছাত্রের মতো ইউরোপ-আমেরিকার নির্ভেজাল নকলই করতে আছেন, তারা তো এই রকমটি করতে পারতেন। এই টেক্কা দেওয়াটি।

তা কেমনে পারবেন, তাদের উপ্রে আর্টের লগে ঐতিহ্যের দায়ও চাপাইছে আপনাদের আর্ট স্কুল, আর্ট সোসাইটি ও টিচাররা।

কিন্তু কীভাবে ঐতিহ্যের সাপোর্ট আর পরের আর্টের সম্ভাররে নিজের মধ্যে আত্মস্থ করতে হয় তা তো আপনাদের টিচাররা নিজেরাই জানে না, কেমনে শিখাবে?

যদি জানে ও আপনাদের শিখাইছে তাইলে বলেন কী হইতে পারে পরের আর্ট ও নিজের ঐতিহ্যের মিলমিশের সূত্রটি?

আমারে গাইল দেওয়া সহজ, সূত্রটি বলা কঠিন আছে।

এরা স্টাইল লয় ইউরোপ-আমেরিকার, আর সাবজেক্ট দেশী ও ভারতীয়। সহজ মিশ্রণ পদ্ধতি।

ফলে যা হওয়ার তাই হয়। রিপিটেশনের গারবেজ উৎপাদিত হয়।

উপলব্ধি আসার আগেই হাতের ডগায় আর্ট আইসা যায় আপনাদের। কারণ অন্যের আর্ট যেগুলি দেখছেন, ইন্টারনেটে, ফিন্টারনেটে, গ্যালারিতে, ট্যালারিতে ওগুলিই আপনাদের সাবজেক্ট।

যেই আর্ট আর্ট হইয়া বইসা আছে তা থিকা তার চাইতে বেটার আর্ট কেমনে বাইরাবে?

তাই ফটোকপিই হয়, আরো ফটোকপি হবে।

তবে, আপনারা বিভিন্ন আর্ট স্কুল ও ইনস্টিটিউটে যারা আছেন, তারা যেহেতু সংখ্যায় অনেক, তাই একের আর্ট অন্যে ভালো বলবেন অবশ্যই, ১০ দিন ধইরা বলবেন, ১০০ দিন ধইরা বলবেন, এবং এই কালচার খারাপ না অবশ্যই।

৯/৬/২০২০
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই জুন, ২০২০ সকাল ১১:১৯
৫টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ধর্ম ও বিজ্ঞান

লিখেছেন এমএলজি, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:২৪

করোনার (COVID) শুরুর দিকে আমি দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহবান জানিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম, যা শেয়ার হয়েছিল প্রায় ৩ হাজারবার। জীবন বাঁচাতে মরিয়া পাঠকবৃন্দ আশা করেছিলেন এ পোস্ট শেয়ারে কেউ একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

তালগোল

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫


তু‌মি যাও চ‌লে
আ‌মি যাই গ‌লে
চ‌লে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফু‌রা‌লেই দি‌নের আ‌লোয় ফর্সা
ঘু‌রেঘু‌রে ফি‌রে‌তো আ‌সে, আ‌সে‌তো ফি‌রে
তু‌মি চ‌লে যাও, তু‌মি চ‌লে যাও, আমা‌কে ঘি‌রে
জড়ায়ে মোহ বাতা‌সে ম‌দির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

মা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩


মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।

অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১৮



একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতকে জানতে হবে কোথায় তার থামতে হবে

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪৫


ইন্ডিয়াকে স্বপ্ন দেখানো ব্যাক্তিটি একজন মুসলমান এবং উদার চিন্তার ব্যাক্তি তিনি হলেন এপিজে আবুল কালাম। সেই স্বপ্নের উপর ভর করে দেশটি এত বেপরোয়া হবে কেউ চিন্তা করেনি। উনি দেখিয়েছেন ভারত... ...বাকিটুকু পড়ুন

×