শুধুমাত্র একটি বিষয় কেন্দ্রিক ভাবনা ও চিন্তাই এটেনশন। বাংলায় মনোযোগ। সবাই জানি। আধুনিক সমাজে বলা হয় 'ফোকাসড থাকা'। ফোকাসড থাকো, গোল ওরিয়েন্টেড থাকো। মানে তো দাঁড়ায় এটেনশনটা স্পেসিফিক। আপনি আমার লেখা এই যে মনোযোগ দিয়ে পড়ছেন আর ভাবছেন, শেষে আমি কি দাঁড় করাতে যাচ্ছি এটাই তো। এওয়ারনেসটা কি তাহলে? আমার এই লেখা পড়ার সময়ে, একই সময়েই আপনি আজকের দিনের ব্লগের অন্য লেখাগুলো নিয়েও সচেতন। আপনার এই মনের একটা অংশ আমার লেখাটিকে আজকের অন্য লেখাগুলোর সাথে তুলনা করছে। তো কি হচ্ছে? আপনি পড়ছেন, আমার কথা মনোযোগ দিয়ে বুঝতে চেষ্টা করছেন, একই সাথে সামগ্রিকভাবে আমায় তুলনা করছেন। শেষেরটা এওয়ারনেস। সচেতনতা। আজকাল যাকে অনেকসময় মাইন্ডফুলনেসও বলা হয়।
শুধুমাত্র এটেনশন দিয়েই আপনি প্রতিদিনের কাজ করতে পারবেন না। অতোটা মানসিক শক্তি আমাদের নেই। কোন মানুষের নেই। তাহলে? বিধাতা ও এডাপটেশন আমাদের আরেকটি অস্ত্র দিয়েছেন। এওয়ারনেস। মাইন্ডফুলনেস। রিফ্লেক্স। উপস্থিত চিন্তা। যাই বলুন না কেন। এই হলিস্টিক এপ্রোচের কারণে প্রতিদিনের সব কাজে আমাদের একই মনোযোগ দিতে হয় না।
এই পর্যায়ে এসে অনেকেই একটু দ্বিধাগ্রস্ত পোস্টের বিষয়ে? আবার কি হল? দ্বিধা শব্দটা যে পড়লেন, দ্বিধায় পড়তে কি মনোযোগ দিতে হয়েছে? মনে হয় না। ভেবে দেখুন প্রতিদিন মনোযোগ দিয়ে যদি প্রতিটি অনুভূতি প্রকাশ করতে হতো কেমন হতো ব্যাপারটা?
একটু সহজ করা যায় না? ধরুন আপনি রাস্তায় হেঁটে যাচ্ছেন। সাথে আপনার তিন বছরের পরী মেয়েটা। হাত ধরে একদম ওয়াকওয়ে ধরে হেঁটে যাচ্ছেন দুজন। এটা ব্যস্ততম দিন। হঠাৎ রাস্তায় আপনার আগের অফিসের কলিগের সাথে দেখা হয়ে গেল। হাত মেলাতে গিয়ে আর উচ্ছ্বাসে ( বানিয়ে বললাম) মেয়েকে ধরা হাতটা ছেড়ে দিলেন। কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে মেয়েটা পাশের রাস্তায় নেমে গেল। গাড়ি আসছে অন্য পাশ থেকে।
আপনি কার উপর দোষ দিবেন? এটেনশন? না। এওয়ারনেস। আপনি মুহূর্তের মধ্যে ছুটে গিয়ে রাস্তায় গাড়ির সামনে থেকে মেয়েকে তুলে নিলেন। রিফ্লেক্স। আবারও এওয়ারনেস!
পুরো জীবনটাতে প্রতিটা ক্ষেত্রে এওয়ারনেস ছাড়া শুধুমাত্র এটেনশন আপনাকে লুজার করতে পারে। এটেনশন ছাড়া শুধুমাত্র এওয়ারনেস আপনাকে লুজার করতে পারে। জীবন মানে তো দুটোর ইন্টারপ্লে। তাই না, কি বলেন?
ভিডিও কৃতজ্ঞতা - ইউটিউব। খুব পছন্দের ব্যাকগ্রাউন্ড থিম।ছবি - গুগল।
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই জুন, ২০২৩ দুপুর ২:৪৫