somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

এটেনশন ও এওয়ারনেসের মধ্যকার ব্যালেন্স নিয়ে আপনার ভাবনা কি?

৩১ শে মার্চ, ২০২১ রাত ১১:৪৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

শুধুমাত্র একটি বিষয় কেন্দ্রিক ভাবনা ও চিন্তাই এটেনশন। বাংলায় মনোযোগ। সবাই জানি। আধুনিক সমাজে বলা হয় 'ফোকাসড থাকা'। ফোকাসড থাকো, গোল ওরিয়েন্টেড থাকো। মানে তো দাঁড়ায় এটেনশনটা স্পেসিফিক। আপনি আমার লেখা এই যে মনোযোগ দিয়ে পড়ছেন আর ভাবছেন, শেষে আমি কি দাঁড় করাতে যাচ্ছি এটাই তো। এওয়ারনেসটা কি তাহলে? আমার এই লেখা পড়ার সময়ে, একই সময়েই আপনি আজকের দিনের ব্লগের অন্য লেখাগুলো নিয়েও সচেতন। আপনার এই মনের একটা অংশ আমার লেখাটিকে আজকের অন্য লেখাগুলোর সাথে তুলনা করছে। তো কি হচ্ছে? আপনি পড়ছেন, আমার কথা মনোযোগ দিয়ে বুঝতে চেষ্টা করছেন, একই সাথে সামগ্রিকভাবে আমায় তুলনা করছেন। শেষেরটা এওয়ারনেস। সচেতনতা। আজকাল যাকে অনেকসময় মাইন্ডফুলনেসও বলা হয়।

শুধুমাত্র এটেনশন দিয়েই আপনি প্রতিদিনের কাজ করতে পারবেন না। অতোটা মানসিক শক্তি আমাদের নেই। কোন মানুষের নেই। তাহলে? বিধাতা ও এডাপটেশন আমাদের আরেকটি অস্ত্র দিয়েছেন। এওয়ারনেস। মাইন্ডফুলনেস। রিফ্লেক্স। উপস্থিত চিন্তা। যাই বলুন না কেন। এই হলিস্টিক এপ্রোচের কারণে প্রতিদিনের সব কাজে আমাদের একই মনোযোগ দিতে হয় না।

এই পর্যায়ে এসে অনেকেই একটু দ্বিধাগ্রস্ত পোস্টের বিষয়ে? আবার কি হল? দ্বিধা শব্দটা যে পড়লেন, দ্বিধায় পড়তে কি মনোযোগ দিতে হয়েছে? মনে হয় না। ভেবে দেখুন প্রতিদিন মনোযোগ দিয়ে যদি প্রতিটি অনুভূতি প্রকাশ করতে হতো কেমন হতো ব্যাপারটা?

একটু সহজ করা যায় না? ধরুন আপনি রাস্তায় হেঁটে যাচ্ছেন। সাথে আপনার তিন বছরের পরী মেয়েটা। হাত ধরে একদম ওয়াকওয়ে ধরে হেঁটে যাচ্ছেন দুজন। এটা ব্যস্ততম দিন। হঠাৎ রাস্তায় আপনার আগের অফিসের কলিগের সাথে দেখা হয়ে গেল। হাত মেলাতে গিয়ে আর উচ্ছ্বাসে ( বানিয়ে বললাম) মেয়েকে ধরা হাতটা ছেড়ে দিলেন। কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে মেয়েটা পাশের রাস্তায় নেমে গেল। গাড়ি আসছে অন্য পাশ থেকে।

আপনি কার উপর দোষ দিবেন? এটেনশন? না। এওয়ারনেস। আপনি মুহূর্তের মধ্যে ছুটে গিয়ে রাস্তায় গাড়ির সামনে থেকে মেয়েকে তুলে নিলেন। রিফ্লেক্স। আবারও এওয়ারনেস!


পুরো জীবনটাতে প্রতিটা ক্ষেত্রে এওয়ারনেস ছাড়া শুধুমাত্র এটেনশন আপনাকে লুজার করতে পারে। এটেনশন ছাড়া শুধুমাত্র এওয়ারনেস আপনাকে লুজার করতে পারে। জীবন মানে তো দুটোর ইন্টারপ্লে। তাই না, কি বলেন?

ভিডিও কৃতজ্ঞতা - ইউটিউব। খুব পছন্দের ব্যাকগ্রাউন্ড থিম।ছবি - গুগল।
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই জুন, ২০২৩ দুপুর ২:৪৫
২৩টি মন্তব্য ১৭টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শোকের উচ্চারণ।

লিখেছেন মনিরা সুলতানা, ২৬ শে জুলাই, ২০২৪ সকাল ১০:১৬

নিত্যদিনের জেগে উঠা ঢাকা - সমস্তরাত ভারী যানবাহন টানা কিছুটা ক্লান্ত রাজপথ, ফজরের আজান, বসবাস অযোগ্য শহরের তকমা পাওয়া প্রতিদিনের ভোর। এই শ্রাবণেও ময়লা ভেপে উঠা দুর্গন্ধ নিয়ে জেগে... ...বাকিটুকু পড়ুন

যা হচ্ছে বা হলো তা কি উপকারে লাগলো?

লিখেছেন রানার ব্লগ, ২৬ শে জুলাই, ২০২৪ দুপুর ১:২৮

৫ হাজার মৃত্যু গুজব ছড়াচ্ছে কারা?

মানুষ মারা গিয়েছে বলা ভুল হবে হত্যা করা হয়েছে। করলো কারা? দেশে এখন দুই পক্ষ! একে অপর কে দোষ দিচ্ছে! কিন্তু... ...বাকিটুকু পড়ুন

আন্দোলনের নামে উগ্রতা কাম্য নয় | সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যবাদকে না বলুন

লিখেছেন জ্যাক স্মিথ, ২৬ শে জুলাই, ২০২৪ বিকাল ৫:২৭



প্রথমেই বলে নেয়া প্রয়োজন "বাংলাদেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করার সমস্ত অপচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে" ধীরে ধীরে দেশে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে আসছে। ছাত্রদের কোটা আন্দোলনের উপর ভর করে বা ছাত্রদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

কোন প্রশ্নের কি উত্তর? আপনাদের মতামত।

লিখেছেন নয়া পাঠক, ২৬ শে জুলাই, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১৬

এখানে মাত্র ৫টি প্রশ্ন রয়েছে আপনাদের নিকট। আপনারা মানে যত মুক্তিযোদ্ধা বা অতিজ্ঞানী, অতিবুদ্ধিমান ব্লগার রয়েছেন এই ব্লগে প্রশ্নটা তাদের নিকট-ই, যদি তারা এর উত্তর না দিতে পারেন, তবে সাধারণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

চাকুরী সৃষ্টির ব্যাপারে আমাদের সরকার-প্রধানরা শুরু থেকেই অজ্ঞ ছিলেন

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৬ শে জুলাই, ২০২৪ রাত ৯:০৭



আমার বাবা চাষী ছিলেন; তখন(১৯৫৭-১৯৬৪ সাল ) চাষ করা খুবই কষ্টকর পেশা ছিলো; আমাদের এলাকাটি চট্টগ্রাম অন্চলের মাঝে মোটামুটি একটু নীচু এলাকা, বর্ষায় পানি জমে থাকতো... ...বাকিটুকু পড়ুন

×