১)এন্টি বায়োটিক রেজিস্ট্যান্সের মতো বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করতে হলে আগে জানতে হবে দেশে এন্টিবায়োটিক রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের বাইরে কারা প্রেস্ক্রাইব করছেন? কেন করছেন? কেন ফার্মেসীগুলোতে ওভার দ্যা কাউন্টার ড্রাগের মতোই এন্টিবায়োটিক বিক্রি হচ্ছে? দিবস পালন করা ও সভা সেমিনার প্রেজেন্টেশন ছাড়া সরকারের মাঠ পর্যায়ে কোন পদক্ষেপ আছে কিনা এটি নিয়ে?
কেউ কি এই বিষয়গুলো সম্পর্কে মাঠ পর্যায়ের বিস্তারিত রিপোর্ট মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে পৌঁছাবেন? উন্নত ও উন্নয়নশীল দেশগুলো অনেক আগে থেকেই, অন্তত বিশ বছর আগে থেকেই এ বিষয়ে সচেতন ও ওয়াকিবহাল। মনে হচ্ছে আমাদের দেরীতে হলেও, অন্যদের জানানোর চেয়ে বরং আমাদেরই নিজেদের সচেতন হওয়াটাই এখন বেশী দরকারি। অন্যরা অনেক এগিয়ে গেছে এই বিষয়ে।
২) আমার বিশ বাইশ বছর বয়সী কাজিন। ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ছে। ওর গুগল করে নিজের রোগ নিজে ডায়াগনোসিস করার একটা অভ্যাস আছে। বোধকরি, অনেকবার এন্টিবায়োটিকও খেয়েছে অহেতুক। কয়েকমাস আগে একটা এবসেস হিল হতে দেরী হওয়ায় আমরা ওর এন্টিবায়োটিক সেন্সিটিভিটি টেস্ট করি, দেখা গেলো পেনিসিলিন, সেফালোস্ফোরিন সবই তার শরীরে কোন কাজ করতে পারছে না, মানে রেজিস্ট্যান্ট৷
কোভিডের মতোই বড় বিপদ এন্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স। কোন সন্দেহ নেই।
নিয়ে যাওয়ার মতো দুটো পয়েন্ট - এন্টিবায়োটিক নিয়ে সচেতন হওয়া উচিত। গুগলকে চিকিৎসকের বিকল্প ভাববেন না।
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই জুন, ২০২৩ দুপুর ২:৪২