somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

প্রকাশিতব্য ‘কফিন’ উপন্যাসের পাণ্ডুলিপি থেকে...

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২২ দুপুর ১২:১৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



‘হ্যালো’
‘হ্যালো। কেমন আছেন?’
‘কে বলছেন আপনি?’
‘আরে আমি। আমাকে চিনতে পারছেন না?’
‘আমি! আমি কে? আমি আপনাকে চিনতে পারছি না।’
‘এই তো মানুষ! এমন করেই মানুষ মানুষকে ভুলে যায়..’
‘আগে তো বলুন আপনি কে! তারপর বুঝতে পারা যাবে মানুষ কেমনে কি ভুলে যায়।’
‘দুদিন আগেও যার সাথে...’
ফোনের অপর প্রান্ত থেকে নারীকণ্ঠ বাক্যটি শেষ করলো না। আমি যা বোঝার বুঝে গেলাম। আমার চিনতে সমস্যা হলো না। আমি হেসে বললাম, ‘ও আপনি! টি এন্ডটি থেকে ফোন দিয়েছেন। বাট এটা যে আপনার নম্বর সেটা তো জানতাম না..’
ফোনের অপর প্রান্ত থেকেও হাসির শব্দ আসলো। সে বলল, ‘মাত্র দু’দিন আগে যার সাথে এতটা আলাপ হলো, তার কণ্ঠস্বরটাও যে এতো তাড়াতাড়ি মানুষ ভুলে যেতে পারে সেটা ভাবতে পারিনি। তাহলে ফোন করেই বলতাম, হ্যালো আমি অমুক!’ শেষ করে তিনি আবার হাসলেন।
আমি কী করবো বুঝতে পারছিলাম না। রাত সাড়ে এগারোটার মতন বাজে। কেবল বাসায় ঢুকেছি। শরীরে সারাদিনের ক্লান্তি। তার উপর এখন খেতে হলে রান্না করতে হবে। আর রান্না করে খেতে খেতে কমপক্ষে রাত একটা তো বাজবেই। কিন্তু মহিলার কণ্ঠ শুনে মনে হচ্ছে সে বেশ রিলাক্স মুডে আছে। আয়েশী ভঙ্গিতে বললেন, ‘ কি বিরক্ত করলাম না তো!’
আমি ভদ্রতা করে বললাম, ‘না ঠিক তা নয়। কেবল বাসায় ফিরলাম তো। একটু ক্লান্ত। বোঝেন তো সারা দিন বাইরে থেকে এসে আবার নিজের রান্না করে খেতে হয়। তিনি সম্ভবত একটু বিব্রত হলেন। বললেন, ‘ওহ। তাহলে কি রেখে দিই!’ মুখে ফোন রাখার কথা বললেন ঠিকই কিন্তু ফোন রাখার মতো কোনো চেষ্টা টের পেলাম না। আমি আরো ভদ্রতা দেখিয়ে উদার-রাজা হয়ে গেলাম। বললাম, ‘না না ঠিক তা নয়। একদিন না হয় একটু দেরি করেই খেলাম।’
‘আপনি চাইলে কিন্তু আমার বাসায় আসতে পারেন।’
‘কেন? কেন?’
‘কেনো আবার! ডিনার করতে।’
তিনি আবার হাসলেন। আমিও হাসলাম। তিনি গল্প করছেন না সিরিয়াস বুঝতে পারলাম না। সে জন্য হাসিটাই এখন এক মাত্র বেঁচে যাবার পন্থা। যখন বিপদের মুখে থাকি, কোনো কথা খুঁজে পাই না তখন এই হাসিটা দিয়ে নিজেকে বাঁচাই। এখনও তেমনই করলাম।
‘কি হলো?’
‘কই! কিচ্ছু না তো!’
‘না ভাবলাম ক্লান্তিতে আবার কথা বলতে বলতে ঘুমিয়ে পরেছেন কি না!’
‘আরে না না। আমার এমন হয় না। কথা বলতে থাকলে আবার ঘুমাবো কেমনে!’
‘তাও ঠিক। কিন্তু সুখি মানুষরা নাকি যখন তখন ঘুমাতে পারে।’
‘তা হয়তো পারে।’
‘পারে, পারে। যারা পারার পারে। আর যারা পারে না তারা ক্লান্ত হয়ে রাতে বাসায় ফেরা মানুষদের এরকম বিরক্ত করে।’
তিনি আবার হাসলেন। আমি মনের চোখ দিয়ে তার হাসি হাসি মুখটা দেখার চেষ্টা করছি। আমিও হাসলাম। বললাম, ‘ যার সাথে কথা বলছেন সে যে বিরক্ত হচ্ছে সেটা আপনাকে কে বললো...’
‘না বলেনি। তবে ধারনা করছি।’
‘ধারনা তো ভুলও হতে পারে।’
‘তা হতে পারে। কিন্তু ...’
‘কিন্তু কি?’
‘নাহ্ কিচ্ছু না।’
‘না বলেন।’
‘না না তেমন কিছু নয়।’
‘তেমন কিছু না হলে লুকাচ্ছেন কেনো!’
‘না মানে ভাবছি আপনাকে আমি ফোন দিলাম কেনো!’
আমি আবার হাসলাম। এই কথার জবাবে আমার হাসি তাকে কিছুটা বিব্রত করতে পারে ভেবে মজা পেলাম। সুন্দরীদের বিব্রত করলে তারা আবার দ্বিগুণ গতিতে আঘাত করে। তাই নিউটনের তৃতীয় গতি সূত্র বাস্তবায়নের জন্য অপেক্ষা করতে থাকলাম। কিন্তু তিনি বিব্রত না হয়ে স্বাভাবিকভাবে বললেন—‘সেটা তো আপনারই ভালো জানার কথা। আমি কেমনে বলবো!’
‘হুম আমারই জানার কথা! কিন্তু বুঝতে পারছি না।’
‘হা হা হা।’
‘আপনি হাসছেন!’
আমি যেন মহিলার কুঁচকে যাওয়া কপাল দেখতে পাচ্ছি। সাথে বাঁকা হওয়া ঠোঁটের কোণে মিইয়ে যাওয়া টুকরো হাসির শব্দ। ‘না না। মানে...’
‘আচ্ছা আপনার কি মনে হচ্ছে আমার ডাক্তার দেখানো উচিত?’
‘আমি তো ডাক্তার নই। বুঝবো ক্যামনে!’
‘এই যে উল্টাপাল্টা কথা বলছি।’
তিনি আবার হাসলেন। এক্কেবারে কড়কড়ে হাসি। রোদ্দুরের মতন। আমি কিছুই বুঝতে পারছি না। কথা বলতেও খারাপ লাগছে না। আবার ক্লান্তও লাগছে। কথা বলতে বলতেই চেইঞ্জ করতে থাকি। ফ্যানটার স্প্রিট বাড়িয়ে দিই। নাহ্ এখন আর বেশী গরম লাগছে না। দিন শেষে সব কষ্ট এই পাঁচ তলায় উঠতে। সারাদিনে যা কষ্ট না হয় সেই কষ্টটা বাসায় ফিরে এই পাঁচতলায় উঠতে হয়!
আমি শান্ত মেজাজে বলি, ‘না সেটা মনে হচ্ছে না। তবে মনে হচ্ছে আমি কি তার সাথে কথা বলছি যার সাথে...’
এবার হাসির গতিটা বেড়ে গেল। তীব্র স্রোতের মতো হাসি ছড়িয়ে পড়ছে। আমার ঘরময় এখন হাসির ফোয়ারা।
তিনি বললেন—‘আপনি তো দেখছি হাসিয়ে মেরে ফেলবেন!’
‘কেনো হাসির কি হলো! আমাকে কি জোকার মনে হচ্ছে?’
‘না তা নয়। তবে মনে হলো আপনি এখনো সন্দেহের মধ্যে আছেন...’
‘ঠিক সন্দেহ না। মিলাতে চেষ্টা করছি সেই মানুষটার সাথে—এই মানুষটার।’
‘কোন মানুষটা?’
‘সেই ব্যক্তিত্ববান মানুষটা।’
‘ওহ। একন বুঝি ব্যক্তিত্বহীন মনে হচ্ছে?’
‘ না না আমি তেমন কিছু বলিনি।’
আবার হাসি। আমার ওয়াস রুমে যাওয়া দরকার। অনেক সময় ধরেই হিসু চেপে আছি। রুমে এসেই ওয়াস রুমে যাওয়া উচিত ছিল। ঢাকায় এই এক সমস্যা পর্যাপ্ত পাবলিক টয়লেট নেই। আর যারা যেখানে সেখানে হিসু করতে পারে না তাদের পেট ভারী করে বাসায় ফিরতে হয়। আর কোথায় দাঁড়িয়ে যাওয়া বিব্রতকর। দাঁড়ানোর পর দেখা যাবে ‘এখানে পেশাব করলে ১০০ টাকা জরিমানা’ লেখা। তখন না ফিরে আসা যায়—না দাঁড়িয়ে বাকি কাজটুকু শান্তি মতো শেষ করা যায়। এইসব কারণে বেশিরভাগ সময়ই আমি বাথরুম কিংবা হিসু চেপে বাসায় ফিরি। কিন্তু এই মহিলা আমাকে আটকে রেখেছে। তাকেও দোষটা ঠিক দেওয়া যাচ্ছে না। আমিও তো গলে যাচ্ছি। ক্লান্ত শরীর আর চেপে রাখা হিসু নিয়ে রসিয়ে রসিয়ে কথা বলে যাচ্ছি। নিজের উপর প্রচণ্ড বিরক্ত হই। কিন্তু আমার সাথে এমন মিষ্টি করে তো কেউ কথা বলে না। সে হোক না একটু বয়সী। দেখতে তো একদম খারাপও না। তাছাড়া অভিজাত বলে কথা! আর মেয়েদের মধ্যে একটু ঢঙরঙ না থাকলে ভালো লাগে না। এটা যেন মেয়েদের সৌন্দর্যের অংশ।
আমি হিসু চেপে নগ্ন শরীরে খাটে বসে থাকি। পা দুলিয়ে দুলিয়ে কথা বলতেই থাকি। নিজের শরীরের দিকে তাকিয়ে কেমন লজ্জা লাগে। আমি জানি—একজন মানুষে নিজেকে যতবার নগ্ন দেখে তার চেয়ে অন্যদের আর বেশি নগ্ন দেখে না। তারপরও এই খালি ঘরে আমার কেমন লজ্জা লজ্জা লাগে। আসলে মানুষ পোশাক পরে থাকলেই ভালো। সে হোক নারী-কিংবা পুরুষ। পোশাক ছাড়া কেমন অদ্ভ‚ত দেখায়। বুঝলাম মোবাইল কিংবা ল্যাপটপে পর্ণ দেখার সময় নগ্ন ছেলে-মেয়েদের শরীর যতটা ভালো লাগে বাস্তবে আসলে ততটা নয়। বরং বিরক্ত লাগে। যেন মানুষ নয়—অন্য কোনো প্রাণী। দু পায়ের চিপায় নেতিয়ে থাকা শিশ্নের দিকে তাকিয়ে হাসি পায়! নিজের শরীর থেকে চোখ ফিরিয়ে আমি হাসি চেপে তাকে বলি—‘আমি আসলে আপনাকে কনফিউজ করতে চাচ্ছিলাম।’
‘কেনো?’
‘এমনি।’
‘দুনিয়ায় এতো মানুষ থাকতে আমি কেনো?’
‘হা হা হা।’
‘হাসলে কি জবাব হয়ে যায়?’
‘তা হয় না। তবে ভালো লাগছে।’
‘তাই?’
‘হুম। আমার মনে হচ্ছে আপনি কনফিউজ। তার সাথে সাথে কিছুটা বিরক্তও।’
আমি বেশ বিরক্ত হই। মনে মনে কষে গালি দেই। কিন্তু আমিও জানি না কেনো কথা বলছি। সত্যি তো এটাই যে—আমি কথা বলছি।
‘কি চুপ হয়ে গেলেন যে।’
‘ভাবছি।’
‘কি ভাবছেন?’
আমার মুখ ফসকে বের হয়ে গেল—‘কিভাবে রেহাই পাবো সেটা ভাবছি।’
‘মানে?’
‘না না।’
আমি কথা ঘোরানোর চেষ্টা করলাম। সত্য কথা কতোক্ষণ আর চেপে রাখা যায়! তবে সব সত্য যে বলা যায় না সেটা বয়সে অনেকবার দেখেছি। সে জন্য ইদানীং মিথ্যার সাথে মেশাল দিয়েই সত্য তৈরি করি। নিজেকে যেমন সাধু বানাতে চাই না। তেমন আবার সব সময় মিথ্যার উপরেই চলতে পারি না।
আমি চুপ দেখে তিনি স্বাভাবিক ভাবে বললেন—‘আচ্ছা আমি তাহলে রেখে দিচ্ছি।’
আমি বুঝতে পারছি সে আমার সাথে কপট রাগ দেখাচ্ছে। আমি বললাম, ‘না। আসলে...’
‘না আমি কিচ্ছু মনে করিনি। আমি তো আপনাকে একটু জ্বালানোর জন্যই ফোন দিয়েছিলাম। আচ্ছা আপনার ঠিকানাটা বলুন তো...’
‘কেন?’
‘আরে বলুন।’
‘মিরপুর... কাজীপাড়া।’
‘এভাবে কেউ ঠিকানা বলে?’
‘তাহলে?’
‘হোল্ডিং নম্বরসহ বলুন..’
‘আমার ঠিকানা দিয়ে আপনি কি করবেন?’
‘২৭/এ কাজীপাড়া।’
‘এই তো ঠিকাছে। এতোক্ষণ চোরের মতো লুকাচ্ছিলেন কেন!’
‘আমি চোর?’
তিনি হেসে বললেন—‘তা না হলে দিতে চাচ্চিলেন না কেন?’
আমি ফাঁদে পড়ে স্নান হাসি দেওয়ার মতো হাসলাম। মহিলা এই হাসিটা দেখতে পেলে ঠিক বুঝতে পারতেন আমি আসলে এই মুহূর্তে...। নগ্ন মানুসের হাসি দেখতে নিশ্চয়ই ভালো হওয়ার কথা না। আমি কখনো সেভাবে চিন্তা করে দেখিনি। আমি প্রসংগ পরিবির্তন করলাম—‘আচ্ছা আপনি দুনিয়ায় এতো মানুষ থাকতে আমাকে ফোন দিলেন!’
‘এটাই তো রহস্য।’
‘ওহ। তো রহস্য কি গোপনই থাকবে? না বলবেন।’
‘এখন গোপনই থাকুক। সময় হলে উন্মেচিত হবে।’
এই মুহূর্তে আমার আর কোনো রহেস্যের প্রতি আগ্রহ নেই। এই মহিলার নামটা আমার মাথায় কোনো স্থায়ীত্ব পাচ্ছে না। আমি শাহবাগে প্রথম দেখার মুহূর্তটা মনে করতে চেষ্টা করলাম। ওপাশ থেকে কোনো আওয়াজ আসছে না। আমি দু’বার হ্যালো হ্যালো বললাম। ওপাশ থেকে কোনো জবাব আসলো না। তারপর ওপাশ থেকে রিসিভার নামিয়ে রাখার শব্দ হলো।
মুহূর্তের মধ্যে আমার মাথায় প্রশ্নের পিঁপড়া কিলবিল করে উঠলো। আমি খাট থেকে উঠে দাঁড়ালাম। সম্পূর্ণ নিরাবরণ। তলপেটে প্রচÐ ব্যথা করছে। বুঝলাম কথা বরার এই লোভনীয় অফারের চেয়ে হিসু করাটা প্রয়োজনীয় ছিল। তাই দেরি না করে বাথরুমে ঢুকে গেলাম।

ঢাকায় যারা চলাফেরা করে তাদের প্রতিদিন না হলেও অন্তত একদনি পর শ্যাম্পু না করলে চুলে খাজাবাবার মুরিদ টাইপ জট পাকিয়ে যাবে। সে ভয়ে আমি একদিন পরপর শ্যাম্পু করি। হিসু-শ্যাম্পু-গোসল সেরে বের হতে সতেরো মিনিট লাগলো। দেখলাম ফোন বাজছে। মহিলা আবার ফোন দিয়েছেন। নগ্ন অবস্থায়ই রিসিভ করলাম। ‘হ্যালো।’
‘আরে কই থাকেন? কখন থেকে ফোন দিচ্ছি...’
আমি কিছু রুঝতে পারলাম না। বললাম, ‘কেন? এই তো এতাক্ষণ কথা বললাম। আর আপনি তো না বলেই রেখে দিলেন।’
‘তো! তাই বলে আর ফোন দিলে রিসিভ করবেন না?’
‘না তা নয়। আমি ওয়াশরুমে ছিলাম।’
‘মহিলাদের মতো এতো সময় ওয়াশরুমে কি করেন?’
আমি হাসলাম। কিছু বললাম না। তিনি একটু থেমে আবার বললেন। ‘আপনার বাসার নিচে গাড়ি দাঁড়িয়ে আছে। এখন আর রান্না করতে হবে না। আমি খাবার পাঠিয়ে দিয়েছি।’
আমি কী বলব বুঝতে পারছি না। ভদ্রতার জন্য বললাম, ‘ না মানে আপনি...’
তিনি কথা শেষ করতে দিলেন না। বললেন, ‘হুম। আপনার যে ভয়—এতো রাতে বাসায় তো আসতে চাইবেন না। তাই আর কী করার যা ছিল পাঠিয়ে দিলাম। যান তাড়াতাড়ি নিচে গিয়ে নিয়ে আসেন।’
আমি যে ভিতু নই কিংবা কতোটা সাহসী তার প্রমাণ দিতে চেষ্টা না করে অনুগত ছাত্রের মতো ‘ওকে’ বললাম।
তিনি ‘গুড নাইট’ বলে ফোন কেটে দিলেন।
মহিলা সত্য বলছে কিনা সেটা চেক করার জন্য দ্রুত লুঙ্গি পরে ছাদে গিয়ে নিচে তাকালাম। দেখলাম সত্যিই সেই গাড়িটি দাঁড়িয়ে আছে। সিঁড়ি দিয়ে নামতে নামতে মাথায় তৈরি হওয়া হাজারো প্রশ্নদের সরিয়ে দিলাম। কারণ এই মুহূর্তে আমার যে পরিমাণ ক্ষুধা লেগেছে তাতে অন্য কিছু চিন্তা করার সুযোগ নেই। আর এখন রান্না শুরু করলেও রাত দুটোর আগে খেতে পারবো না।
রুমে এসে দেখলাম অনেক খাবার। কইমাছ ভুনা, গরুর মাংস, শিং মাছ, ডাল আর ভাত। পরিমাণেও পর্যাপ্ত। আমি দুই বেলা খেলেও শেষ হবে না। তৃপ্তি সহকারে খেলাম। প্রথমে তো খেতে পারবো না ভাবলেও খাওয়া শেষ করে দেখলাম প্রায় চার ভাগের তিনভাগ খেয়েছি। বাকিটা সকালের জন্য রেখে দিলাম।
তিনি কেনো এসব করেছেন সে প্রশ্নের উত্তর না খুঁজে—ঘুমানোর আগে ভদ্রমহিলাকে ছোট্ট করে একটা ধন্যবাদ ম্যাসেজ পাঠালাম।

পর্ব- সাত
#সানাউল্লাহ_সাগরের_উপন্যাস
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২২ দুপুর ১২:২১
৪টি মন্তব্য ৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

=এই গরমে সবুজে রাখুন চোখ=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:২১

০১।



চোখ তোমার জ্বলে যায় রোদের আগুনে?
তুমি চোখ রাখো সবুজে এবেলা
আমায় নিয়ে ঘুরে আসো সবুজ অরণ্যে, সবুজ মাঠে;
না বলো না আজ, ফিরিয়ো না মুখ উল্টো।
====================================
এই গরমে একটু সবুজ ছবি দেয়ার চেষ্টা... ...বাকিটুকু পড়ুন

হালহকিকত

লিখেছেন স্প্যানকড, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:১২

ছবি নেট ।

মগজে বাস করে অস্পষ্ট কিছু শব্দ
কুয়াসায় ঢাকা ভোর
মাফলারে চায়ের সদ্য লেগে থাকা লালচে দাগ
দু:খ একদম কাছের
অনেকটা রক্তের সম্পর্কের আত্মীয় ।

প্রেম... ...বাকিটুকু পড়ুন

কুড়ি শব্দের গল্প

লিখেছেন করুণাধারা, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:১৭



জলে ভাসা পদ্ম আমি
কোরা বাংলায় ঘোষণা দিলাম, "বিদায় সামু" !
কিন্তু সামু সিগারেটের নেশার মতো, ছাড়া যায় না! আমি কি সত্যি যাবো? নো... নেভার!

সানমুন
চিলেকোঠার জানালায় পূর্ণিমার চাঁদ। ঘুমন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্ম ও বিজ্ঞান

লিখেছেন এমএলজি, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:২৪

করোনার (COVID) শুরুর দিকে আমি দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহবান জানিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম, যা শেয়ার হয়েছিল প্রায় ৩ হাজারবার। জীবন বাঁচাতে মরিয়া পাঠকবৃন্দ আশা করেছিলেন এ পোস্ট শেয়ারে কেউ একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

তালগোল

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫


তু‌মি যাও চ‌লে
আ‌মি যাই গ‌লে
চ‌লে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফু‌রা‌লেই দি‌নের আ‌লোয় ফর্সা
ঘু‌রেঘু‌রে ফি‌রে‌তো আ‌সে, আ‌সে‌তো ফি‌রে
তু‌মি চ‌লে যাও, তু‌মি চ‌লে যাও, আমা‌কে ঘি‌রে
জড়ায়ে মোহ বাতা‌সে ম‌দির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

×