বাচ্চাদের এবার বাড়ি ফিরে বিশ্রাম নেয়া দরকার। বিএনপি-জামাতের অনেক গুপ্তচর ঢুকেছে ছাত্র সেজে, যাদের ব্যাগ থেকে রামদা বের হয়। এরা চাচ্ছে নিষ্পাপ এ আন্দোলনকে নিজেদের স্বার্থে ব্যাবহার করে সরকারবিরোধী রূপ দিতে।
ছাত্রলীগ পিটিয়েছে ছোট ছোট বাচ্চাদের, হামলায় দু চার দশজন জন বাচ্চা মারা গেলে সরকারের গদি নড়ে উঠবে, কিন্তু সবচেয়ে বেশি খুশি হবে বিএনপি-জামাত।
এদিকে কান্নায় বুক ভাসবে তাদের বাবা-মায়ের, দেশবাসির।
যে লক্ষ্য নিয়ে নেমেছিল ছাত্ররা, সেটা সফল। সরকারি দল বলছে চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে, আসলে ঢেলেছে গোলমরিচ। নাহয় এরকম অহিংস আন্দোলনে এত জ্বালা ধরত না, গুণ্ডা পাঠাতো না তাদের নিরস্ত করতে।
এই আন্দোলন হজম করতে অনেকদিন লাগবে তাদের। দেশের মানুষের পূর্ন সমর্থন, আন্তর্জাতিক মিডিয়ার সমর্থন এবং কভারেজ সবই হয়েছে। এবার সরকারকে একটু সুযোগ দিয়ে দেখা উচিত কি অ্যাকশন কতদিন ধরে নেয়।
আসলে সব দোষ সরকারের উপর চাপিয়ে দেয়াটাও অন্যায়। ছবিতে দেখলাম কিছু মোটরসাইকেল আরোহী নবাব আজকেও ফুটপাথ দিয়ে চালাচ্ছে। জন্মগত দোষ না থাকলে এই মুহূর্তে এরকমটা সম্ভব না।
আন্দোলনটা এবার ব্যাক্তিগত আন্দোলন হিসেবে নাও। প্রত্যেকে নিজের ফ্যামিলিকে আইন মেনে চলতে বাধ্য করো, আর মূর্খ এবং হিংস্র বাস ড্রাইভারদের শায়েস্তা করার দায়ীত্ব সরকারের হাতে শপে দিয়ে পড়াশুনায় মননিবেশ করো। একদিনেই সব পরিবর্তন হয়ে যায় না। আর ওই বাস-ড্রাইভার-মালিক সমিতি মাফিয়া চক্রকেও সরকার চাইলেও বিতাড়িত করতে পারবে না খুব সহজে। পলিটিক্স খাটাতে হবে ওদের শায়েস্তা করতে, নয়তো আরেকটা পার্টি, যারা আরো জঘন্য, তাদেরকে ব্যাবহার করবে নিজেদের স্বার্থে। লাভের লাভ আমাদের কিছু হবে না, ওদেরই হবে।
তোমাদের বয়স পার করে আমরা এখন যুবক বয়সে এসেছি। জেনে নাও, আমাদের কিশোর বয়সে দেশ-জাতির মঙ্গলের জন্য এরকম একটা আন্দোলন করতে পারলে এখন সেটা নিয়ে গর্ব করতাম। এখন গর্ব করবো তোমাদের নিয়ে। স্মার্টফোনে ফেসবুকের নীল স্ক্রিনে তাকিয়ে আমার ছোট ভাই বোনেরা গোল্লায় যায় নি, নিজের সহপাঠীর মৃত্যুতে ব্যাথিত হয়েছে এবং প্রতিবাদে রুখে দাঁড়িয়েছে। এর চেয়ে ভাল খবর এ প্রজন্মের কাছে আর কি হতে পারে?