
বিএনপির যে সব অতি উৎসাহী এবং লং টার্ম পলিটিকস না বোঝা লোক আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মাঝেমধ্যেই ধরে পুলিশে দিচ্ছে, তাদেরকে সেটা করতে বারণ করতে হবে দলের হাইকমান্ডকে। বিএনপির হাই কমান্ডের এবং এমনকি এর তৃণমূলের নেতাকর্মীদেরও এই সহজ জিনিসটা বোঝা উচিত যে এই কাজ প্রশাসন ও পুলিশের; বিএনপির নেতাকর্মীরা সেটা করলেও সেটা 'ম*ব জাস্টিস'ই হবে নির্দ্বিধায়! বিএনপির উচিত স্রেফ আওয়ামী লীগের মধ্যে যারা খু*ন, গু*ম, বিপুল দুর্নীতিসহ বিভিন্ন অপ*রাধে জড়িত ছিল, তাদেরই বিচারের আওতায় আনতে প্রশাসনকে তাগিদ দেওয়া। আওয়ামী লীগের দেশে থাকা সবাইকে শত্রুজ্ঞান করা এবং তাদেরকে মাইর দিয়ে পুলিশে দেওয়ার মতো ম*বমার্কা কাজ থেকে বিএনপিকে দূরে থাকতে হবে।
কিন্তু বাস্তবে, বিএনপির অতি উৎসাহী লোকেরা যেভাবে এসব কাজ করছে, সেটা জামাতও কখনো করছে না। এনসিপি ও বৈষম্যবিরোধীদের পরেই এসব মব জাস্টিসে বিএনপিই অবস্থান করছে, যেটা খুবই দুঃখজনক! সামনে যদি ইলেকশন টাইমলি ও ফেয়ার হয় (যদিও সেইক্ষেত্রে ব্যাপক সন্দেহ আছে আমার!), তাহলে আওয়ামী লীগের সবাইকেই শত্রু বানালে ভোটের হিসাবে আপনাদের সামনে ধরা খাবার সম্ভাবনা ব্যাপক! আওয়ামী লীগের একটা বড় অংশের ভোট থেকে আপনারা বঞ্চিত হবেন তখন, যেহেতু আওয়ামী লীগ সামনের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবে না বলেই মনে হয়!
আমি নিজেও দেশের খ্যাতিমান কয়েকজন পলিটিক্যাল এনালিস্টকে এটা নিয়ে কথা বলতে বলেছিলাম। কিন্তু আমার কথাকে খুব একটা পাত্তা দেয়নি। আশার কথা হলো, রিজওয়ান রিজু ভাইসহ বিএনপির কিছু একটিভিস্ট এটার বিরুদ্ধে কথা বলছেন! এখন বিএনপির হাইকমান্ড এটার গুরুত্ব বুঝে দলের নেতাকর্মীদের এটা থেকে দূরে থাকতে কখন বলবে, সেটাই দেখার বিষয়!
এই কথাটা বিএনপিকেই এত সিরিয়াসলি বলছি কেননা, জামাত, এনসিপি, ইসলামি আন্দোলন ও এবি পার্টির মতো মৌলবাদী, ডানপন্থী ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী পার্টিদের এই রমরমা সময়ে বিএনপির মতো মধ্যপন্থী গণতান্ত্রিক দলগুলোই কিন্তু আমাদের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব এবং গণতান্ত্রিক ভবিষ্যতের জন্য শেষ ভরসা। কিন্তু বিএনপি নিজের পায়ে নিজে কুড়াল মারলে বা নিজের ইয়ে নিজেই মারলে সেই ফলাফল কিন্তু পুরো দেশ ও দেশের মানুষের উপরেই চরম নেতিবাচকভাবে পড়বে! কাজেই সাধু সাবধান, অসাধুও সাবধান!
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:০৭

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



