পদ্মাসেতু চালু হলে, ঢাকায় দরিদ্র মানুষের ভীড় বাড়বে, আগামী ঈদে ঢাকায় গরুর দাম কিছুটা কমবে; পদ্মার পশ্চিমপাড়ে মাছ ও সবজির দাম বেড়ে যাবে; ঢাকায় চাকুরীরত পশ্চিম পাড়ের লোকজন আগের থেকে বেশী বাড়ি যাবে, পশ্চিম পাড়ে ট্রাফিক বাড়বে; ঢাকার ধনীরা দক্ষিণ পশ্চিম অন্চলে গাড়ীতে বেড়াতে যাবে; পশ্চিম পাড়ে কাপড়ের দাম কমবে; বসুন্ধরা ও অন্য হাউজিং কোম্পানীগুলো কিছু জমি কিনবে, অন্য কর্পোরেশনগুলোও জমি কিনবে। খুলনা এলাকার অনেক মেয়ে ঢাকাতে কাজের খোঁজে আসবে। পশ্চিম পাড়ে মহিষ কমে যাবে। সামনের বছরগুলোতে বরিশাল, খুলনা, পটুয়াখালীতে সাইক্লোন হলে, অনেক দরিদ্র পরিবার ঢাকায় আসার চেষ্টা করবে।
এর থেকে আর বেশী কি কি ঘটতে পারে? খুলনার পোর্ট কিছুটা জীবন ফিরে পাবে? পশ্চিম পাড়ে নতুন কোন শিল্প গড়ে উঠার সম্ভাবনা আছে? ওখানে কোন কাঁচামাল আছে? আমার মনে হয় না। পশ্চিম পাড়ের মানুষের হাতে কি নোয়াখালী, কুমিল্লা, সিলেটের মানুষের মতো টাকা আছ? আমি ঠিক জানি না, বরিশালের লোকজনের কাছে টাকা পয়সা আছে কিনা! খুলনার লোকজনের কাছে টাকা পয়সা নেই, মনে হয়।
উদ্ভোধন নিয়ে যেই রকম তুগলকি কান্ড হচ্ছে, ইউক্রনে যু্দ্ধ না'বাঁধলে বাইডেন ও ইউএন সেক্রেটারী অবশ্যই উপস্হিত থাকতেন। যেই মাপের সিকিউরিটি পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে, তাতে কক্সবাজারের ইয়াবা ব্যবসায়ীরাও আরাকান চলে গেছে ২/১ সপ্তাহের জন্য। পদক্ষেপে একটা বিষয় বাদ পড়ে গেছে, সেতুর মাঝেখানে ১টি সেনানিবাস খোলা হয়নি। ঢাকার দুষ্ট পুলিশেরা প্রাইম মিনিষ্টারের মাথায় কি ভয় ঢুকায়ে দিয়েছে কে জানে!
আগামী ভোটের পোষ্টারে শেখ সাহেব ও শেখ হাসিনার ছবির সাথে পদ্মাসেতুর ছবি থাকবে।
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে জুন, ২০২২ সকাল ১০:৪৭