সরকার শিক্ষা ব্যবস্হায় পরিবর্তন আনছে, এবং উহা শুধু স্কুল ও কলেজের জন্য; কিন্তু মাদ্রাসা ওভাবেই আগের মতো কাউয়ার বাসা, বকের বাসাই থেকে যাচ্ছে।
এ্যাক্টিভিটি-নির্ভর শিক্ষাব্যবস্থা৷ চালু হচ্ছে ৩টি ক্লাশে; আপনারা এই পদক্ষেপের ব্যাপারটা বুঝেছেন নাকি? আমি ডয়েচে ভ্যালের কোন এক লেখকের লেখা থেকে পড়েছি; আমার কাছে ইহা তেমন পরিস্কার হয়নি, ইহা কি নতুন আবিস্কার, নাকি বাকী বিশ্বের অনুকরণ। এখন ১ম, ৬ষ্ঠ ও ৭ম শ্রেণীত এই নতুন পদ্ধতি প্রয়োগ শুরু হচ্ছে, ২০২৮ সালের মাঝে ইহাকে পুরোপুরিভাবে কার্যকর করা হবে ও সেই সাল থেকে নতুন পদ্ধতি অনুসারে পরীক্ষা নেয়া হবে। তখনও ১০ম শ্রেণীতে ১টি পরীক্ষা হবে; তারপর, একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণীতে ২টি "পাবলিক পরীক্ষা" হবে।
বাংলাদেশে "পাবলিক" শব্দটা সব সময় মোটামুটি ভুলভাবে প্রয়োগ করা হয়; ফলে, "পাবলিক পরীক্ষা" বলতে কি বুঝাচ্ছে, সেটি আমার কাছে পরিস্কার নয়। যাক, একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণীর ২টি "পাবলিক পরীক্ষা"র ফল থেকে ১২শ্রেণী শেষ করার ফলাফল দেয়া হবে।
১২ শ্রেণী অবধি স্কুল বলেই গণ্য হবে মনে হচ্ছে; এটা একটি সঠিক পদক্ষেপ; তবে, ইহা নতুন কোন আবিস্কার নয়, বিশ্বের বেশীরভাগ দেশে ইহা শত বছরের বেশী সময় ধরে চলছে।
আরেকটি পদক্ষেপ, আগের ১টি নিয়মের রদবদল হচ্ছে: আগে ৯ম শ্রেণীতে ছাত্রদের মোটামুটি আর্টস,কমার্স, বিজ্ঞান বিভাগে ভাগ করা হতো, এখন সেটা হবে একাদশ শ্রেণীতে; আমার কাছে ইহাকে হবুচন্দ্রের লিলিপুটিয়ান ভাবনা বলে মনে হচ্ছে; বিশ্বের প্রায় দেশেই ১২ ক্লাশ অবধি সবাইকে একই ধরণের অভিন্ন শিক্ষাক্রমে শিক্ষিত করা হয়; বাংলাদেশ কেন এখানে চাকা আবিস্কারে লেগে গেছে কে জানে!
এই প্রোগ্রাম অনুসারে, ছেলেমেয়েরা সর্বমোট ১০টি বিষয়ে পড়ালেখা করবে: (১) ভাষা সমুহ (২) ম্যাথ (৩) জীবন ও জীবিকা (৪) সমাজ বিজ্ঞান (৫) পরিবেশ বিজ্ঞান (৬) সায়েন্স ও টেকনোলোজী (৭) ইনফরমেশান সায়েন্স (৮) স্বাস্থ্য বিজ্ঞান (৯) মূল্যবোধ ও নৈতিকতা (১০) শিল্প ও সংস্কৃতি।
৩য় শ্রেণী অবধি পরীক্ষা হবে না, শিক্ষকরা ছাত্রদের পড়ালেখার মুল্যায়ন করবেন। ইহার পরের ক্লাশগুলোতে শিক্ষকের মুল্যায়ন ও পরীক্ষার ফল থেকে রেজাল্ট দেয়া হবে।
সবকিছু মিলিয়ে মনে হচ্ছে, ইহা নতুন কিছু নয়, বিশ্বের বেশীরভাগ দেশের অনুকরণে করা হচ্ছে; কিন্তু সবচেয়ে গরীবের বাচ্চাদের ( মাদ্রাসা ) জন্য কোন পরিবর্তনের দরকার নেই!
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ৯:২৩