জাতি যাতে আধুনিক বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে পারে, সেজন্য জাতির সব শিশুকে একই ধরণের আধুনিক শিক্ষা ব্যবস্হার মাধ্যমে, সমলেভেলের জ্ঞান লাভের সুযোগ করে দেয়াই জাতির দায়িত্ব; দরিদ্র ও এতিমদের জন্য আলাদা শিক্ষা ব্যবস্হা ( মাদ্রাসা ), ধনী ও সুপার ধনীদের জন্য বৃটিশ এ-লেভেল, ও-লেভেলে, ক্যাডেট ম্যাডেট কলেজ, ইত্যাদি করে, শিশুদের মাঝে "অসম প্রতিযোগীতার" সৃষ্টি করে আসছে জাতি গত ৫২ বছর।
৫২ বছর পরে, সরকার আংশিকভাবে সঠিক পথে এগুচ্ছে, ১২ ক্লাশ অবধি সব বাচ্চারা সমান লেভেলের 'সাধারণ' শিক্ষা' পেতে যাচ্ছে; যদিও মান সম্পর্কে কেহ কিছুই বলতে পারবে না; কিন্তু গরীব ও এতিমদের জন্য মাদ্রাসার ভুল শিক্ষা ব্যবস্হা এখনো প্রাইভেট মালিকানায়, স্পেসিয়ালাইড প্রোগ্রাম হিসেবে থেকে যাচ্ছে; এসব শিশুরা জাতির বাকী শিশুদের সাথে অসম প্রতিযোগীতায় সব সময় হেরে আসছে, সামনেও হেরে যাবে; এই অংশকে এইভাবে প্রাইভেট মালিকানায় ফেলে রাখা অন্যায়।
জাতির প্রতিটি শিক্ষিত পরিবার চায় যে, তাদের পরিবারের সন্তানেরা অন্যদের চেয়ে পড়ালেখায় ভালো করুক; কিন্তু তারা হতদরিদ্রদের ছেলেমেয়ের পড়ালেখা নিয়ে কখনো চিন্তিত নয়; এজন্য ক্যাডেট কলেজ ও মাদ্রাসা থেকে যাচ্ছে সব সময়।
ধর্ম শিক্ষা ঠিক অন্য যেকোন বিষয়ে স্পেশিয়ালাইড শিক্ষার সমান; ফিজিক্স, কেমেষ্ট্রী, ফাইন্যান্স, অর্থনীতি, অংক, পলিটিক্যাল সায়ন্সেের মতোই ধর্ম শিক্ষাও 'অনার্স' কোর্সের বিষয়। যারা তাদের ছেলেমেয়েকে ধর্মীয় শিক্ষা দিতে চান, কিংবা বাচ্চা নিজেই ধর্মীয় শিক্ষা পেতে চায়, সে ১২ ক্লাশের পর, ৪ বছরের অনার্স কোর্সে হিসেবে ধর্মীয় কোর্স পড়বে; পারলে পিএচডিও করবে।
এখন মাদ্রাসায় দীর্ঘ সময় ধরে গোজামিল দিয়ে যা পড়ায়, অনার্স কোর্সের ৪বছরে তার থেকে ঢের বেশী শিখতে পারবে ছাত্ররা, এবং তখন তারা নিজেরাই ইহার গুরুত্ব বুঝতে পারবে; এখন উহা শিশুদের উপর চাপিয়ে দেয়া হচ্ছে।
সরকার ৫২ বছর ভুলভ্রান্তির মাঝে ছিলো, যার ফলে অনেক অদক্ষ ও শিক্ষিত বেকার সৃষ্টি হয়েছে দেশে; এখন সরকার আধা সঠিক পথে এগুচ্ছে; মাদ্রাসা ও বৃটিশ মিটিশ সিষ্টেমকে বাদ দিয়ে সব শিশুর সাধারণ শিক্ষাকে সমলেভেলে আনার দরকার, শিক্ষার মাধ্যমে অসম-প্রতিযোগীতার অবসান হওয়ার দরকার।
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে জানুয়ারি, ২০২৩ ভোর ৪:৩৮