২০০২ সালে গুজরাটের সংগঠিত সাম্প্রদায়িক দাংগায় প্রাইম মিনিষ্টার মোদীর ভুমিকা নিয়ে বিবিসি ২ পার্টের একটি ডকুমেন্টারী ছেড়েছে বাজারে, ইহার নাম, "India: The Modi Question"; এই ডকুমেন্টারী অনুসারে দাংগায় মোদী যুক্ত থাকাতেই বিজেপি'তে সে পপুলার হয়েছিলো, এবং এই পপুলারিটি তাকে ভারতের প্রাইম মিনিষ্টার হতে সাহায্য করেছে।
২০০২ সালে, গুজরাটের দাংগার সময় মোদী সেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ছিলো, এবং সে পরোক্ষভাবে দাংগাকে চলতে দিয়েছে, সে ইহাকে থামানোর চেষ্টা করেনি। এই দাংগায় সরকারী হিসেবেই ১০০০'এর বেশী মুসলিম নিহত হয়েছে, মুসলমানদের হাজার হাজার বাড়ীঘর, ব্যবসা পোড়ানো হয়েছে; অবশেষে কেন্দ্রীয় সরকারের হস্তক্ষেপে দাংগা থামে।
দাংগার সুচনা ঘটেছিলো, একটা যাত্রীবাহী ট্রেনে কে বা কাহারা বোমা ফেলে আগুন ধরায়ে দেয়; ট্রেনটিতে হিন্দু তির্থযাত্রী ছিলো; পুলিশ হামলাকরীদের খোঁজার আগেই বিজেপি'র উগ্রপন্হিরা স্হানীয় মুসমানদের উপর ভয়ংকর আক্রমণ চালায়; শিশু, নারী, কেহই রক্ষা পায়নি। মোদী দরকারী পরিমাণ পুলিশ না'পাঠিয়ে কৌশলে দাংগা চলতে দেয়।
তখন সারা ভারত স্পষ্টভাবে দেখেছিলো যে, দাংগা চলতে দেয়ার পেছনে মোদীর ভুমিকা ছিলো; কিন্তু আদালত তাকে নির্দোষ ঘোষণা করে। আজ ২০ বছর পর, বিবিসি'র সিরিজ মোদীর প্রতি আংগুল তুলেছে; এবং বিজেপি'তে মোদীর জনপ্রিয়তার পেছনে মুসলিম বিদ্বেষ কাজ করছে বলে ধারণা করছে।
ভারত বিবিসির সিরিজটিকে ভারতে ব্যান করেছে; ইহা স্বাভাবিক, মোদী ক্ষমতায়, বিজেপি ক্ষমতায়, তারা ইহা ব্যান করেছে; কিন্তু বিবিসি যা বলতে চেয়েছে, ভারত ইহা শুনতে পেয়েছে।
এদিকে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাককে পার্লােমন্টের একজন এমপি ইহার উপর প্রশ্ন করলে, সুনাক ব্রিটিশ সরকারের নীতির কথা বলে আসলে মোদীকে সাপোর্ট করে গেছে। বৃটেনের বর্তমান অবস্হায়, ইহা নিয়ে তেমন তর্ক হয়নি; কিন্তু বৃটিশেরা খেয়াল করেছে যে, ঋষি সুনাক এই প্রশ্নে মোদীকে সাপোর্ট করেছে। বৃটেনের সাধারণ মানুষ কিন্তু বিবিসি'র পক্ষে থাকে; ফলে, আগামীতে সময় মতো ঋষি সুনাকের এই ধরণের আচরণ প্রশ্নের সন্মুখীন হবে: সে কি ব্রিটিশ, নাকি বৃটেনে জন্ম-নেয়া ভারতীয়?
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ৮:০৪