ইউক্রেনের ৭০ লাখ রিফিউজী এখন ইউরোপে আছে, সামান্য পরিমাণ আমেরিকা এসেছে, আরো আসবে। ইউরোপে এত পরিমাণ লোক ঢুকলো, কিন্তু কোন উহ: আহ: নেই! কিন্তু নৌকায় করে ১৫০ জন বাংগালী গ্রীসে গেলে কিভাবে পুলিশ, নেভী সবাই হয়রাণ হয়ে যায়? মনে আছে, সিরিয়ান ১০ লাখকে নিয়ে কত বড় সস্যা হয়েছিলো? কেহ নিতে চাচ্ছিলো না, জার্মানীর মার্কেল যখন নিতে চাইলেন, অন্যেরা তাদের দেশের উপর দিতে যেতে দিচ্ছিলো না; বিশেষ করে হাংগেরী ভয়ংকর ঝামেলা করেছিলো।
এখন ৭০ লাখ কিভাবে সহজেই ওখানে অবস্হান করছে, কোন সাড়া শব্দ নেই! প্রথমত: গায়ের রং ও ইউরোপিয়ান কালচার ওদেরকে সাহায্য করেছে; দ্বিতীয়ত: ওখানে ওরা কাজ করে, ছেলেমেয়েরা বিনা সমস্যায় পড়ালেখা করছে; অর্থাৎ, ওরা তাল মিলাতে জানে! ইউক্রেনের মানুষদের অনেক ধরণের দক্ষতা আছে: এরা কম্প্যুটিং থেকে শুধু করে কলকারখানা, মাঠের কাজ, সবই পারে। আবার এদের কাজ করার ইচ্ছা আছে। ধর্ম নিয়ে কোন সমস্যা নেই। এরা কষ্ট করে ভাষাও শিখে নেয়; যদিও, ইংরেজী নিয়ে এদের কিছুটা সমস্যা ছিলো।
এদের একটা সামান্য সমস্যা আছে, এরা বিপদে পড়লে দেহ বিক্রি করতেও তেমন দ্বিধা বোধ করে না; পরিবারও অবস্হা বুঝে মেনে নেয়।
গতকাল, ইসরায়েল থেকে কিছু ইউক্রেণী লোকজন (রিফিউজী ) স্বেচ্চায় জার্মানী চলে গেছে; ইসরায়েল কিছুটা মনোক্ষুন্ন হয়েছে, রিফিউজী কেন নিজের ইচ্ছায় দেশ বদলাবে? এটার উপর কথা বলতে গিয়ে এক কলেজ শিক্ষিকা (রিফিউজী ) বলছিলেন, দেশে যুদ্ধ চলছে, এখন ইসরায়েলে বসে বসে খেলে চলবে না; জার্মানীতে ভালো বেতনের কাজ দিচ্ছে; সুযোগ যখন এসেছে, কাজ করার দরকার।
ইসরায়েলে অবস্হিত রিফিউজী ও আমেরিকায় আসা ( সামান্য পরিমাণ ) রিফিউজীরা চেষ্টা করছে যুদ্ধের সুযোগ নিয়ে পশ্চিমে থেকে যেতে। আমেরিকা, কানাডা, জার্মনীসহ পশ্চিম ইউরোপে যারা গেছে তারা আর ইউক্রেনে যাবে বলে মনে হয় না। কিছু কিছু রিফিউজীর কথা শুনলে মনে হচ্ছে, তারা যুদ্ধের জন্য অপেক্ষা করছিলো, ইহাকে সুযোগ হিসেবে নিয়েছে।
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১২:৪৪