গতকাল রাত জেগে ১ টা পোষ্ট দিয়েছিলাম; এর পেছনে কারণ ছিলো, ১ জন সমস্যাযুক্ত ব্লগর আমাকে অপদস্হ করার জন্য উনার ম্যাঁওপ্যাঁও পোষ্টে বড় একটা লেজ যোগ করে দিয়েছিলো। সামুটিম আমার পোষ্টটাকে ড্রাফট করে ফেলেছিলো; আমি আবার পোষ্ট করলাম, টিম আবারো ড্রাফট করেছে; আমি আর দিচ্ছি না; মনে হচ্ছে, টিম আমাকে টার্গেট করতে পারে। শুধু পোষ্ট দেয়ার জন্য আমি খুব একটা রাত জেগে থাকি না; একটু ব্লুমবার্গ ফাইন্যানসিয়াল দেখার দরকার ছিলো; সাথে সাথে এক ব্যবসায়ী বন্ধুর অনেকগুলো চেক প্রসেসিং করার দরকার ছিলো।
সকালে ডায়াগোনিষ্টকে রক্ত দেয়ার কথা, রাতে অনলাইনে রেজিষ্ট্রেশন করলাম; সকাল ৮টায় ওরা খোলার কথা, আমি ৫/৬ মিনিট আগেই দরজায় গেলাম; আমিই ১ম ব্যক্তি; ৮টা'য় দরজা খোলেনি, আমার পেছনে এসে দাঁড়ালো এক চীনা মিয়া, যেগুলো সম্প্রতি আমদানী হয়েছে সেই রকম; বয়স ২৯/৩০'এর মতো, চোখে দুরবীণের মতো শক্তিশালী লেন্সের চশমা; সে সেলফোন টিপছে, অনেক ব্যস্ত, আমি হ্যালো বলার সুযোগই পেলাম না। ঠিক ৮:১০ মিনিটে ১টা মেয়ে এসে দরজা খুললো; আমি প্রবেশ করার সময়, চীনা মিয়া আমার পাশ কাটিয়ে অনেকটা দৌড়ে গিয়ে, আমার আগেই রেজিষ্ট্রেশন টার্মিনাল দখল করলো; মেয়েটাও লক্ষ্য করেছে।
চীনা মিয়ার ইংরেজী সমস্যা আছে, আস্তে আস্তে ডাটা এনট্রি করেছে, বছর'খানেক লাগবে; আমি রুমের লাইটটা অফ করে দিলাম; রুমটা মোটামুটি অন্ধকার হয়ে গেছে, চীনা মিয়ার লেখা বন্ধ; চীনা মিয়া আমাকে কি একটা বললো, আমি বুঝিনি; রিসেপশানের মেয়েটা দৌঁড়ে এসে বললো,
-লাইট কে অফ করেছে?
-আমি, তোমাদের লাইট বেশী কড়া; বাইরের আলো এসেছে।
-তুমি দেখছ না, রুম অন্ধকার হয়ে গেছে? চোখে সমস্যা আছে?
-কিছুটা।
আমি চুপ। চীনা মিয়ার রেজিষ্ট্রেশন সারতে ১৫/১৬ মিনিট লেগেছে; রুমের শেষ প্রান্তে ১টা বড় ইজি চেয়ার আছে; মনে হয়, বয়স্কদের জন্য, সে সেটা দখল করে বসলো; দেখতে মনে হচ্ছে, শুয়ে পড়েছে। আমি আমার রেজিষ্ট্রেশন'এর কনফার্মেশন নম্বর দিতেই আমাকে হ্যালো ম্যাসেজ দিয়ে বসতে বললো টার্মিনাল; আমি ভিজিটরদের রুম ও টেকনিসিয়ানদের রুমের মাঝখানে দাঁড়ালাম, আমি সাধারণত দাঁড়িয়ে থাকতে পছন্দ করি। সবচেয়ে দুরের রুম থেকে টেকনিসিয়ান এক মেয়ে চীনাকে মিয়াকে প্রথমে ডাকলো, চীনা মিয়া মাছের বাজারের মতো চীৎকার করে টেলিফোনে কথা বলছে, মেয়ে যে ডেকেছে শুনেনি। তার বদলে আমি চলে গেলাম; আমি টেকনিসিনায়ের রুমে ঢোকার পর মেয়ে বললো,
-আমি তো ওরিয়েন্টাল লোকটাকে ডাকলাম, তুমি কেন এসেছ?
-সে টেলিফোনে কথা বলছে; মনে হয়, ভয়ংকর কিছু ঘটেছে, সে চীৎকার দিচ্ছে।
-আচ্ছা, বস।
মেয়ে আমার রক্ত নেয়ার কাজ সারলো; ইউরীণ কালেকশানের জন্য টিউব দিলো, আমি ওয়েটিং রুমের রেষ্টরুমে ঢোকার সময়, চীনা মিয়া আমাকে জিজ্ঞাসা করলো,
-তোমাকে আগে ডেকেছে?
-না, তোমাকে ডেকেছিলো; তুমি টেলিফোনে ব্যস্ত থাকায়, আমাকে যেতে হয়েছে। তার দৃষ্টি দেখে বুঝলাম, সে ইহা পছন্দ করেনি; কিন্তু ইহাই ঘটার কথা ছিলো; নিয়ম ভেংগে সে কতটুকু যেতে পারবে? সে তো জানে না যে, আমি সোনাগাজী।
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ৩:৫৬