রেসিষ্ট ট্রাম্প কিন্তু আপাতত: নিজকে যুদ্ধ-বিরোধী আমেরিকান প্রেসিডেন্ট হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে পেরেছে। এটা সত্য যে, সে নতুন করে কোন যুদ্ধ আরদ্ভ করেনি; কিন্তু তার মতো লোক আগামীকাল কি করবে, তা কেহ জানে না। আরেকটি ব্যাপার হলো, পুটিনের সাথে তার ব্যক্তিগত বন্ধুত্ব আছে; এমন কি কিং জংও ট্রাম্পকে বন্ধুভাবাপন্ন আমেরিকান হিসেবে নিয়েছে। মনে হয়, সে জিলেনস্কির মত প্রক্সি-যোদ্ধাদের পছন্দ করে না।
বেশীরভাগ আমেরিকান মনে করে যে, বাইডেন ইউক্রেনে যুদ্ধ থামানোর জন্য কোন ধরণের পদক্ষে নেয়নি; উল্টো, দরকারের চেয়েও অনেক বেশী পরিমাণ ক্যাশ ও অস্ত্র দিয়েছে ইউক্রেনকে। এখন এফ-২৬ যুদ্ধ বিমান দেয়ার পঁয়তারা করছে। আমেরিকান সাধারণ মানুষ এই যুদ্ধ নিয়ে অসুখী; প্রথমত: আমেরিকানরা যুদ্ধ চাচ্ছে না; এরপর, এই যুদ্ধ সমগ্র বিশ্বকে ভয়ংকর অনিশ্চয়তার মুখে ঠেলে দিয়েছে।
আমার ধারণা, ট্রাম্প আমেরিকান মানুষদের ধারণা দেয়ার শুরু করবে যে, সে রাতারাতি এই যুদ্ধ থামিয়ে দিতে পারবে, এবং বুঝানোর চেষ্টা করবে যে, আমেরিকানরা অকারণে এই যু্দ্ধের জন্য খরচ যোগাচ্ছে! আমেরিকা রিসেশানে আছে, এই অবস্হায় ট্রাম্পের যুদ্ধবিরোধী অবস্হান আমেরিকানদের পছন্দ হতে পারে।
ট্রাম্প বেশ সফলতার সাথে বাইডেনের বিপক্ষে কাজ করে যাচ্ছে ও প্রচারণা চালাচ্ছে; স্পীকার ম্যাককার্থি হচ্ছে ট্রাম্পের ১ নং চেলা, সে বাউডেনের 'ডেব্ট সিলিং' পুরোপুরিভাবে আটকায়ে দিয়েছে। এই রিসেশানের মাঝে বাইডেন কোন অবস্হায় বন্ড-পেমেন্ট'এ "ডিফল্ট" হতে দিতে পারবে না; ট্রাম্পের চেলা সেই সুযোগ নিচ্ছে! ট্রাম্প নিজের চেলার মাধ্যমে কি কি সুযোগের জন্য চাপ দিচ্ছে, উহা বাহির থেকে জানার কোন সুযোগ নেই!
ডেমোক্রেটরা ভেবেছিলো যে, ট্রাম্পের উস্কানীতে ক্যাপিটল হিল আক্রমণের বিচারে ট্রাম্প নিজের নির্বাচন যোগ্যতা হারাবে; উহা এখন অনেকটা হাতছাড়া হয়ে গেছে! বাইডেনের বিপক্ষে ট্রাম্প এবারও বেশ শক্তিশালী প্রার্থী হয়ে যেতে পারে।
বাইডেনের ছেলের কিছু ব্যবসা (ইউক্রেনে ) নিয়ে সমস্যা আছে, উহা কোর্টে গেছে; ইউক্রেনে যুদ্ধ শুরু, ও আফগানিস্তান থেকে বেকুবী উইথড্র নিয়ে আমেরিকানরা বাইডেনের বুদ্ধি নিয়ে সংশয়ে আছে। ফলে, ট্রাম্প যদি যুদ্ধ বন্ধের কথা বলে, সে অনেক অনেক সাপোর্ট পাবে।
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে মে, ২০২৩ রাত ১২:৪৪