শেখ হাসিনার সাম্প্রতিক বড় কীর্তি হচ্ছে পদ্মাসেতু, মানুষ নিয়ে উনার বড় কীর্তি নেই। পদ্মাসেতুর কাজ শুরু করার দরকার ছিলো ১৯৭২ সালে; সেটা উনার বাবার দায়িত্ব ছিলো; তিনি করেননি বলে উনার মেয়ে সেই কাজে হাত দিয়েছেন ৪০ বছর পর। ১৯৮০ সালের দিকে পদ্মাসেতু শেষ হলে, এখন সেতুর পশ্চিম পাড় অনেক উন্নত থাকতো, সেতুর উপর দিয়ে ট্রাফিক হতো ঢাকা-চট্টগ্রাম সড়কের মতো। এই মহুর্তে পদ্মায় নিশ্চয় ট্রাফিক খুবই কম; পশ্চিম তীরের মানুষ গাড়ী কেনার শুরু করলে, হয়তো ক্রমেই ট্রাফিক বাড়বে, ইহা ১৫/২০ বছরের কথা।
পদ্মা নিয়ে শেখ হাসিনা অনেক কথা বলেছেন, আগামী ইলেকশানের আগে আওয়ামী লীগ পদ্মাময় হয়ে যাবে, শেখ হাসিনার মুখে ১টি শব্দই থাকবে, পদ্মা। এখন আমি পাঠকদের প্রশ্ন করতে চাই, পদ্মার ফলে কত লন্চ শ্রমিক বেকার হয়েছেন, এদের পুনর্বাসন সম্পর্কে আপনি শেখ হাসিনার মুখ থেকে ১টি শব্দ শুনেছেন?
আমার অনুমান, আনুমানিক ২ লাখ মানুষের ( পরিবারের ) জীবিকা অনিশ্চয়তার মাঝে প্রবেশ করেছে। এতগুলো লন্চেরও দরকার নেই; কিছু লন্চকে হয়তো আভ্যন্তরীণ কার্গোবাহী বোটে পরিণত করা সম্ভব। কিন্তু ২ লাখ মানুষ কি সহজে অন্য কোন সেক্টরে এই বেতনের চাকুরী খুঁজে পাবে? চাকুরী না'পাওয়া অবধি এরা কোন রকম সরকারী সরকারী সাহায্য পাবে? পদ্মাসেতু প্রজেক্ট এই ধরণের কোন অর্থনৈতিক প্ল্যান ছিলো? শেখ হাসিনা ৮ বছর সময়ে পেয়েছেন, তিনি এই সব শ্রমিকদের পুনর্বাসনকে পদ্মার প্রজেক্ট প্ল্যানে এনেছেন?
উনি কোন কিছুই সঠিক প্ল্যান নিয়ে, সঠিক লোকবল নিয়ে করেননি; একটা করতে গিয়ে অন্য একটা সমস্যার সৃষ্টি করেছেন; এ'হলো হবুচন্দ্রের রাজ্য পরিচালনা।
আগামী ভোটে উনি জিতবেন; কিন্তু দলের উচিত উনাকে প্রাইম মিনিষ্টার হতে না'দেয়া; আমার মনে হয়, কৃষিমন্ত্রী আবদুর রাজ্জাক উনার থেকে ভালো করবেন; এবং ইহাতে ব্যুরোক্রেটদের ডাকাতী, ব্যাংক ডাকাতী কমে আসবে। উনার দল লাঠিয়াল বাহিনীতে পরিণত হয়েছে, দলে রাজনীতির পিরামিড ব্যবসা চলছে; উনার উচিত, দলের পেছনে সময় ব্যয় করা, দলের মানুষকে রাজনীতি শেখানো, সততা শেখানো ও তাদের জন্য চাকুরী সৃষ্টি করার দরকার।
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা জুন, ২০২৩ সকাল ৮:২৩