৭ই অক্টোবর, ২০২৩ সালে হামাস ইসরায়েলী গ্রাম আক্রমণ করে কিছু সাধারণ মানুষকে হত্যা করে ও কিছু সাধারণ মানুষকে ধরে নিয়ে যায় গাজায়; ৮ই অক্টোবর, ২০২২ সালে আমি এই পোষ্টটি লিখেছিলাম।
গাজা আয়তনে বাংলাদেশের ১টি বড় উপজেলার সমান; লম্বা ২৪/২৫ মাইল, প্রস্হ ৫ মাইলের মতো; এখানে ২৪ লক্ষ মানুষ বাস করে; এদের মাঝে হামাসের লোক সংখ্যা হবে ৪০ হাজারের মতো; সম্ভবত: ২০ হাজারের কাছে অস্ত্র আছে। আজ শনিবার হামাস যা করেছে, পিএলও উহাকে সমর্থন করার কথা নয়। হামাস পুরো মুসলিম বিশ্ব ও আরবদের সমর্থন চেয়েছে ও যোদ্ধা চেয়েছে। যোদ্ধা ওরা পাবে না, সামান্য পরিমাণ লেবাননী হেজবুল্লাহ ও ইসরায়েলী ফিলিস্তানী হয়তো ছোটখাট আত্মাঘাতী আক্রমণ চালাবে; এর বাইরে কিছু ঘটবে না।
হামাসের আক্রমণে ২৫০ জন ইসরায়েলী প্রাণ হারায়েছে; প্রাথমিকভাবে ইসরায়েলী বিমান হামলায় ২৩২ জন ফিলিস্তিনী প্রাণ হারায়েছে; হামাসের রকেটে ১৫০০'এর বেশী ইসরায়েলী নাগরিক আহত হয়েছে; সমস্যা হলো নিহত ২৩২ জন ফিলিস্তিনীদের মাঝে সবাই হামাসের সদস্য নয়, এরা সাধারণ ফিলিস্তিনী। আসল ইসরায়েলী আক্রমণ শুরু হবে শীঘ্রই; সাধারণ মানুষের পালাবার কোন যায়গা নেই: বেশীরভাগই মারা যাবে শিশু ও নারী।
হামাস কিছু ইসরায়েলী সিভিলিয়ানকে ধরে নিয়েছে গাজাতে; তারা এদের দোহাই দিয়ে কিছুটা বোম্বিং থামাবে ২/১ সপ্তাহ; কিন্তু ইহা ভুল প্ল্যান; ইহার জন্য বহু ফিলিস্তিনীর প্রাণ যাবে।
ইসরায়েল হয়তো পুরো গাজা দখল করে নেবে, কিংবা ইহাকে পুরোপুরিভাবে অবরুদ্ধ করে দেবে। কি ঘটবে বলা মুশকিল; তবে, গাজা বদলে যাবে; কোন ঘরবাড়ী অবশিষ্ট থাকবে না।
পুরো আক্রমণের পেছনে হয়তো ইরান কাজ করছে; কিন্তু যখন ইসরায়েল গাজা আক্রমণ করবে, ইরান কোনভাবে সাহায্য করতে পারবে না। জাতিসংঘ কোনভাবে গাজার মানুষকে সাহায্য করতে পারবে কিনা বলা মুশকিল; কারণ, আমেরিকা পুরোপুরিভাবে ইসরায়েলী আক্রমণকে সাপোর্ট করবে। রেডক্রস যদি এখন থেকে নারী ও শিশুদের ( ১৫ লাখের বেশী ) মিশর কিংবা ওয়েষ্ট ব্যাংকের দিকে নিয়ে যেতে পারে, তা'হলে কিছুটা রক্ষা হবে; তবে, হামাস সেটা করতে দেবে না; মানুষ বেরিয়ে গেলে হামাস শেষ হয়ে যাবে খুবই অল্প সময়ের মাঝে।
আজ থেকে বিশ্ব অপেক্ষা করবে, কখন ভয়ংকর ইসরায়েলী আক্রমণ শুরু হবে। অবস্হা দেখে মনে হচ্ছে, হামাস আত্মহত্যা করেছে।
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:০৫