ভারত ধর্মীয় দেশ, কিংবা ধর্মনিরপেক্ষ হলে, পার্থক্য খুব একটা চোখে পড়ার কথা নয়; তাদের সংস্কৃতি খুব একটা বদলায় না; কারণ, তাদের শিক্ষা ব্যবস্হার সাথে ধর্মের কোনভাবে সংঘর্ষ হয় না। আমাদের ধর্মীয় শিক্ষা লাইন আছে, সাধারণ শিক্ষা লাইন আছে; এর মাঝে, পরেরটা ধর্মে সাথে সাংঘর্ষিক।
বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর থেকে, হিন্দু সমাজের লোকেরা সেখানকার ২২ কোটী মুসলমানকে অমংগলে চিহ্ন হিসেবে দেখে; বিজেপি'র হিন্দুরা মনে করে যে, ভারতকে পুরোপুরি রাম-সংস্কৃতিতে নেয়ার জন্য মুসলমানরা একটি অযাচিত প্রতিবন্ধক। এই ধরণের কারণে মুসলমানেরা তাদের নাগরিক সহানুভুতি পাচ্ছে না। মুসলমানরা এমনিতেই পড়ালেখা ও অর্থনীতি অনেক পেছনে চলে গেছে; এরপর, ক্ষমতাসীনদের সহানুভুতি হারিয়ে তারা ক্রমেই অনেকটা অধিকারশুন্য হয়ে যাওয়ার পথে।
এক সময় ভারতের বিচার ব্যবস্হা শক্ত ছিলো; কিন্তু বিচার বিভাগ এখন বিজেপির দখলে। ভারতে এখনো কোর্টে যাওয়া যায়, এখনো বিচার চাওয়ার অধিকার আছে; তবে, বিচারের রায় এখন পাকিস্তান কিংবা বাংলাদেশের মতোই হবে শীঘ্রই।
বিজেপি ও মোদী যেই পজিশনে আছে, মোদী আবারো ক্ষমতায় আসবে। আগামী ৫ বছরে ভারত আরো অনেক উন্নত হবে; কিন্তু মুসলামরা ও নীচু বর্ণের হিন্দুরা উহা থেকে বন্চিত হবে।
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১০:৫৫