somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

অন্ধকারের রাজনীতি

২৯ শে জুলাই, ২০২৩ বিকাল ৪:৫০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



দেশের রাজনৈতিক পরিবেশ পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার পূর্বে অতি সাধারণ একটি প্রশ্ন রেখে মূল প্রসঙ্গে ফিরে যাবো। - আমাদের দেশে পারিবারিক ও সামাজিক নানা রকম বিচ্ছিন্ন ঘটনার সাথে আমরা সবাই কমবেশী পরিচিত বলে আমার ধারণা। - আপনার কোনো ঘনিষ্ট আত্মীয়, ঘনিষ্ট ব্যক্তি (ভাই, বোন, বন্ধু) যদি আপনার কোনো শত্রুর সাথে চলাফেরা করেন, বন্ধুত্ব করেন, আপনার কোনো ঘোরতর বিরোধী শত্রুর সাথে আত্মীয়তা করেন আপনার কেমন লাগবে? - সম্ভব হলে প্রশ্নটির উত্তর জানাবেন।

প্রসঙ্গে ফিরে যাই। এই দেশের বিশেষ দুইটি রাজনৈতিক দল মনে করে “এই দেশটি তাদের নিজস্ব সম্পত্তি”। আর সহোদর হিসেবে তাদের সাথে থাকবে ৭১এর ঘাতক দালাল রাজাকার আলবদর আল শামস। প্রতিটি সময়ে আমরা দেখেছি রাজাকার আলবদর আল শামস এই দুইটি দলের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। ৭১এর রাজাকার স্বাধীনতা যুদ্ধে শুধু রাষ্ট্রদ্রোহী কাজে জড়িত ছিলো না, এরা খুনি হত্যাকারী। দিনের পর দিন তারা নিরপরাধ মানুষ হত্যা করেছে। আজও করে যাচ্ছে। ৭১এর ঘাতক দালাল রাজাকার দল ও তাদের পরিবার উক্ত দুইটি দলের অসংখ্য নেতানেত্রীর ছেলেমেয়ে ও ভাইবোনের সাথে বৈবাহিক সূত্রে আত্মীয়।

দেশের একদল লোকজন আছে যারা দেশের সাধারণ মানুষের ছায়ায় লুকিয়ে আছে! আপাতঃ দৃষ্টিতে মনে হতে পারে - এরা দেশের সাধারণ জনগণ! উক্ত ছায়াধারী লোকজন নানান মাধ্যমে প্রচার করে যাচ্ছে - এই দেশ এই বিশেষ দুইটি দলের ব্যক্তিগত সম্পত্তি। এবং এটি যারা মনে করেন না - তাঁরা অকৃতজ্ঞ। অর্থাৎ এই দেশ যেইভাবে ইচ্ছে সেইভাবে এই দুইটি রাজনৈতক দল ও তাদের সাথে রাজাকার দল মিলে লুটে পুটে খাওয়ার অধিকার রাখে। - আপনি যদি মনে করেন, এটি হওয়া উচিত নয়! তাহলে আপনি একজন অকৃতজ্ঞ মানুষ। আপনার ও আপনাদের চিন্তায় জাতি হয়ে যাবে অকৃতজ্ঞ। এখন, আপনি ও জাতি কৃতজ্ঞ নাকি অকৃতজ্ঞ আমি জানি না। তবে এই বিষয়ে আমি নিজে একজন ১০০ ভাগ অকৃতজ্ঞ মানুষ। এই দেশ কারোও ব্যক্তিগত সম্পত্তি নয়। এই দেশ কোনো রাজনৈতিক ব্যক্তির স্বামীর নয় - এই দেশ কোনো রাজনৈতিক ব্যক্তির পিতারও নয়। এই দেশ ১৭ কোটি সাধারণ জনগণের।

উক্ত দুইটি রাজনৈতিক দল এই দেশের সাথে এই দেশের সাধারণ মানুষের সাথে যা ইচ্ছা তা করেছে। জনগণকে ইচ্ছেমতো নিপীড়ন করেছে। TAX VAT AIT ATV নামে জমিদারি প্রথায় পিঠের চামড়া তুলে খাজনা আদায় করেছে। সেই খাজনার টাকায় প্রবাসে বাড়িঘর আড্ডাখানা মজমা খানা জুয়ার ঘর মদের আসর তৈরি করেছে। হরতাল অবরোধ করে করে জনগণকে অতিষ্ঠ করেছে, কষ্ট দিয়েছে। জীবন্ত মানুষ আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করেছে। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে অনাহার দিয়েছে, অভাব অনটন দিয়েছে, দুর্ভিক্ষ দিয়েছে - প্রাণ নিয়েছে। এরা চাইলে জনগণ বেঁচে থাকবে, এরা চাইলে জনগণ মরে যাবে। এরা চাইলে দেশ থাকবে, এরা চাইলে দেশ থাকবে না। সহজ অংক “যোগ বিয়োগ গুণ ভাগ” - এর বাইরে কিছুই নেই।

এই দেশের প্রধান দুই রাজনৈতিক দল ও তাদের সহোদর জামাত ই ইসলামের প্রতিটি সদস্যর আসল রূপ হচ্ছে “মুরাদ টাকলা”। ব্যক্তি মুরাদ টাকলার চারিত্রিক রূপ প্রকাশিত হয়েছে, উক্ত দলগুলোর সহস্র লক্ষ লোকের রূপ এখনও প্রকাশিত হয়নি। অথবা প্রকাশিত হয়েই আছে, আমরা জেনেও না জানার ভান করে আছি। ক্ষমতার জন্য এরা আজীবন জনগণকে বলির পাঠায় পরিণত করেছে, ভবিষ্যতেও তাই করবে। এদের কাছে জীবিত মানুষের কোনো মূল্য নেই। মৃত মানুষ, তথা লাশের নামে রাজনীতি করে। এরা মানুষের লাশ দিয়ে ক্ষমতার সিড়ি তৈরি করে, সেই লাশের সিড়ি বেয়ে ক্ষমতার আসনে আরোহন করে - এটি তাদের ধর্ম ও নৈতিক (রাজনৈতিক) দায়িত্ব।

পরিশিষ্ট: উক্ত রাজনৈতিক দলগুলো বিশেষ দুইটি রাষ্ট্রের ছত্রছায়য় লালিত পালিত দল। এরা আমাদের দেশের কেউ না। তাই আমাদের দেশের প্রতি, দেশের মাটির প্রতি তাদের নূন্যতম দেশপ্রেম মায়া মমতা ভালোবাসা নেই। এই অন্ধকারের রাজনীতি নামক পরিবারতন্ত্রের আড়ালে রাজতন্ত্র বন্ধ হোক। আমাদের দুঃখী দেশ হতে বিতাড়িত হোক সকল রক্তচোষা।

আত্মকথা: রাজনীতি নিয়ে এটিই আমার শেষ লেখা। এখানেই সমাপ্তি। রাজনৈতিক পোস্ট, মন্তব্য প্রতিমন্তব্য ও আলোচনা থেকে পূর্বে আংশিক বিরতি নিয়েছি, আজ এখন পুরোপুরি অবসর নিচ্ছি।






-------------------------------------------------------------সমাপ্ত----------------------------------------------------------





সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে জুলাই, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:২৮
১২টি মন্তব্য ১২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

গরিবি

লিখেছেন মৌন পাঠক, ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ৯:২১


চিত্রঃ অন্তর্জাল

গরিবি বা ফকিন্নি ও সেল করা যায়,
উহারে এনক্যাশ করা যায়।

সেই এনক্যাশমেন্টটা গরিব নিজেও সেল করতে পারে, আবার তার গরিবানারে অন্য কেউও এনক্যাশ করতে পারে।

দেশের সিংহভাগ এতিমখানা মাদ্রাসা এই... ...বাকিটুকু পড়ুন

হেলুসিনেশন। চ্যাপ্টার ৮

লিখেছেন স্প্যানকড, ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:৩৪

ছবি নেট ।

এ তুমি কি সেই তুমি?
যাকে খুঁজি দিবানিশি
এ তুমি কি সেই তুমি?
যার জন্য নিজেকে
খতম করতে রাজি।

এ তুমি কি সেই তুমি?
যার জন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কবিতা

লিখেছেন জিনাত নাজিয়া, ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ২:৪২

"শেষ অধ্যায়"

তুমি আমায় দেবতাদের দেয়া
অভিশপ্ত সিসিফাস ভেবোনা,
আসলে আমি হই, জলন্ত কোনো অগ্নিকুণ্ড,
অথবা ভালোবাসার দুরন্ত কোনো
এক দুর্বাঘাস।

যেখানে তুমি নিশ্চেন্তে মুখ ডুবিয়ে
শ্বাস নিতে পার। অথবা তুমি
জানই না,... ...বাকিটুকু পড়ুন

কেউ প্লিজ বলে না, ধন্যবাদ বলে না, সরিও বলে না। ***************************

লিখেছেন মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন, ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৩:১৫

আমাদের দেশের মানুষের খুব কমন একটি বিষয় একটু খেয়াল করলেই যে কারো চোখে পরে। আমাদের দেশের মানুষ পারতপক্ষে প্লিজ, সরি, ধন্যবাদ এই জাতীয় শিষ্টাচার বা এটিকেট (Etiquette) সমৃদ্ধ শব্দগুলোর ব্যবহার... ...বাকিটুকু পড়ুন

হ্যালোকাহিনী :) The HELLO Story

লিখেছেন আফলাতুন হায়দার চৌধুরী, ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৫:৪৬

আমরা ফোন বাজলে প্রথমে বলি হ্যালো। প্রশ্ন হল হ্যালো আসলে কি?

কিছু মানুষ বিশ্বাস করতো হ্যালো হলেন টেলিফোনের আবিষ্কারক বিখ্যাত বিজ্ঞানী আলেক্সান্ডার গ্রাহাম বেল এর প্রেমিকা। এই নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×