somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

নতুন নকিব
আলহামদুলিল্লাহ! যা চেয়েছিলাম, তার চেয়েও বেশি দয়া করেছেন আমার পরম প্রিয় রব। যা পাইনি, তা নিয়ে বিন্দুমাত্র আক্ষেপ নেই—কারণ জানি, তিনি দেন শুধু কল্যাণই। সিজদাবনত শুকরিয়া।nnপ্রত্যাশার একটি ঘর এখনও কি ফাঁকা পড়ে আছে কি না, জানি না। তবে এটুকু জানি—

বাইতুল্লাহর মুসাফির (পর্ব-১৯) ব্লগে দেড়শোতম পোস্ট

০১ লা আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১১:৫২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



পেছনের পর্বগুলো-

বাইতুল্লাহর মুসাফির (পর্ব-১)
বাইতুল্লাহর মুসাফির (পর্ব-২)
বাইতুল্লাহর মুসাফির (পর্ব-৩)
বাইতুল্লাহর মুসাফির (পর্ব-৪)
বাইতুল্লাহর মুসাফির (পর্ব-৫)
বাইতুল্লাহর মুসাফির (পর্ব-৬)
বাইতুল্লাহর মুসাফির (পর্ব৭)
বাইতুল্লাহর মুসাফির (পর্ব-৮)
বাইতুল্লাহর মুসাফির (পর্ব-৯)
বাইতুল্লাহর মুসাফির (পর্ব-১০)
বাইতুল্লাহর মুসাফির (পর্ব-১১)
বাইতুল্লাহর মুসাফির (পর্ব-১২)
বাইতুল্লাহর মুসাফির (পর্ব-১৩)
বাইতুল্লাহর মুসাফির (পর্ব-১৪)
বাইতুল্লাহর মুসাফির (পর্ব-১৫)
বাইতুল্লাহর মুসাফির (পর্ব-১৬)
বাইতুল্লাহর মুসাফির (পর্ব-১৭)
বাইতুল্লাহর মুসাফির (পর্ব-১৮)


হজ থেকে কী পরিমান আয় হয় সউদি সরকারের?

আলহামদুলিল্লাহ। প্রতি বছর বিশ্বের লক্ষ লক্ষ মুসলমান হজ করতে যান সউদি আরবে। এসময় দেশটির আর্থিক লেনদেনের হার বেড়ে যায় বছরের অন্যান্য সময়ের চেয়ে অনেক বেশি। অনেকেই জানতে চান, সউদি সরকারের কেমন আয় হয় এই খাতটি থেকে। তাই এ বিষয়ে একটু খোঁজ-খবর নেয়ার চেষ্টা।

আসলে ভিন্ন উদ্দেশ্যে নয়, সঙ্গত কারণেই অনেকের মনে প্রশ্ন জাগে, হজ ও ওমরাহ পালন করতে আসা মুসলমানদের কাছ থেকে প্রকৃতপক্ষে কত আয় করে সউদি সরকার?

গেলো বছর অর্থাৎ ২০১৭ সালে মোট ৮৩ লাখ মানুষ হজ করতে যান। এরমধ্যে ৬০ লাখের বেশি মানুষ ওমরাহ পালন করেন। যতটুকু জানতে পেরেছি, গেলো বছর হজ থেকে সউদি আরবের সরাসরি রোজগার হয় প্রায় ১২ বিলিয়ন ডলার। এছাড়া যারা হজ করতে সউদি আরবে যান তারা মোট ২৩ বিলিয়ন ডলার খরচ করেন।

মক্কার চেম্বার অব কমার্সের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বাইরের দেশ থেকে আসা মুসলমানরা মাথাপিছু ব্যয় করেন ৪৬০০ ডলার। তবে একেক দেশ থেকে আসা হজপ্রত্যাশীদের জন্য আবার একেক রকম খরচ। যেমন ইরান থেকে আসা মানুষদের মাথাপিছু ৩ হাজার ডলার খরচ হয়।

এরমধ্যে যাত্রা, খাওয়া, কেনাকাটা সব খরচই ধরা হয়। পাকিস্তান ও বাংলাদেশিদেরও মোটামুটি এরকমই খরচ হয়।

বিভিন্ন দেশে থেকে সৌদি আরবে হজ করতে আসা মুসলমানদের পার্সেন্টেজ

বিভিন্ন দেশে থেকে সৌদি আরবে হজ করতে আসা মুসলমানদের মধ্যে মধ্যে ইন্দোনেশিয়ার মুসলমানের সংখ্যাই বেশি। সেখান থেকে ২ লাখ ২০ হাজার মানুষ প্রতিবছর হজে যান। এটা মোট হজপ্রত্যাশীর সংখ্যার প্রায় ১৪%।
এরপরই রয়েছে পাকিস্তান (১১%), ভারত (১১%) ও বাংলাদেশ (৮%)।

গেলো এক দশকে গড়ে ২৫ লাখ মুসলমান হজ করেছেন। নানা দেশ থেকে মুসলমানদের প্রায় ৮০ শতাংশ মানুষই ওমরাহ করেন। ৭ বছর আগে ওমরাহ করতে যাওয়া মানুষের সংখ্যা ছিল ৪০ লাখের কাছাকাছি। সম্প্রতি বিবিসি বাংলায় প্রকাশিত খবরে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

হজ ফরজ হওয়ার পর দ্রুত পালন করা উত্তম

হজ ফরজ হওয়ার পর সময় ক্ষেপণ না করে হজ পালন করা উত্তম। হজের মধ্যে রয়েছে অশেষ কল্যাণ। কোনো অজুহাতে হজ পালনে বিলম্ব করা উচিত নয়। হজরত আয়েশা সিদ্দিকা রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহা বলেন : নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, 'হজ ও ওমরাহ সঙ্গে সঙ্গে কর। কেননা, এ দুটি ইবাদত দারিদ্র্য ও গুনা দূর করে, যেভাবে হাপর লোহা ও সোনা-রুপার ময়লা দূর করে। কবুল হজের সওয়াব জান্নাত ছাড়া আর কিছুই নয়।'—তিরমিজি, নাসায়ি।

হজ করার মাধ্যমে গুনাহ থেকে মুক্ত হওয়ার যে সুযোগ পাওয়া যায় তা আল্লাহর অসীম করুণা বিশেষ। হজরত আবু হুরায়রা রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি : 'যে ব্যক্তি হজ করে, সে বাজে কথা বলে না এবং কোনো গুনার কাজও করে না, সে নিজের গুনা থেকে এমনভাবে মুক্ত ও পবিত্র হয়ে ফিরে যায়, যেন তার মা তাকে (এখনই) প্রসব করেছে।'—বুখারি, মুসলিম।

সহিভাবে হজ পালন করে যেহেতু নিষ্পাপ হওয়া যায়, সেহেতু তার জন্য আখিরাতের জীবনে মেলে জান্নাতের পুরস্কার।

হজরত উম্মে সালামা রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহা বলেন, আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলতে শুনেছি : 'যে ব্যক্তি বায়তুল মাকদাস থেকে (মক্কার) কাবা শরিফের দিকে হজ বা ওমরাহর ইহরাম বাঁধে, তার আগের বা পরের গুনা মাফ করা হবে। অথবা তিনি বলেছেন, তার জন্য জান্নাত ওয়াজিব হয়ে যাবে।'—আবু দাউদ, ইবনে মাজাহ।

আরেক হাদিসে হজরত আবু হুরায়রা রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহু থেকে বর্ণিত : নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, 'এক ওমরাহ থেকে অন্য ওমরাহ পর্যন্ত সময়ের জন্য কাফ্ফারাস্বরূপ এবং কবুল হজের প্রতিদান জান্নাত ছাড়া আর কিছুই নয়।'

হজ ও ওমরাহ তাদের পক্ষে পালন করা সম্ভব হয়, আল্লাহর দাওয়াত যারা লাভ করেন। হজরত আবু হুরায়রা রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহু রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণনা করেন। তিনি বলেছেন, 'হজ ও ওমরাহকারীরা হচ্ছে, আল্লাহর দাওয়াতি যাত্রীদল। অতএব, তারা যদি তার কাছে প্রার্থনা করে তবে তিনি তা কবুল করেন এবং যদি ক্ষমা চান তবে তিনি তাদের ক্ষমা করে দেন।'—ইবনে মাজাহ।

আল্লাহ আমাদের সবাইকে সত্বর হজ করার এবং আল্লাহর দাওয়াতি কাফেলার যাত্রী হওয়ার তাওফিক দান করুন।


















সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা মার্চ, ২০১৯ সকাল ৯:১৯
১০টি মন্তব্য ১০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছি , অবৈধ দখলদার॥ আজকের প্রতিটি অন‍্যায়ের বিচার হবে একদিন।

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:১০



ধিক ‼️বর্তমান অবৈধভাবে দখলদার বর্তমান নরাধমদের। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশে । বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষমা চাইতে হলো ! রাজাকার তাজুলের অবৈধ আদালতে। এর চাইতে অবমাননা আর কিছুই হোতে পারেনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন

আম্লিগকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধে আর কোন বাধা নেই

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:২২


মঈন উদ্দিন ফখর উদ্দিনের ওয়ান-ইলেভেনে সরকারের ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে ভারতের সহায়তায় পাতানো নির্বাচনে হাসিনা ক্ষমতায় বসে। এরপরই পরিকল্পিত উপায়ে মাত্র দুই মাসের মধ্যে দেশপ্রেমিক সেনা অফিসারদের পর্যায়ক্রমে বিডিআরে পদায়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:৪৫


বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন

J K and Our liberation war১৯৭১

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৯



জ্যাঁ ক্যুয়ে ছিলেন একজন ফরাসি মানবতাবাদী যিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান হাইজ্যাক করেছিলেন। তিনি ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ তারিখে প্যারিসের অরলি... ...বাকিটুকু পড়ুন

এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ

লিখেছেন এ আর ১৫, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:৪০



এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ


২০০৪ সালের ২১ শে অগাষ্ঠে গ্রেনেড হামলার কারন হিসাবে বলা হয়েছিল , হাসিনা নাকি ভ্যানেটি ব্যাগে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×