একটা ঝড় এসেছে। নাম শরীফ থেকে শরীফা। উহা নিয়ে যে হইচই মাতম শুরু হয়েছে কি আর বলব। আমি পড়ি আর হাসি। শান্তির চেয়ে অশান্তি তৈরী যার মুল লক্ষ্য ।
চলেন একটু নব্বই দশকে যাই। তারও আগে থেকে এদেশে হিন্দি মুভির গান জনপ্রিয় এবং বেজে চলছে দেদারসে।
তো নব্বই দশকে কারিশমা কাপুরের খুদ্দার মুভির একটা জনপ্রিয় গান ছিল " সেক্সি সেক্সি সেক্সি মুঝে লোক বলে /হাই সেক্সি হ্যালো সেক্সি কিউ বলে ? " ক্যাসেটের দোকানে অনেকের বাসায় এ গান বেজেছে। যাদের ঘরে বা দোকানে বেজেছে এরা কিন্ত সকলে মুসলিম !
এতো বছর পর এ গান বাজলে লোকে হাসবে কারণ উহা পুরাতন। এরচেয়ে কত কি বাজারে চলে এসেছে।
উদাহরণ দিচ্ছি,
এইতো সেদিন একটা নাটকের দৃশ্য দেখলাম, মারজুক রাসেল আর মুনিরা মিঠুর। উনারা জগিং করছেন। জগিং এর এক পর্যায়ে মারজুক রাসেল মুনিরা মিঠুকে বলছে, ডাব খাবেন।
মুনিরা মিঠু উহা শুনে যে এক্সপ্রেশন দিলেন বা যা বললেন তা সেই সেক্সি গানের চেয়ে বেশী মারাত্মক! উনি ভেবেছেন মারজুক বলেছেন, *প খাবেন। কি সাংঘাতিক !
এখন ফিরে আসি শরীফার গল্পে। একজন মানুষ যদি ছেলে হয়ে নিজেকে মেয়ে বলে ভাবতে থাকেন এটা তার একান্ত নিজের ব্যাপার। আবার একজন মেয়ে যদি নিজেকে ছেলে মনে করেন সেটাও তার একান্তই নিজের ব্যাপার।
এখন কোন ছেলে যদি নিজেকে মেয়ে ভেবে কোন ছেলের সংগে যৌন সম্পর্ক গড়ে তোলেন তা আপনি আমি কিভাবে থামাতে পারি?
আবার কোন মেয়ে যদি নিজেকে ছেলে ভেবে কোন মেয়ের সাথে যৌন সম্পর্ক গড়ে তোলেন তা আপনি আমি কিভাবে থামাতে পারি?
ইসলাম ধর্মে এ নিয়ে সুরা লুত নাজিল হয়েছে। লুতের স্ত্রী সমকামী মতবাদকে মেনে নিয়েছিলেন। পরবর্তীতে সে নারীকে আল্লাহ পাথর বানিয়ে দিয়েছেন। যা এখনো বিদ্যমান জর্ডানে।
প্রায় সকল ধর্ম সমকামিতাকে নিষেধ করেছেন। একবার ভাবেন কথার কথা যদি সবাই সমকামী হয়ে পড়েন তাহলে এ বিশ্বে মানুষ নামের সমস্ত প্রাণী ধ্বংস হয়ে যাবে। মানুষ এক সময় পাপকে পাপ ভাববে না। ভাববে নতুন মতবাদ! যা খুব সত্যি।
সে যাই হোক, যা সত্য সুন্দর তা মেনে নিবেন। যা মিথ্যে তা বর্জন করবেন। এখন এ বিষয়টি একদম সুন্দর করে শেষ করা যেতো কিন্তু কিছু চন্দ্র মানবের ভক্ত আর বিজ্ঞানের আলোতে অসভ্য যদি এ নিয়ে এতো বেশী গুতাগুতি না করতেন। গুতাগুতি ঠিক ছিল এখন শুনি ইহা নাকি সরকার উৎখাতের আন্দোলন ! তাইলে ক্যামনে কি ?
ফ্রান্সের নতুন প্রধানমন্ত্রী সমকামী। তো সেখানকার মুসলিম কমিউনিটি কি পণ্য বর্জন অথবা রাস্তায় বেরিয়ে আন্দোলন মিশিল শুরু করছেন?
তাই বলে ভাববেন না যে, আমি সমকামীদের পক্ষে বলছি। আমার মগজে কোনদিন বাসা বাঁধে নাই এমন বিকৃত রুচি।
যুগে যুগে ভালো মন্দ এ দুটি টিকে ছিল আবার থাকবেও। একদম চরম মন্দ না হওয়া পর্যন্ত কিন্তু স্রষ্টা তাঁর সৃষ্টি করা এমন সুন্দর গোছানো সাজানো বাগান তছনছ করে দিবেন না। এখন খারাপ হতে চলেছে উহা চলবে যা একটা চলমান প্রক্রিয়া। যেমন সৌদিতে এখন ডিপ্লোমেটদের জন্য মদ খোলাখুলি খাওয়া এবং বেঁচা শুরু হতে চলেছে।
এখন সরকারের উচিত যিনি গল্পটি লিখেছেন তার উদ্দেশ্য যদি হয় সমকামী মতবাদকে স্টাব্লিশ করা তবে তাকে আইনের আওতায় নিয়ে আসা কারণ দেশটা মানুষের !
কিন্তু মজার ব্যাপার হচ্ছে কি জানেন, এ দেশেও একসময় সমকামী বৃদ্ধি পাবে। তাদের রেস্তোরাঁ হবে। সেক্স শপ হবে মুদি দোকানের মতো সময়টা শুধু আসতে বাকী। মানুষ উহা মেনেও নিবে। যেমন আমরা মেনে নিয়েছে কারিশমার সেক্সি গান এবং মারজুকের ডাব ! সুদ, ঘুষ, চাঁদা দেয়া, ভন্ড নেতাদের বড় বড় মিথ্যাচার আরও কত হ্যান ত্যান।
যাক একটা ইনফরমেশন দিয়ে রাখছি। ১৯৭১ এ কুমিল্লা সেকটর -- ২ এ রনী নামের একজন মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। যিনি হচ্ছেন কিনা তৃতীয় লিংগের!