somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

শিশুদের জন্য মজার শব্দের জাদু

০১ লা ডিসেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১:২৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



শিশুরা শব্দের জগতে এক অদ্ভুত আনন্দ খুঁজে পায়। তাদের জন্য প্রতিটি শব্দ যেন একটি ছোট্ট পৃথিবী, যেখানে মজা আর হাসির কোনো কমতি নেই। আপনি যদি কখনো ছোট্ট শিশুদের সাথে সময় কাটান, তাহলে নিশ্চয়ই লক্ষ্য করেছেন—তারা শব্দ শুনতে বা বলতে খুবই আনন্দিত হয়! তাই আজ আমরা সেইসব মজার শব্দ নিয়ে কথা বলবো, যেগুলি শিশুদের মনে এক অবিশ্বাস্য আনন্দের সঞ্চার করে।

১. "হাম্বা হাম্বা!" (গরুর ডাক)
শিশুদের জন্য গরুর ডাক সবচেয়ে মজার শব্দগুলোর মধ্যে একটি। "হাম্বা হাম্বা!" বললেই মনে হয় যেন গরুটি হাসছে, আর শিশুরা হেসে উঠতে পারে সেই গরুর সঙ্গে!

২. "মিঁয়াও মিঁয়াও!" (বিড়ালের ডাক)
বিড়ালদের মিষ্টি ডাক শুনলে যে কারও মন ভালো হয়ে যাবে। "মিঁয়াও মিঁয়াও!" বললে মনে হয় যেন সেই বিড়ালটি সোজা চলে আসবে এবং শিশুরা আনন্দে খিল খিল করে হাসবে!

৩. "চু চু চু!" (পাখির ডাক)
পাখিদের "চু চু চু!" ডাক শুনলে মনে হয় যেন পৃথিবীটি এক বিশাল মেলোডি হয়ে উঠছে। এই শব্দে শিশুরা খেলতে খেলতে আনন্দে মেতে উঠবে।

৪. "গড় গড় গড়!" (গড়ানোর শব্দ)
গড়ানোর শব্দ যেন কোনো খেলনা বা গাড়ির নিচে গড়িয়ে যাওয়ার সাথে সম্পর্কিত। শিশুরা এই শব্দটি শুনে আনন্দে উল্লাস করতে থাকে, যেন গড়ানোটা তাদের নিজেরই!

৫. "টপ টপ টপ!" (জলের শব্দ)
এটা এমন একটি শব্দ যা শুনলে মনে হয় যেন ছোট্ট বাচ্চারা জল খেলছে বা বৃষ্টিতে ভিজছে। "টপ টপ টপ!" বললে শিশুরা সাথেই "বৃষ্টির দিন" উপভোগ করতে শুরু করে!

৬. "দড়ুম দড়ুম! বা তাকদুম তাকদুম" (ঢোলের শব্দ)
ঢোলের শব্দে শিশুরা একেবারে নাচতে শুরু করে। "দড়ুম দড়ুম! বা তাকদুম তাকদুম" (ঢোলের শব্দ)
ঢোলের শব্দে শিশু" মানে একটা বড় আছড়ে পড়ার শব্দ—এটা শুনলে শিশুদের মধ্যে এক আনন্দদায়ক ঝংকার অনুভব হয়।

আরও কিছু মজার শব্দ:
"বেল বেল বেল!" (ঘণ্টার শব্দ)
"প্যাঁক প্যাঁক প্যাঁক!" (কুকুরের ডাক)
"ধমধম ধম!" (বজ্রপাতের শব্দ)
"বুপ বুপ বুপ!" (গাড়ির হর্ন)
"ঝন ঝন ঝন!" (ঝাঁঝালো শব্দ)

কেমন লাগে যখন শিশুরা এই শব্দগুলো বলে?
শিশুরা যখন এইসব মজার শব্দ উচ্চারণ করে, তখন তাদের মুখে হাসি ফুটে ওঠে, চোখে উজ্জ্বলতা আসে। শব্দের সঙ্গে তাদের শরীরও নড়ে ওঠে, যেন তারা সেই শব্দের অনুভূতি নিজের মধ্যে ঢুকিয়ে নিচ্ছে। এসব শব্দ তাদের কল্পনাশক্তিকে আরও প্রসারিত করে, এবং তারা জানে—এই শব্দগুলো একে অপরের সাথে ভাগাভাগি করে, সবার মন আনন্দে ভরে যায়।

কেন শিশুদের জন্য শব্দ এত গুরুত্বপূর্ণ?
শব্দ শুধু যোগাযোগের মাধ্যম নয়, বরং শিশুদের মানসিক বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। যখন শিশুরা মজা করে শব্দ শুনে এবং শিখে, তারা ভাষার প্রতি আগ্রহী হয়ে ওঠে। বিভিন্ন শব্দের সঠিক উচ্চারণ, তাদের মনে কল্পনা ও নতুন ধারণার জন্ম দেয়। এছাড়াও, শিশুদের এই ধরনের শব্দ দিয়ে খেলার মাধ্যমে তাদের মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বাড়ে এবং স্মৃতিশক্তি উন্নত হয়।

শেষ কথা:
শব্দ শুধু অর্থবহ নয়, শিশুদের জীবনে এক বিশাল আনন্দের খেলা হয়ে ওঠে। আর এই মজার শব্দগুলো তাদের জীবনে এক নতুন রঙের ছোঁয়া এনে দেয়। একে অপরের সাথে এই শব্দগুলো ভাগাভাগি করে শিশুদের হাসানো, খেলানো এবং তাদের এক অনবদ্য পৃথিবী তৈরি করার সুযোগ আমাদের হাতে। তাই, আসুন, এই শব্দের খেলা চালিয়ে যাই—হাসি, আনন্দ এবং কল্পনা দিয়ে আমাদের পৃথিবীকে আরো সুন্দর করি!
"হাম্বা হাম্বা!" আর "মিঁয়াও মিঁয়াও!"—শিশুর হাসির সুরে আমাদের পৃথিবী হয়ে উঠুক আরো রঙিন!

এ সম্পর্কিত অন্যান্য পোস্ট-
শিশুর চোখে প্রকৃতিঃ সোনামনিদের ১০টি গল্প
সোনামণির মধুর সময়- যে সময়ে যে গল্প
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা ডিসেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১:৪১
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

=আকাশে তাকিয়ে ডাকি আল্লাহকে=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:০১


জীবনে দুঃখ... আসলে নেমে
শান্তি গেলে থেমে;
আমি বারান্দায় দাঁড়িয়ে হই উর্ধ্বমুখী,
আল্লাহকে বলি সব খুলে, কমে যায় কষ্টের ঝুঁকি।

আমি আল্লাহকে বলি আকাশে চেয়ে,
জীবন নাজেহাল প্রভু দুনিয়ায় কিঞ্চিত কষ্ট পেয়ে;
দূর করে দাও সব... ...বাকিটুকু পড়ুন

"ছাত্র-জনতার বেপ্লবের" ১৮ মাস পরে, আপনার ভাবনাচিন্তা ঠিক আগের মতোই আছে?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:৫৭



২০২৪ সালের পহেলা জুলাই "ছাত্র-জনতার বেপ্লব শুরু হয়, "৩৬শে জুলাই" উহা বাংলাদেশে "নতুন বাংলাদেশ" আনে; তখন আপনি ইহাকে ব্যাখ্যা করেছেন, ইহার উপর পোষ্ট লিখেছেন, কমেন্ট করেছেন; আপনার... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের হাদিকে গুলি করা, আর আওয়ামী শুয়োরদের উল্লাস। আমাদের ভুল কোথায়?

লিখেছেন তানভির জুমার, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:৫৩



৩০ জনের একটা হিটলিস্ট দেখলাম। সেখানে আমার ও আমার স্নেহের-পরিচিত অনেকের নাম আছে। খুব বিশ্বাস করেছি তা না, আবার খুব অবিশ্বাস করারও সুযোগ নাই। এটাই আমার প্রথম... ...বাকিটুকু পড়ুন

এ যুগের বুদ্ধিজীবীরা !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১:৪০


ডিসেম্বর মাসের চৌদ্দ তারিখ বাংলাদেশে বুদ্ধিজীবী দিবস পালন করা হয়। পাকিস্তান মিলিটারী ও তাদের সহযোগীরা মিলে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে হত্যা করেন লেখক, ডাক্তার, চিকিৎসক সহ নানান পেশার বাংলাদেশপন্থী বুদ্ধিজীবীদের!... ...বাকিটুকু পড়ুন

টাঙ্গাইল শাড়িঃ অবশেষে মিললো ইউনস্কর স্বীকৃতি

লিখেছেন কিরকুট, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:৫৭



চারিদিকে যে পরিমান দুঃসংবাদ ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে এর মধ্যে নতুন এক গৌরবময় অধ্যায়ের সূচনা হলো বাংলাদেশের টাঙ্গাইলের তাতের শাড়ি এর জন্য, ইউনেস্কো এই প্রাচীন হ্যান্ডলুম বুননের শিল্পকে Intangible Cultural... ...বাকিটুকু পড়ুন

×