somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ঊনসত্তুর থেকে পচাঁত্তুর-'৭১এ যাদের বয়স তিনের কম ছিল তাদের থেকে সামুর কনিষ্ঠতম ব্লগারটিকে উৎসর্গীকৃত-পর্ব১৬

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:১১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

[si]অবতরনিকা: বংগবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নির্বংশকারীদের (আমি নির্বংশই বলবো কারন প্রচলিত ধারায় বংশগতি পুরুষ উত্তরাধিকারীর ওপরেই বর্তায়) শাস্তি প্রদানের পর থেকে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে একটার পর একটা পোষ্ট আসছে। যার প্রায় সবগুলোই (গুটি কয়েক ব্যতিক্রম ছাড়া) পক্ষপাত দুষ্ট। অনেক ভাবনা চিন্তা করে আমার নিজস্ব ক্ষতির কথা ভুলে/ এড়িয়ে আমি আমার একান্ত ব্যাক্তিগত অভিজ্ঞতা তুলে ধরছি, শিরোনামে উৎসর্গীকৃত ব্লগারদের জন্যে। ৩ বছরটা উল্লেখ করার কারন হ'ল যে মানুষের কোন স্মৃতি ৩ বছর বয়সের আগে থাকেনা, সাধারনত। এ পোস্টে আমার ব্যাক্তিগত ক্ষতি গুলোঃ

১। এটা প্রকাশিত হবার পর আমার পরিচয় গোপন থাকবেনা, যা আমি এতদিন সযতনে রক্ষা করেছি।

২। ব্যাক্তিগত ঘটনা বয়ান পাঠকদের কাছে মাঝে মধ্যে আত্মপ্রচার ও পারিবারিক প্রচারের মত লাগবে যা আসলেই অশোভন, অরুচিকর এবং বিরক্তিকর। এগুলোও আমি লুকিয়ে রাখার আপ্রাণ চেষ্টা করে এসেছি আজীবন।

৩। কোন পক্ষাবলম্বন না করে লেখাটা অত্যন্ত দুঃসাধ্য। আমার জন্যে আরো কঠিন। কারন যৌবন যখন সদ্য দেহ-মনে ভর করে আমার সমগ্র সত্তাকে ভীষনভাবে নাড়িয়ে দিচ্ছে, যা কিছুই সুন্দর তারই প্রেমে পড়ছি, ঠিক সে সময়ই বংগবন্ধুর সাথে আমার পরিচয়। নিরপেক্ষভাবে তাঁর ব্যাপারে লিখতে আমার খুবই কষ্ট হবে এবং আমাকে অসাধ্য সাধন করতে হবে।

৪। শুধুমাত্র স্মৃতি নির্ভর লেখার মূল সমস্যাটা হ'ল ভুল স্মৃতি মনের মধ্যে থাকা। যে কেউ যদি নিজের অভিজ্ঞতা থেকে আমার কোন বক্তব্যে দ্বিমত প্রকাশ করেন, তা'লে তাকে আমি অনুরোধ করবো মন্তব্যে তা তুলে ধরতে। আমার স্মৃতি ঘাটতে সাহায্য করার নেই কেউ আমার হাতের কাছে।

আমি আপ্রাণ চেষ্টা করবো-আমার যে একটা দায় আছে আমার পরের প্রজন্মগুলোর কাছে।

আমার এই দায় শোধ যদি এই প্রজন্মকে আমাদের গৌরবময় আর কলংকলেপিত অতীতকে নিরপেক্ষ ভাবে দেখতে শেখার পথে একপাও এগিয়ে নিয়ে যায়, তা'লেই আমি মনে করবো সেটা আমার জীবনের শ্রেষ্ঠ অর্জন।

অনুগ্রহ করে মনে রাখবেন এটা আমার একান্তই ব্যাক্তিগত সৃতিচারন। পারিবারিক ঘটনাবলীর চর্বণ। সমগ্র দেশের ব্যাপারটা কখনোই প্রধান্য বিস্তার করবেনা, সে সাধ্য বা যোগ্যতা আমার নেই।

পুরো সময়টার কিছু অনুল্লেখ যোগ্য অংশ বিষদ ভাবে আসবে আবার অতি গুরুত্বপূর্ণ অংশ বাদ পরবে, ব্যাক্তগত স্মৃতিচারনের এটা একটা বিরাট সমসয়া। অনুরোধ করি বিষয়টা মনে রেখে আমার এ লেখাটা পড়বেন ।

পুরোটা পড়ার পর অনেকের কাছেই এটাকে "পর্বতের মূষিক প্রসব" বলে মনে হ'তে পারে। তাদের কাছে আমি ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি।

>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>

পর্ব-১পর্ব-২পর্ব-৩ পর্ব-৪
পর্ব৫পর্ব-৬পর্ব-৭ পর্ব-৮ পর্ব-৯ পর্ব-১০ পর্ব-১১ পর্ব-১২ পর্ব-১৩ পর্ব-১৪ পর্ব-১৫ পর্ব-১৬পর্ব-১৭ পর্ব-১৮পর্ব ১৯ পর্ব-২০

পরিসর বহির্ভুত বয়ান

আমি করজোড়ে ক্ষমা প্রার্থনা করছি পরিসর বহির্ভুত বিষয়ের অবতারনা করার জন্যে।

নীচের লাইনকৃত বিষয়টির ওপর আমি একটা পোষ্ট তৈরি করা শুরু করেছিলাম,অমি রহমান পিয়ালের ঢাকা থেকে আকিয়াব : পূর্ব পাকিস্তানের শেষ উড়ান এ মন্তব্য করতে গিয়ে। প্রায় পাঁচ মাসের এই পরিশ্রমটি আমি এখানে জুড়ে দিলাম। গতকালের পোষ্টটি দেবার পর থেকেই একটানা বসা কম্পিউটারের সামনে। স্ত্রী ভীত, দু' আত্মজ আতংকিত, সবচে' আদরের কন্যাটি তিনবার অকারনে ধমক খেয়ে অভিমানে আমার সাথে কথা বন্ধ করেছে। আমি নিশিতে পাওয়া মানুষের মত আমাদের ইতিহাসের সবচে' কম আলোচিত, সবচে' কম জানা, সবচে' কষ্টকর ও মানবেতরো অধ্যায়ের মধ্য দিয়ে ছুটে চলেছি।

এক্কেবারে নীচে দেয়া রেফারেন্স গুলোর প্রায় সবগুলোই ইনটারনেট থেকে টোকা, গত পাঁচ মাসের বিভিন্ন সময়ে। জুড়ে না দিলে '৭৪ এর মন্বন্তরটি আমরা বিচার করতে পারবোনা। বিচারের ভার আপনাদের। আমি শুধু আমার প্রচন্ড মানসিক চাপ লাঘব করছি।

শিল্প বিপ্লবের সময় ইউরোপে হাতের কাজে দক্ষ লোকেরা (artisans) খুব বিপদে পড়ে যায়। তাদের হাতে গড়া জিনিস শুধুমাত্র চড়া মূল্যের জন্যে মার খেতে থাকে। স্বভাবতই তাদের রাগ যেয়ে পড়ে কল-কারখানাগুলোর ওপর। কারখানাগুলো বন্ধ করতে তারা তখন তাদের কাঠের খড়ম (যাকে তারা বলতো sabot) চলন্ত যন্ত্রাংশের ওপর ফেলে দিত। এখান থেকেই sabotage কথাটার উৎপত্তি।

এই ব্লগে আমি লক্ষ্য করেছি যে '৭৪এর দূর্ভিক্ষ নিয়ে লেখাগুলোর মধ্যে দূর্ভিক্ষকে স্যাবোটাজ করার চেষ্টা হয়েছে বেশ কয়েকবার। আমি তাই আবহমান বাংলার দূর্ভিক্ষ সম্পর্কে কিছু আলোচনা করে তারপর আমার নিজের অতি সংক্ষিপ্ত অভিজ্ঞতা আপনাদের জানাবো।
____________________________________________
অমর্ত্য সেন, গণতন্ত্র ও দূর্ভিক্ষ

অমর্ত্য সেন তার একাধিক লেখায় মত প্রকাশ করেছেন যে কোন দেশে যদি কার্যকরী গনতান্ত্রিক সরকার থাকে তা'লে সে দেশে দূর্ভিক্ষের কোন কারন থাকেনা। আমি ধৃষ্টতা দেখাচ্ছি এ ব্যাপারে দ্বিমত পোষন করতে।

বাংলার স্মরণাতীত কালের ভয়াবহ সব গুলো দূর্ভিক্ষই হয়েছিল ইংরেজদের শাসনামলে। শেষটি হয় ১৯৪৩-৪৪ সালে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে। সে সময় ব্রিটেনে চার্চিলের গনতান্ত্রিক সরকার ছিল অধিষ্ঠিত। চার্চিল নিজে তো বাংলায় দূর্ভিক্ষের সময় সেখানে খাদ্য পৌঁছুতে কার্যকরী ভাবে বাঁধা দিয়েছেনই এমনকি বিলেতের সংসদে এই দূর্ভিক্ষ নিয়ে যখন আলোচনা হয় তখন সেখানে মাত্র ১০ শতাংশ সাংসদ উপস্থিত ছিলেন। অথচ বাংলা ইংরেজদের আগে শাসন করেছে রাজন্যবর্গ আর তাদের পরে পশ্চিম বংগ ছাড়া বাকিটুকুর বেশিরভাগ সময়েই সামরিক একনায়কেরা। নীচের দেয়া প্রবন্ধাংশটির সাথে আমি শতভাগ একমত না হ'লেও এটা তুলে দিলাম, আপনাদের চিন্তার খোরাক হ'তে পারে বলে:
Click This Link target='_blank' >After independence, from 1947 till date, East Bengal (presently known as Bangladesh) has been ruled by dictators for many years. Yet, during the past five and a half decades, the number of starvation deaths in East Bengal (or West Bengal) is not even one per cent of the number of people that died of starvation during the half-century before independence. The issue, obviously, is not dictatorship versus democracy
{দেশ বিভাগের পর ১৯৪৭ থেকে আজ পর্যন্ত পূর্ববংগ (অধুনা বাংলাদেশ) অনেক দিন ধরেই স্বৈরশাসক দিয়ে শাসিত, কিন্তু তার পরও গত সাড়ে পাঁচ দশকে যত লোক না খেতে পেয়ে মারা গেছে তার সংখ্যা দেশ বিভাগের আগের অর্ধ শতাব্দীতে না খেয়ে মরা লোকের ১ শতাংশও না}।

ছিয়াত্তুরের মন্বন্তর

আমাদের মানবতার চরম অপমানের সূচনা ১৭৭০এ। সেটাই ছিল " ছিয়াত্তুরের মন্বন্তর"। ১৭৭০ খৃষ্টাব্দ ছিল বাংলা পন্জিকার ১১৭৬ বংগাব্দ। ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানী বাংলার শাসন ভার নেয় ১৭৫৭তে। মাত্র তের বছরের মাথাতেই (অনেকের মতে ৫ বছর) ভয়াবহ এই দূর্ভিক্ষে পুরো বাংলা (বাংলাদেশ ও পশ্চিম বংগ), বিহার আর উড়িষ্যার কিছু অন্চল এই পৃথিবীর ভয়াবহতম দূর্ভিক্ষে পতিত হয়। বাংলার এক তৃতীয়াংশ মানুষ না খেয়ে মারা যায়। মন্বন্তরে মৃত মানুষের সংখ্যা ছিল এক কোটি কারো কারো মতে দেড় কোটি। বাংগালী তখন মরা মানুষের মাংসও খেয়েছিল। পশ্চিম বংগ ও বিহার সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছিল। বাংলাদেশ (পুর্ববাংলা), উড়িষ্যা ও ঝাড়খন্ডও এ ভয়ংকর দূর্ভিক্ষে পড়েছিল। করুণতম অবস্থা ছিল বীরভুম আর মুর্শিদাবাদের। জনপদের পর জনপদ বিরান হয়ে গিয়েছিল। বীরভুমের এককালের মনুষ্য বসতি তখন কয়েক দশকের জন্যে ঘন জংগলে ছেয়ে গিয়েছিল।

স্মরণাতীত কালের ভয়াবহতম এই দূর্ভিক্ষের কারন ছিল খরা। ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানী এই দুর্ভিক্ষ বাগে আনতে কুটোটিও নাড়েনি। তারা তখন ব্যাস্ত ছিল বানিয়াবৃত্তিতে কত লাভ হ'ল তার হিসেব কষতে আর এদেশ থেকে তাদের দেশে খাদ্য রপ্তানীতে!

ভুলে যাওয়া দূর্ভিক্ষ-১৯৪৩-৪৪

জয়নুল আবেদিন, মডেল: মৃতপ্রায় বুভুক্ষুরা

কেউ কি বিশ্বাস করবেন যদি বলি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ড্রেসডেন, হ্যামবার্গ, হিরোসিমা, নাগাসাকি, টোকিও আর ব্রিটেন মিলিয়ে যত বেসামরিক লোক মৃত্যু বরন করে এই অভাগা বাংলায় না খেয়ে তার পন্চাশ থেকে একশো গুন লোকের করুণ মৃত্যু হয়? ব্রিটিশ সেনা মারা যায় ৩লক্ষ ৩ হাজার, তাদের কমন ওয়েল্থে থাকা দেশগুলোর সৈন্য মৃত্যু সংখ্যা ছিল ১ লক্ষ ৯ হাজার, মার্চেন্ট নেভির (বেসামরিক সমুদ্রগামী জাহাজের নাবিক, খালাসী ইত্যাদি) ৩০ হাজার।

সম্পূর্ণ মনুষ্য সৃষ্ট এই আকালে বাংলার ৩৫ থেকে ৫০ লক্ষ মানুষের অকাল মৃত্যু হয়েছিল।


অমর্ত্য সেন তাঁর লেখায় অত্যন্ত্ বোধগম্য ভাষায় বুঝিয়েছেন যে একমাত্র দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ইংরেজদের ভারতের জন্যে প্রয়োগকৃত নীতিমালাই সম্পূর্ণভাবে দায়ী এই দূর্ভিক্ষের জন্যে, খাদ্যাভাব বা খাদ্য উৎপাদনের ঘাটতি নয়।


জয়নুল আবেদিন, মডেল: মৃতপ্রায় বুভুক্ষুরা

বাবার অভিজ্ঞতাঃ মনুষ্য সৃষ্ট এই দূর্ভিক্ষের প্রত্যক্ষ সাক্ষী বাবা। বাবার বয়স তখন ১০/১১। পূর্ব বংগের অপেক্ষাকৃত সচ্ছল পরিবারটি তখন রুটিন করে উপোষ দিত। সারা গ্রামে (অত্যন্ত অবস্থাপন্ন গ্রাম) কেউই দুবেলা পেট পুরে খেতনা। আখাউড়া ও আগরতলায় দাদাদের বেশ কিছু দোকান পাট ছিল। সে গুলো থেকে ভাড়া আসতো।১৯৪৩এর শেষ দিকে সে দোকান গুলোর ভাড়া ছয় মাসে ১০ গুণ বৃদ্ধ পাওয়াতে '৪৪এর প্রথম থেকে আর উপোষ দিতে হয়নি তাদের।

জয়নুল আবেদিন, মডেল: মৃতপ্রায় বুভুক্ষুরা

যখন পড়ি আর জানি যে সে দূর্ভিক্ষে মেয়েদের চেয়ে ছেলেরাই মারা পড়েছিল বেশী, তখন অনুধাবন করতে বাধ্য হই যে মানবতা কত ভাবেই না ভুলুন্ঠিত হয়েছিল তখন।

দেহদানের বিনিময়ে বেঁচে থাকার সুযোগ ছেলেদের তখন ছিল না।


আমার সংগ্রহে একমাত্র '৪২-৪৩এর মন্বন্তরের ফটো


দূর্ভিক্ষ-১৭৫৭ থেকে ১৯৪৭

বাংলায় ইংরেজদের শাসনামলের ১৮২ বছরে ৩০ থেকে ৪০টি দূর্ভিক্ষ হয়। কত কোটি বাংগালীকে যে এই মানবিক বিপর্যয়ে প্রাণ দিতে হয়েছে তার নির্ভরযোগ্য পরিসংখ্যান কোথাও নেই। ইংরেজ উপনিবেশকদের দেয়া কিছু উপাত্তই শুধু সম্বল। তবুও যেটুকুই জানা যায় সেই সীমিত তথ্য থেকে, তাতে বুঝতে কারো কষ্ট হয়না বর্বর ইংরেজদের সেই শকুনীর চেহারা।

দূর্ভিক্ষ-১৯৭৪

গ্রাহ্য মতে ১৯৭৪ সালের দূর্ভিক্ষে পনেরো লাখ মানুষের মৃত্য হয়। এর মধ্যে সাড়ে এগারো লাখ মারা যায় ১৯৭৪, বাকি সাড়ে চার লাখ পরে বিভিন্ন রোগে ও শারীরিক দুর্বলতায়।

কারন সমুহের মধ্যে ছিল:

১। নিরবিচ্ছিন্ন অভ্যন্তরীন ও আন্তর্জাতিক সরবরাহের অনুপস্থিতি। খাদ্যের সুসম বন্টন দেশের মধ্যে ছিল না। আমেরিকা ১৯৫ জন পাকি যুদ্ধাপরাধী যুদ্ধাপরাধীদের বিচার না করে ছেড়ে দিতে চাপ প্রয়োগ করার উদ্দেশ্য নিয়ে পি এল ৪৮০র বাইশ লক্ষ টন খাদ্য শস্যের চালান আটকে দেয়। লক্ষ্য করুন, বাংলাদেশে তখন বাৎসরিক খাদ্য ঘাটতির পরিমান ছিল ৩০ লক্ষ টনেরও কম। এরপর বাংলাদেশ কিউবায় পাট রপ্তানী করে। বাংলাদেশে নিযুক্ত আমেরিকার রাষ্ট্রদুত অত্যন্ত খোলামেলা এবং পিনাক রন্জন সুলভ বক্তব্য রাখে: বাংলাদেশের কিউবায় পাট রপ্তানী নীতির পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশে খাদ্য সরবরাহ/সাহায্যের প্রতিশ্রুতি আমেরিকা দিতে পারেছেনা। বংগবন্ধু পাকি যুদ্ধাপরাধীদের ছেড়ে দিলেন (সামুর অনেকেই জিজ্ঞেস করে থাকেন প্রায়ই যে শেষ বাংগালীটি পাকিস্তান থেকে ফেরৎ আসার পরও কেন বংগবন্ধু ১৯৫ জন নরপিশাচকে ছেড়ে দিলেন, আমার এই উদ্ধৃতি সে ব্যাপারে আপনাদের সাহায্য করবে বলে আশা করি) পরে কিউবায় পাট বেচাও বন্ধ করলেন। কিন্তু ততদিনে অনেক দেরী হয়ে গেছে।

২। দূর্নীতি ও স্বজন প্রীতিঃ এ ব্যাপারে ব্যাখ্যার কিছু নেই। আমার ধারনা এখনকার মত দূর্নীতি যদি তখন সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে ঢুকে যেত তা'লে মৃতের সংখ্যা অন্ততঃ দ্বিগুন হ'ত।

৩। খাদ্যের অসম বন্টন: বিরাজমান অস্থিতিশীল নিরাপত্তামূলক, সামাজিক, রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক পরিস্থিতির সুযোগে খাদ্য মজুদ একটা অত্যন্ত লাভজনক ব্যাবসায় পরিনত হয়। ব্যাবসা করতো মূলত সুযোগ সন্ধানীরা। রাজনৈতিক ছত্রছায়াও তারা অর্থের বিনিময়ে কিনতো।

৪। তখন বাংলাদেশে বৈদেশিক মুদ্রা ছিল অত্যন্ত কম। চাল কেনার পয়সা ছিল না।

৫। আন্তর্জাতিক বাজারে তখন বাংলাদেশের এলসির কোন গ্রহনযোগ্যতা ছিলনা, তাই বাকিতেও বাংলাদেশ চাল আমদানী করতে পারেনি।

৬। ১২ই নভেম্বর'৭০এর ঘুর্নিঝড়ে ৫ লক্ষ মানুযের প্রানহানী সহ অপুরনীয় সামগ্রিক ক্ষতি হয়েছিল।অনুবাদঃকোন এক পাকিস্তানি কূটনীতিকের উদ্দেশ্যে চিঠিঃ(নিউ ইয়র্ক রিভিউ অফ বুকস,২ সেপ্টেম্বর ১৯৭১), একলব্য১৯৭১ যা কাটিয়ে উঠতে দীর্ঘ সময় লাগে। ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছিল বৃহত্তর বরিশাল-বাংলার খাদ্য ভান্ডার।

৭। '৭১ এককোটি লোকের বাধ্য হয়ে ভারতে চলে গিয়েছিল, জমি পড়ে ছিল অনাবাদী।

৮। পরবর্তীকালে, যুদ্ধ বিদ্ধস্থ বাংলাদেশে চাষের অনুকুল পরিবেশ ছিলনা।

৯। সর্বোপরি সার ও কীটনাশকের সরবরাহ প্রায় শুন্যে নেমে এসেছিল। ৭ কোটি কম্বল ঠিকই এসেছিল, কিন্তু সাত ছটাক ইউরিয়া বা সাত আউন্স কীটনাশক এসেছিল বলে আমার জানা নেই।

১০। কোন প্রকার খাদ্য সহায়তা দিতে বন্ধু ভারত অস্বীকার করে।

পাদটিকা: ওপরের ৪ থেকে ৯ নম্বর কারন সর্বজন গ্রাহ্য নয়।


দূর্ভিক্ষের বলী

বাংলার জনসংখ্যা ১৭৭০ সালে ছিল ৪ কোটির বেশী । এখন ১৪ কোটি ৭৪ লক্ষ। জনসংখ্যা ঘনত্ব প্রতি বর্গ কিলোমিটারে ৯০০ জন। কিন্তু সব সময়ই দেখা গেছে দূর্ভিক্ষের দিনে মজুর, প্রান্তিক চাষী এবং যাদের মালিকানাধীন চাষ যোগ্য ভুমির পরিমান পরিবার প্রতি (৭ জনের পরিবার) ৩ একরের কম ছিল কিম্বা যাদের খাদ্য কেনার মত পয়সা ছিলনা তারাই অবধারিত মৃত্যু মুখে পতিত হয়েছে।

সবচে' ভাবনার খোরাক যোগায় আমাদের আদিবাসীরা। অর্থনৈতিক ভাবে সবচেয়ে অনগ্রসর এই জাতি সত্তা ২৩ টি ধারায় বিভক্ত যার মোট জন সংখ্যা ২০ লাখের চেয়ে কিছু বেশী আজ। কিন্তু বাংলার ২৪০ বছরের মন্বন্তরের ইতিহাস ঘাটলে পাবেন একটা অভুতপূর্ব তথ্য, এই আদিবাসীরা সবগুলো দুর্ভিক্ষকে অত্যন্ত সফলতার সাথে, একজোটে, সমাজবদ্ধভাবে মোকাবেলা করেছিল।
_____________________________________________
একদিনের উপোষ

কলেজ থেকে সবে বাড়িতে ফিরেছি। সর্বক্ষণ পেটে খিদে। কলেজে বাসার তুলনায় রাজভোগ খেতাম। প্রতিদিন সকালে ডিমের হালুয়া আর পুরি, দুপুরে সাগরের বাজে (trash fish: minor fishes that are dumped in the sea/ocean after sifting worthy fishes like Tuna, Salmon, etc from the catch) মাছ, ডাল আর ভাত রাতে রুটি আর মাংস। সকাল সাড়ে দশটায় কলেজের ডেরি ফার্মের গরুর আধ কাপ দুধ সাথে এক টুকরো কেক, বিকেলে চা--আমাদের বাসার তুলনায় ফৌজদারহাট তখন এক স্বপ্নের দেশ।

সন্ধ্যার দিকে দারোয়ানের নজর এড়িয়ে কিভাবে যেন একটি ৬ জনের অভুক্ত পরিবার বাসায় ঢুকে পড়লো। আপনারা ইথিওপিয়ার না খেতে পাওয়া মানুষগুলোর চামড়ার রংটা শুধু একটু হালকা করে দিন-দৃশ্যমান করতে কোন অসুবিধে হবেনা তাদের। হাড্ডির সাথে সেঁটে থাকা চামড়া, জ্বলজ্বলে চোখ, পশুর মত। কোলের বাচ্চাটির নাক, মুখ, চোখে মাছি ভন ভন করছে। পরিবারের কর্তাটি ভাত চাইলো না। মাকে অনুরোধ করলো ফ্যান দিতে যৎসামান্য। মার চোখ দিয়ে ক্রমাগত অশ্রু গড়িয়ে পড়ছে। ঠোঁট কেঁপে কেঁপে উঠছে। আমাদের জন্যে রান্না করা বুটের ডাল আর বানানো কুঁড়োর রুটি সবই দিয়ে দিলেন তিনি পরিবারটিকে। ওরা যা না খেল তার চেয়ে এঁটো করলো বেশী। অনেক দিন না খেতে খেতে খাওয়ার অভ্যাস চলে গেছে ওদের।

বাড়িতে আর কোন খাবার বা মার হাতে কোন পয়সা না থাকাতে পেট পুরে পানি খেয়ে সে রাতে ঘুমুতে গেলাম।


দূর্ভিক্ষে পুষ্টির ব্যাবস্থা

আমাদের বাড়িতে '৭৪ আগ থেকেই দূর্ভিক্ষাবস্থা বিরাজ করছিল। '৭৪ এর মার্চ/এপ্রিলে আমাদের দশা আরো খারাপ হ'ল। রুটিও ঠিকমত জোগার করতে পারছিলেন না বাবা আমাদের জন্যে। বাজারে চাল ছিল না। এস এস সির তখনো দেরী (সম্ভবতঃ সেপ্টেম্বর'৭৪তে এস এস সি দেই)। ছুটিতে বাড়িতে। আমার ওপর কাঁচা বাজার করার ভার। আমার স্পষ্ট মনে আছে যে সোনাকান্দা (নারায়নগন্জ, ঈসা খাঁর দূর্গের জন্যে বিখ্যাত) বাজার থেকে বাজার করতাম। গরুর মাংস ছিল ৯ টাকা সের আর চাল ১০ টাকা । যদিও ও দু' মহার্ঘ খাদ্য খুব কমই কিনতে পেরেছি, দাম জিজ্ঞেস করতাম রোজই।

বাবা চিন্তায় পড়ে গেলেন। সাহায্যকারী ও চালক নিয়ে ১৩ জনের সংসার। অনেক সময়ই পানি খেয়ে পেট ভরিয়েছি তখন। ৩ বেলার খাবার দু' বেলাতে নেমে এসেছে। আর তখন ক্ষুধাও লাগতো খুব। হঠাৎ করে বাবা চেয়ারম্যান হবার আগের চাকুরীটির প্রভিডেন্ড ফান্ডের টাকা পেলেন। ১৯৭২এর জানুয়ারীর হিসেবে অনেক টাকা। কিন্তু তখনকার হিসেবে ফকিরের ভিক্ষে। মার বিয়ের সময়কার শেষ দুটি বালা (বাকি সব গয়না '৭২ থেকে '৭৪এর প্রথম দিকেই বিক্রি করা শেষ), প্রভিডেন্ড ফান্ডের টাকা এবং ব্যাংকের ওডি মিলিয়ে বাবা সিরাজগন্জের শাহজাদপুর (রবীন্দ্রনাথের কুঠি বাড়ি) থেকে ইয়া বড় একটা গাই কিনে আনলেন। যেন রাজ্য জয় করেছেন তিনি , তেমনি ভাবে বল্লেন "আমার পোলাপানেরা ভাত পায়না তো কি, এখন থেকে দু'বেলা দুধ খাবে"। কালো রংয়ের গরুটি দুবেলায় ৯/১০ সের দুধ দিত। আমরাও বেঁচে গেলাম চরম অপুষ্টির হাত থেকে। সকল প্রশংসা সৃস্টিকর্তার।

প্রচন্ড ক্ষিদেতেও


বাবা মা ততদিনে নৈশ ভোজ আর বিয়ের নিমন্ত্রণ এড়িয়ে যাওয়া শুরু করেছেন। এ সময় একটা বিয়ে কোন ভাবেই না এড়াতে পেরে যেতে বাধ্য হ'লেন। আমি বাবা আর মা। তাপানুকুল গাড়ির দরজা খুলতেই পোলাউয়ের আর রেজালার মৈ মৈ গন্ধে জ্বিব দিয়ে লালা গড়াতে লাগলো। বিশাল আয়োজন। অতিথি আপ্যায়নে কোন ত্রুটি ছিলনা কারো। বুভুক্ষুর মত (আসলে 'মত' না আসলেই বুভুক্ষু ছিলাম) পাহাড়ের সমান উঁচু করে পোলাও আর খাসীর রেজালা নিলাম।

কিন্তু তারপরই কি যেন হ'ল। প্রথম নলাটি মুখে দিতেই কিভাবে যেন সমস্ত খিদে চলে গেল। বাবা মার দিকে তাকিয়ে দেখি তারাও কিছুই খেতে পারছেন না। আমি আজ অব্দি জানিনা কেন। কিছুক্ষণ খাবার নাড়াচড়া করে উঠে পড়লাম এবং গৃহ কর্তাকে কিছু না বলেই কাট মারলাম আমরা তিন জন।

সর্ব সমক্ষে , কাহিনী ছাড়া শুধু মৈথুনের দৃশ্য সম্বলিত যে কোন চলচিত্রের চেয়েও আমার জীবনে দেখা সবচে' অশ্লীল দৃশ্যপট ছিল সেটা।




দূর্ভিক্ষের কথা আর বলতে ভাল লাগেনা।

মানবতার, মানব জীবনের, মানব জন্মের, মানবাত্মার চরম অবমাননা এই মন্বন্তর।

আমি দূঃখিত।



_____________________________________________
References:

A.

1 Famine Inquiry Commission, India ( 1945a), pp. 109-10.
2 This chapter relies heavily on an earlier paper, viz. Sen ( 1977b).


B.

1. Ghosh, K.C.(1944) Famines in Bengal 1770-1943 (National Council of Education, Bengal, Calcutta, 2nd edn, 1987).

2. Das, T.(1949) Bengal famine (1943) as revealed in a survey of the destitutes of Calcutta (University of Calcutta, 1949).

3. Maloo, K.(1987) The history of famines in Rajputana (1858-1900 A.D.) (Himanshu Publications, Udaipur & New Delhi).

4. Satyajit Ray, director, "Distant Thunder", a feature film.

5. Greenough, P.R. (1982) Prosperity and misery in modern Bengal. The famine of 1943 - 1944 (Oxford University Press, New York).

6. Uppal, J.N. (1984) Bengal famine of 1943. A man-made tragedy (Atma Ram & Sons, Delhi).

7. Moon, P. (ed.)(1973) Wavell. The Viceroy's journal (Oxford University Press, London).

8. Kachhawaha, O.P. (1985) Famines in Rajasthan (1900 A.D. - 1947 A.D.) (Hindi Sahitya Mandir, Jodhpur).

9. Merewether, F.H.S. (1898) A tour through the famine districts of India (1985 edn, Usha, New Delhi).

10. History of the Indian sub-continent. Encyclopaedia Britannica, vol.9, pp 334-430 (15th edn, 1977, Chicago).

11. Chatterjee, P. (1984) Bengal 1920-1947. The land question (Bagchi & Co., Calcutta).

12. Hudson, W.J. (1986) Casey (Oxford University Press, Oxford).

13. Gordon, L.A. (1990) Brothers against the Raj (Columbia University Press, New York).

14. Thomson, D. (1965) England in the twentieth century (Penguin, London).

15. Trevelyan, O.M.(1952) History of England (4th edn, 1952, Longmans, London).

16. Wells, H.G. (1951) The Outline of History (1951 edition, Cassell, London).

17. Carter, E.H. and Mears, R.A.F. (1960) A history of Britain (Clarendon Press, Oxford).

18. Langer, W.L.(1956) (ed.) An encyclopaedia of world history (3rd edn, 1956, Harrap, London).

19. Porter, B. (1975) The lion's share. A short history of British imperialism 1850-1983 (Longman, London).

20. Grün, B.(1975) The timetables of history. A chronology of world events (1975 edn, Thames & Hudson, London).

21. Ross,J.(1993) (ed.) Chronicle of Australia (Chronicle, Melbourne).

22. Shaw, A.G.L. (1960) The story of Australia (2nd edn, Faber & Faber, London).

23. Frost, A. (1987) Towards Australia - the coming of the Europeans. Ch. 9 in Mulvaney,D.J. & White, J.P.(eds) Australians - a historical library (Fairfax, Syme & Weldon, Melbourne).

24. Clark, C.M.H. (1962) A history of Australia (Melbourne University Press, Melbourne).

25. Murray-Smith, S.(1974) (ed.) The dictionary of Australian quotations (Heinemann, Melbourne).

26. Gürün, K.(1985) The Armenian file. The myth of innocence exposed (Weidenfeld & Nicolson, London).

27. Walker, C.J. (1990) Armenia. The survival of a nation (2nd edn, Routledge, London).

28. El-Ghusein, F. (1917) Martyred Armenia (Pearson, London).

29. Pearce, F. (1995) Don't stop talking about tomorrow. New Scientist, 15th April, p4 (see also Editorial, ibid, p3).

30. Moore, T.G. (1995) Why global warming would be good for you. Public Interest, vol. 118, 83 - 99.

31. Eastwood, P. (1991) Responding to global warming (Berg, New York).

32. Edgerton, L.T. (1991) The rising tide. Global warming and sea levels (Island Press, Washington).

33. Leggett, J. (1990) (ed.) Global warming. The Greenpeace report (Oxford University Press, Oxford).

34. Mitchell, G.J. (1991) World on fire. Saving an endangered earth (Macmillan, New York).

35. Myers, N. (1990) The Gaia atlas of future worlds. Challenge and opportunity in an age of change (Penguin, New York).

36. Weissberg, A. (1958) Advocate for the dead. The story of Joel Brand (Andre Deutsch, London).

37. Laqueur, W. (1980) The terrible secret. Suppression of the truth about Hitler's "final solution" (Penguin, London).

38. Wasserstein, B. (1980) Britain and the Jews of Europe 1939 - 1945 (Oxford University Press, Oxford).

C.

[1]
Mohiuddin Alamgir, Bangladesh, Bangladesh Institute of Development Studies, Dacca 1978, pp. 48ff.
[2]
Mohiuddin Alamgir, Famine in South Asia, Oleschlager, Gunn & Han, Cambridge 1980, p. 59; retranslated from German.
[3]
C. Walford, "The Gamines of the World: Past and Present", in: Journal of the Statistical Society, 41(3) (1978), pp. 436-442.
[4]
A. Loveday, The History and Economics of Indian Famines, Bell & Sons, London 1914, pp. 135ff.
[5]
Cf. for this Paul R. Greenough, Prosperity and Misery in Modern Bengal, Oxford University Press, New York/Oxford 1982, pp. 42-61.
[6]
Regarding the disastrous effects of applying the pure theory of the free market in India cf. S. Ambirajan, Classical Political Economy and British Policy in India, Cambridge University Press, Cambridge 1978, regarding various famines especially pp. 59-100.
[7]
Cf. Paul R. Greenough, op. cit. (note 5), pp. 61-70.
[8]
Amartya Sen, Poverty and Famines, Oxford Univ. Press, New York/Oxford 1981, re. Bengalen cf. pp. 52-85.
[9]
Cf. Peter Bowbrick, How Sen's Theory Can Cause Famines, Quality Economics, Nottingham 1997; P. Bowbrick, A refutation of Professor Sen's theory of famines. Institute of Agricultural Economics, Oxford. 1986.
[10]
For this, see the Letter to the Editor by Peter Bowbrick, "Tatsachen, Theorie und der Nobelpreis," Vierteljahreshefte für freie Geschichtsforschung 4(3&4) (2000), S. 449-452; Engl.: "Fact, theory and the Nobel Prize," online: http://www.vho.org/VffG/1999/3/Bowbrick.html.
[11]
Best summarized by Paul R. Greenough, op. cit. (note 5), pp. 86-138, with more references there.
[12]
Cf. for this Sugata Bos, "Starvation amidst Plenty: The Making of Famine in Bengal, Honan and Tonkin, 1942-1945", in: Modern Asia Studies 24(4) (1990), pp. 699-727, here pp. 715ff.
[13]
O. Goswami, O., "The Bengal Famine of 1943: Re-examining the Data" The Indian Economic and Social History Review, Vol. 27, No. 4, 1990.
[14]
"British greed, grain exports and callous indifference. The 1943 famine in Bengal, India", The Irish People (NY), Nov. 14, 1998, all following quotes from this. The quotes had to be retranslated since this newspaper's online access was recently restricted to subscribers, see http://www.inac.org/irishpeople.
[15]
Hamburger Edition, Hamburg 1998 and 1999.

First published in German in Vierteljahreshefte für freie Geschichtsforschung 3(3) (1999), pp. 274-278. Translated by Fabian Eschen.

D. Bengal famine of 1943
From Wikipedia, the free encyclopedia

Links:

The Forgotten Holocaust - The 1943/44 Bengal Famine Dr Gideon Polya


Bangladesh famine of 1974 From Wikipedia, the free encyclopedia


Bengal famine of 1770 From Wikipedia, the free encyclopedia


World War-II Peoples War, An Archive of World War II Memories by Sutapas


The Great Bengal Famine A BRIEF OUTLINE

The Medieval History Journal Famine in Bengal: A Comparison of the 1770 Famine in Bengal and the 1897 Famine in Chotanagpur

সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই এপ্রিল, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:৩৬
২৮টি মন্তব্য ২৯টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কুড়ি শব্দের গল্প

লিখেছেন করুণাধারা, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:১৭



জলে ভাসা পদ্ম আমি
কোরা বাংলায় ঘোষণা দিলাম, "বিদায় সামু" !
কিন্তু সামু সিগারেটের নেশার মতো, ছাড়া যায় না! আমি কি সত্যি যাবো? নো... নেভার!

সানমুন
চিলেকোঠার জানালায় পূর্ণিমার চাঁদ। ঘুমন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্ম ও বিজ্ঞান

লিখেছেন এমএলজি, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:২৪

করোনার (COVID) শুরুর দিকে আমি দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহবান জানিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম, যা শেয়ার হয়েছিল প্রায় ৩ হাজারবার। জীবন বাঁচাতে মরিয়া পাঠকবৃন্দ আশা করেছিলেন এ পোস্ট শেয়ারে কেউ একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

তালগোল

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫


তু‌মি যাও চ‌লে
আ‌মি যাই গ‌লে
চ‌লে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফু‌রা‌লেই দি‌নের আ‌লোয় ফর্সা
ঘু‌রেঘু‌রে ফি‌রে‌তো আ‌সে, আ‌সে‌তো ফি‌রে
তু‌মি চ‌লে যাও, তু‌মি চ‌লে যাও, আমা‌কে ঘি‌রে
জড়ায়ে মোহ বাতা‌সে ম‌দির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

মা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩


মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।

অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১৮



একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×