somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ধোঁয়া ধোঁয়া ভালোবাসা.............. পর্ব- ৯

০৬ ই মে, ২০১৩ রাত ১১:৪৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

পর্ব- ১
পর্ব- ২
পর্ব- ৩
পর্ব- ৪
পর্ব- ৫
পর্ব- ৬
পর্ব- ৭
পর্ব- ৮



"মিথুন, এই মিথুন.... সেই কখন থেকে ডাকছি তোকে"

> কি হয়েছে মা? এত সকালে কেন ডাকাডাকি করো?
> এত সকাল মানে! কয়টা বাজে সেই খবর রাখিস? অফিসে যাবি না....???
> (হাই তুলতে তুলতে) ওহ্ অফিস, তাই বলো। আমি ভাবলাম কি না কি.....
> এবার ওঠ। সাড়ে আটটা বাজে।
> হায় হায় বলো কি...!! তার মানে আজকেও লেট, বসের সেই রামঝাড়ি...!!!

প্রতিদিনের মত লাফ দিয়ে বিছানা ছেড়ে নামলো মিথুন। তাড়াহুড়ো করে ওয়াশরুমে গেলো।
রেডি হয়ে বের হবে এমন সময় মা পিছন থেকে ডেকে উঠলো--
> নাশতাটা খেয়ে যা।
> সময় নাই মা, গেলাম...

ছুটির দিন বাদে প্রায় প্রত্যেক সকালেই মিথুন নাশতা না করেই বেরিয়ে যায়। কখনো হয়তো মা জোর করেই খাইয়ে দেয়।

মিথুন সকালে বাসা থেকে বের হবার সময় পাগলের মত গাড়ি ড্রাইভ করে। আজো তার ব্যাতিক্রম হয়নি।
তবে মেইনরোডে গিয়েই সিগনালে আটকাতে হলো। সামনে বিশাল জ্যাম। অন্যান্য দিনও জ্যাম থাকে তবে এতোটা না।

মিথুনের মেজাজ তো ভীষন তিরিক্ষ হয়ে গেল.....!!!

আশেপাশে মানুষের চেচামেচি, গাড়ির হর্ন, রিক্সার টুং টাং অবিরাম চলছেই। এসবে মিথুনের মেজাজ আরো খারাপ হতে লাগলো।

হঠাৎ পাশের রিক্সায় বসা রমনীর দিকে মিথুনের চোখ আটকে যায়।
মিথুনের মনে হলে এত সুন্দর, অসম্ভব রুপবতী মানবী সে এর আগে কখনোই দেখেনি....
মাঝে মাঝে মৃদু হাওয়ায় মেয়েটার চুল বাতাসে উড়ছে...
মিথুন তাকে যতই দেখছে, ততই যেন নিজেকে তার মাঝে হাড়িয়ে ফেলছে...
মেয়েটাকে সে অপলক দৃষ্টিতে দেখছে। তার মনে হচ্ছে, "এত সুন্দর মানবীও পৃথিবীতে আছে! ও নিশ্চয়ই অন্য কোন গ্রহের বাসিন্দা হবে...."

মেয়েটা একটা নীল রঙের সেলওয়ার কামিজ পড়া। কপালে ছোট একটা নীল রঙের টিপ। চোখ দুটোতে গাঢ় করে কাজল দেয়া। দুহাতে কয়েকটা নীল রঙের কাঁচের চুড়ি। কানে ছোট ছোট নীল রঙের কানের দুল।

মেয়েটাকে ভীষন চিন্তিত দেখাচ্ছে। বারবার মোবাইল বের করে টাইম দেখছে। এত তাড়াহুড়ো কেন মেয়েটার? সেও কি অফিসে যাচ্ছে? অথবা ইমপরটেন্ট ক্লাস বা পরীক্ষা?
নাকি সে তার প্রেমিকের সাথে দেখা করতে যাচ্ছে? নাহ্, এটা হতে পারে না। এ ব্যাপারটা মিথুন মেনে নিতে পারলো না।
হঠাৎ করে কি হলো মিথুনের? কেন তার এমন মনে হচ্ছে? এই মেয়েটা তো তার পরিচিত কেউ না। মেয়েটার নামটা পর্যন্ত সে জানে না...

হঠাৎ আশেপাশের গাড়ির হর্ন আর মানুষের চিৎকার-চেচামেচিতে মিথুনের হুশ ফিরে এলো। ততক্ষনে গ্রীন সিগনাল পড়ে গেছে, সেই রমনীও রিক্সা সহ গায়েব। পেছন থেকে চিৎকার শোনা যাচ্ছে, "ঐ মিয়া আগে বাড়েন। সিগনাল পড়ছে দেহেন না? রাস্তার মাঝে গাড়ি থামায় থুইছেন ক্যান?"

মিথুন তখন জোরসে ড্রাইভ করা শুরু করলো। ১০ মিনিটের মধ্যে অফিসে পৌছে গেলো। অফিসে ঢুকতেই কলিগ খালিদ ভাইয়ের সাথে দেখা।
> এইযে ইরফান সাহেব, আজকে মনে হয় আপনার খবর আছে।
> কেন খালিদ ভাই?
> বস আপনারে খুঁজে। বসের রুমে গিয়া অবস্থা দেখেন।
> ধুর মিয়া আজাইরা টেনশন দিয়েন না তো। যাইতেছি বসের রুমে।

মিথুনের ভালো নাম ইরফান। অফিসে সবাই তাকে এই নামেই ডাকে।

বসের রুমে গিয়ে ব্যাপক ঝাড়ি খেলো মিথুন। আজকে কেন যেন ঝাড়ি খেতে ভালোই লাগলো। সবকিছুই ভালো লাগছে। উফ কি যে করে দিলো মেয়েটা! মেয়েটা যেন ছবির মত চোখে ভেসে উঠছে

সারাক্ষনই মেয়েটার কথা ভাবছে সে। এক সেকেন্ডের জন্যও যেন মেয়েটাকে ভুলতে পারছে না। অন্যরকম এক ভালোলাগা যেন ঘিরে রেখেছে তাকে.......


(চলবে.......)
১৯টি মন্তব্য ১৯টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ব্লগার'স ইন্টারভিউঃ আজকের অতিথি ব্লগার শায়মা

লিখেছেন অপু তানভীর, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ রাত ১১:০৫



সামুতে ব্লগারদের ইন্টারভিউ নেওয়াটা নতুন না । অনেক ব্লগারই সিরিজ আকারে এই ধরণের পোস্ট করেছেন । যদিও সেগুলো বেশ আগের ঘটনা । ইন্টারভিউ মূলক পোস্ট অনেক দিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

...এবং উচ্চতায় তুমি কখনই পর্বত প্রমাণ হতে পারবে না

লিখেছেন নতুন নকিব, ০৫ ই মে, ২০২৪ সকাল ৮:৫৬

...এবং উচ্চতায় তুমি কখনই পর্বত প্রমাণ হতে পারবে না

ছবি কৃতজ্ঞতাঃ অন্তর্জাল।

ছোটবেলায় মুরব্বিদের মুখে শোনা গুরুত্বপূর্ণ অনেক ছড়া কবিতার মত নিচের এই লাইন দুইটাকে আজও অনেক প্রাসঙ্গিক বলে মনে হয়।... ...বাকিটুকু পড়ুন

লালনের বাংলাদেশ থেকে শফি হুজুরের বাংলাদেশ : কোথায় যাচ্ছি আমরা?

লিখেছেন কাল্পনিক সত্ত্বা, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:১৪



মেটাল গান আমার নিত্যসঙ্গী। সস্তা, ভ্যাপিড পপ মিউজিক কখনোই আমার কাপ অফ টি না। ক্রিয়েটর, ক্যানিবল কর্পস, ব্লাডবাথ, ডাইং ফিটাস, ভাইটাল রিমেইনস, ইনফ্যান্ট এনাইহিলেটর এর গানে তারা মৃত্যু, রাজনীতি,... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমেরিকার গ্র্যান্ড কেনিয়ন পৃথিবীর বুকে এক বিস্ময়

লিখেছেন কাছের-মানুষ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৪১


প্রচলিত কিংবদন্তি অনুসারে হাতে গাছের ডাল আর পরনে সাধা পোশাক পরিহিত এক মহিলার ভাটাকতে হুয়ে আতমা গ্র্যান্ড কেনিয়নের নীচে ঘুরে বেড়ায়। লোকমুখে প্রচলিত এই কেনিয়নের গভীরেই মহিলাটি তার... ...বাকিটুকু পড়ুন

চুরি! চুরি! সুপারি চুরি। স্মৃতি থেকে(১০)

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৩৪


সে অনেকদিন আগের কথা, আমি তখন প্রাইমারি স্কুলে পড়ি। স্কুলে যাওয়ার সময় আব্বা ৩ টাকা দিতো। আসলে দিতো ৫ টাকা, আমরা ভাই বোন দুইজনে মিলে স্কুলে যেতাম। আপা আব্বার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×