এশিয়ায় চায়না, সিঙ্গাপুর, হংকং , তাইওয়ান ইত্যাদি দেশগুলো করোনা প্রতিরোধে দারুন সফলতা লাভ করেছে। এই দেশগুলো লকডাউনের রাস্তায় হাটেনি। স্রেফ কিছু কঠোর নিয়ম কানুন বাস্তবায়ন করেছে। এই নিয়মগুলো যে কোন দেশই চাইলে বাস্তবায়ন করতে পারে। দরকার শুধু সদিচ্ছা। এই নিয়মগুলোর পরিপ্রেক্ষিতে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলায় আমাদের দেশেও যা করা যেতে পারে-
(১) করোনা প্রতিরোধে যে স্বাস্থবিধির কথা বলা হচ্ছে তার প্রাথমিক ধাপ হচ্ছে মাস্ক পরিধান এবং সোস্যাল ডিস্ট্যন্স রক্ষা করা। এটা নিশ্চিত করতে সিঙ্গাপুরে সারা শহরজুড়ে প্রচুর Safe distancing ambassador নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এরা কেউ মাস্ক না পড়লে বা ভীড় ভাট্টা করলে সাথে সাথে গিয়ে তাদের ফাইন করছে। এই কারনেই এখানে মাস্ক না পড়া কাউকে রাস্তায় দেখা যায় না বা ভীড় ভাট্টা করতেও দেখা যায় না। আমাদের দেশেও মাস্ক না পড়লে বা জটলা করলে যদি ৫০০ টাকা ফাইনের ব্যবস্থা করে, তাহলে আপনাতেই সবাই এই নিয়ম মানতে বাধ্য হবে। তবে আমাদের দেশে কেউ ফাইন না দিতে চাইলে লাঠিপেটার ব্যবস্থা করা যেতে পারে।
(২) বড় ধরনের গেট্টুগেদার ফাংশন এখন বেশিরভাগ দেশেই নিশিদ্ধ। বিয়ে স্বাদী বা অন্যান্য গেট টুগেদার প্রোগ্রাম স্বল্প পরিসরে আয়োজন করার ব্যবস্থা নিতে হবে।
((৩) বিদেশফেরত যাত্রিদের কঠোর কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করা হয়েছে বেশীরভাগভাগ দেশেই। আমাদের দেশে প্রবাসী শ্রমিকদের হাজীক্যাম্পে ফ্রি কোয়ারেন্টাইন এবং সামর্থবানদের নিজের খরচে হোটেল কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করা প্রয়োজন।
৪) পর্যটন পুরোপুরি বন্ধ না করে স্বল্প পরিসরে করার ব্যবস্থা নিতে হবে। পর্যটন স্পটে সংখ্যা নির্ধারন করে দিতে হবে।
৫) সকল প্রকার খেলাধুলা, মেলা ইতাদি কার্যক্রম অনির্দিষ্ট কালের জন্য স্থগিত করা প্রয়োজন।
উপড়ের নিয়মগুলো কঠোরভাবে পালনের মাধ্যমেই প্রচুর দেশ করোনা প্রতিরোধে দারুন সফল হয়েছে।লকডাউন আদতে কোন সমাধান নয়। করোনা যেভাবে নিত্য রুপ পরিবর্তন করছে তাতে লকডাউন এখন আর কার্যকরী কোন সমাধান নয়। আর আমাদের মত গরীব দেশে লকডাউন স্রেফ গরীবের পেটে লাথি ছাড়া আর কিছু না।করোনা প্রতিরোধে স্বাস্থবিধি মেনে চলা বাস্তবায়ন এবং ভ্যাকসিনই আসল সমাধান।
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা এপ্রিল, ২০২১ রাত ৯:৫৯