ভূতের মতন চেহারা যেমন নির্বোধ অতি ঘোর—
যা-কিছু হারায়, গিন্নি বলেন, “কেষ্ট বেটাই চোর।”
দরজার পাশে দাঁড়িয়ে সে হাসে, দেখে জ্বলে যায় পিত্ত।
তবু মায়া তার ত্যাগ করা ভার—বড়ো পুরাতন ভৃত্য।
এক সময়ের নিয়মিত ব্লগার রাজীব নুরকে কবিগুরু রবীন্দনাথ ঠাকুরের ''পুরাতন ভৃত্যের'' অংশবিশেষ উৎসর্গ করলাম। উইকিপিডিয়া ,গণমাধ্যম বা প্রিয় লেখক হুমায়ুন আহমেদ এর বই থেকে মাঝে মাঝে কিছু কিছু অংশ কপি পেস্ট করতেন রাজীব নুর। তার কপি পেস্ট এর বিষয়টা এই কারনেই সহজেই সবার চোখে পড়ে যেত যেহেতু বিষয়গুলো এমনিতেই সবার জানা। গোয়ার্তুমির কারনে কেন তিনি বারবার ভুল ধরিয়ে দেবার পরও লিঙ্ক দিতেন না , বিষয়টা বুঝতে আমি অপারগ। তবে তার এই বদ অভসের কারনে ব্লগের বাঘা বাঘা ব্লগাররা রাজীব নুরকে যে ভাষা প্রয়োগে তিরস্কার করতেন , ক্ষেত্রবিশেষে তা যথেষ্ঠই দষ্টিকটু ছিল। রাজিব নুরের চমৎকার সব পোস্টে গিয়েও তাকে এই ইস্যূ্তে অপমান, অপদস্ত করা হত। জানিনা দিনের পর দিন এভাবে অপমানিত হবার কারনেই রাজীব নুর তার ব্লগিং ছেড়ে দিয়েছেন কিনা। ব্লগের পাতাকে রাজীব নুর ডাইরির পাতা হিসেবে গণ্য করতেন যেখানে তিনি তুলে ধরনের তার দৈনন্দিন জীবনের দিনলিপি। সেই ডাইরি ছেড়ে কি ভাল আছেন তিনি ?
২৪শে জুন নিপুন কথন নামের এক ব্লগার ফেসবুক থেকে এক লেখকের মৌ্লিক একটি লেখা তার ব্লগে পোস্ট করেন। পুরামানব নামে এক ব্লগার কপি পেস্ট এর এই বিষয়টা সামনে আনেন। ফেসবুকের সেই পোস্টের স্ক্রীনশোট দিয়ে তিনি প্রমান সাবুদ হাজির করেন। গত পরশু আমিও প্রতিবাদ জানাই এই ইস্যূ্তে। plagiarism এর আওতায় একজন লেখকের মৌ্লিক কোন লেখা এভাবে সুত্র ছাড়া নিজের নামে প্রকাশ করা গুরুতর অন্যায় বলে মনে করি। কিন্ত অত্যন্ত দুঃখের সাথে লক্ষ করলাম যে, এই ইসূ্তে সব ব্লগার নিরব!! ব্লগার অপু অবস্য জানিয়েছেন যে, কতৃপক্ষ বরাবর রিপোর্ট করা হয়েছে। সুতরাং আশা করা যায় যে, কতৃপক্ষ ব্যবস্থা নেবে। বিষয়টার ফায়সালা এত নিরবে নিভৃতে হওয়ায় এখন মনে হচ্ছে তাহলে বেচারা রাজীব নুর কেন টার্গেটেড হয়েছিলেন? রবীন্দ্রনাথের সেই পুরাতন ভৃত্যের মত সাধাসিধা ও নীরিহ হওয়াটাই কি তার কাল হল!!
তথ্য সুত্র ঃ পুরাতন ভৃত্যে ( রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর)
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে জুন, ২০২৪ সকাল ১০:১৯