২০২৪ এর শোকাবহ জুলাই মাস ---- এক বছর পর আজ জুলাই ১ , ২০২৫।
শহীদ আবু সাঈদের কবর জিয়ারত ও তার মায়ের দোয়া নিয়ে শুরু হলো এনসিপির সারাদেশব্যাপী জুলাই পদযাত্রা।
জুলাই-আগস্ট আন্দোলনের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে বাংলাদেশ চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে ‘গণঅভ্যুত্থান ২০২৪: জাতীয় ঐক্য ও গণতান্ত্রিক অভিযাত্রা’ শীর্ষক বিএনপির আলোচনা সভা শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার (১ জুলাই) বিকেল ৩টায় এই সভা শুরু হয়!!!!
২০২৪ এর জুলাই মাস এর কথা মনে হলেই চোখের সামনে ভেসে উঠে শুধু লাল রঙ। তরতাজা সব তরুনের রক্তে রঞ্জিত রাজপথ। ফেসবুকে সন্তান , ভাই, বোন হারানো শহীদ পরিবারগুলোর সদস্যদের ফেসবুক স্ট্যটাসে চোখের পানি ধরে রাখা যায় না। যারা হারিয়েছে শুধু তারাই জানে কিসের বিনিময়ে আজ এই দেশ থেকে স্বৈরাচার বিতারিত হয়েছে। শহীদ সৈকতের বোন সাবন্তি ভাই ছাড়া প্রথম ঈদের দিনে লিখেছিল -আগে কত চাওয়া-পাওয়া ছিলো।মনে হতো এটা থাকলে ভালো হয়,ওটা হলে ভালো হয়। এখন খালি মনে হয়,"আল্লাহ,আমার ভাই ফেরত দাও,আর কিচ্ছু চাইবোনা। আজ শোকাবহ জুলাই এর প্রথম দিনে ফেসবুকে লিখেছে -এই দিনে একটাই দোয়া,আমার পরিবার যারা শেষ করসে,যারা আমার ভাইদের খুনের পেছনে জড়িত,আল্লাহ তাদের ধ্বংস করে দিক!
#justiceformahamudurrahmanshoikot
দেশের বৃহত্তম রাজনৈ্তিক দল হিসাবে বিএনপি জুলাই শহীদদের স্মরনে বা তাদের বিরোচিত অবদানের প্রতি কৃতজ্ঞতা স্বরুপ কোন প্রোগ্রামেরই আয়োজন করে নাই। জুলাই আন্দোলনে বিএনপির অনেক নেতা কর্মীরাওতো জীবন দিয়েছে। তাদের তালিকা প্রকাশ ও তাদের পরিবারের লোকদের পাশে দাড়ানোর দিন কি নয় আজ ? যেভাবে স্যুট টাই পড়ে সেজেগুজে বিএনপি নেতারা চীন মৈত্রী সম্মেলনে হাজির হয়েছে , দেখেতো মনে হচ্ছে কোন বিয়ে বাড়ির আয়োজনে সমবেত হয়েছে তারা! জুলাই এর শোকাবহ মাসের প্রথম দিনেও তাদের গণতান্ত্রিক অভিযাত্রা ( সাধের নির্বাচন) নিয়ে আলোচনা সভা আয়োজন করতে হবে?
দুর্নীতির দায়ে দেশ থেকে বিতাড়িত তারেক রহমানের উদ্দেশ্যে বলতে চাই '' এক দুর্নীতিবাজ স্বৈরাচারের বদলে আরেক দুর্নীতিবাজ দলকে ক্ষমতায় বসাতে আবু সাইদ, মুগ্ধরা জীবন দেয় নাই।''
উপড়ের ছবিটা দেখুন। এই বছর ইন্টারমিডিয়েট পরীক্ষায় বসার কথা ছিল এই বাচ্চাগুলোর। বাবা মায়ের অতি আদরের এই সন্তানেরা কোন ফাকে বেরিয়ে গিয়ে রাস্তায় নেমে আন্দোলনে শরিক হয়ে জীবন দিয়েছিল কি নির্বাচনের দাবীতে ?
১৮ জুলাই দিনটিকে ‘বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিরোধ দিবস’ হিসেবে পালন করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেসসচিব শফিকুল আলম।অনেক গুরুত্বপূর্ণ তারিখের মধ্যে ১৮ জুলাই সম্পূর্ণরূপে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের এবং তাদের সাহসী প্রচেষ্টার জন্য উৎসর্গ করা হয়েছে। প্রাইভেট ইউনিভার্সিটির ছাত্ররা কোনদিন বিসিএস পরীক্ষায় বসবে না। কোটা সংস্কারে তাদের কোন কিছুই যায় আসে না। কিন্তু তারা সবাই রাজপথে নেমে জীবন দিয়েছিল এই দেশের গলে পচে যাওয়া নষ্ট সিস্টেমে পরিবর্তন আনার তাগিদে। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারীদের নেতৃত্ব দান কারী সমন্বয়ক নাহিদ, আসিফ, হাসনাত, সারজিসরা ফ্যসিবাদী ব্যবস্থা বিলোপ করে নয়া রাজনৈতিক বন্দোবস্তের দাবী নিয়ে ৩রা অগাস্ট মৃত্যূর মুখোমুখি দাঁড়িয়ে ঐতিহাসিক ১ দফা দাবী পেশ করেছিল।
বিএনপি যেভাবে জুলাই আন্দোলনকে কোন প্রকার স্বীকৃতি না দিয়ে , এই আন্দোলনের মূখ্য উদ্দেশ্যকে প্রাধান্য না দিয়ে আওয়ামিলীগের বিচার ছাড়াই বিনা সংস্কারে যেন তেন প্রকারে নির্বাচন আয়োজনের মাধ্যমে ক্ষমতায় যেতে চাইছে , তাতে ভয় হচ্ছে জুলাই বিপ্লব কি ব্যার্থ হয়ে যাবে এভাবে? ইন্টারমিডিয়েট পরীক্ষার্থী , প্রাইভেট ও সরকারী ইউনির শিক্ষার্থী , নাম না জানা দিন মজুর , টোকাইদের রক্তের সাথে বেইমানি করা হবে যদি ইন্টারিম সরকার বিএনপির নোংরা অভিলাশের সামনে নতি স্বীকার করে। জুলাইকে হারতে দেয়া যাবে না, কোনভাবেই না --------
তথ্যসুত্র ও ছবি ঃ গনমাধ্যম
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা জুলাই, ২০২৫ রাত ৯:৫৮