;
যেই স্পেসিসটা বাইওলোজীতে নেই, জু-লজিতে নেই, ইতিহাসে নেই, উহাকে আবিস্কার করেছে মুসলমান মোল্লারা; বাকী বেকুবরা ইহা নিয়ে ১টি শিল্প চালায়ে যাচ্ছে।
মুসলমানদের সবাই জ্বীন সম্পর্কে কিছুটা হলেও ধারণা রাখেন; কারণ, মোল্লা, মৌলভীরা ইহা সম্পর্কে কম বয়স থেকেই ধারণা দিয়ে থাকে। জ্বীন মোটামুটি মানুষের মতোই, এরা নিজস্ব সমাজে বাস করে, মানুষের মতোই মা-বাবার ঘরে জন্ম নেয়, পড়ালেখাও করে; শুধু কিছু ব্যাপারে মানুষ থেকে আলাদা: চাইলে অদৃশ্য হয়ে যাতে পারে, দ্রুত বেগে উড়তে পারে, অন্যান্য জীবজন্তুর আকার ধারণ করতে পারে।
যারা বলেন যে, জ্বীন কখনো দেখেনি, তারা হয়তো নিয়মিতভাবে জ্বীন দেখছেন; কিন্তু বুঝতে পারেননি যে, ইহা জ্বীন: যেমন ১ জন পথচারীকে সামনে দিয়ে হেঁটে যেতে দেখেছেন, কিন্তু ইহা আসলে ছিলো ১টি জ্বীন; হয়তো দেখেছেন যে, ১টি কুকুর রাস্তার পাশে ঘুমাচ্ছে, ইহা আসলে কুকুর নয়।
ব্লগার সাড়ে চুয়াত্তরের কোন ১ আত্মীয়কে ( মনে হয় ভগ্নপতিকে ) ১টি জ্বীন তুলে নিয়ে গেয়েছিলো, পরে ঘরের ছাদে রেখে গেছে; এছাড়া, ব্লগার বিদ্রোহী ভৃগুকে ২হাতে তুলে আছাড় মেরেছিলো।
সাড়ে চুয়াত্তরের পোষ্ট পড়লে বুঝতে পারবেন, কেন উনার আত্মীয়কে তুলে নিয়ে গিয়েছিলো; একইভাবে, ব্লগার ভৃগুর পোষ্ট পড়লে বুঝতে পারবেন কেন উনাকে আছাড় মেরেছিলো।
এখন আপনি মিলায়ে দেখেন, জ্বীন সম্পর্কে আপনার কতটুকু ধারণা আছে। আপনি এমন কিছু সম্পর্কে জানেন, যা অদৃশ্য হয়ে যেতে পারে, উড়তে পারে, অন্য প্রাণীর আকার ধারণ করতে পারে; এছাড়া, মানুষের মত পরিবার পরিজন নিয়ে বাস করে, মাদ্রাসায় পড়ে; হয়তো, আপনার মসজিদে নামাজও পড়ে; এবং ব্লগার ভৃগুকে পেলে আছাড় মারে; ব্লগার সাড়ে চুয়াত্তরের আত্মীয় পেলে নিয়ে যায়, পারে রেখে যায়।
কতটুকু জ্ঞান থাকলে বাইওলোজীতে নেই, জু-লজিতে নেই, ইতিহাসে নেই, এই রকম ১টি স্পেসিস, যা মানুষের মতোই দেখ্তে উহা সম্পর্কে আপনি জানেন; কিন্তু সক্রেট, এরিষ্টেটল, গ্যালেলিও, নিউটন জানে না; কিন্তু আপনি জানেন!
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই জানুয়ারি, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৪২