somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সৃষ্টি, চেতনা ও আত্মার চিরন্তন যাত্রা -দ্বিতীয় স্তর

১২ ই নভেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:১১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



সাতটি স্তরের মাঝে দ্বিতীয় স্তর ~~ যুক্তিনির্ভর জীবন — বোধের প্রথম অঙ্কুরোদ্গম

প্রথম স্তরের অন্ধকার যখন ধীরে ধীরে সরে যায়, আত্মার সামনে তখন উন্মোচিত হয় “বোধের আলো”। যেমন ভোরের প্রথম সূর্যের আলোক রশ্মি ধীরে ধীরে রাতের অতল অন্ধকার ভেঙে দেয়, তেমনি এ স্তরে আলো এখনো পূর্ণ নয়, কিন্তু উপস্থিত। অজ্ঞতার কুয়াশা এখনো ঘন, কিন্তু তার ভেতরেই জন্ম নেয় চিন্তার প্রথম তরঙ্গ, প্রথম অনুভূতি।এ স্তরে আত্মা উপলব্ধি করতে শেখে—
“আমি কেবল আছি তা নই ; আমি উপলব্ধি করতে চাই।” এই বোঝার উপলব্ধি মানুষকে প্রাণীর স্তর থেকে পৃথক করে দেয়।
দ্বিতীয় স্তরে শুরু হচ্ছে আত্মার বিবর্তনের প্রথম সক্রিয়তা। এ সময় আত্মা প্রথম বুঝতে পারে যে সে স্রেফ যান্ত্রিকভাবে বাঁচে না; সে জানতে চায়, উপলব্ধি করতে চায়।
চিন্তার চারা একটু একটু করে বেড়ে ওঠে। এ চিন্তা জটিল নয়, গভীর নয়, পরিপূর্ণ নয় কিন্তু বিকাশমান। এখানেই চেতনার “অপরিণত যুক্তি” প্রথম জন্ম নেয়। মানুষ দেখা থেকে শেখে, অভিজ্ঞতা থেকে বিচার করে, পরিবেশ থেকে সিদ্ধান্ত নেয়। যদিও সিদ্ধান্তগুলো প্রায়ই ভুল হয়, তবুও এই ভুলই তাকে শেখায়।
হিন্দু দর্শনে আত্মার বিবর্তনের প্রথম স্তরকে “তামসিক” স্তর বলে। এটা অন্ধকার, অজ্ঞতা, বিভ্রান্তির স্তর। জীব আত্মা তখনো মায়ার পর্দায় ঢাকা।নিজের স্বরূপ সম্পর্কে অচেতন। আর দ্বিতীয় স্তরটিকে “রাজসিক” স্তর বলে। এ স্তরে মানুষের ভেতরের শক্তি, মানসিক চাহিদা ও চিন্তার জন্ম হয়। আধ্যাতিকতার প্রথম ধাপ শুরু হয়।
বৌদ্ধধর্মে প্রথম স্তরে আত্মার অবস্থাকে বলা হয় “অবিদ্যা” অবস্থা —যেখানে মানুষ বাস্তবতার প্রকৃত স্বরূপ দেখতে পায় না। চক্রাকারে জন্ম-মৃত্যুর বন্ধনে আবদ্ধ থাকে। দ্বিতীয় স্তরে এসে এটি ‘স্মৃতি ও সচেতনতা’ জন্মানোর আদি ধাপে উন্নীত হয়। অবিদ্যা এখনো প্রবল, তবে জ্ঞানতৃষ্ণার জন্ম হয়।
খ্রিস্টধর্মে আত্মার প্রথম স্তরকে “spiritual infancy” বা আত্মার শৈশব অবস্থা বলে। এখানে মানুষ পাপ বা ভুলের অন্ধকারে আবদ্ধ থাকে। সত্যের আলো তখনো তার কাছে পৌঁছেনি। দ্বিতীয় স্তর হলো spiritual awakening–এর প্রথম পর্যায়। মানুষ বুঝতে পারে যে তার থেকেও উচ্চ কোন শক্তি বিদ্যমান।
সুফি দর্শনে চেতনার প্রথম স্তরকে নাফসে আম্মারা বলা হয় । এটা আত্মার অনিয়ন্ত্রিত ও অপরিপক্ক অবস্থা। সেখানে প্রবৃত্তি দ্বারা সে নিয়ন্ত্রিত। দ্বিতীয় স্তরকে বলে নফসে লাওয়ামা। এখানে আত্মা ভুল - সঠিকের বিচার করতে শুরু করে।
তাওবাদ (Taoism বা Daoism) হলো চীনের এক প্রাচীন দার্শনিক ও আধ্যাত্মিক মতবাদ, যার মূল ভিত্তি হলো প্রকৃতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে জীবনযাপন করা। তাওবাদে প্রথম স্তরটি এমন একটি অবস্থা যেখানে আত্মা “অচেতন দাও” । যেখানে মানুষ প্রকৃতির স্রোত বুঝতে পারে না। দ্বিতীয় স্তর হলো “দাও-এর প্রথম অনুভব”— তাও সবকিছু বুঝতে না পারলেও সে তার অস্তিত্ব অনুভব করতে পারে।

সব ধর্ম ও দর্শনে দ্বিতীয় স্তর “জাগরণের সূচনা”— তবে সম্পূর্ণ জ্ঞান অধিকারের স্তর নয়। বরং এই স্তরে আংশিক জ্ঞানের আলো, আত্মাকে বিকশিত করতে সহায় হয়। তখন প্রশ্ন আসে মনে । মানুষ প্রথমবার “কারণ” ও “ফলাফল” সম্পর্কে চিন্তা করতে শুরু করে। প্রথমস্তরে বজ্রধ্বনি ছিল ভয়, এখন তা রহস্য। আগে তার নদী দেখে মনে হতো শুধু পানি। এখন সে জানতে চায় কেন নদী বয়ে যায়। এই প্রশ্নের জন্মই তাকে জ্ঞানের দিকে পা বাড়াতে সাহায্য করে। এই পর্যায়ে মানুষ ভুল-সঠিকের মাঝখানে থাকে। তবে পূর্বের অজ্ঞানতার আঁধার ভেদ করে “আলো” আর “সত্য”-র স্পর্শ শুরু হয় ।
মানুষ বুঝতে পারে, ‘আমার থেকেও বড় কোন শক্তি বিদ্যমান।’ সে চারিদিকে তাকায়। সে অবলোকন করে প্রভাত হলে সূর্য ওঠে, সন্ধ্যা হলে সূর্য অস্ত যায়। প্রকৃতিতে ঝড় হলে বাতাস বয়ে যায়, বৃষ্টি নামে, বজ্র পড়ে, দিন ও রাতের বদল হয়। এ সব পরিবর্তন মনোজগতকে প্রভাবিত করে। তার ভেতর জন্ম নেয় কোন এক অপরিচিত মহাশক্তির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা। এই অবস্থায় মানুষের মনে গড়ে ওঠে দেবতার অস্তিত্ব, শক্তিকে আরাধনা, প্রকৃতির পূজা, উপাসনা।
এ স্তরে ~
হিন্দুধর্ম অনুসারেঃ সূর্য, বৃষ্টি, বায়ু, অগ্নি — এদের দেবতা রূপ দেওয়ার চিন্তার সূত্রপাত ঘটে।
গ্রিক ধর্ম অনুসারেঃ জিউস, অ্যাপোলোর মতো প্রকৃতি নিয়ন্ত্রক দেবতার অস্তিত্বকে অহবান করা হয়।
শিন্তো ধর্ম অনুসারেঃ পর্বত নদী, বজ্র — প্রকৃতির সবকিছুর মাঝে আত্মা আছে বিশ্বাস করা হয়।
আফ্রিকান উপজাতির ধর্ম অনুসারে বজ্র-দেবতা, বৃষ্টি-দেবতার অস্তিত্ব প্রকৃতিতে বিরাজমান বলে উপলব্ধি করা।

এই স্তরে মানুষ বিশেষ কিছু না জানলেও উচ্চতর কোন এক শক্তিকে উপলব্ধি করে। যথার্থ জ্ঞান না থাকায় মানুষ সূর্যকে দেবতা বলে, বৃষ্টিকে পূজা করে, পাহাড়কে রক্ষাকর্তা ভাবে, নদীকে মাতৃরূপ দেয়। এস্তরে এ সকল অনুভূতির সৃষ্টি হয় চেতনার বিবর্তনে। ফলে এই স্তর কল্পনাশক্তিকে সমৃদ্ধ করে তোলে। অনেক ক্ষেত্রে সাহিত্য জন্মায়, মিথ জন্মায়। যদিও যুক্তিবাদী বিশ্লেষণ তখনো প্রাথমিক স্তরে থাকে।
অতিপ্রাকৃত শক্তি ও কুসংস্কার অজ্ঞতা এবং ভয় থেকে সৃষ্টি হয়। ফলে এই পর্যায়ে মানুষ ভয়কে বিশ্বাসে রূপ দেয়। দানব, পিশাচ,অশুভ আত্মা, ভূত, দেবতাদের অভিশাপ – এসব ধারণা জন্ম নেয় অজ্ঞানতা ও ভয় থেকে। এই স্তরে ধর্মের মৌলিক রূপ জন্ম নেয়, কিন্তু তার মধ্যে যুক্তি কম থাকে, কল্পনা বেশি। সে কারণে দ্বিতীয় স্তরে বাস্তবতার প্রাথমিক স্বীকৃতি মেলে জ্ঞানের অনুভবে। জ্ঞানের মাধ্যমে নয়। মানুষ প্রথমবার উপলব্ধি করে পৃথিবীর বাস্তবতা, মৃত্যুর সত্যতা, জীবনের সীমাবদ্ধতা ও কর্মফল। সে অনুভব করে —বিশ্বের একটি নিয়ম রয়েছে। এই স্তরই আধ্যাত্মিকতার প্রথম ধাপ।
উপলব্ধির প্রথম উন্মেষ আত্মার উত্তরণের দ্বার উন্মোচিত করে। সময়, অভিজ্ঞতা ও জ্ঞান তাকে এগিয়ে নিয়ে যায়। সে শিখতে চায়, পড়তে চায়, ভাবতে চায়। প্রশ্ন করে, বিশ্লেষণ করতে শুরু করে। যখন এই “জ্ঞান তৃষ্ণা” যথেষ্ট শক্তিশালী হয় তখনই আত্মা প্রবেশ করে তৃতীয় স্তরে। বুদ্ধিবৃত্তিক স্তরে।

এক কথায়
হিন্দু দর্শন ও উপনিষদীয় চিন্তা অনুসারে 'চেতনা' নিজেকে প্রকাশ করে স্তর স্তরে।

উপনিষদীয় ৫টি কোষ (শরীর-চেতনার স্তর)ঃ
১. অন্নময় কোষ — শারীরিক দেহ
২. প্রাণময় কোষ — প্রাণশক্তি/শ্বাস/উদ্যম
৩.মনোময় কোষ — মানসিক জগৎ/কল্পনা/ভয়/বিশ্বাস
৪.বিজ্ঞানময় কোষ — বুদ্ধি/জ্ঞান/যুক্তি
৫.আনন্দময় কোষ — পরমানন্দ/সৃষ্টিশক্তি/ঈশ্বরের সঙ্গে সংযোগ

বৌদ্ধ দর্শন (তিব্বতী/মহাযান/থেরবাদ)
বৌদ্ধধর্মের মূল শিক্ষা:
অবিদ্যা/ অজ্ঞতা → যা দুঃখ আনয়ন করে → অতঃপর চেতনার জাগরণ হলে → আত্মা নির্বাণ লাভ করে।
এ ক্ষেত্রে চেতনা বিকাশের ধাপঃ
১ স্তর. কুসংস্কার এবং অজ্ঞতা (অবিদ্যা)
২ স্তর. ভ্রান্ত ধারণা
৩ স্তর. জ্ঞান ও দৃষ্টির শুদ্ধি
৪ স্তর. বীমল-চেতনা
৫ স্তর. অহং বিলীন
৬ স্তর. নির্বাণ
৭ স্তর. মহাশূন্য/ধর্মকায় (বুদ্ধত্ব)

অর্থাৎ, ১–২ স্তর = অবিদ্যা, কুসংস্কার, উপাসনার প্রাথমিক যুগ।

সুফিবাদ (ইসলামী আধ্যাত্মিকতা)
সুফিবাদে মূল লক্ষ্য হলো নফসকে পরিশুদ্ধ করে আল্লাহর নৈকট্য লাভ করা।

নফসের উন্নতির ৭টি স্তরঃ
১. নফস আম্মারা — প্রবৃত্তিনির্ভর, অজ্ঞতা
২. নফস লাওয়ামা — আত্মসমালোচনা
৩. নফস মুলহামা — জ্ঞান, অনুপ্রেরণা
৪. নফস মুতমাইন্না — প্রশান্তি
৫. নফস রাজিয়া — সন্তুষ্টি
৬. নফস মারজিয়া — আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন
৭. নফস কামিলা — পূর্ণতা, ঐক্য
সুতরাং এ আলোচনার সাথে মিল রেখে নিম্নোক্ত ভাবে ভাগ করা যায়ঃ ১ম - ২য় স্তর: প্রবৃত্তি/অজ্ঞতা

খ্রিষ্টীয় মিস্টিসিজম
তিনটি ধাপে আত্মার উত্তোরণ ঘটে। যেমনঃ
1. Purification — পাপ পরিশোধ
2. Illumination — অন্তর্জ্ঞান
3. Union — ঈশ্বরের সঙ্গে মিলন
অর্থাৎ আত্মা ইন্ডিভিজুয়াল সোল থেকে Holy Spirit-এ রূপান্তর - শেষে God-consciousness-এ পরিণতি লাভ করা
খ্রিষ্টীয় mystic দের মতে “When the soul sees no separation, creation flows through it.”

গ্রীক দর্শন
প্লেটোর দর্শন অনুসারে আত্মার তিনটি ধরণের সমাহার। যেমনঃ
1. Appetitive — প্রবৃত্তি
2. Spirited — আবেগ
3. Rational — বুদ্ধি
পরবর্তীতে Neoplatonism-এ ধারণা করা হয়
1. Soul
2. Intellect
3. The One
যা তুলনা করলে বলা যায়ঃ ১–২ স্তর = প্রবৃত্তি/আবেগ

আধুনিক বিজ্ঞান (নিউরোসায়েন্স,কসমোলজি ও কোয়ান্টাম তত্ত্ব)চেতনাকে ব্যাখ্যা করে তিনটি স্তরে। যেমনঃ
1. Primitive brain (Reptilian)
2. Emotional brain (Limbic)
3. Rational brain (Neocortex)

তার সাথে যুক্ত হয়েছে নতুন তত্ত্ব:
* Integrated information theory
* Quantum consciousness
* Unified field theory
যা তুলনা করলে দাঁড়ায়ঃ ১–২ স্তর = বেঁচে থাকার অনুভূতি/ভয়/প্রবৃত্তি

নিউ এজ/মেটাফিজিক্স -এর মতে মহাবিশ্ব "কম্পন" বা vibration দিয়ে তৈরি।
ডাইমেনশন 3D–7D অনুযায়ী চেতনাস্তরঃ
3D: ভৌতিক জগত
4D: বিশ্বাস/এনার্জেটিক সংবেদন
5D: জ্ঞান-প্রজ্ঞা
6D: আধ্যাত্মিক সৃষ্টিশক্তি
7D: উৎস অর্থাৎ চেতনার মূল উৎস(Source consciousness)

ক্রমশঃ
সৃষ্টি, চেতনা ও আত্মার চিরন্তন যাত্রা - প্রথম স্তর
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ২:৫৩
৫টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

হাদির হত্যাকান্ড ও সরকারের পরবর্তি করণীয়!

লিখেছেন আহলান, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:৫১

হাদির প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা। সে দেশকে ভালোবেসে, দেশের মানুষকে ইনসাফের জীবন এনে দিতে সংগ্রাম করেছে। তাকে বাঁচতে দিলো না খুনিরা। অনেক দিন ধরেই তাকে ফোনে জীবন নাশের হুমকি দিয়ে এসেছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মব রাজ্যে উত্তেজনা: হাদির মৃত্যুতে রাজনৈতিক পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৪২

রোম যখন পুড়ছিল নিরো নাকি তখন বাঁশি বাজাচ্ছিল; গতরাতের ঘটনায় ইউনুস কে কি বাংলার নিরো বলা যায়?



বাংলাদেশ প্রেক্ষাপটে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পদটি সবসময় ছিল চ্যালেঞ্জিং।‌ "আল্লাহর... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইন্টেরিম সরকারের শেষদিন : গঠিত হতে যাচ্ছে বিপ্লবী সরকার ?

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:২২


ইরাক, লিবিয়া ও সিরিয়াকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করার আন্তঃদেশীয় প্রকল্পটা সফল হতে অনেক দিন লেগে গিয়েছিল। বাংলাদেশে সে তুলনায় সংশ্লিষ্ট শক্তিসমূহের সফলতা স্বল্প সময়ে অনেক ভালো। এটা বিস্ময়কর ব্যাপার, ‘রাষ্ট্র’... ...বাকিটুকু পড়ুন

মব সন্ত্রাস, আগুন ও ব্লাসফেমি: হেরে যাচ্ছে বাংলাদেশ?

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৩:৫২


ময়মনসিংহে হিন্দু সম্প্রদায়ের একজন মানুষকে ধর্মীয় কটূক্তির অভিযোগে পুড়িয়ে মারা হয়েছে। মধ্যযুগীয় এই ঘটনা এই বার্তা দেয় যে, জঙ্গিরা মবতন্ত্রের মাধ্যমে ব্লাসফেমি ও শরিয়া কার্যকর করে ফেলেছে। এখন তারই... ...বাকিটুকু পড়ুন

তৌহিদি জনতার নামে মব সন্ত্রাস

লিখেছেন কিরকুট, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৫৪




ছবিঃ অনলাইন থেকে সংগৃহীত।


দেশের বিভিন্ন স্থানে সাম্প্রতিক সময়ে ধর্মের নাম ব্যবহার করে সংঘটিত দলবদ্ধ সহিংসতার ঘটনা নতুন করে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। বিশেষ করে তৌহিদি জনতা পরিচয়ে সংঘবদ্ধ হয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×