somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সরকারের পতন | সামনে কঠিন বিপদ (দ্যা গার্বেজ ওয়ার্ল্ড)

১২ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১২:২৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



এই দুনিয়াডা যে গার্বেজে পূর্ণ বুদ্ধিমান কোন ব্যক্তি'ই তা পুরোপুরি নাকচ করে দিতে পারবে না, আর তা যদি হয় আমাদের বাংলাদেশ আরে বাহ! তাহলে তো কোন কথাই নেই এ যেন গার্বেজের এক মহা উৎসব। খুব বেশি নেগেটিভিটি ছড়াতে চাচ্ছি না এই পোস্টে রাজনীতি, ধর্ম এবং অন্য যে কোন বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে কিছু মানুষের বুদ্ধিহীন যুক্তিতর্কে আমাকে অবাক হতে হয় তারই কিছু নমুনা প্রকাশ করবো এই পোস্টে। যেন কোন বিষয়ে যুক্তি-তর্ক হওয়া উচিৎ কংক্রিট এভিডেন্স এবং সম্ভাবনার উপরে ভিত্তি করে কিন্তু আমাদের দেশের অধিকাংশ মানুষের যুক্তি তর্কের প্রধান উৎস হচ্ছে ফ্যান্টাসি আর ধর্মীয় ভাবধারারা, যা কোন সুস্থ আলোচনার প্রধান অন্তরায় বলে আমি মনে করি। খুব কম সংখ্যক মানুষই নিজস্ব চিন্তা চেতনা ব্যবহার করে যুক্তি তর্ক উপস্থাপন করতে পারে, অধিকাংশেই ক্ষেত্রেই দেখা যায় মুখস্থ কিছু বিদ্যা বা ধার করা জ্ঞানের উপর ভিত্তি করে তর্ক জুড়ে দেয় যার বেশির ভাগই ইউটিউব, ফেসবুক অথবা প্রাচীন কোন গ্রন্থ থেকে সরাসরি কপি করা। আমি অনেককেই দেখেছি সুন্দর সুন্দর কথা মালার মাঝে দুই-চারটা ইংরেজি হরফ আর কয়েক লাইন ধর্মীয় বাণী জুড়ে দিয়ে খুব সুন্দর করে বক্তব্য উপস্থাপন করতে, অনেকের কাছে ব্যক্তিটি হয়তো 'বাপফোসরে!! কত্ত বড় জ্ঞানী' টাইপরে কিন্তু কারো কারো কাছে গার্বেজ বই কিছু নয়। আপনার কাছে যা জ্ঞানের কথা, যুক্তির কথা অন্যর কাছে তা পুরোপুরি গার্বেজ হতে পারে, তাই আমাদের যেখানে সেখানে জ্ঞান বিতরণের ক্ষেত্রে একটু সতর্ক থাকা উচিৎ; কোথায় কি বলছি কার কাছে কোন জ্ঞান ঢালছি এ বিষয়ে একটু খেয়াল রাখা উচিৎ তা না হলে গার্বেজ খেতাব পেতে হবে।



ছবি: পিনাকী ভট্টাচার্য, সরকার পতনের ফর্মূলা বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য পেশ করছেন।

এবার মূল প্রসঙ্গ "সরকারের পতন" বিষয়ের দিকে যাওয়া যাক: গত ১০ বছরে বাংলাদেশের রাজনীতি বিষয়ে আমি এখন পর্যন্ত যত বিএনপি'র সমর্থকদের সাথে আলোচনা করেছি তাদের একটাই বুলি সরকারের পতন হবে। কিন্তু সরকারের পতন কিভাবে হবে, প্ল্যান পরিকল্পনা কি সে বিষয়ে তারা পুরোপুরি অজ্ঞ; সরকারের পতন বিষয়ে তারা যেন এক ফ্যান্টাসিতে ভুগছে এবং আগামী ১০/১৫ বছর যে ভুগবে তাহাতে কোন সন্দেহ নেই। আমাদের দেশের রাজনীতিতে একদল ক্ষমতায় আসবে আরেক দল ক্ষমতা হারাবে এটাই স্বাভাবিক কিন্তু বিগত ১৫ বছর ধরে প্রধান বিরোধী দল বিএনপি ক্ষমতায় আসার কোন সম্ভাবনাই তৈরি করতে পারেনি এবং আগামী ১৫ বছরের মধ্যে যে তারা ক্ষমতায় আসতে পারবে সে সম্ভাবনাও ক্ষীণ। যদিও তাদের সমর্থকদের মধ্যে আস্ফালনের কোন কমতি নেই, তারা বিপুল উৎসাহ, উদ্দীপনার মাধ্যমে প্রতি মাসেই ঘোষণা করছে আগামী মাসের এত তারিখে সরকারে পতন, সরকারের পতন হবেই হবে, কিন্তু মাস যায়, বছর যায়, যুগ পার হয়ে যায় সরকার বহাল তবিয়তেই ক্ষমতায় রয়ে যায় সেই সাথে বিএনপি সমর্থকদের অলীক কল্পনাও দীর্ঘায়িত হতে থাকে। সময়ের পরিক্রমায় এক সময়ের প্রবল প্রতাপশালী বিএনপি নামক এই দলটি সাংগঠনিক ভাবে দুর্বল হতে হতে খর্ব শক্তির একটি দলে রূপান্তরিত হয়। বর্তমানে ভঙ্গুর এই বিএনপি'র রাজনীতির মূল চালিকা শক্তি হচ্ছে মানুষের ইমোশন, শুধুমাত্র মানুষের সস্তা আবেগের উপর নির্ভর করে এই দলটি আবারও নিজেদের ক্ষমতায় দেখতে চায়।

বিএনপি'র সমর্থকগণ মনে করে কোন দৈবশক্তি হয়তবা তাদের দলকে ক্ষমতার মসনদে তুলে দিবে, এজন্য তারা সারাদিন অনলাইন, অফলাইন, এখানে সেখানে সরকার পতনের নানা গাল গপ্পো করিয়া বেড়ায়।

যেমন- আমেরিকা বাংলাদেশের উপর নিষেধাজ্ঞা দিয়ে সরকারকে কাবু করবে তারপর তারা সরকারকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়ে নিজেরা ক্ষমতার আসনে অধিষ্ঠিত হইবে। আবার কেউ কেউ রব তুলেছে আমেরিকার সহায়তায় ডক্টর ইউনুসকে প্রধান করে একটি জাতীয় সরকার গঠন করবে তারপর তারা ক্ষমতার সাধ গ্রহণ করবে। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে, আমেরিকা বিএনপির হয়ে কেন কাজ করবে তার সঠিক কোন উত্তর তাদের জানা নেই, তাদের কাজ হচ্ছে ফ্যান্টাসিতে ভুগা, জাতীয় সরকার গঠনের কোন রূপরেখাও তাদের কাছে নেই।

সাধারণত আমেরিকা পৃথিবীর প্রায় সকল দেশের সরকারকে চাপে রাখতে বা নিজেদের স্বার্থ রক্ষার্থে বিভিন্ন নিয়ম কানুন বেধে দেয় যা সম্পূর্ণ তাদের বৈশ্বিক রাজনৈতিক পলিসি, কিন্তু বিএনপি'র সাথে আমেরিকান পলিসির কি যোগ সূত্র থাকতে পারে তা আজ পর্যন্ত আমি বুঝতে পারেনি। বাংলাদেশে যদি বিএনপি বা অন্য কোন বিরোধী দল নাও থাকতো তবুও সরকারকে চাপে রাখতে আমেরিকা বিভিন্ন নিয়ম নীতি বেধে দিতো আর তা তাদের নিজেদের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করার লক্ষ্যেই। কাজেই বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত আমেরিকা যতগুলে পদক্ষেপ নিয়েছে বা ভবিষ্যতে নিবে তা সবই তাদের স্বাভাবিক কার্যক্রমের অংশ। বিএনপি'কে ক্ষমতায় আনার জন্য আমেরিকা মরিয়া হয়ে বসে আছে, বা বিএনপি'র হয়ে আমেরিকা কাজ করছে এমন কোন তথ্য বা এমন কোন অভাস এখন পর্যন্ত পাওয়া যায় নি। আমেরিকাকে ম্যানেজ করার মত দল বিএনপি এখনও হয়ে উঠেনি, দিল্লী বহুদূর মামা। ;)

বাংলাদেশে যে সরকারই ক্ষমতায় থাকুক না কেন আমেরিকার স্বার্থ রক্ষা হলেই চলবে অন্তত পক্ষে আমেরিকার জন্য হুমকি এমন কিছু না করলেই হলো তাহলেই আমেরিকা শান্ত। বাংলাদেশে এমন কিছু ঘটছে না যা আমেরিকার জন্য হুমকি বা বাংলাদেশ আমেরিকার প্রতিদ্বন্দ্বী রাষ্ট্রও হয়ে উঠছে না যে কারণে আমেরিকাকে বাংলাদেশের রাজনীতি বিষয়ে এতটা সিরিয়াস হতে হবে। র‍্যবের উপর যে সেংশন দেয়া হয়েছে ইহা সম্পূর্ণ আমেরিকার নিজস্ব পলিসির জন্য দিয়েছে বিএনপি'কে ক্ষমতায় বসানোর জন্য নয়, সুতরাং বিএনপি সমর্থকদের এসব নিয়ে লম্ফ ঝম্ফ করার কোন কারণ দেখি না। অদূর ভবিষ্যতেও যদি কিছু গার্মেন্টস কোম্পানির উপর কোন সেংশন আসে তবে তা হবে বিশ্বে আমেরিকার শ্রমনীতি বাস্তবায়নের জন্য, বিএনপি'কে ক্ষমতায় আনার জন্য নয়। মূল কথা হলো, আমেরিকান নিষেধাজ্ঞার সাথে বিএনপির ক্ষমতায় আসা বা না আসার কোন সম্পর্ক নেই।

যা বলতে চাচ্ছি তা হচ্ছে: ক্ষমতায় আসার জন্য বিএনপি আমেরিকার সাথে এমন কোন কূটনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তুলতে পারেনি যে কারণে আমেরিকা বিএনপির হয়ে কাজ করবে। বিগত ১৫ বছরে বিএনপির একজন নেতাও আমেরিকান নীতিনির্ধারকদের সাথে এক টেবিলে বসে আলোচনা করতে পারে নি, কিন্তু আওয়ামী লীগ প্রকাশ্যে এবং গোপনে দুই ভাবেই আলোচনা চালিয়েছে, বিশেষ করে ইন্ডিয়াকে দিয়ে আমেরিকাতে খুব ভালোভাবে লবিং চালিয়েছে। বিএনপি'র হয়ে কোন একটি দেশও আমেরিকাতে লবিং চালিয়েছে কি না তা আমার জানা নেই। আন্তর্জাতিক বিশ্বে বিএনপি এতিম একটি রাজনৈতিক দল বলে আমার মনে হয়, অতীতে তাদের কুকীর্তির জন্য এদের পক্ষ হয়ে কথা বলার তেমন কোন দেশকে'ই আমি দেখতে পাচ্ছি না। পাকিস্তানের সাথে আমেরিকার ভালো সম্পর্ক কিন্তু পাকিস্তান কখনোই বিএনপি'র হয়ে আমেরিকাতে লবিং করবে না কারণ পাকিস্তানের সাথেও বিএনপির আহামরি কোন কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই, এরা মুখে মুখেই শুধু পাকিস্তানপন্থী কিন্তু বাস্তবে অতটা নয়, বরং পাকিস্তানের সাথে আওয়ামী নেতাদেরই ভালো সম্পর্ক রয়েছে বলে আমি জানি। অপরদিকে বিশ্বের সর্ববৃহৎ গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ভারতের সাথেও বিএনপির সম্পর্ক সাপে নেউলে। বিশ্বায়নের এই যুগে আন্তর্জাতিক বিশ্বে এমন একঘরে একটা দল ঠিক কোন আলাদীনের চেরাগের উপর ভর করে ক্ষমতায় আসতে চায় তা আমার বোধগম্য নয়। আন্তর্জাতিক বিশ্বে বিএনপি এখনও জঙ্গি একটি রাজনৈতিক দল হিসেবে পরিচিত কারণ তাদের সময়ে তারা বড় বড় জঙ্গি গোষ্ঠী যেমন, বাংলা ভাই, হরকাতুল জিহাদ, আনসারউল্লাহ, উলফা, তালেবান, জামাত, ইত্যাদি সব জঙ্গি গোষ্ঠীকে মদত দেয়ার মাধ্যমে দক্ষিণ এশিয়াতে ইসলাম কায়েমের নামে অরাজক, অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করার পায়তারা করেছিলো। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ শক্ত হাতের এদের দমন করেছে। B-)

বলা হয়ে থাকে সৌদি আরব তথা মধ্যপ্রাচ্যের সাথে নাকি বিএনপির দহরম মহরম সম্পর্ক, ২০১৮ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর এরা গুজব রাটালো নতুন করে সৌদিতে আর কোন শ্রমিক নেয়া হবে না, সব শ্রমিক বাংলাদেশ পাঠিয়ে দেয়া হবে, সামনে কঠিন বিপদ, এইবার বাংলাদেশের মানুষ না খেয়ে মরবে, কিন্তু ওসব যে গুজবই ছিল তা আজ প্রমাণিত। এখনো মধ্যপ্রাচ্য থেকে দেশে সবচেয়ে বেশি রেমিটেন্স আসে, সবচেয়ে বেশি মানুষ মধ্যপ্রাচ্যেই কাজ করে। তো বিএনপির এত এত নেতাকর্মী আটক করা হলো কিন্তু মধ্যপ্রাচ্যের কোন সরকার বাংলাদেশ সরকারকে চাপ দিয়েছে বলে শুনিনি। বিএনপি তাদের নেতাকর্মীদের মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে শুধু তাদের দুর্দশা'ই'ই বাড়িয়েছে নেতা-কর্মীদের মিনিমাম সাপোর্ট টুকু দিতে ব্যর্থ হয়েছে, পরিণামে হাজার হাজার বিএনপি নেতা কর্মী এখন আওয়ামী লীগে যোগ দিচ্ছে। আর বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ হয়ে উঠেছে বৃহৎ থেকে বৃহত্তর রাজনৈতিক একটি দল।

একটি বৃহৎ রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকার জন্য যা যা করার তার সবই তারা করেছে, জুলুম নির্যাতনকে আমি সমর্থন করি না কিন্তু বিএনপি এসব জুলুম নির্যাতনের বিরুদ্ধে তেমন কোন প্রতিরোধ'ই গড়ে তুলতে পারেনি, রাজনৈতিক দল হিসেবে এ ব্যর্থতার দায় তারা এড়াতে পারে না। প্রশাসনের কোন অংশই বিএনপির হয়ে কাজ করছে না, বা প্রশাসনের কাউকেই তারা আওয়ামী বলয় থেকে বের করতে পারেনি এ ব্যর্থতার দায় অবশ্যই বিএনপির। মানুষ যেমন ঘরে বসে অনলাইনে ফ্রীল্যান্সিং করে সংসার চালায় বিএনপি'ও তেমনি ঘরে বসে অনলাইনে রাজনীতির মাধ্যমে ক্ষমতায় আসতে চাচ্ছে।

বিএনপি কি চায় দেশের জনগণ বা কোন বহিঃশক্তি কোলে তুলে এনে তাদের ক্ষমতায় বসিয়ে দিক? ক্ষমতায় আসার জন্য গত ১৫ বছরে তারা তেমন কোন পদক্ষেপই গ্রহণ করতে পারেনি। মিথ্যা আশ্বাস আর আজগুবি কল্পনাই হচ্ছে ক্ষমতায় আসার তাদের একমাত্র হাতিয়ার আর যা হবার তাই হয়েছে, রাজনৈতিক দল হিসেবে বাংলার জমিনে বিএনপির ভরাডুবি হয়েছে। ফেসবুক আর ইউটিউবের কিছু নাদান বিশেষজ্ঞরা দিনে তিনবার করে সরকারের পতন ঘটাচ্ছে আর বিএনপি কে ক্ষমতায় বসাচ্ছে যা দেখে বিএনপির উচ্চ পর্যায়ের নেতারাও আবেগে গদ গদ হয়ে ক্ষমতার স্বপ্নে বিভোর হচ্ছে, মূলত সোশ্যাল নেটওয়ার্কের এসব নাদান বিশেষজ্ঞরাই বিএনপির সর্বনাশের মূল কারণ। :-B

সব মিলিয়ে বিএনপি এখন পাড়ার টং দোকানের একটি রাজনৈতিক দলে পরিণত হয়েছে। বিশিষ্ট ইউটিউব ব্যবসায়ী আল্লামা পিনাকী এর ভিডিওগুলো এখন পাড়ার টং দোকানের লোকজনই দেখে, সেখানে বসে বসে তারা প্রতিদিন তিনবার করে সরকার ফেলে দেওয়ার উগ্র আস্ফালনে আপ্লুত হয়। শেখ হাসিনার কপালে চিন্তার ভাজ পড়েছে আর উনার কপালের ওই ভাজের মাধ্যে পিনাকী ও তার নাবালক-নালায়েক সমর্থকগণ সরকার পতনের রূপরেখা খুঁজে বেড়ায়। যেহেতু শেখ হাসিনার আজ মন খারাপ, তাকে কিছুটা দুশ্চিন্তা গ্রস্থ মনে হচ্ছে, সুতরাং আগামী মাসেই সরকারের পতন। আমিন আমিন। =p~

যত্তসব গার্বেজ লোকজনই হচ্ছে পিনাকী'র ভিডিওর ভিউয়ারস, কমেন্টস গুলোর শ্রী দেখলে মনে হবে এ যেন কোন বাংলা ওয়াজের মাহফিল, শুধু কমেন্টস পড়ে আপনি বুঝতেই পারবেন না যে এটা কোন রাজনৈতিক বক্তব্যের ভিডিও ছিলো। তো এই হচ্ছে পিনাকির সাগরেদদের অবস্থা, আর এদের নিয়ে তিনি প্রতিদিন তিনবার করে সরকার ফেলে দেয়ার নীল নকশায় ব্যস্ত, ছ্যা.. ছ্যা.. ছ্যা!! তবে যাই হোক এসব ভেড়ার পাল নিয়ে পিনাকী যে ইউটিউবে ব্যবসার এক ফাঁদ পেতেছেন তা বুঝতে বিশেষজ্ঞ হতে হয় না। আম পাবলিকের লক্ষ লক্ষ কর্ম ঘণ্টা নষ্ট করছেন তিনি তাদের মিথ্যা স্বপ্ন দেখিয়ে। আওয়ামী কোন নেতা যদি বায়ু ত্যাগ করে তার মধ্যেও পিনাকি সরকার পতনের গন্ধ শুকে। =p~

এটা স্পষ্ট যে, বিএনপি এখন ফেসবুক আর ইউটিউবের রাজনৈতিক দলে পরিণত হয়েছে যা পরিচালিত হয় পাড়ার টং দোকান থেকে।

বিএনপি-জামাতের উগ্র সমর্থক দ্বারা শেখ হাসিনা হচ্ছে এই পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি গালি খাওয়া একজন প্রধানমন্ত্রী কিন্তু তারপরেও এদের নাকি বাক স্বাধীনতা নেই। ফেসবুক, ইউটিউব দেশীয় পত্রিকা, টিভি চ্যানেল সর্বত্র আওয়ামী বিরোধী নিউজে ভরপুর কিন্তু তার পরেও এদের নাকি বাক স্বাধীনতা হরণ করা হয়েছে। আসলে বাক স্বাধীনতার নামে এরা চটি গল্প আর নীল ছবি/ভিডিও প্রচার করতে চায়।

ডক্টর ইউনুস, ডক্টর ইউনুস, ডক্টর ইউনুস, বলতে বলতে এরা মুখে ফেনা তুলে ফেললো। ডক্টর ইউনুস'কে নিয়ে এরা নাকি একটি জাতীয় সরকার গঠন করবে আমেরিকার সহায়তায়, কিন্তু আজ পর্যন্ত তার কোন রূপরেখা দেখতে পেলাম না। ডক্টর ইউনুসের মুখ থেকে আজ পর্যন্ত রাজনৈতিক কোন বক্তব্য বা অভাস এমন কিছুই পেলাম না আর না আমেরিকার কাছ থেকে ডক্টর ইউনুস'এর বিষয়ে কিছু শুনতে পেলাম। সবমিলিয়ে এরা ফ্যান্টাসির এক চরম জগতে বিচরণ করছে। যখন মনে যা আসছে দেধারছে বলিয়া বেড়াচ্ছে, সবার কাছেই সরকার পতনের গোপন তথ্য রয়েছে। B:-/
------------------------------------------


বিএনপি সমর্থকদের কান্ড।

বিএনপি সমর্থকদের সাথে রাজনৈতিক বিষয়ে কথা বলা আর কবুতরের সাথে দাবা খেলা সমান কথা, কবুতর যেমন প্রথমে ডানা ঝাঁটিয়ে দাবার গুটি সব এলোমেলো করে দিবে তারপর দাবার কোর্ট বিষ্ঠায় ভরিয়ে তুলবে বিএনপি সমর্থকগণও তেমনই রাজনৈতিক আলোচনাকে ধর্মীয় আলোচনায় রূপান্তর করে ওয়াজ মাহফিল বানিয়ে ছেড়ে দেবে। একজন দুইজন না বা একটি নির্দিষ্ট এলাকারও না দেশের অন্তত ২০ টি জেলার শ-দুয়েক বিএনপি সমর্থকদের সাথে ওয়ান টু ওয়ান আলাপ চারিতায় আমার সে'রকমই অভিজ্ঞতা হয়েছে গত ১০ বছরে। সবার মধ্যেই একটা নির্দিষ্ট প্যাটার্ন লক্ষ্য করা যায়, রাজনৈতিক আলোচনাকে ধর্মীয় আলোচনায় নিয়ে শেষ করবে,বা ধর্মীয় আলোচনা ছাড়া রাজনৈতিক আলোচনা করতে পারে না। ধর্ম গেলো গেলো, দেশে ইসলাম কায়েম করতে হবে, অমুক পীর সরকারের বিরুদ্ধে এই ভবিষ্যৎ বাণী করেছে, তমুক হুজুর এই বলেছে সেই বলেছে, ইতিহাসে বলা আছে শেখ হাসিনা একদিন ধ্বংস হয়ে যাবে, ইমাম মাহাদীর আগমন, কেয়ামতের আলামত, দাজ্জাল আসার সময় হয়েছে ইত্যাদি সব আজগুবি ধর্মীয় বিষয় আশায় রাজনৈতিক আলোচনার মধ্যে জুড়ে দিয়ে তা বাংলা ওয়াজের জলসায় পরিণত করিবে। তাছাড়া ভারত, হিন্দু এবং ইহুদি নাসাড়াদের বিরুদ্ধে বিষাধগার না করলে তো ওই আলোচনা একদম সহীহ হবে না। চরিদিকে 'র' এর এজেন্ট দেখেতে পায় এরা এবং দেশটা নাকি ভারত গিলে খাইলো। আর সামনে কঠিন বিপদ আইতিয়াসে..মানুষ সব না খায়া মরবে, দেশ দেউলিয়া হয়ে যাবে, হাসিনা দেশ ভারতের কাছে বিক্রি করে দিয়ে আমেরিকাতে জয়ের কাছে গিয়ে থাকপে। এইসব কমন বিষয়গুলো বিম্পি সমর্থকদের মধ্যে ইদানীং প্রকট আকার ধারণ করেছে। আর এসব বুলিশট বিষয়ই হচ্ছে বিম্পি-জামাতের প্রধান রাজনৈতিক আলাপনের বিষয়বস্তু। কোন কিছুকেই তারা গঠনমূলক সামালোচনা করতে পারেন।

নিচের এই ভিডিওতে সরকার পতনের কঠিন এক রূপ রেখা দিলেন বিশিষ্ট এক বিম্পি সমর্থক, আসলে এসব উনার প্রলাপ ছাড়া কিছুই নয় যা শুনে সঞ্চালক ইলিয়াস নিজেই বিরক্ত হয়ে পরেছেন।



যাদের সময় আছে তারা সম্পুর্ণ ভিডিওটি দেখতে পারেন, কি জ্ঞানী জ্ঞানী কথা রে বাবা!! :-B শেষের দিকে আবার ইংরেজিতেও ঝাড়ছে কিছুক্ষণ.. আয় হয়!! সরকার দেখি এবার পড়েই গেলো!! টং দোকানের ফলোয়ারদের মাঝে ইংরেজিতে ঝেড়ে কি লাভ হইল? তারা কি দুই চার হরফ ইংরেজি বুঝে? তুমাদের চ্যানেলে কয়জন বিদেশী সাবস্ক্রাইবার আছে একটু হুনি? এনাদের কাজই হচ্ছে ইউটিউবে বসে বসে এসব অসাড় কথা-বার্তার মাধ্যমে নিজেদের বিশেষ রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ হিসবে তুলে ধরার অপচেষ্টা করা। কিন্তু তারা কখনোই সফলকাম হবে না, চিল্লায়া কি কখনো মার্কেট পাওন যায়? :-0



একজন আওয়ামী সমর্থক যেখানে- উন্নয়নের কথা বলে, প্রগতির কথা বলে, অগ্রগতির কথা বলে, সম্ভাবনার কথা বলে, শিক্ষার কথা বলে, শান্তি ও সমৃদ্ধির কথা বলে আর বিম্পির সমর্থক সেখানে- ধ্বংসের কথা বলে, ভয়ের কথা বলে, বিপদের কথা বলে, মৃত্যুর কথা বলে, সাম্প্রদায়িক কথা বলে, অন্ধত্ববাদের কথা বলে, দেওলিয়াত্বের কথা বলে, দরিদ্রতা ও দুর্দশার কথা বলে এক কথায় এরা ভয়ংকর সব নেগেটিভিটি ছড়ায়। এদের কথায় পাত্তা দিতে নেই, এরা যা বলে শুধু হু হা করে শুনে যান এসব করে এরা শান্তিতে থাকুক। ১০ বার ভারতকে গালি ৫ বার শেখ হাসিনাকে গালি ও ৩ বার ইহুদি নাসারার বিরুদ্ধে বিষাধগার না করলে এদের রাজনৈতিক আলোচনা যেন সহীহ হয় না। X((

এদের নেগেটিভিটির আরও কিছু নমুনা: বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ যখন রেকর্ড পরিমাণ বাড়তে ছিল তখন এরা সূর তুলতো.. "রিজার্ভ ধুয়ে কি পানি খাবো, রিজার্ভ দিয়ে কি হইবো? মানুষ না খেয়ে মইরা যাইতেসে আর আপনারা আছেন রিজার্ভ নিয়া।" আর এখন বিশ্বজুড়ে অর্থিক মন্দার এ সময়ে রিজার্ভ কিছুটা কমে যাওয়ার কারণে সেই এরাই আবার ভিন্ন গান গাইতে শুরু করছে.. "হায় হায়.. দেশের ট্যাকা সব পাচার হয়ে গেলো, দ্যাশটা ধ্বংস হয়ে গেলো।" আসলে এদের কাজই হচ্ছে সারাদিন- পিয়াজের দম বাইড়া গেছে, মরিচের দাম পাইরা গেছে,দ্যাশটা ধ্বংস হয়ে গেলো, সামনে কঠিন বিপদ আইতিয়াসে, মানুষ সব না খেয়ে মরবে ইত্যাদি সব বলে বেড়ানো। এদের ধারণা সারাদিন এসব নিয়ে নিয়ে জিকির করলেই বুঝি বিম্পি ক্ষ্যমতায় আসপে। জিকিরে যে কোন কাজ হয় না এসব এদের কে বুঝাবে? আজ যদি সারা বাংলার মানুষ জিকির তুলে পুতিন অথবা সি জিং পির পতন হবে, ইহাতে কি তাদের পতন হবে? তাদের পতন ঘটানোর জন্য প্রয়োজন রাজনৈতিক কলাকৌশল জিকির নয়। বিএনপির কোন রাজনৈতিক কলাকৌশল নেই আর তাই তরা গত ১৫ বছর ধরে ক্ষমতায়ও নেই, তাদের একটাই কৌশল তা হচ্ছে জিকির, ঘুরেফিরে তারা একই জিকির গত ১৫ বছর ধরে করে আসতেছে, ফলাফল শূন্য।



ছবি- বিশিষ্ট বিম্পি সমর্থক ছগীর উদ্দিন। B:-)

ধর্মীয় বিষয় নিয়ে টানাটানি ছাড়াও বিএনপি-জামাত সমর্থকদের আরেকটি বড় বিরক্তিকর বিষয় হচ্ছে এরা এক আলোচনার মধ্যে সম্পূর্ণ অযৌক্তিক ভাবে হুট করে অন্য আরেকটি আলোচনা ঢুকিয়ে দেয়, মোটামুটি পাঁচ মিনিটের এক আলোচনার মধ্যে তারা বিক্ষিপ্ত ভাবে এক বিষয় থেকে অন্য বিষয়ে ঘুরপাক খেতে থাকে, এদের সাথে সুস্থ ধারার কোন আলোচনাই সম্ভব না যেমন: আলোচনা হচ্ছে পদ্মা ব্রিজ নিয়ে; পদ্মা ব্রিজ এর বিষয়ে এদের মনোভাব হচ্ছে- এত বড় ব্রিজ করে দেশের কোন উপকারই হয় নাই, টাকা সব জলে গেছে, এই ব্রিজের কোন দরকারই ছিলো না। কিন্তু আপনি যখন পদ্মা ব্রিজের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে কথা বলা শুরু করবেন, কেন এই ব্রিজ দেশের দক্ষিণ অঞ্চলের ১৪ টি জেলার জন্য উপকার হয়েছে এই বিষয়ে কথা বলা শুরু করার সাথে সাথেই আপনাকে থামিয়ে দিয়ে হুট করেই সম্পূর্ণ ভিন্ন আরেকটি আলোচনা কথার মধ্যে ঢুকিয়ে দিয়ে বলবে ৭১ সালে তো ৩০ লাখ মানুষ মরে নাই ৩ লাখ মরছে শেখ মুজিব মিছ্যা কথা কইছে! বলেন দেখি কেমন লাগে? X(( থাবরায়া কি কানপট্টি লাল করে দেয়া উচিৎ কি না সেই বিচার আপনাদের কাছে দিয়ে গেলাম। কথা হচ্ছিলো পদ্মা ব্রিজ নিয়ে কিন্তু হেইয়ার মধ্যে ৭১ সালে কত লোক মারা গেছে সেই বিষয় ঢুকিয়ে দিয়ে পুরো আলোচনাতে পানি ঢেলে দিয়েছে। (৭১ এ আসলেই কত লোক মারা গিয়েছিল এ বিষয়ে দয়া করে কেউ এই পোস্টে ত্যানা প্যাঁচাবেন না, আজকের পোস্টের বিষয়বস্তু এটা নয়। ) এবার আপনি যখন ৭১ এর বিষয়ে কথা বলা শুরু করবেন তখন আবার আপনাকে থামিয়ে দিয়ে বলে উঠবে, ভারত দ্যাশটাকে চুইষা খায়া ফালাইলো, এভাবে এক টপিক থেকে আরেক টপিকে এরা ত্যানা প্যাঁচাইতেই থাকিবে আপনাকে নির্দিষ্ট কোন এক টপিকে ৩০ সেকেন্ডও কথা বলার সুযোগ দেবে না, ইহা হাজার বার প্রমাণিত।

আবার দেখা গেলো আমেরিকা সেংশন দিবে কি না, বা দিলে কি কি ক্ষতি হতে পারে এই বিষয়ে কথা হচ্ছে কিন্তু দেখবেন হুট করেই আলোচনার মাঝ পথে ৩৫৬ ডিগ্রী ঘুরে বলে উঠবে আওয়ামীলীগের ওমুক নেতা তো পাঁচটা গাড়ি কিনলো হেইয়ার কি হইবো? তমুকে তো হাজার কোটি টাকা পাচার করলো, অমুক ব্যাংক তো দেউলিয়া হয়ে গেলো..ইত্যাদি.. তাদের গার্বেজের পরিমাণ এতটাই বেশি যে আপনি ভুলেই যাবেন যে আপনি কোন বিষয়ে নিয়ে কথা বলতেছিলেন। এদের সাথে আপনি কোন আলোচনাই বিষয়বস্তুতে স্টিক থেকে করতে পারবেন না। আমি এখানে ছোট তিনটি উদাহরণ দিলাম মাত্র বাকিগুলো নিজে এক্সপিরিয়েন্স করুন আপনার আশেপাশের কোন অন্ধ বিএনপির সমর্থকের সাথে তাহলে হাড়ে হাড়ে টের পাবেন এরা কতটা গার্বেজ চিন্তাধারার হয়ে থাকে। তো এই হচ্ছে বিএনপি সমর্থকদের অবস্থা, যেমন তাদের দল ঠিক তেমনই তাদের সমর্থকদের অবস্থা। B:-/



এদের আরেকটি বিরক্তিকর বিষয় হচ্ছে: যুক্তি তর্ক দিয়ে আপনি যখন এদের মনগড়া কথা-বার্তাকে অসাড় প্রমাণ করে দিতে শুরু করবেন তখন এরা হুট করে বলে উঠবে- এইসব রাজনীতি নিয়ে আমি একদম ইন্টারেস্ট নই, রাজনীতি নিয়ে আলোচনা করে আমাগো কি লাভ? আমরা তো আর এমনি মন্ত্রী না, যে দলই ক্ষমতায় আসুক আমাদের কাজ করেই খেতে হবে সুতরাং রাজনীতি নিয়ে আলোচনা করে লাভ কি? রাজনীতি নিয়ে আলোচনা মানেই সময় নষ্ট, আমি রাজনীতির মধ্যে নেই...ইত্যাদি সব গার্বেজ ঢেলে আপনাকে পুরো ধ্বংস করে দিবে, আপনার মনে হতে পারে রাজনীতি নিয়ে উনার সাথে কথা বলে আপনি অপরাধই করেছেন। কিন্তু দেখা যায়, রাজনীতির আলোচনার শুরুটা কিন্তু ওই ছাগলটাই করেছিল, এখন ফান্দে পড়ে ম্যা.. ম্যা.. করে বলছে. রাজনীতি নিয়ে আলোচনা করা মনে সময় নষ্ট। 'রাজনীতি নিয়ে আলোচনা করে লাভ নেই' যারা এ কথা বলে দেখবেন তারাই আবার সারাদিন শেখ হাসিনাকে গালাগালি করে, দেশ রসাতলে গেলো বলে চিল্লায়, এরাই বিএনপি ক্ষমতায় এলে অমুককে কোপাবো, তমুকের ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দিবো, অমুকের ব্যবসায় লাল বাত্তি জ্বালাবো, ইত্যাদি হুমকি ধমকি মূলক কথা বলে। এই সব ছাগলরাই মূলত.. পিনাকী, ইলিয়াসের ভিডিওর লক্ষ লক্ষ ভিউ এর কারণ, এই সব পাঠারা'ই ফেসবুকে নানা গুজব ছড়ায়, বিম্পি-জামাতের পক্ষে যা পায় তা ধুমায়া শেয়ার করে, আর যখন চিপায় পরে তখন বলে রাজনীতিতে আমার একদমই ইন্টারেস্ট নেই, সময় নষ্ট, এসব নিয়ে থেকে আমাদের লাভ কি?... ইদ্যাদি। বুঝতে পারছেন কত্ত বড় ছাগল এডি? B:-/

আসল কথা হলো বিএনপি হচ্ছে বোকাদের দল আর বোকারাই কেবল এই দল সাপোর্ট করে। আপনি যদি ঘোর কোন বিএনপি সাপোর্টারের সাথে রাজনৈতিক আলাপ না করেন তাহলে বুঝবেন না যে এরা কতটা গর্দভ,রাজনীতি নিয়ে এদের সাথে আলোচনা করতে গেলে এরা নিচের এই বিরক্তিকর কবিতাটি গড়গড় করে পড়তে থাকবে আর আপনার কান ঝালাপালা করে দিবে:

তেলের দাম বাইড়া গেলো
নূনের দাম বৃদ্ধি পাইলো
পেয়াজের দাম বেশি হইলো
এই সরকারের পতন হইবো।

ভারত দ্যাশটা খায়া ফালাইলো
চারিদিকে 'র' এর এজেন্ট
শেখ হাসিনার পতন হাইবে
এই সরকারের রক্ষা নাই।

অমুক নেতা দুর্নীতি করলো
তমুক নেতা কুকীর্তি করলো
হাজার কোটি পাচার করলো
এই সরকারের পতন হইবো।

অমুক নেতা বাড়ি করলো
তমুক নেতা গাড়ি কিনলো
আরেকজন জমি কিনলো
এই সরকারের পতন হইবো।

দ্যাশটা ধ্বংস হয়ে গলো
গণতন্ত্র মইরা গেলো
সামানে অনেক কঠিন বিপদ
শেখ হাসিনার পতন হইবো।

ক্ষমতা বেশিদিন থাকে না
শেখ হাসিনা বেশীদিন বাঁচবে না
বিম্পি-জামাত ক্ষমতায় আসবো
ইসলামি রাষ্ট্র কায়েম হইবো।

মানুষ সব মইরা গেলো না খায়া
সমনে কঠিন বিপদ আছে
দ্যাশটা শ্রীলংকা হবে
রিজার্ভ গেলে গেলো।

পদ্মা সেতু দিয়ে কি লাভ
রিজার্ভ ধুয়ে পানি খামু
রিজার্ভ সব শ্যাষ হয়ে গলো
এই সরকারে পতন হবে
....ইত্যাদি এসব বুলশিট বলতে বলতে আপনার কানটা ঝালাপালা করে দিবে, গঠন মূলক আলোচনা তো দূরের কথা আপনাকে কথা বলার কোন টাইমই দিবে না, সবসময় এক টপিক থেকে অন্য টপিকে গুত্তা খেতেই থাকবে। |-)
------------------------------


আসলে পাগলের সান্ত্বনা হচ্ছে মনে মনে, তো এরা এখন মনে মনে সান্ত্বনা খুঁজতেছে ক্ষমতায় যেহেতু কেউ চিরকাল থাকে না একদিন না একদিন মরতে হবেই তাই শেখ হাসিনা যেদিন মরবে সেদিন বিএনপি ক্ষমতায় আসবে। এদের ভাবসাব দেখে মনে হচ্ছে খালেদা জিয়া চিরকাল বেঁচে থাকবে। ;)

এদের আরেকটি বহুল চর্বিত চর্বণ হচ্ছে: শেখ হাসিনা একদিন কঠিন বিপদ পড়বে, একদিন না একদিন শেখ হাসিনা পাপের ফল পাবেই.. এসব ভেবে তারা ব্যাপক সুখ পায়। কিন্তু তারা একবারও চিন্তা করে না খালেদা জিয়া তথা বিএনপি কি তাহলে এখন পাপের ফল ভোগ করছে? আর শেখ হাসিনা তথা আওয়ামীলীগ কি তাহলে এখন পুণ্যর ফল উপভোগ করছে?

প্রতিটি ব্যক্তি বা প্রতিটি জাতিরই ভালো সময় খারাপ সময় আসে, কিন্তু পাপ পুণ্যের হিসেব দিয়ে এসব বিচার করা যে একদমই ঠিক না তা এদের কে বুঝাবে? আর এদের ব্রেইন থাকলে তো বুঝানে যাবে এদের তো ব্রেইন বলতে কিছুই নেই।



আসলে কোন কিছুই গুঁজামিল দিয়ে ধর্মীয় দৃষ্টিতে বিচার করা ঠিক নয়, আপাত দৃষ্টিতে এসব কথা মালা জ্ঞানী জ্ঞানী মনে হলেও আসলে এসব গার্বেজ বই কিছু নয়।

কোন আওয়ামী সমর্থক যদি ধর্মীয় দৃষ্টিকোন থেকে শেখ হাসিনা'কে মূল্যায়ন করে তাহলে কেমন হবে?

যেমন -যতদিন আল্লাহ পাক শেখ হাসিনার সাথে আছেন ততদিন শেখ হাসিনার কোন ভয় নেই। একটা জাতির জন্য স্বয়ং আল্লাহপাক নিজে যোগ্যতম শাসক নির্ধারণ করিয়া দেন। ক্ষমতা দেয়া এবং ক্ষমতা কেড়ে নেয়ার মালিক একমাত্র আল্লাহ। বর্তমানে যারা ক্ষমতায় নেই তাদের ধৈর্য ধারণ করা উচিৎ, আর যারা ক্ষমতায় আছেন তাদের শুকরিয়া আদায় করা উচিৎ। একদিন না একদিন আল্লাহ পাক বাংলাদেশকে ইহুদী নাসাড়ার দেশ আমেরিকার থেকেও বেশী শক্তিশালী করে দিবেন, সারা পৃথিবীতে বাংলাদেশের পতাকা পতপত করে উড়িবে। - আমিন।

-আল্লাহ পাক যদি কাউকে ক্ষমতা প্রদান করেন কোন মানুষের সাধ্য নেই তার ক্ষমতা কেড়ে নেওয়ার। চিল্লায়া কন ঠিক না? ঠিক ঠিক.... :-P

তো রাজনীতিতে এসব অসাড় ধর্মীয় কথা মালার কোন মূল্য আছে? এসব দ্বারা শুধু ওয়াজ মাহফিল গরম করা সম্ভব, রাজনীতির মাঠ নয়।

মূল কথা হচ্ছে, ধর্মীয় ভাবধারা দিয়ে পৃথিবীর যে কোন কিছু যেকোন ভাবে বিচার করা যেতে পারে, যে কারণে বাংলাদেশের একটা ইসলামী দলও আরেকটারে দেখতে পারে না, এক পীর আরেক পীরকে দেখতে পারে না, এক হুজুর আরেক হুজুরকে দেখতে পারে না। তারা সবাই একই সোর্স থেকে জ্ঞান অর্জন করলেও কর্মে একে অন্যের বিপরীত, বিভেদ লেগেই আছে।

বক্তব্য খুবই পরিষ্কার আমরা এসব বিভেদের রাজনীতি বাংলাদেশে দেখতে চাই না, ওসব মধ্যপ্রাচ্যে উৎপত্তি হয়েছে মধ্যপ্রাচ্যেই থাকুক, হাজার মাইল দুরের, হাজার বছরের পুরোনো এসব রীতি নীতি নিয়ে বাঙালীদের টানাটানি করে বিভেদ বাড়ানোর কোন প্রয়োজনীয়তা দেখি না।

আর পুস্তক থেকে মুখস্থ কিছু বিদ্যা উগ্রে দিয়ে বর্তমান সময়ে যুক্তি তর্কে যেতা যায় না, নিচে তার ছোট কিছু উদাহরণ দেয়া হলো।

অন্যায় যে করে আর অন্যায় যে সহ্য করে দুজনেই সমান অপরাধী:
-ভালো কথা, আর তাই তো আমি বিএনপির কোন অন্যায় অপকর্মকে সাপোর্ট করি না।

জোর-জুলম করে কখনোই ক্ষমতায় থাকা যায় না:
-হুম, আওয়ামী লীগ যদি গত ১৫ বছরে জোর-জুলম করতো তাহলে তারা এতদিন ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারতো না। কথা ঠিক নাকি ভেজাল আছে? B-)

জোর-জুলুম করা ভালো না:
-কথা ঠিক তবে দুষ্টের দমনে খড়গ হস্ত অর্পণ করা জায়েজ আছে।

পাপ, অন্যায় অপকর্মের ফল একদিন পেতেই হবে:
-একদম খাটি কথা, সাদ্দাম হোসেন, গাদ্দাফি, ওসামা বিন লাদেন তারা তাদের অন্যায় অপকর্মের ফল পেয়েছে। আর বর্তমানে ইমরান খান, হামাস গোষ্ঠী, খালেদা জিয়া, তারেক জিয়া এরা তাদের অন্যায় অপকর্মের ফল ভোগ করছে। আল্লাহ পাক ছাড় দেন কিন্তু ছেড়ে দেন না। ;)

হাসিনার শস্তি একদিন না একদিন হবেই:
-পৃথিবীও একদিন না একদিন ধ্বংস হবেই, তাছাড়া আল্লাহ পাক কখন কাকে শাস্তি প্রদান করবেন তা তিনিই ভালো জানেন আগে থেকে নিশ্চিত করে কিছু বলা যায় না।
---------------------------------------------

সরকার পতনের ফর্মুলা:

সরকার পতনের ভালো একটি ফর্মুলা পাইছি আমি, ভাবলাম বিম্পি সাপোর্টারদে ফ্রীতে দিয়ে যাই, আর তা হলো: ১০০% বিএনপি-জামাত সাপোর্টার জ্বীন বিশ্বাস করে, দেশের আনাচে কানাচে পীর-ফকিরের আস্তানায় জ্বীন ব্যবসা জমজমাট, আমি এমনও হক্কানি আলেমের কথা শুনেছি যারা নাকি হাজার হাজার জ্বীন বোতলে বন্দি করে রাখে এবং এসব জ্বীন দ্বারা নানা অসাধ্য সাধন করায়। কোটিপতি ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে, চাকিরিজীবি, ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, রাজনীতিবিদ, দিনমুজর সর্বস্তরের জনগণ এই জ্বীন বাবাদের কাছে দ্বারস্থ হয় নানা সমস্যার সমাধান করতে। আমার ধারণা বিম্পির উপরের লেভেলের নেতাগণ যদি এসব জ্বীন বাবাদের দরবারে গিয়ে কিছু আগর বাত্তি আর মোমবাতি দিয়ে আসে তাহলে জ্বীন বাবারা নিমিষেই বাংলাদেশের রাজনৈতিক সমস্যার সমাধান করে দিবেন, মানে শেখ হাসিনার সরকারকে ফেলে দিয়ে বিএনপি কে ক্ষমতায় বসাবে। জ্বীন যে নাই আইজ পর্যন্ত পৃথিবীর কোন বিজ্ঞানী তা প্রমাণ করতে পরে নাই সুতরাং জ্বীন অবশ্যই আছে আপনার আশে পাশেই আছে, শুধু ওদের ধরে আওয়ামী সরকারের বিরুদ্ধে লেলিয়ে দিতে হবে, ব্যাস কেল্লা ফতে।

আরেকটি উপায় হচ্ছে- কুফুরী কালাম, কুফুরী কালামের নাকি ব্যাপক ক্ষ্যামতা এমনকি শেখ হাসিনার চাইতেও বেশী শক্তিশালী তাদের এসব (বুলশীট) কুফুরী কালাম। তাই আমি মনে করি ১০ টা জ্বীন আর ৫ আয়াত কুফুরী কালাম যদি শেখ হাসিনার উপর চালান করা হয়, তাহলে শেখ হাসিনা বাপ বাপ করতে করতে ক্ষমতা ছাইড়া দিতে বাধ্য হাইবো। B:-)

মারহাবা... মারহাবা.. সরকার তাহলেই পড়েই গেলো। বিম্পি-জামাত নতুন সরকার গঠন করে প্রথম কাজ হবে পশ্চিমা বিশ্ব তথা ইহুদী নাসাড়াদের হাত থেকে বাংলাদেশকে রক্ষা করা, আর এ জন্য কোটি কোটি টাকা খরচ করে এয়ার ডিফেন্স না কিনে বাংলার আকাশ নিরাপদে রাখার জন্য জ্বীনদের পাহারায় বসাতে হবে, পশ্চিমাদের আছে মিসাইল আর আমাদের থাকবে জ্বীন, এক জ্বীনে এক থাবরা দিয়ে হাজারটা মিসাইল মহুর্তেই ভূপাতিত করে দেবে সুতরাং আমাদের কোন ভয় নেই। তাছাড়া আমরা বিশ্বের অন্যান্য দেশেও আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা হিসেবে জ্বীন এক্সপোর্ট করার মাধ্যমে বিপুল পরিমাণে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করতে পারি, সুতরাং আমাদের আর কোন অর্থনৈতিক সমস্যাও থাকবে না আর এভাবেই আমারা সুখি সমৃদ্ধির এক সোনার বাংলা গড়ে তুলতে পারি। :-B

ধন্যবাদ সবাইকে।

নোট: পোস্ট'টিতে বিএনপি সাপোর্টার বলতে আমি মূলত অফলাইন বিএনপি সাপার্টারদের বুঝিয়েছি, এই ব্লগের কোন বিএনপি সাপোর্টরকে হেয় করার উদ্দেশ্য এই পোস্ট লেখা হয় নি।
--------------------------------------------------------

আরও পড়ুন

একজন ভারতীয় শিক্ষকের চোখে বাংলাদেশের অগ্রগতি

যে কারণে বিএনপি'র উচিৎ আওয়ামীলীগকে ধন্যবাদ জানানো

এবারের নির্বাচন হতে যাচ্ছে ইতিহাসের সবচেয়ে নিরপেক্ষ নির্বাচন

৭ তারিখ সারাদিন নৌকা মার্কায় ভোট দিন

যতই অবজ্ঞা কর বাংলাদেশকে, এই দেশের সুদিন নিকটবর্তী। সাত কোটি মানুষকে দাবায়ে রাখতে পারবা না

বিশেষ দ্রষ্টব্য: এই পোস্ট'টি আপনি নিজে পড়ুন এবং ১০ জনকে শেয়ার করুন আর তাদের বলুন আরও ২০ জনকে শেয়ার করতে তাহলে বহুত ফায়দা আছে, আগামী ৭ দিনের মধ্যেই সরকার পতনের সুখবর পাবেন, আর যদি অবহেলা করে এই পোস্ট এড়িয়ে যান তাহলে কঠিন বিপদ অপেক্ষা করতেছে আপনার জন্য। কাজেই দেশকে উদ্ধার করতে এই পোস্ট'টি ধুমায়া শেয়ার দিন আর সরকার পতনের এই মহান আন্দলোনে শরীক হউন।
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ২:৫২
২২টি মন্তব্য ২৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

স্মৃতিপুড়া ঘরে

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৩০



বাড়ির সামনে লম্বা বাঁধ
তবু চোখের কান্না থামেনি
বালিশ ভেজা নীরব রাত;
ওরা বুঝতেই পারেনি-
মা গো তোমার কথা, মনে পরেছে
এই কাঠফাটা বৈশাখে।

দাবদাহে পুড়ে যাচ্ছে
মা গো এই সময়ের ঘরে
তালপাতার পাখাটাও আজ ভিন্নসুর
খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

গরমান্ত দুপুরের আলাপ

লিখেছেন কালো যাদুকর, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৫৯




মাঝে মাঝে মনে হয় ব্লগে কেন আসি? সোজা উত্তর- আড্ডা দেয়ার জন্য। এই যে ২০/২৫ জন ব্লগারদের নাম দেখা যাচ্ছে, অথচ একজন আরেক জনের সাথে সরাসরি কথা... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাজীব নূর কোথায়?

লিখেছেন অধীতি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:২৪

আমি ব্লগে আসার পর প্রথম যাদের মন্তব্য পাই এবং যাদেরকে ব্লগে নিয়মিত দেখি তাদের মধ্যে রাজীব নূর অন্যতম। ব্যস্ততার মধ্যে ব্লগে কম আসা হয় তাই খোঁজ-খবর জানিনা। হঠাৎ দু'একদিন ধরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বৃষ্টির জন্য নামাজ পড়তে চায়।

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৮



ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে বৃষ্টি নামানোর জন্য ইসতিসকার নামাজ পড়বে তার অনুমতি নিতে গিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এটির অনুমতি দেয়নি, যার জন্য তারা সোশ্যাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

=তুমি সুলতান সুলেমান-আমি হুররাম=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৩৬



©কাজী ফাতেমা ছবি

মন প্রাসাদের রাজা তুমি, রাণী তোমার আমি
সোনার প্রাসাদ নাই বা গড়লে, প্রেমের প্রাসাদ দামী।

হও সুলেমান তুমি আমার , হুররাম আমি হবো
মন হেরেমে সংগোপনে, তুমি আমি রবো।

ছোট্ট প্রাসাদ দেবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×