somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

অনুসন্ধানী পোস্ট: ব্লগারদের নামকরন ইতিহাসের অনন্য দলিল :-B :-B :-B

০৬ ই মে, ২০১৪ বিকাল ৫:২৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



নাম জেনে ই কি কাউকে জানা যায়? উত্তরটা হবে "না" যদি সেই নামটি বাবা-মায়ের দেওয়া নাম হয়। কেননা তখন তো আপনি অতি ছোট্ট ছিলেন, আপনার স্বভাব, প্রকৃতি, ভালো লাগা, মন্দ লাগা, স্বপ্ন বা অপ্রাপ্তি ফুটে উঠার পূর্বেই শ্রদ্ধেয় মুরুব্বিরা ঘটা করে সাত দিনের মাথায় আপনার উপর একটা নাম ছেপে দেয়। আর আপনি নিজে যখন সজ্ঞানে একটি নাম দিয়ে নিজেকে রিপ্রেজেন্ট করার সুযোগ পেয়ে যান, তবে কিন্তু আমি ব্যাপারটিকে হালকা ভাবে নিব না। আপনার রাখা নামের বিন্দুতে আমি আতস কাচ দিয়ে সিন্ধুর গভীরতা খুঁজতে থাকবো। কেন জানেন? আপনার নেওয়া নামটি আপনার অন্তর্লোক থেকে আসে যেখানে রয়েছে আপনার হাজারো ভালো-খারাপ লাগার অনুভূতি, প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তির অনুভূতি, সুখ-স্বপ্নের ভাবনা, রাগ-ক্ষোভের তীব্রতা, শুন্যতা-পূর্ণতার গল্প, কল্প-গল্প ভূবন কিংবা কাছে টানার-দূরে থাকার ছন্দ।
এখন বুঝতেই পারছেন সামুর ব্লগারদের নিক নেওয়ার রেওয়াজ কে রেওয়াজ হিসেবে নেওয়া আমার পক্ষে সম্ভব নয়। ব্লগারদের নিজস্ব নামকরনের ইতিহাসটা টেনে ধরতেই আবিষ্কার করলাম অদ্ভূত আবৃত পৃথিবী। আর আবিষ্কার সব সময় সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে হয় - এটাই আমি জেনে এসেছি। আসুন ব্লগারদের নামের পেছনের ইতিহাস বা অনাবিষ্কৃত পৃথিবীটা জেনে নেই।

শান্তির দেবদূত : নিক সিলেক্ট করার ক্ষেত্রে তেমন কোন বিশেষ কারন নেই; "দেবদূত" আইডি নিতে চেয়েছিলাম, কিন্তু তখন সেটা এভেইলেভেল ছিল না; তাই আগে " শান্তি " লাগিয়ে নিয়েছি; আমার এক সময় ইচ্ছা হয়েছিল শান্তির বানী ছড়িয়ে যাব, মানুষের সেবাই আত্মনিয়োগ করব; X-Ray এর মতো পেনিট্রেট করে যাবো মানুষের চিন্তার জগত, সেই থেকে ইংরেজী আইডি নিলাম, X-Ray Of Peace, আর এটাকে এক কথায় বাংলায় অনুবাদ করে পেয়ে গেলাম "শান্তির দেবদূত"; তবে সেই অনেক অনেক দিন আগের কথা। এখন আমি রীতিমত সব ভুলে পরসেবা ভুলে আত্মসেবায় নি্যোজিত পুরোদমে

মুশাসি : অনেকেই এই নিকটি জাপানী সামুরাই লিজেন্ড মিয়ামাতো মুসাসি এর দ্বারা অনুপ্রানিত মনে করে ভুল করেন। ব্যাপারটা আসলে তা নয়। মুঃ মুহাম্মদ শাঃ শাহজাহান সিঃ সিরাজ এভাবে মুশাসি নামটা দেওয়া। উদ্দেশ্য ছিলো নিজের নামই দেওয়া, যেটা শুনতে ছদ্মনামের মতো শোনায়।

ইনকগনিটো : Its- 'incognito' which is, actually an english word, means- the person who hides behind a mask. Or the person in disguise. Or, u may say-the person who is untraceble. So this is how the idea comes of having a masked nick, because some people like to be unknown. a pers0n can n0t be truly kn0wn. We use to kn0w people by their names, the skin they got, the face, the appearence. But in one sense, everythng is n0thing but a mask. A body is nothng but a mask of a brain. And a brain can never be truly kn0wn. It stays in disguise.this is the idea i posses. If u knw my name, if u knw my face, U can’t still knw me really

বৃত্তবন্দী শুভ্র : ব্লগে আমার নিক টা "বৃত্তবন্দী শুভ্র" রেখেছিলাম কেননা অধিকাংশ মানুষ ই হুমায়ুন স্যারের লেখা পড়ে "হিমু"র প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠে। অথচ আমার সব সময় ই "হিমু"র চেয়ে "শুভ্র"কে ভালো লাগতো। তাছাড়া প্রতিটা মানুষই জীবন নামক বৃত্তে বন্দী.. তাই এই নাম দিয়ে দিলাম।

বৃষ্টি ভেজা সকাল : বৃষ্টি ভাল বাসি, সেই সাথে সকালটাও ভালোবাসি। আবার বৃষ্টিতে ভেজা সকালটা আরো সুন্দর, এটা আরো পছন্দের। আমার বৃষ্টির স্মৃতিতে ভরা কৈশোর, তারপর বিশেষ করে বৃষ্টিময় সকালটা আমাকে বেশি টেনেছে নামটির পেছনে এটাই কারণ, তেমন আর কিছু না।

মোমের মানুষ : আমি জহিরুল ইসলাম। মোমের মানুষ নিকটা আমার খুবই প্রিয় একটা নিক। ব্লগে আসার অনেক আগে থেকেই এ নিকটা আমার মোবাইলের ব্লুটুতে ব্যবহার করতাম, মোট কথা এটা আমার প্রিয় নিক। তবে আমি মানুষটা আসলেই মোমের মত নাকি পাথরের মত সেই বিতর্কে পরে। যাই হউক... পরবর্তীতে এই নিকটা ব্যবহার করে একটা ডোমেইন কিনে ফেলি, যা http://www.momermanush.com নামে পাবেন। তা ছাড়া এই নিক ব্যবহার করে আমি বাংলা অন্যান্য ব্লগ সাইটেও লিখি।

একলা ফড়িং : আমি খুব বেশি ইন্ট্রোভার্ট টাইপের। নিজেকে সবসময় সবার কাছ থেকে আড়ালে রাখতে এবং আড়ালে থাকতে পছন্দ করি।এই কারণেই মুলত সব সোশ্যাল সাইটেই ফেক নাম ব্যবহার করেছি। ঠিক একই কারণে নিজের ছবিও দেয়া হয়না কোথাও। ফেসবুকে আইডি খোলার আগে থেকেই ভাবছিলাম কী নামে খোলা যায়। এর মাঝে কোথায় যেন ঘাসফড়িং শব্দটা চোখে পড়ে। ভালো লেগে যাওয়ায় এই নামে ফেসবুক আইডি খুলি। ব্লগে আইডি খোলার সময়ও নাম নিয়ে ভাবনায় পড়ি। আবার ফেসবুকের ফড়িং নামের সাথে মিল রাখার কথাও ভাবছিলাম। ফড়িংয়ের আগে পরে বিভিন্ন শব্দ দিয়ে ভাবতে ভাবতে একলা ফড়িং নামটা ভালো লেগে গেল।
আমি যে খুব একা বা নিজের একাকীত্বতাটাকে বোঝানোর জন্য এমন নাম সেটা একদমই নয়. বরং আমি একা হতে চাই, পরিচিত মানুষজনদের কাছ থেকে দূরে কোথাও নিজের একান্ত জগতটা নিয়ে নিজের মতো করে থাকতে চাই. এক অর্থে প্রত্যেকটা মানুষই একা কিন্তু আবার ঠিক একাও না! আমি সম্পূর্ণভাবেই একলা হতে চাই, সেই আকাংখা থেকেই এমন নাম।

উঠতি বুদ্ধিজীবী : তখন মনে হয় স্কুলে বা কলেজে পড়ি এলাকায় প্রতি মাসে এক বড় ভাই লিটল ম্যাগ প্রকাশ করত, নাম ছিল "ফুঁ"। একবার আমাকে বলে অইটায় মেড ইন বাংলাদেশ মুভিটার রিভিও লিখতে গ্রামের হলে দেখতে যাই, কারেন্ট ছিল না, জেনারেটর দিয়ে মুভি চালাচ্ছিল জেনারেটরের আওয়াজে মুভির ৯০% ডায়লগ বুঝিনি তাই মুভি দেখতে যাওয়া থেকে বাসায় আসা পর্যন্ত কাহিনী মিলিয়ে রিভিও পোস্ট দিলামভ মুভির কাহিনী ছাড়া সব কিছুই অই পোস্টে ছিল। সময় স্বল্পতার কারনে না পড়েই "ফুঁ"তে প্রকাশ করা হয়। অইটা পড়ার পর ভাইয়া আর "ফুঁ"এর পাঠক উঠতি বুদ্ধিজীবী নাম দিয়েছিল।

আমিই মিসিরআলি : আমার নামের পেছনে তেমন কোন কারন নেই। আমার নাম আসলেই "মিসির আলি" আর এই নামের পূর্বে "আমিই" কথাটি বসিয়ে দিয়েছি। তাছাড়া হুমায়ুন স্যারের "মিসির আলি"র দারুন ভক্ত আমি।

এ্যপোলো৯০ : আমার কাজিন ই প্রথম ব্লগের কথা বলছিলো আমাকে। তার আগে আমি নামই শুনিনি, ২০১০ এর কথা। ভাইয়াই বল্ল রেজিস্ট্রেশন করে দিবে। আমাকে বলল কি নাম দিবো? সেই সাথে এইটাও বল্ল নিজের নাম দিস না। আমি বল্লার গ্রিক কোনো দেবতার নাম দিবো। ভাইয়া প্রথমের বলল জিউস দিতে, পরে বলল অইটা ছেলে , তারপরে এ্যাপোলো দিলো, মে বী এই নিকের আরো কেউ ছিলো তাই ৯০ লাগায় দিলো, কারন সার্টিফিকেট জন্মসাল ৯০।

উপপাদ্য : উপপাদ্য এ হচ্ছে এক ধরনের প্রস্তাবনা। মনে আছে আমরা ছোটবেলায় জ্যামিতির উপপাদ্যের শুরুতে লিখতাম "সাধারন নির্বচন" তার পর "বিশেষ নির্বচন। ইংরেজিতে বললে একটু সহজ হবে মনে হচ্ছে, এই নির্বচন বা প্রস্তাবনা হচ্ছে statement। আর এই নির্বচনকেই আমরা পরে প্রমান করতাম।
মানুষের জিবনটা হচ্ছে অনেকগুলো statement এর সমাহার। উপপাদ্যতে যেমন করে আমরা statement গুলোকে প্রমান করার চেস্টা করি। মানুষের জিবনেও আমরা অনেক কিছুই প্রমান করার চেস্টা করি। আমি আমি আমার লেখায় অনেক কিছুই প্রমান চেস্টা করি। আমি সত্যকে সত্য এব মিথ্যাকে মিথ্যাকে মিথ্যা প্রমানের চেস্টা করি। আমি সাদাকে সাদা কালোকে কালো প্রমানের চেস্টা করি। আমার এই অবিরাম প্রমান করার চেস্টার নাম "উপপাদ্য।
এর বাইরে আমি ছোটবেলায় উপপাদ্য নামে একটা ম্যাগাজিন বের কাজ শুরু করেছিলাম সেটা অদ্যবধি প্রকাশ করা সম্ভব হয়নি। কিন্তু ইতোমধ্যে প্রকাশনার জগতে অনেক কাজ করলেও আমার কাঙ্খিত "উপপাদ্য" বের হয়নি। তাই অনেকটা দুধের স্বাদ ব্লগিংয়ে মেটাচ্ছি বলতে পারেন। উপরন্তু এই নামটি আমার খুব পছন্দের নাম, অবিরত ভালোবাসার নাম উপপাদ্য। ব্লগিংয়ের জগতে আমার পরিচয়ের নাম উপপাদ্য।

দালাল০০৭০০৭ : আমার আসা বেশিদিন হইনি, প্রায় ৬মাস। আমার খালুর একটি ছিল যদি তিনি এখন ব্যান হয়ে আছেন। তিনি আমাকে এই নিকটি খুলে দেন। বলেন সামুতে অনেক সুন্দর সুন্দর কবিতা,গল্প, সমসাময়িক অনেক ভাল ভাল পোস্ট আসে সেইগুলা তুমি পড়ো ভাল লাগবে। সামুতে আমি দেখি প্রায় রাজনৈতিক পোস্ট আসে । দেখি অনেকেই কোন না কোন দলের দালালি করতে দেখি। আমার জন্মের পর থেকেই বাড়িতে দেখে আসছি একটি রাজনৈতিক সাপোট করতে । ত আমি মনে করলাম আমার নিক খুলি বাংলাদেশ দালাল নামে, কিন্তু হায় !!! আল্লাহ দেখি একজন সেটা ব্যবহার করেছেন তখন বাংলাদেশ কেটে দিই তার পরও দেখি দালাল নামেই একজন আছেনা, পরে ০০৭০০৭ যোগ করে দিই।

লিরিকস্ : lots of website they belongs to bangla songs lyrics. I am trying to make a nick or blog who belongs to somewherein n put a lots of bengli songs lyrics in there, so one will be u no need to go any other website to search any bangla songs. U will get it from samu. Tats my real intention, thats da background.

গৃহ বন্দিনী : ’গৃহ বন্দিনী’’ নিক দেবার করার পেছনে তেমন উল্লেখ্যযোগ্য কাহিনী নেই । আমি যখন সামওয়্যার ইন ব্লগের সন্ধান পাই তখন ব্লগ কিংবা ব্লগার নামক কোন শব্দের সাথে পরিচিত ছিলাম না । বাংলায় লেখা এমন মজার মজার পাচ মিশালি ফ্যান পোস্ট দেখতে দেখতেই এখানে নিয়মিত যাতায়ত শুরু । সময় কাটানো আর একই জায়গায় এত নতুন নতুন অনেক বিষয় জানার জন্য এই সাইটা খুবই আকর্ষণ করে আমাকে । এক সময় আমারও ইচ্ছা করল আর সবার মত লিখতে , মেইনলি কমেন্ট করতে। আমার নিজের নাম দিয়ে আইডি খুলতে যেয়ে দেখি ‘this nick is available’ এই জাতিয় কি একটা মেসেজ দিচ্ছে বার বার । অন্য কি নামে দিয়ে খুলব তাও মনমত খুঁজে পাই না । যাই দেই খালি আসে এটা এভেইলেবেল । এর কয়েকদিন পর আবার আইডি খুলতে যেয়ে ঠিক করলাম এইবার যুক্তাক্ষরওয়ালা জটিল একটা নাম দিব যাতে কারো সাথে না মিলে । ভার্চুয়াল কিবোর্ড দিয়ে জটিল নাম টাইপ করতে যেয়ে বাটন টিপতে টিপতে অধর্য্যে হয়ে গেলাম । (অভ্র ফোনোটিকের কথা জানতাম না আর বিজয় আর ইউনিকোডের কথা শুনলেও এইগুলো মাথায় ধরে নাই ওই সময় )। তাও রেজিস্ট্রেশন হয় না । শেষমেষ ভাবলাম কোথাও থেকে একটা নাম কপি করে দিয়ে দেখি হয় কিনা । অবশেষ “ গৃহ বন্দিনী ” একটা নাম পেলাম । খুব সম্ভবত নারী বিষয়ক কোন একটা গল্প বা লেখায় পেয়েছিলাম । ব্যস , সুন্দর মত কেটে নিয়ে বসিয়ে দিলাম “বাংলায় আপনার নাম ” এই বক্সে । সাবমিট করার পর দেখি এটা দিয়েই রেজিস্ট্রেশন হয়ে গেছে !

কুনোব্যাঙ্গ : আসলে নিজের অবস্থার সাথে কুনোব্যাঙের বেশ মিল আছে। দুটোরই জীবনের গন্ডি খুব সীমিত। তাছাড়া একসময় ভাবতাম ভার্চুয়াল জীবনটার সাথে বাস্তব জীবনটা মেলাবোনা। সেভাবেই ছিলাম অবশ্য অনেক দিন। তারপর কিভাবে যেন মিলে গেলো।

তেরো : আসলে তেরো নিক নেয়েটার পেছনে কোনো স্পেশাল কারণ ছিলো না। আমি হঠাত করেই একদিন সামুতে আইডি খুলি। তাই তখন যেই নাম দেই হচ্ছিলো না, তাছাড়া আমি ভাবছিলাম এমন নাম দেবো যাতে সেখানে সহজে আমার বন্ধু বান্ধব রা চিনতে না পারে। সে সময়ে অন্য সাইটে আইডী খুলতে গেলেও যদি নাম ভ্যালিড না হতো তাহলে নামের শেষে সংখ্যা দিয়ে ভ্যালিড করতাম।তা মাঝে মাঝে বেছে বেছে কেনো জানি ১৩ দিতাম। হয়তো সংখ্যাটা একটু অন্যরকম, হয়তো কেউ কেউ এটাকে আনলাকি বলে তাই আকর্ষন। যাই হোক, পরে কেনো জানি নিক দিতে গিয়ে আমি শুধু তেরো দিয়েই দিলাম। আর কেমনে কেমনে জানি তা ভ্যালিড ও হয়ে গেলো। আর ফেবুতে ফার্স্ট নেম শুধু দেয়া যায় না। তাই তে রো আলাদা করে লেখেছিলাম।পরে এভাবেই ভালো লেগে গেলো। তেমন বিশেষ কোনো কাহিনী না। হঠাত ঝোঁকের বশেই করা।

আজ আমি কোথাও যাবো না : যখন মনে হয় কোন বিষন্ন বালিকার হাত ছুঁয়ে দিচ্ছে কোন এক হলুদ প্রজাপতি, অথবা রৌদ্রক্লান্ত রেললাইনের ভাঙ্গা পুল পার হবার সময় বালিকার হাত কেউ ধরে রেখেছে পরম নির্ভরতার আশ্বাসে, বা ক্লান্ত বিকেলে ঝাপড়া কৃষ্ণচূড়ার নীচে বালিকার হাতে বেলীফুলের মালা দিচ্ছে কেউ বা ঘুম ঘুম ভোরে কেউ তার কপোল ছুঁয়ে দিচ্ছে আর বালিকার চারপাশ আলোকিত হয়ে উঠছে তখন মনে হয় আজ আমি কোথাও যাবো না।

নাইট রিডার : I love to study at night, even I read novel at night and keep awake very late at night. At night I can concentrate in my study & from SSC it's like this. And that's why I choose this name night reader. And I like to remain discrete in blog writing as per as possible as it will not hamper my personal life and I can show my view more freely being anonymous than my real name.

রাবণ রাজ : আমার এই নাম চুজ করার পেছনে তেমন কোন রিজন নাই। নিকের জন্য নাম খুজে পাচ্ছিলাম না। পিচ্চি কাজিন রামায়ন কার্টুন দেখছিল, ও বললো রাবনকে ওর ভালো লাগে। সেখান থেকেই নাম বেছে নিলাম। সবাই হিরোর নামে নিক নেয় আর আমি নিলাম গ্রেটেষ্ট ভিলেন অফ দ্য মিলেনিয়াম রাবনের নামে।

অস্পিসাস প্রেইস : Reason of choosing a nick other than the original name is very simple. blogging means citizen journalism.But original name has some drawback.
1) Sometime u want write on some sensitive issue. but u may have to face some harassment by others. in that case, anonymous nick can protect ur real life social impression/reputation.
2) sm people write blog for their own fame/ to be an celebrity hiding ur real identity, its a confirmatory that u r not writing for ur benifit. if no one know u, how can u cash ur popularity? actualy its the english meaning of my original name.thats it.

জনসাধারনের মধ্যে একটি মলিন পট্টবস্ত্র : প্রায় ছয় মাসের মত সামহোয়্যার ইন ব্লগে আসছি। পোষ্ট পড়ার তেমন একটা সময় হয় না । তবে মাঝে মাঝে পোষ্ট পড়ে নিজের ব্যাক্তিগত অভিমত প্রকাশ করার জন্য একটি নিক খোলা ছাড়া কোন উপায় ছিলনা। সে সুত্র ধরেই আমি ব্লগে। নামটা রাখার পিছনে অনেক গুলো কারণ আছে সবগুলো কারণ সেভাবে বুঝানোটা অনেক কঠিন হয়ে যাবে।তবে আপনার অনুরোধের কারণে ছোট একটা কারণ আপনাকে বলছি, মলিন পোশাক কারা পরে? তা আপনি ভাল করেই জানেন। মলিন পোশাক পরা মানুষ সকল জায়গাতে নিগৃহীত ও নির্যাতিত। কৃষক মাথার ঘাম পায়ে ফেলে ফসল ফলায় আর আমারা তদেরকে দেখলে নাক ছিটকায়। আপনার বাসার কাজের মেয়েটির কোথায় চিন্তা করুণ না, সারাদিন আপনার ঘরের সৌন্দর্য ধরে রাখার জন্য কত কাজটায় না মেয়েটা করে। তারপরেও দেখুন টিভি দেখার সময় আপনি সোফায় আর তার স্থান আপনার পায়ের নিচের কার্পেটে। সমাজের বৈষম্যতার প্রতিকি অর্থে নামটি রেখেছি।

একজন ঘূণপোকা : "ঘূণেধরা সমাজের আমি একজন ঘূণপোকা-ধংশ করে চলেছি নিজের সমাজ।রাস্ট্র। প্রিয়জনের ভালবাসা,স্বপ্ন।"

সমুদ্রকন্যা : আমি প্রথমে মেঘবালিকা নাম দিয়ে নিক খুলছিলাম। কারণ ওই নামটা আমার খুব পছন্দ ছিল। তখন সপ্তাখানেকের মধ্যেই সেইফ করে দিতো। কিন্তু দুই সপ্তাহ পার হওয়ার পরেও আমাকে সেইফ করে নাই। তখন অন্য ব্লগাররা, যারা কমেন্ট করতো আমাকে, তারা বলল মডুদের মেইল করেন। করলাম। মডুরা জানাইল মেঘবালিকা নামে অলরেডি একজন ব্লগার আছে, তাই আমাকে সেইফ করা যাচ্ছে না। আমি চাইলে নতুন নাম নিতে পারি। ওই মুহুর্তে মাথায় ঝা করে সমুদ্র কন্যা নামটা চলে এলো। বললাম এই নামটা দেন। আর ওরা দিয়ে দিল।আর ছদ্মনাম নেয়ার কারণ হল আমি প্রথমে চাই নাই কোন ব্লগারের সাথে ব্যক্তিগতভাবে পরিচিত হবো। পুরাপুরি ভার্চুয়াল ক্যারেক্টার থাকতে চাইছিলাম। এইজন্যই ছদ্মনাম নিছি। পরে দেখলাম এইসব রহস্যময়তা করার কোন মানে নাই। অনেকের সাথে দেখা করলাম, মেইন ফেসবুক আইডিতেই সবাইকে এ্যাড করলাম। আর শেষেতো ব্লগারকেই বিয়ে করলাম।

একজন আরমান : ব্লগ সম্পর্কে জেনেছিলাম এক বড় ভাইয়ের কাছ থেকে। এরপর সামু, চতুর আর সচলে যেতাম বোঝার চেস্টা করতাম। এরপর অনেকদিন এভাবেই যায় এরপর সচলে একাউন্ট খুলতে না পেরে সামুতে খুলি কিন্তু প্রথম পাতায় এক্সেস না পাওয়ায় রাগে কয়েক মাস আসিনি। প্রায় ৪ মাস পর জেনারেল হই আর নামকরণের চিন্তাটা ছিল অন্য রকম। চিন্তা করলাম অনেক আরমান ই তো আছে আর আমি তাদের মধ্যে একজন একজন আরমান।

স্বপ্নবাজ অভি : ব্লগে নিক খোলার আগে হুট করে এই নামে একটা ফেসবুকে একাউন্ট খুললাম। ব্লগে নিক খোলার সময় এটাই মাথায় এসেছে।

স্নিগ্ধ শোভন : “স্নিগ্ধ শোভন” নামকরণের ভিতরের গল্পটা অন্তরজালে প্রকাশ নাই করলাম। শুধু এটুকু বলি এর পিছনে রয়েছে আমার ভালোবাসার এক চোরা দ্বীপ। কিন্তু নামটি কি অর্থে ব্যাবহার করলাম তা বলি। প্রশান্তিময় সুদর্শন। খুব মজার বিষয় হল এই নামটিতে আমার মূল নামের কিছুই নেই। কিন্তু কয়েকজন ব্লগার ছাড়া আর কেউ আমার ছবির বাহিরে আমাকে চিনেননা এবং জানেনও না। নামে কি আসে যায়? ব্যাক্তি আমি কেমন তাহাই বড়। ছদ্ম নাম হলেও নামটি আমার একটা জগতের পরিচয় বহন করছে। আমি সন্তুষ্ট আপনাদের কাছে এই নামে পরিচিত হয়ে।

খাটাস : থ্রিডি নিয়ে আর্টিকেল খুঁজতে গিয়ে সামু'র সন্ধান পেয়ে যাই। তারপর ভাবলাম সামুতে একটা আইডি খুলে ফেলি। অনেকগুলো নাম দেওয়ার পরও ইনভ্যালিড দেখাচ্ছিলো। অবশেষে আমার সব চেয়ে ভালো বন্ধুটিকে বললাম যে আমাকে একটি নাম দে। ও বললো যে" তোর তো কথা-বার্তা খাটাশের মতো তাই এই নামটি ই নিয়ে নে। আমি ও ব্যাপারটিতে মজা পেয়ে যাই আর এই নামে রিকোয়েস্ট করতেই সামু তা গ্রহন করে নিলো ।

বাটাগোর বাস্কা : প্রতিদিনই অদ্ভুত এক ইচ্ছা জাগে আমার,ইস!আমি যদি কচ্ছপ হতে পারতাম। কি চমৎকারভাবে মাথাটা দেহের ভিতরে গুটিয়ে নিয়ে পথ চলতে পারতাম,শরীরে শক্ত একটা খোলস থাকতো, অপমান বোধটা গায়ে লাগতো আর।কিন্তু নিয়তির ছকে আমি বাধা, আমি কখনো কচ্ছপ হয়ে উঠিনা।বাটাগোর বাস্কা হচ্ছে কচ্ছপের বৈজ্ঞানিক নাম কচ্ছপের জীবন নিয়ে আমি অনেক নিবন্ধ পড়েছিআর সে জন্যই আমার ব্লগ নিকে আমার ভাবনার প্রতিচ্ছবি চলে এসেছে।

কাগজের নৌকা (রাসেল হোসেন) : আমার ভাবনার ভালোবাসার সংস্করন ই হলো এই কাগজের নৌকা। অন্যান্য নৌকার চেয়ে আমার কাগজের নৌকার পার্থক্য ই হলো : এটাতে আমাকে ছাড়া অন্য কেউ চড়ে বসতে পারবে না্। শুধু আমি আমার কল্পনাগুলোকে সঙ্গী করে এই ন্যেকা চড়ে ভাসতে থাকবো ছোট ছোট পুকুর, নদী-নালাতে। সমুদ্রে নয় কেননা সমুদ্রের স্রোত আমার কল্পনা আর ছোট কাগজের নৌকাটি কে দুমড়ে মুচড়ে ছিড়ে ফেলবে।

নির্লিপ্ত স্বপ্নবাজ : চুপচাপ স্বপ্ন দেখি তাই নির্লিপ্ত স্বপ্নবাজ।

ডট কম ০০৯ : আমি যখন ব্লগে ঢুকি তখন ব্লগ বিষয়ে এতটা সিরিয়াস ছিলাম না। তবে ব্লগে অনেকের লেখা পড়তাম। ভাল লাগতো। পরে যখন ব্লগে আইডি খুললাম তখন প্রথম নাম আরমান ছিল। পরে চেঞ্জ করে ডট কম ০০৯ বানালাম।আসলে এমন নাম করণের কারণ হল- যে হেতু ব্লগে অনেকেই ক্রিয়েটিভ নাম ব্যাবহার করে। তাতে বেশ মজা আছে। সেখান থেকেই মূলত এই নাম। শেষের ০০৯ টা জেমস বন্ডের ০০৭ এর অনুকরণে। আর ডট কম টা ইন্টারনেটের একটা সাধারণ বিষয়। সবাই বলে কিন্তু খেয়াল করে না। সেখান থেকেই এমন নাম করণ হয়ে গেল।

চিরতার রস : আমি স্ট্রেইট ফরোয়ার্ড টাইপের মানুষ। সত্য কথা বলতে কোন দ্বিধা বোধ করি না। অনেকেই হয়তো ব্যাপারটি জানে। তাছাড়া আমি চেয়েছিলাম যে ব্লগে কেউ আমার আসল নাম না জানুক। তাই নিজের স্ট্রেট ফরোয়ার্ড চারিত্রিক দিকটি কে প্রধান্য দিয়ে সামু'তে এই নামে আইডি নিক নেওয়া।

শুঁটকি মাছ : আমি আবার একটু চিকন ছিলাম বলে আমার ফ্রেন্ডরা আমায় "শুটকি মাছ" বলে ক্ষেপাতো। সে যে কি ক্ষেপানি। অবস্থা এমন হয়ে যাচ্ছিলো যে আমার ফ্রেন্ড মহলে আমার আসল নামটি ই প্রায় হারিয়ে যেতে বসেছিল্ তবে মনে মনে যে নামটি কে পছন্দ করতাম না, তা নয়। আমার ও খুউব পছন্দ নামটি। সে কারনে সামু'তে এসেই অন্য কোন নাম না খুঁজে সরাসরি এই নাম দিয়ে দেই।

নিমচাঁদ : I was unable to open a register in samu. Some one helped me with his multi nick নিমচাঁদ । So there is nothing from me and no reason for taking this name .Obviously , its not a special name.

অনাহূত : আমার ব্লগ লিস্টের পেছনের কাহিনী তো তেমন কিছু না তখন সময়টাই ছিলো এরকম- মনেহতো আমি কারো কাছে প্রায়োরিটি পাচ্ছি না। খুব বিষণ্ন কিছু সময় কুঁড়ে কুঁড়ে খাচ্ছিলো। তাই অনাহুত নিক নিয়ে নেয়া।

ভারসাম্য : আমি ভারসাম্যপূর্ণ কথা বলতে চেয়েছি, যেখানে অধিকাংশ মানুষই প্রান্তীয় দৃষ্টিভঙ্গী নিয়ে কথা বলে। কিছু ভাল ভাবলে, সবই ভাল, তার মাঝে খারাপ কিছু নাই অথবা খারাপ বললে সবই খারাপ, খুবই খারাপ এভাবে।

রহস্যময়ী কন্যা : একটা রহস্যের জালে নিজেকে লুকিয়ে রাখার চিন্তা থেকে উক্ত নাম রাখি। আমি যখন সামু'তে প্রথম আসি, অনেক দিন পর্যন্ত নিজেকে লুকিয়ে রেখেছিলাম। তখন চাইতাম যে কেউ আমার কোন ইনফরমেশন না জানুক, রহস্যে মোড়ানো থাকুক। এখন তো অনেক দিন হয়ে গেছে অনেকেই এখন আমাকে পার্সোনালি জানে। তবে একটা কথা সত্য যে, নারী মাত্রই রহস্যময়ী।

অন্যমনস্ক শরৎ : সামুত আমারপ্রথম নিক ছিল " শরৎ এর খেরোখাতা"। কিন্তু এক সময় উক্ত আইডির পাসওয়ার্ড হারিয়ে ফেলি। তাই "অন্যমনস্ক শরৎ" নামে আবার আইডি গ্রহন করি যেখানে প্রথম পোস্টই উঠে আসে আমার পূর্বের আইডি হারিয়ে যাবার ঘোষনা। অন্যমনস্কতার কারন হেতু দুর্ঘটনাটি ঘটেছিল বলে তার সাথে সম্পর্ক তৈরি করে এই "অন্যমনস্ক" বিশেষণটি টানি।

কাণ্ডারি অথর্ব : একজন মানুষ তখনই অথর্ব যখন তাকে দিয়ে কিছু আশা করা যায় না। সব কিছু চোখের সামনে ঘটে যাবে কিন্তু নিরুপায় হয়ে বসে থাকবে। পরাজয় তার নিত্যদিনের সঙ্গী হয়ে বিষণ্ণতায় ভরিয়ে দেয়। জীবনে থাকে শুধু হিসাবের অংক না বেলাবার গ্লানি। আমিও নিজেকে তাই মনে করি। আমাদের দেশের সব চেয়ে হতাশা পূর্ণ একটি দিক হচ্ছে এই দেশে যোগ্য কাণ্ডারি বা নেতার অভাব। যারা ছিলেন তাদের প্রাণ দিতে হয়েছে। দিতে হয়েছে তাদের যোগ্যতার মূল্য রক্তের বিনিময়ে। সেই থেকে এখন পর্যন্ত এমন কাউকে এগিয়ে আসতে দেখা যায়নি যে যোগ্যতার সাথে দেশের হাল ধরবে। যারা হাল ধরেছেন তারা দেশের জন্য কোন মঙ্গল বয়ে আনেন নি। কিন্তু এই দুর্নীতি গ্রস্ত সিস্টেমের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবার কেউ নেই। সবাই অথর্ব, পরিণত হয়েছে অথর্ব জাতিতে। আজ তাই কাণ্ডারি অথর্ব হয়েছে।

এক্সট্রাটেরেস্ট্রিয়াল স্বর্ণা : আমি যখন আইডি খুলি তার অনেক দিন আগে থেকেই সামু পড়তাম। কিন্তু তখন অতোটা ভাল লাগত না, অন্য বিভিন্ন ওয়েবসাইটের মতই সামু দেখতাম মাঝে মাঝে। তারপর একদিন একটা আইডি খোলার সিদ্ধান্ত নিলাম। অনেক নাম চিন্তা করলাম, কিন্তু সেগুলো অলরেডি ছিল। আমার নিজের পুরো নামও দিতে চেয়েছিলাম, কিন্তু নিরাপত্তাজনিত কারণে দেই নি। তারপর কেটি পেরির 'ই টি' গান থেকে এই নামটা ডিসাইড করলাম। কিন্তু সেটা নিয়েও অনেক হ্যাজিটেশান ছিল। এই নামই আমি দিতে চাই কিনা, কারণ আমার আবার এসব ব্যাপারে একটু বেশি সতর্কতা। পছন্দ না হলে পরে ব্লগিংই করতে মন চাবে না। এটা ভাবতে ভাবতে প্রায় ৩ মাস চলে গেল। ব্লগিং তো আর তখন অতো ইম্পর্ট্যান্ট ছিল না, তাই আইডি খোলার এত তাড়াও ছিল না। পরে সামার ভ্যাকেশান শুরুর কয়েকদিন পরই আইডি খুললাম এই নাম দিয়ে। আর স্বর্ণা আমার নিজের নাম।

কাল্পনিক_ভালোবাসা : তাহসানের 'কাল্পনিক প্রেম' শিরোনামের একটা একটা গান ছিল। গানটা একসময় নানাবিধ কারনে আমার খুব প্রিয় ছিল। ব্লগে দেখতাম মানুষজন ছদ্মনামে লিখতেন। নামগুলো খুব ইন্টারেস্টিং লাগলত। মাঝে মাঝে মনে হতো এই নামগুলোর সাথে ঐ বাস্তব মানুষগুলোর কোন একটা সংযোগ বা ব্যক্তিগত ভালোমন্দ লাগা আছে। তাই যেহেতু ঐ গানটা আমার খুব পছন্দ ছিল তাই নতুন করে রেজিস্টার্ড হওয়ার সময় এই নামটি কিছুটা পাল্টিয়ে কাল্পনিক ভালোবাসা নাম নিয়ে লেখা শুরু করি।

কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন:
এই কাজটা করতে গিয়েই আমি অনুভব করেছি সামু প্লাটফর্ম টা আসলে কেমন। মানুষে মানুষে জটিলতা থাকবেই আর তাই সেই সব সম্ভাব্য জটিলতা সহ্য করার চিন্তা মাথায় নিয়েই ব্লগারদের সাথে যোগাযোগ করা শুরু করি। কিন্তু সামু যেখানে নিজেই একটা মমতার বন্ধন ব্লগারদের মাঝে জড়িয়ে রেখেছে সেখানে আমি অভিভূত না হয়ে পারি নি। সবার আন্তরিকতা, বন্ধুত্বপূর্ন মনোভাব এবং সাহায্য করার মানসিকতা আমায় অন্য একটা পৃথিবী সন্ধান দেয়। আমি সবার প্রতি অনেক বেশী কৃতজ্ঞ। আর স্পেশাল ভাবে যাকে ধন্যবাদ না দিলে ই নয়, তিনি হচ্ছেন ব্লগার কাল্পনিক ভালোবাসা। তাহার সার্বিক সহযোগীতা ছাড়া এই পোস্ট উপস্থাপন করা সম্ভব ছিল কিনা সে ব্যাপারে আমার যথেষ্ট সন্দেহ আছে।

বিশেষ দ্রষ্টব্য:
আমার "ইমিনা" নামের পেছনে যেমন লুকিয়ে আছে কিছু অনুভূতি, একটা অধ্যায় আর কিছু স্বপ্ন তেমনি অন্যদের এই বিচিত্র ছদ্মনামের পেছনে ও জড়িয়ে থাকবে কিছু ভালোলাগা, খারাপলাগা, স্বপ্ন কিংবা দৃঢ় কোন সংকল্প। তাই বেশ কয়েক মাস পূর্ব থেকেই সংকল্প করলাম যে এই সব ব্লগ নামের মাঝে জড়িয়ে থাকা ইতিহাস ও অনুভূতিটা আমি বের করে আনবো। সে অনুযায়ী বেশ কাজ করছিলাম। যেহেতু ব্লগারদের সাথে যোগাযোগ করার তেমন কোন লিঙক ছিল না, তাই আমার কাজটা কচ্ছপের গতির মতো এগিয়ে যাচ্ছিলো। এর মধ্যে কাজ প্রায় শেষ হয়ে এসেছিলো, হঠাৎ ২৯ শে এপ্রিল ব্লগার "ইছামতির তীরে" এর একটা পোস্ট "সামুর সম্মানিত ব্লগারগণ সবসময় বিচিত্র সব ছদ্দনাম ব্যবহার করেন কেন? তারা নিজের আসল নামে লেখেন না কেন?" আমার দৃষ্টি আকর্ষন করে। আমি কিছুটা হতাশ হয়ে যাই কেননা দীর্ঘ দিন ধরে করে আসা কাজের সাথে উক্ত পোস্টে টপিক প্রায় একই রকম। কিন্তু আমার টপিকের প্যাটার্ন অনেক বেশী ভিন্ন বিধায় কাজ চালিয়ে গিয়েছি।

অনেক বেশী নামকরনের ইতিহাস সংগ্রহ করে ফেলেছি বিধায় সবগুলো এখানে তুলে ধরতে পারি নি। সে জন্য আমি ব্লগার আপু এবং ভাইয়াদের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী। তবে নেক্সট প্রোগ্রামে সংগৃহীত বাকি সব নামকরন ইতিহাস তুলে ধরবো। তাছাড়া বানানগত ভুল থাকতে পারে কিংবা কোথাও কোথাও উপস্থাপনের সীমাবদ্ধতা আপনাদের চোখে পড়তে পারে। সে ক্ষেত্রে আপনাদের কাছ থেকে গঠনমূলক আলোচনা কামনা করছি। আর সেই সাথে অন্য সব ছদ্মনামের ব্লগারদের নামকরন ইতিহাস জানার ইচ্ছা প্রকাশ করছি।



সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৯:০৯
১১৯টি মন্তব্য ১১৮টি উত্তর পূর্বের ৫০টি মন্তব্য দেখুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছায়ানটের ‘বটমূল’ নামকরণ নিয়ে মৌলবাদীদের ব্যঙ্গোক্তি

লিখেছেন মিশু মিলন, ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



পহেলা বৈশাখ পালনের বিরোধীতাকারী কূপমণ্ডুক মৌলবাদীগোষ্ঠী তাদের ফেইসবুক পেইজগুলোতে এই ফটোকার্ডটি পোস্ট করে ব্যঙ্গোক্তি, হাসাহাসি করছে। কেন করছে? এতদিনে তারা উদঘাটন করতে পেরেছে রমনার যে বৃক্ষতলায় ছায়ানটের বর্ষবরণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

বয়কটের সাথে ধর্মের সম্পর্কে নাই, আছে সম্পর্ক ব্যবসার।

লিখেছেন ...নিপুণ কথন..., ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:৫০


ভারতীয় প্রোডাক্ট বয়কটটা আসলে মুখ্য না, তারা চায় সব প্রোডাক্ট বয়কট করে শুধু তাদের নতুন প্রোডাক্ট দিয়ে বাজার দখলে নিতে। তাই তারা দেশীয় প্রতিষ্ঠিত ড্রিংককেও বয়কট করছে। কোকাকোলা, সেভেন আপ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

মানুষের জন্য নিয়ম নয়, নিয়মের জন্য মানুষ?

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৫:৪৭



কুমিল্লা থেকে বাসযোগে (রূপান্তর পরিবহণ) ঢাকায় আসছিলাম। সাইনবোর্ড এলাকায় আসার পর ট্রাফিক পুলিশ গাড়ি আটকালেন। ঘটনা কী জানতে চাইলে বললেন, আপনাদের অন্য গাড়িতে তুলে দেওয়া হবে। আপনারা নামুন।

এটা তো... ...বাকিটুকু পড়ুন

একজন খাঁটি ব্যবসায়ী ও তার গ্রাহক ভিক্ষুকের গল্প!

লিখেছেন শেরজা তপন, ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:০৪


ভারতের রাজস্থানী ও মাড়ওয়ার সম্প্রদায়ের লোকজনকে মূলত মাড়ওয়ারি বলে আমরা জানি। এরা মূলত ভারতবর্ষের সবচাইতে সফল ব্যবসায়িক সম্প্রদায়- মাড়ওয়ারি ব্যবসায়ীরা ঐতিহাসিকভাবে অভ্যাসগতভাবে পরিযায়ী। বাংলাদেশ-ভারত নেপাল পাকিস্তান থেকে শুরু করে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে...

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০৯

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে,
পড়তো তারা প্লে গ্রুপে এক প্রিপারেটরি স্কুলে।
রোজ সকালে মা তাদের বিছানা থেকে তুলে,
টেনে টুনে রেডি করাতেন মহা হুলস্থূলে।

মেয়ের মুখে থাকতো হাসি, ছেলের চোখে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×